নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেজর ডালিমের বক্তব্যগুলো শুনলাম। ভালোই লাগল। যদিও অনেক কথাই বিভিন্ন নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া বইগুলোর পাতায় অথবা কারো মুখে শোনা হয়েছে। শেষ মুজিবকে আওয়ামী লীগ যেভাবে প্রায় রবের পক্ষ থেকে প্রেরিত মানুষদের মত ভাবতে শুরু করেছিল তাদের সেই ভাবনা ও দর্শনকে বিলুপ্ত করার প্রয়োজন ছিল। অব্যশ তারা অনেকে এখনও শেখ মুজিবকে ফেরেশতার মতই ভাবে। ভাবতে থাকুক। নিজের চিন্তা চেতনাকে এখন আর গুলিয়ে খাওয়াতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নাম দিয়ে ‘জামাতে ইসলামী’কে টার্গেট করে দেশ থেকে ইসলামকে বিতাড়িত করতে চেয়েছিল। ১৩ সালের হেফাজতের ওপর জুলুম ও তৎপরবর্তী বিভিন্ন কার্যাবলির মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়েছে। জঙ্গী সাজিয়ে দেশকে অস্থিতিশীলতা থেকে বাঁচানোর ঢং করে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল। দেশকে এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে গিয়েছিল যে, তারাই সর্বেসর্বা। দেশটা যেন তার বাপের সম্পত্তি। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বাইরে পালিয়ে বেরিয়েছে, পরিবারকে পাক সরকারের হাতে তুলে দিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছে, ভারতের মাধ্যম হয়ে দেশের ক্ষমতায় আরোহন করেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছে।
সবশেষে মেজর ডালিমকে ধন্যবাদ। এতদিন পর্যন্ত নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন এবং এদেশের মানুষের কাছে সত্য প্রকাশ করেছেন। আরও সত্য হয়তো প্রকাশিত হবে। ইতিহাস কাউকে ছাড়ে না। শেখ মুজিবকেও ছাড়েনি, হাসিনাকেও ছাড়বে না। আরও যারা ইতিহাসে খলনায়ক ছিল তারাও ছাড় পাবে না।
©somewhere in net ltd.