![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে খুব কষ্ট হয়। তবুও উঠতে হয়। কারণ একটু পরে যে খাবার জন্য বেরুতে হবে.......
আচ্ছা পৌছে গেলেন নোয়াখালী? এবার এখানে এসেই হোটেল এ একটা রুম বুক দিয়ে দিন। এখানকার কয়েকটি হোটেল ও ভালো থাকার জায়গা হলো - সার্কিট হাউস। রয়েল হোটেল, টাউন হল। হোটেল রাফসান, টাউন হল। হোটেল লিটন, পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড। নোয়াখালী গেষ্ট হাউস - হসপিটাল রোড। ভাড়া অনেক কম। একটা মজার ব্যপার হলো এখানে প্রায় প্রতিটা হোটেলের নিচেই ভালো খাবার হোটেল আছে। একটু ফ্রেস হয়ে সন্ধ্যাবেলায় রিক্সা নিয়ে একটা চক্কর মেরে আসুন শহরটায়। আপনি চাইলে ঘন্টা হিসাবে রিক্সা ভাড়া নিতে পারেন। ঘন্টা ৩৫-৪০টাকা। নোয়াখালী আসলে আপনাকে যেটি অবশ্যই দেখতে হবে, তা হলো মাইজদীর অদুরে বজরা শাহী মসজিদ। এটিকে বলা হয় উপমহাদেশের একটি বিখ্যাত্ স্থাপত্যশৈলী। এর আশে পাশের দৃশ্য দেখার মতো। পুকুর সবুজ প্রান্তর নানা রকম পাখি। এখানে আরো আছে গান্ধি আশ্রম ট্রাস্ট। আসলে নোয়াখালীর যে জিনিসটা আপনাকে সবচেয়ে বেশী আলোড়িত করবে তা হলো সবুজ প্রকৃতি। মন ভালো হয়ে যাবে। আরো কয়েকটি জায়গা অবশ্যই দেখতে ভুলবেন না। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী কৃষি ইনিষ্টিটিউট - চৌরাম্তা, নোয়াখালী ষ্টেশন, হরিনারায়নপুর ষ্টেশনের পাশে খালপাড়, সোনাপুর থেকে একটু দুরে অশ্বদিয়া স্টিল ব্রীজ ও নির্মানাধীন বিসিক, থানার হাট। এই সবগুলো জায়গা আপনি রিক্সায় ঘন্টা হিসাবে ঘুরে আসতে পারেন। অবশ্যই সাথে করে ক্যামেরা নিতে ভুলবেন না। তবে অন্তত নোয়াখালী ছাড়ার পর ছবিগুলো দেখে নিজেরই আফসোস হবে কি রেখে আসলেন। আর একটা জায়গা অবশ্যই ঘুরতে পারেন। সোনাপুর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দুরে ফরেস্ট। বিশাল বন। দেখার মত অনেক গাছপালা, সাপ, পশু ও পাখি পাবেন। এর পাশেই আছে চেয়ারম্যান ঘাট। যেখান থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে স্টিমার ছেড়ে যায়। সময় নিয়ে গেলে হাতিয়া থেকে একটু দূরে নিঝুম দ্বীপ টা ঘুরে আসতে পারেন। কিছু দেখেন বা না দেখেন হরিনের দেখা অবশ্যই পাবেন। আর দ্বীপটা খুবই সুন্দর। একটা কথা নোয়াখালী ঘুরে দেখার জন্য আসলে আপনার যদি কোনো নোয়াখালীর বন্ধু বা আত্নীয় থাকে তবে খুবই মজা করে উপভোগ করতে পারবেন। এর সাথে নোয়াখালীর আতিথেয়তা আপনাকে মুগ্ধ করবে এটা আমি নির্দিধায় বলতে পারি। যাই হোক আর দীর্ঘায়িত করলাম না এখানেই শেষ করলাম নোয়াখালীর একটু বিবরন। কখনো কেউ যদি নোয়াখালী বেড়াতে আসেন এই লেখাটা হয়তো কাজে লাগবে।
০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৫০
বৃত্তালপনা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আসেল ভাই উচিত আমাদের জেলাকে তুলে ধরা। আমরা অবহেলিত একপাশে থাকার কারনে।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:৪৪
সোহেল মাহমুদ বলেছেন: জ্বি ভাইজান খুব ভালো লাগছে আপনার উদ্যোগ
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৮:০৬
বিডি আইডল বলেছেন: লিখলেন ক্যামেরা নিতে ভুলবেন না...আর কোন জায়গারই ছবির বর্ণনা নাই
০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:২১
বৃত্তালপনা বলেছেন: আসলে এখানে ছবি পোষ্ট করাটা খুব একটা সুবিধাজনক না।
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
ফিরোজ-২ বলেছেন: ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:৩৪
পরোপকারী বলেছেন: বর্নণা টা আরেকটু বিশদ ভাবে করার দরকার ছিল।
বাস রোড নোয়াখালীতে প্রবেশ করলে প্রথম বাস স্ট্যান্ড হচ্ছে সোনাইমুড়ী, সোনাইমুড়ী থেকে একটু উত্তরে হচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্বের বীর শ্রেষ্ট রহুল আমিনের বাড়ী। সোনাইমুড়ী র পশ্চিমে হচ্ছে বিখ্যাত গান্ধী আশ্রম।সোনাইমুড়ী থেকে নোয়খালী শহর র্পযন্ত যেতে যেতে অনেক গুলো স্থাপনা আছে দেখার মত, যেমন সোনাইমুড়ী থেকে ৩/৪ কিঃ মিঃ দক্ষিনে ঐতিহাসিক বজরা শাহী জামে মসজিদ, যাহা মোগল আমলে তৈরী, এর ৫/৬ কিঃ মিঃ পর চোরাস্তায় বীর শ্রেষ্ট রহুল আমিন স্মৃতি স্তম্ব, এর দক্ষিনে ১ কিঃমিঃ পর নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষন ইনষ্টিটিউট। এই সব গুলো দেখতে পারবেন আপনি নোয়াখালী মূল শহরে প্রবেশের পূর্বেই।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।