নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময় অনেক কম, কাজ অনেক বেশি। সংবাদ মাধ্যমের চেয়ে উৎকৃষ্ট এই সিটিজেন জার্নালে অন্তত চটি লেখক মার্কা লোক নেই-আমি এতেই সুখ অনুভব করছি। লিখতে শুরু করেছি-লিখতে লিখতেই হয়তো একদিন ফুড়িয়ে যাবো। তারপরেও সকল মানুষের কল্যান কামনা করেই যাবো

বিভক্ত আত্মা

সাংবাদিক

বিভক্ত আত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গীবাদ ঠেকাতে ইসলামী শিক্ষার একমুখী শিক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার কোন বিকল্প নাই।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৭



মাওলানা সাহেব কিছুতেই বললেন না যে, যে কোন মানুষকে হত্যা করা যাবেনা। বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও তিনি বারবারই বলতে থাকলেন, কোন নিরপরাধ মুসলমানকে হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করেনা। যারা মুসলমানদের হত্যার মাধ্যমে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদের সৃষ্টি করছে তারা মুসলমান নয়।
অথচ মাওলানা সাহেব একবারের জন্যও বললেন না যে, মানুষ হত্যা করা কোন ধর্মই স্বীকৃতি দেয় না। যারা মানুষ হত্যা করে ধর্ম রক্ষা করতে চায়, তারা মানবতার শত্রু এবং এদের কোন ধর্ম নাই ??????? হাজারো আলেম ওলামা ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন অথচ এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা ৩৪ টি ঈদ জামায়াতের খুৎবা দেখে, শুনে এবং ব্যাখ্যা করে কোথাও পেলাম না যে, সে মুসলমানই হউক বা অন্য ধর্মের মানুষ হউক, মানুষ হত্যা করা যাবে না। মানুষ হত্যা কোন ধর্মই স্বীকৃতি দেয় না।
মাওলানা তথা ঈমাম সাহেবদের এমন কৌশলী বক্তব্য বা খুৎবায় আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে বুঝতে পারছি যে, মাওলানা সাহেবরা, অন্য ধর্মের মানুষ, ব্লগার, নাস্তিক, লেখক হত্যায় সমর্থন করেন !!!!!
মাওলানা সাহেবরা ইচ্ছা করলে ঈদের জামায়াতে উপস্থিত সকল মুসলমানের মধ্যে প্রচার করতে পারতেন যে, যে কোন অবস্থাতেই কোন মানুষ হত্যা করা ইসলাম সমর্থন করেনা। ইমাম তথা মাওলানারা এমন বক্তব্য প্রচার করলে হয়তো ইসলামী জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসীদেরকে সাধারন মানুষই প্রতিহত করতে পারতো। এমনকি, ইসলামী জঙ্গীদের সেলটার হোম, ট্রেইনিং সেন্টার সহ জঙ্গীদের বিষয়ে সাধারন মানুষ সতর্ক হতে পারতো। ইসলামী জঙ্গীদের আশ্রয় দাতারাও হয়তো ইসলামী জঙ্গীদের আশ্রয় দিতেন না। এতে করে শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বে ইসলামী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরী হতো।
কিন্তু আমি আজ হতাশ কারণ, ইমাম তথা মাওলানারা তাদের বক্তব্য বা খুৎবায় অতি কৌশল পথ অবলম্বন করে অন্য ধর্মের মানুষ, নাস্তিক, ব্লহার লেখকদের হত্যা করার বিষয়টিতে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
আমি ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করছি না, কিন্তু বাংলাদেশে যেভাবে ইসলামী জঙ্গীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে করে বলা যায় যে, বাংলাদেশ একটি ইসলামী জঙ্গী দেশে পরিনত হতে যাচ্ছে।
আর, বাসলামী জঙ্গী নিয়ন্ত্রিত দেশে আমার মত কোন সাংবাদিক বা ব্লগার বসবাসের সকল যোগ্য হারাবেন। ওরা শরীআহ আইন বাস্তবায়ন করে হাজার বছর আগের অবস্থায় মানুষের জীবন ধারাকে নিয়ে যাবেন।
এটা খুব স্পষ্ট যে, দেশের সকল গ্রাম, উপজেলা, জেলা এবং শহরকে কেন্দ্র করে চারদিকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের শিক্ষার চর্চা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীকেই কর্মমুখী শিক্ষা, মানবতা রক্ষায় ভূমিকা সহ বাস্তবধর্মী কোন শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় না। এতে করে শিক্ষার্থীদের দ্বারা ভিক্ষাবৃত্তি করানো হচ্ছে। বিকৃত জীবন ধারনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। ইসলাম ধর্মের মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্ম পালনকারীদের বসবাস করা ও বেচে থাকবার কোন অধিকার নাই। সরকার বা বিরোধী দলের মৌন সমর্থনের কারনেই বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের দ্রুত উত্থান ঘটছে।
আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করার কথা বলছি না বা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরোধিতা করছি না। তবে, আমার বিশ্বাস এই যে, ইসলামী জঙ্গীদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে করে ইসলামের অন্ধ অনুসারীদের সামান্য চেষ্টাতেই বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের দেশে পরিনত হবে। হয়তো শরীয়াহ আইনও চালু হয়ে যাবে।
ইসলামী জঙ্গীবাদের চরম ঝুকিতে থাকা বাংলাদেশকে ইসলামী জঙ্গীবাদ ঠেকাতে এসব ইসলামী ধর্ম শিক্ষার একমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষনার কোন বিকল্প নাই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আমার মতে মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমের তদারকীর পাশাপাশি আমূল পরিবর্তনের দরকার এখন! ইসলামি জংগিবাদের পেছনে কেবল মাদ্রাসাই দায়ী নয়। প্রকৃতপক্ষে এর পেছনে আন্তর্জাতিক একটি চক্র কাজ করছে, যেটা অপেন সিক্রেট একটা টার্ম!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.