নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার ইনোসেন্ট

“ মানুষের সব চেয়ে বড় পরিচয় সে ‘মানুষ ’। সৃষ্টির সেরা জীব । তাকেও যে আল্লাহ পাক বানিয়েছেন, আপনাকেও সেই আল্লাহ পাকই বানিয়েছেন । অতএব কাউকে ছোট করে দেখা উচিৎ নয় ।” “ দুনিয়াটা যেমন সমান নয় । এখানে বিভিন্ন উঁচুনিচু পাহাড় পর্বত দিয়ে যেমন এর ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে । ঠিক তেমনি আল্লাহ পাকও মানুষের জীবনে দুঃখ কষ্ট দিয়ে এর ভারসাম্য রক্ষা করেছেন । তাই সুখী হবার পিছু ছুটে বোকার দলে না পড়াটাই বুদ্ধিদীপ্ত কাজ । ” “ ভাল মানুষ গুলো বোকা হয় । যদিও এরা বোকা বলেই ভাল মানুষ হয় । ” “ কারো ক্ষতি করেছেন তো মরেছেন । কেননা, সে ক্ষতি আপনারও হবে । কোনভাবে না কোনভাবে তো বটেই । এটাই নিয়ম । আর আমরা সবাই তো নিয়মেরই দাস । তাই না ? ” “ মানুষ মাত্রই ভুল হবে । এটাই স্বাভাবিক । আমরা কেউই ফেরেশতা নই । তাই ভূল স্বীকার করাই বুদ্ধিদীপ্ত । যদিও বোকারা এক্ষেত্রে বেতিক্রম । ” “ আমি বিশ্বাস করি যুক্তি এবং আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব । যুক্তির উর্ধে কিছুই হতে পারে না । ” “ শূন্য হাতে পৃথিবীতে আসা । শূন্য হাতেই ফেরা । সবই মিছে মায়ার বাঁধন । তবে কেন নিরন্তন এই হারজিতের যুদ্ধে মত্ত ।” “ অপরের কাছে না আমরা যতটা ধোঁকা খাই, তার বেশি ধোঁকা আমরা নিজেরাই প্রতিনিয়ত নিজেদের দেই । ”

ব্লগার ইনোসেন্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতায় জীবন

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭

কবিতার যখন জন্ম হল, তার ঘরে খুশির চাঁদ হাসল,
বাবা তার খুসিতে আত্মহারা, মা যেন পরীকে কাছে পেল ।
দাদা-দাদুর মনের আশা কবিতাকে নিয়ে সুখে থাকা,
কবিতাও বোধহয় এসব বুঝে হাসতে থাকে দোলনাতে ।

বাবা-মায়ের অসীম আদরেতে কবিতাও দিন দিন বাড়তে থাকে,
দাদা-দাদুর খেলার সাথী সে, সারাদিন কত কি যে দুষ্টমিতে,
সারাদিন শেষে ক্লান্তি ভরে যখন কবিতা ঘুমুতে যায়,
চাঁদ মামা যে জেগে থাকে তার পাহারায়_________

সারা রাত্রি পরীদের সাথে করে ছুটোছুটি, পরীরাও তার দুষ্টমিতে খায় হাসির লুটোপুটি,
চাদের দোলনাতে দোলে ,মেঘের ভেলায় ভেসে কবিতা ভাবে জীবন এমনি,
পরীদের মহলে সেও এক ছোট্ট পরীর বেশে ক্লান্ত শ্রান্ত কবিতার চোখ ঘুমে ভেঙ্গে পরে ,
পরীদের রানীর কুলে মাথা রেখে কবিতা আগামীর দুষ্টমির ছবি এঁকে ঘুমিয়ে পরে ।

সূর্য্যি মামার হাতছানিতে,মায়ের লক্ষি চুম্বনে কবিতার সকালের ঘুম ভাঙ্গে ,
হাসিমাখা সেই মুখ দেখে কবিতা দু'হাতে গলা জরিয়ে ধরে,
রাতে দেখা স্বপ্নের গল্প সুরে মায়ের কাছে বলে হাসিতে আত্মহারা হয়ে ,
মা ও কপলে চুম্বন দিয়ে বলে, '' তুই ও যে আমার পরী সোনা '' ।

দেখতে দেখতে কবিতা কিশোরী হয়ে উঠে, ঘর ছারিয়ে তার দুষ্টমি গ্রামে ছড়িয়ে পরে,
কারো গাছের পেয়ারা পারা, কারো গাছের পেপে কেটে পিচ্চিদের নিয়ে খাওয়া,
কারো গাছের কাঁঠাল ভেঙ্গে দরিদ্রদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া_________
কারো ঘরের খাবার চুরি করে, খেলার সাথীদের নিয়ে খ্যে ফেলা ।

দিন শেষে ক্লান্ত কবিতার ঘরে ফেরা, মায়ের মুখে এক গাদা বকুনি খাওয়া,
অভিমান করে ঘর বন্ধ করে থাকা, বাবার আদরে কেঁদে ফেলা,
দাদুর সাথে সারাদিনের গল্প করা, দুজনেই হেসে একাকার হওয়া ,
পিছু থেকে মাকে জরিয়ে ধরা, মায়ের সেই মিষ্টি ঝারি খাওয়া ।
--------------------------------------------------------------------

আজ কবিতা অন্ধকারে, দেয়ালের গায়ে সে স্বপ্ন হাতরে ফিরে,
দীর্ঘশ্বাসে ঘেরা এ বদ্ধ রুমে, কবিতার আজ অসহায় দিন কাটে,
কবিতার সেই রঙিন ভুবন, আজ কালো মেঘে ঢেকে গেছে,
কবিতার আজ অন্ধকার পল্লির বাসিন্দা হয়ে গুমরে কাঁদে আপন মাঝে ।

মানুষ নামের সেই অমানুষ গুলি কবিতার নাজুক গায়ে আজ হিংস্রতার আচর কাটে,
কবিতার চোখের জল আজ শ্রাবনের ধারা হয়ে নীরবে ঝরে পরে,
নিঃশ্বাস তার হাহাকার করে কালবৈশাখী হয়ে স্বপ্ন গুলকে চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেরে,
নষ্ট হবার কষ্ট নিয়ে ক্লান্ত কবিতা চোখে মুখে পানির ঝাপটা দিয়ে মুছার বৃথা চেষ্টা করে ।

আজ আকাশ বড্ড বেহায়া সাজে সেজেছে, ফালগুণের উষ্ণ বাতাস আজ সীমা ছাড়িয়েছে,
কবিতার মন আজ বড্ড আনাড়ি ভাব নিচ্ছে, আজ তার কিশোরী কালের ভাবনা জরিয়ে ধরছে,
কবিতার মাথায় আজ মহা সর্বনাশের খেলা খেলা যাচ্ছে, উন্মুক্ত হবার বাসনা তাকে পেয়ে বসেছে,
কবিতা আজ সাদা শাড়িতে বেড়িয়ে পরে সেই অন্ধকার পল্লি ছেড়ে খোলা ব্রীজের পথে ।

দখিনা হাওয়া আজ বড্ড চঞ্চল, উত্তাল নদীর জল আজ ঢেউয়ের সুর তুলেছে,
মেঘেরা আজ খুশীতে আত্মহারা, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে ক্ষণেক্ষণে, ধরণী আজ বড্ড ব্যাকুল,
কবিতার মুখ থেকে কালিমার শেষ চিহ্ন টুকু মুছে দিতে প্রকৃতি আজ ব্যাস্ততা
ভরে সাজিয়েছে নিজেকে , সোডিয়ামের আলোয় কবিতা আজ নিজেকে বিবর্ণ করার
চিন্তায় মন্ত্র মুগ্ধের মত ঠায় দাড়িয়ে আছে ।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------

পুরো গ্রাম আজ সাজ-সাজ রবে মুখরিত, চারিদিকে আনন্দের বানে যাচ্ছে সব ভেসে,
নানা খাবারের মম সুবাসে গ্রামের মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ লেগেছে যে,
আজ কবিতার জন্ম দিন, নানা আয়োজনে সেজেছে মহল,
কত রঙবেরঙের বেলুন, কত ফুলের মালা, কত চুমকির ঝর্ণাধারা ।

মহা উৎসবের মাঝে উঠলো বেজে ফোন রিং, কবিতার দাদু পেল অক্কা,
উৎসব গেল থামি, শোকের ছায়া এলো নামি,
কবিতার কলিজা তার বাবা, গাড়ি এক্সিডেন্টে গেল মরি,
মা তার হল পাগলিনী, দাদু হল পাথরের মূর্তি ।

কবিতার জীবন গেল পাল্টে, দুর্জনেরা নিল সব সম্পত্তি কেরে,
অসহায় কবিতা, অসহায় ধরণী, অসহায় ভাগ্য গেল চমকি,
কবিতার সুখ গেল থমকি, কিশোরী কবিতা খাবারের খোঁজে,
আজ গ্রাম ছেড়ে শহরে দিল পারি, কবিতার জীবনের মোড় গেল ঘোরে ।

কবিতার দাদু হল অসুস্থ, কবিতা হল গার্মেন্টসের দ্বারস্থ,
সেখানে নানা মানুষের ভীরে, কবিতার ভাবনারা গেল মিশে,
কবিতার স্বপ্ন গেল পাল্টে, কবিতা আজ টাকার জন্য নাইট ডিউটিও করে,
মাস শেষে দাদুর ওষুধের ঝুড়ি হাতে, কবিতার হসি ফুটে মুখে ।

সেদিন ভাল কাজের খুঁজে, জরিনা বু নিয়ে গেল কবিতাকে ,
কয়টা টাকা বেশি পাবার লোভে কবিতা গেল জরিনা সাথে,
জরিনা ছিল খারাপ মেয়ে, কবিতাকে দিল বিক্রি করে,
কবিতা এখন কেঁদে মরে , অন্ধকারের বন্ধ ঘরে ।

কবিতার স্বপ্ন গেল মুছে , বাস্তবতার করাল গ্রাসে ,
কবিতারা ভুল করে যুগে যুগে যাচ্ছে অন্ধকারে তলিয়ে,
জরিনা বু'দের কথার ছলে, কবিতারা হারাচ্ছে জীবন অকালে,
সময় থাকতে কবিতারা হও সাবধান, ভুলোনা কারো ছলা-কলাতে ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এটা গল্পাকারে লিখতে পারতেন, এতে আরো জমত

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

ব্লগার ইনোসেন্ট বলেছেন: আমার ও তাই মনে হচ্ছে এখন । :/

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । শুভ কামনা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.