নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ মইন উদ্দীন। ডাক নাম মাঈনু। কিছু কিছু ফ্রেন্ডের কাছে কিশোর। বাড়ি চট্রগ্রাম। কৌতুহল একটু বেশী, হয়তো বাড়াবাড়ি ধরনের ই বেশী। দূঃসাহসী, কিন্তু সাহসী কিনা এখনো জানতে পারিনি।

কিশোর মাইনু

কিছু কিছু জিনিস জানি। সেগুলা মানুষের সাথে share করার জন্য ব্লগে প্রবেশ। তাতে দুটো সুবিধে। প্রথমত, আমার জানার ভুলভ্রান্তিগুলো দূর হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন কিছু জানার সুযোগ সৃষ্টি হবে। দুনিয়াতে জানার কোন শেষ নেই। এবং আমার আগ্রহের ও কমতি নেই। ইনশাল্লাহ কোনদিন হবে ও না।

কিশোর মাইনু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময় যেন কাটে না, বাট এই সময় টা কে?

১৩ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আজ, আগামীকাল, গতকাল। সকাল,দুপুর, বিকাল, রাত। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ। দিন, সপ্তাহ, মাস, বছর। সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা। এই সব শব্দ ই আমরা ব্যবহার করি সময়কে প্রকাশ করার জন্য। কিন্তু, এই সময় জিনিস টা কি? আমার বেস্টফ্রেন্ড নিহালের এক্স সময়ের কথা বলছি না আমি, কেউ ভুল বুঝবেন না দয়া করে। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে সময়কে আমরা কীভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি?
সাধারণভাবে মনে করা হয়, সময় হলো একজন ব্যক্তির অবস্থান থেকে চারপাশের অবিরাম ও ধারাবাহিক পরিবর্তনের পরিমাপক। কিন্তু একজন বিজ্ঞানীর কাছে সময় হচ্ছে শন ক্যারলের এনট্রপির বৃদ্বি। এখন সময়কে ঠিক করে বুঝতে বলে এন্ট্রপি কি বুঝতে হবে। এক কথায় বললে বলা যায়, এন্ট্রপি হচ্ছে কোন সিস্টেমের বিশৃঙ্খলা অবস্থা।

আমরা সবাই বিগ-ব্যাং সম্পর্কে জানি। পদার্থবিজ্ঞানীদের মতে বিগ-ব্যাং এর আগে কোন এনট্রপি ছিল না। বিগ ব্যাং এনট্রপি ঘটায়। বিগব্যাং নিজেই এনট্রপি সৃষ্টির কারণ ছিল। যা এখনো বাড়ছে। এখন, এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের জানা উচিত। থার্মোডাইনামিক্স অনুসারে সময় এবং এন্ট্রপি সমানুপাতিক এবং এনট্রপি হ্রাস করা অসম্ভব। তাই একে "THE ARROW OF TIME" বলা হয়। এর মানে হল যে সময় নিজে শুধুমাত্র একটি দিকে ভ্রমণ করে। সেজন্য সময়ের সাথে সাথে আমাদের বয়স বাড়ে। আমরা আগে ছোট ছিলাম, ভবিষ্যতে আরো বয়স্ক হব। কিন্তু আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান এই জায়গায় গরমিল লাগিয়ে দেয়। অতীত এবং ভবিষ্যতের মধ্যে যে পার্থক্যটি আমরা বলছি তা পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রে কোথাও দেখা যায়/পাওয়া যায় না, কারণ আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে "ARROW OF TIME"-র কোন অস্তিত্ব নেই। এ বিষয়ে আমরা পরে অন্য কোন আর্টিকেলে আলোচনা করব আজকে আপাতত সময় আর এন্ট্রপির মধ্যেই থাকি। তো সময় আর এন্ট্রপি সমানুপাতিক। পদার্থবিদ্যা অনুযায়ী Cause comes before Affect. এখন প্রশ্ন হচ্ছে এখানে Cause কোনটা, আর Affect কোনটা?
অনেকের মতে সময়ের সাথে সাথে এন্ট্রপি বাড়ে। দুঃখের কথা দু:খের সাথে বলতে হয় যা তারা সম্পুর্ণভাবে ভুল। এন্ট্রপি এখানে সময়কে নিয়ন্ত্রণ করছে। এন্ট্রপি বাড়ছে বলে সময় সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এন্ট্রপি প্রতি মুহুর্তে একটি নির্দিষ্ট হারে বেড়ে চলেছে। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম কোন ভাবে এন্টপির বাড়ার হার বা এর ত্বরণ বেড়ে গেল, তাহলে সময় ও দ্রুতগতিতে চলা শুরু করব। এবং এখানে দ্রুত বলতে আমি আপেক্ষিকতা বুঝাচ্ছি না। Literally সময়ের গতি বেড়ে যাবে। ২৪ ঘন্টার জায়গায় হয়তো ১৮ ঘন্টায় একদিন পুর্ণ হয়ে যাবে। ঠিক একইভাবে যদি এই ত্বরণ কমে যায় তাহলে সময়ের গতি ও ধীর হয়ে যাবে। আর যদি কোনভাবে এন্ট্রপিকে কমানো সম্ভব হয়ে তাহলে সময় ও পিছিয়ে যাবে। মানে পিছনের দিকে যাওয়া শুরু করবে। ১৯ তারিখের পর ২০ না এসে ১৮ আসবে, theoretically অবশ্যই।

সেই ক্ষেত্রে, কারণের আগে প্রভাব আসবে। এবং এটি আমাকে আরেকটি প্রশ্নের কথা মনে করিয়ে দেয় যা প্রায় ই শোনা যায়। যেটা হল- বিগব্যাং এর আগে কি সময় বলে কিছু ছিল ছিল??? অনেকে বলতে পারে "না, বিগ ব্যাং এর আগে কোন সময় ছিল না।" কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পদার্থবিজ্ঞানীরা তাদের সাথে একমত নয়। পদার্থবিজ্ঞ্যানীদের মতে মহাবিস্ফোরণের আগে সময়ের অস্তিত্ব ছিল। বিগ ব্যাং এন্ট্রপি সৃষ্টির মাধ্যমে সেই সময়কে শুধুমাত্র গতিপ্রধান করেছে।
ধরা যাক, একটি ফুটবল। আপনি যদি এটাকে লাথি না দেন তাহলে কি সেই ফুটবলের অস্তিত্ব থাকবে না??? এটি চলমান নাকি স্থির, সেটা কোন ব্যাপার না, এটি এখনও বিদ্যমান। এন্ট্রপি থাক আর না থাক সময়ের অস্তিত্ত্ব থাকবে, ঠিক যেমন স্থানের কোনো তীর না থাকা সত্ত্বেও স্থান বিদ্যমান। আপনি যদি আপনার স্পেস স্যুটে বাইরে থাকেন তবে উপরে এবং নীচে, বাম এবং ডানের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই, এটি একই রকম। কিন্তু এখনও জায়গা আছে. কেউ বলে না, ওহ, মহাশূন্যের অস্তিত্ব নেই কারণ এটির কোন দিকনির্দেশনা নেই। তাই এনট্রপি সময়কে একটি দিকনির্দেশ দেয়, কিন্তু এনট্রপি থাকুক বা না থাকুক সময় বিদ্যমান। এবং আমাদের মহাবিশ্বে, সময়ের এক প্রান্তে, এনট্রপি কম ছিল এবং আমরা তাকে অতীত বলতাম। এবং সময়ের অন্য প্রান্তে, এনট্রপি উচ্চ, এবং আমরা এটিকে ভবিষ্যত বলি। যে অংশটি আমরা বুঝতে পারি না তা হল কেন প্রাথমিক মহাবিশ্বের এনট্রপি কম ছিল। এটি একটি বাস্তব ধাঁধা যা আমরা আজও সংগ্রাম করছি। এনট্রপি কম ছিল এবং আমরা এটিকে অতীত বলেছিলাম। এবং সময়ের অন্য প্রান্তে, এনট্রপি উচ্চ, এবং আমরা এটিকে ভবিষ্যত বলি। যে অংশটি আমরা বুঝতে পারি না তা হল প্রাথমিক মহাবিশ্বের এনট্রপি কম ছিল কেন? পদার্থবিজ্ঞানীরা এখনো এই ধাধার সমাধান নিয়ে দিনরাত মাথা ঘামিয়ে চলেছেন।

এখন, একটু আগেই বলেছিলাম যে, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানে Arrow of Time বলে কিছু নেই। যখন আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান গ্যালিলিও এবং নিউটনদের থেকে আইনস্টাইনের কাছে আসল তখন তার অবাক হয়ে আবিস্কার করল যে পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলি অতীত এবং ভবিষ্যতের মধ্যে কোন পার্থক্য করে না। তারা নিজেদের সাথে এবং একে অপরেরে সাথে সম্পূর্ণরূপে প্রতিসমভাবে আচরণ করে যেন তারা একে অপরের পরিবর্তনযোগ্য। সুতরাং একজন পদার্থবিজ্ঞানীর জন্য, সময় যেভাবে কাজ করে সেভাবে কেন করে তা বোঝার জন্য আরো অনেক অনেক চেষ্টা এবং গবেষণা করতে হবে আর এই সত্যটির সাথে সামঞ্জস্য করতে হবে যে অতীত এবং ভবিষ্যতের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, যে পার্থক্য মৌলিক সমীকরণের কোথাও দেখা যায় না। সুতরাং, পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মে, অতীত এবং ভবিষ্যতের মধ্যে কোন অন্তর্নিহিত পার্থক্য নেই। আপনি যদি সময় সম্পর্কে চিন্তা করেন সুদূর, সুদূর, সুদূর অতীত থেকে – ধরা যাক বিগ ব্যাং সবকিছুর শুরু ছিল না। ধরা যাক বিগ ব্যাং এর আগে অসীম পরিমাণ সময় ছিল, এবং বর্তমান মুহুর্তের পরে অসীম পরিমাণ সময় আছে। এটা সম্ভব যে মহাবিশ্বের এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যেখানে তাদের অতীত এবং ভবিষ্যতের ধারণা আমাদের তুলনায় অন্যরকম। হয়তো তারা অতীত বলে যাকে আমরা ভবিষ্যত বলি এবং এবং ভবিষ্যতকে অতীত। জানি অদ্ভুদ শোনাচ্ছে কিন্তু অবিশ্বাস্য নই, কারণ পদার্থবিজ্ঞান অনুযায়ী অতীত আর ভবিস্যতের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।

এখন, TIMETRAVEL অন্তর্ভুক্ত না করে সময় সম্পর্কে কথা বলা প্রায় অসম্ভব।
তবে আমরা আরও এগিয়ে যাওয়ার আগে, আপনাকে কিছু জিনিস বুজতে হবে। Travel in time এবং Travel through time একই কথা না। এখন আপ্নি যদি Travel in time করার চেষ্টা করেন তবে আপনি কোনভাবেই অতীতে যেতে পারবেন না, আপনি কেবল ভবিষ্যতে যেতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি সময়ের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ(Travel through time) করেন, তাহলে আপনি যখনই চান তখনই ভবিষ্যতে যেতে পারবেন। এটা কেমন কথা আবার?
ভিডিও প্লেয়ার ব্যবহার করে একটি উদাহরণ দিই। আমরা সবাই আমাদের মোবাইলে মুভি সিরিজ দেখি। ধরা যাক আমরা 2 ঘন্টার একটি মুভি দেখছি এবং আমরা এখন 35 মিনিটে আছি। এখন আপনি জানতে চান মুভিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কী ঘটেছিল। ধরা যাক 1 ঘন্টা 46 মিনিট। এখন তা জানার উপায় কি?!?!? আপনি 1:46 মিনিট থেকে 35 মিনিটের মধ্যে মিনিটগুলি এড়িয়ে যেতে পারেন বা আপনি সময় দ্রুত এগিয়ে নিতে পারেন। এখন আপনি যখন গতি নিয়ন্ত্রণ করেন, আপনি কেবল এগিয়ে যেতে পারেন, ধীর হতে পারে, দ্রুত হতে পারে। কিন্তু শুধুমাত্র এগিয়ে. এবং আপনি কিছু মিনিটের মধ্যে 1/2 ঘন্টা দৃশ্যাবলী অনুভব করতে পারেন, তবে আপনি এক সেকেন্ডও এড়িয়ে যেতে পারবেন না। এবং আপনি পিছনে যেতে পারেন না, আপনি এখন বলতে পারেন কয় আমরা তো পারি। কিন্তু সেটা আলাদা আলাদা ভাবে, তাই না? আমাদের control পরিবর্তন করতে হয়। control পরিবর্তন না করে অথবা না থেমে সেটা এক ধরণের অসম্ভব। কিন্তু আপনি যখন শুধু সময় ক্লিক করতে পারেন, তখন আপনি যতটা চান ততটা সময় এড়িয়ে যেতে পারেন। মাঝখানের ঘটনা না জেনেই 1'45 মিনিটের মধ্যে কী ঘটবে তা আপনি জানতে পারবেন। এখানে প্রথমটি যেখানে আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না, তা হল IN TIME, এবং আমরা যেটি এড়িয়ে যেতে পারি তা হল THROUGH TIME৷
এখন সমস্যা হচ্ছে জ্ঞানের সাথে সাথে প্রশ্নের পরিমাণ ও বাড়ে।
আপনি যদি আলোর চেয়ে দ্রুত ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনি ভবিষ্যতে চলে যাবেন। কেন সেটা হয়??? কিভাবে আমরা সময়ের মধ্যে ভ্রমণ(Travel through time) করতে পারি???
আমরা জানি কিভাবে ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব কিন্তু অতীত? সেক্ষেত্রে করণিয় কি?

পরের পর্বে এইপ্রশ্ন গুলো সহ এই ধরনের আরো অনেক প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করব। সে পর্যন্ত শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।


আমার একটি ইংরেজী ব্লগ বা website আছে। সেখানে ও আমি এই পোস্টটি দিয়েছিলাম। এবং ইংরেজী তে খুব ভালই বুঝাতে পেরেছি মনে করি। কিন্তূ বাংলা ই কেন জানি আমার থেকে Mathematics এবং Quantum physics অনেক কঠিন লাগে। যাই হোক আমার ইংরেজী আর্টিকেল টা তে ও একটু ঢূ মেরে আসার আমন্ত্রণ রইল।


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৩

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: এটা একটা জটিল বিষয় ভাই। তবে সুন্দর করে লিখেছেন বলে দুর্বোধ্য নয়। ধন্যবাদ। চিন্তার খোরাক জোগাবার জন্য।শুভকামনা রইল।

১৩ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:১০

কিশোর মাইনু বলেছেন: এখনো অনেক ভুল আছে ভাই।। এইসব বিষয় ইংরেজীতে অনেক সোজা বোঝানো। btw, ভুলগুলো ঠিক করে দিচ্ছি। আরে নিচে একটি লিংক দিচ্ছি। সেটা ও চেক করে আস্তে পারেন। একই কথাই যদি ও, খালি ভাষা আলাদা

২| ১৩ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:২৩

শায়মা বলেছেন: সময় আবিষ্কার হবার আগেও সময় ছিলো! আমার কিন্তু মাথা তালগোল লেগে গেলো! :(

১৩ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: আমি শায়মা আপু কে চিনি ব্লগ থেকে। কিন্তু এর আগে কি শায়মা আপুর অস্তিত্ব ছিল না??? B-)

৩| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: বিগ ব্যাংগের পর থেকে সময় এবং স্থানের যাত্রা শুরু।এই বিষয়ে আমার জ্ঞান খুব কম।বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম না তাই সব কিছু পড়লেও বুঝতে পারি না।

১৪ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫৬

কিশোর মাইনু বলেছেন: Big Bang -র পর থেকে সময়ের যাত্রা শুরু সেটা সঠিক। কিন্তু তার আগে সময় ছিল ই না সেটা ভুল। স্থানের যাত্রা শুরু সেটা তো পুরোপুরি ই ভুল। বাট সেগুলো একটু কমপ্লেক্স। Big Bang আর মহাকাশের সৃষ্টি নিয়েই নেক্সট পোস্ট দেই তাহলে, কি বলেন? দুঃখিত সবাই বোঝার মত সহজ করে লিখতে পারিনি বলে। পরবর্তী পোস্ট আরো well written যেন হয় তার জন্য সর্বোচ্চ চেস্টা করব কথা দিলাম।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:২২

ঢাকার লোক বলেছেন: শিরোনামে "সময়টা কি?" হবে কি ?

১৪ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:৫৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: "কি" ই দিয়েছিলাম। পরে আমার ফ্রেন্ড নিহাল কে খেপানোর জন্য ইচ্ছা করে "কে" করে দিয়েছি। :D

৫| ১৪ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:১৭

পুলক ঢালী বলেছেন: কিশোর মাইনু ভাই অনেক শুভেচ্ছা নেবেন। আপনার পোষ্ট মাথার উপর দিয়ে গেল, কিছুই বুঝতে পারলাম না, কিন্তু মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি কিলবিল করছে, তাই কমেন্ট করতে বসলাম ! :D

ভাই আগে সময় ছিল এমন ভুয়া কথা কেন বলছেন? সময় আমরা সৃষ্টি করেছি যেমন ধরে নিয়েছি ২৪ ঘন্টায় ১ দিন, এটা ১০০ ঘন্টা ধরলে কি সমস্যা হতো ? :D এর উপর ভিত্তি করে আলোক বর্ষ পর্যন্ত হিসেব করে বসে আছি ;)

ফিজিক্সের সমীকরণ ঠিক নেই, নূতন সমীকরণ আবিষ্কার করতে হবে ;) :P (পদার্থ বিজ্ঞানের সমীকরণ গুলি অতীত আর ভবিষ্যতের মধ্যে কোন পার্থক্য তৈরী করেনা, ছেলের হাতের মোঁয়া !! :D ;) :P )

কজ কামস বিফোর এফেক্ট সঠিক, বাট এফেক্ট কামস বিফোর কজ !!??? যাষ্ট পাগলামী ;) :P (নেভার মাইন্ড) বিগ ব্যাং এর আগে অসীম সময় ছিল তাহলে বিগ ব্যাং এর আগে অসীম ম্যাটার (পদার্থ) ছিল । ;)
(এটা অবশ্য ধারনা তারপরও উল্টা পাল্টা কথা বললে সমস্যা কি ? :P )

প্রাথমিক মহাবিশ্বে এনট্রপি কম ছিল, বিগ ব্যাং এর পর এনট্রপি উচ্চ !!? ভাই এত কম বিশৃংখলা বিগব্যাং ঘটাতে পারে ?? :D ;) (আসলে আগে পিছে কোনো এনট্রপি নেই ছিলোও না =p~ )
আসলে বিগব্যাং এর ধারনাটাই ভুল ;) :P ভাই আমাকে কিছু প্রমান করতে বলবেন না, এগুলো ম্যাঙ্গো পিপলের কাজ নয়, এগুলো করবেন আপনারা । :)

কিশোর মাইনু ভাই, কিছু মনে করবেন না, আপনার পোষ্ট আমার খুব পছন্দ হয়েছে, ভীষণ জ্ঞানগর্ভ পোষ্ট এবং কৌতুহলোদ্দীপক পোষ্ট, তাই না বুঝলেও খুব মনযোগ দিয়ে পড়েছি। এরকম আরো অসংখ্য পোষ্ট দিন অবশ্য বাঙ্গলায়। :)

শুভকামনা রইলো ভাল থাকুন সবসময়।

১৪ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

কিশোর মাইনু বলেছেন: ভাইয়া দুষ্টুমির নাম দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রস্ন করে ফেলেছেন। তো চলুন, সেগুলোর উত্তর দেওয়া যাক

১/ পৃথিবীর নিজ অক্ষের ওপর একবার ঘুরে আসতে ২৪ ঘন্টা সময় লাগে। তাই একদিনে ২৪ ঘন্টা। আপনি ১০০ ঘন্টা ধরবেন কেমনে?
২/ এটা সুন্দর বলেছেন। আসলেই নতুন নতুন সমীকরণ লাগবে, কারণ এখনো মানুষ অনেক কিছুই সমাধান করতে পারেনি।
৩/ আসলেই এটা পাগলামি ব্রাদার। আপনি TENET মুভিটি দেখলেই বুঝবেন। অসীম সময় কথাটাই কি ভুল নয়??? আগে কি অসীম ম্যাটা ছিল, well, চিন্তাটা ভুল নয়, খালি নাম টা ভুল। Matter & Anti-matter. আমাদের এই মহাবিশ্ব ম্যাটারের তৈরী। এখন এটা কোথায় গিয়েছে আস্ক করিয়েন না ভাই, এখানে উত্তর দেওয়া পসিবল না। বাট আপনি চাইলে, আমি একটা পোস্ট লিখতে পারি যা জানি তার উপর এবং আরো ঘাটাঘাটি করে এই ম্যাটার এবং এন্টি ম্যাটারের উপর।
৪/ বিগব্যাং কেন হয়েছিল সেটার উপর খুব সম্ভবত আমার নেক্সট পোস্ট টাই আসবে। সো সেখানেই আপনার এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

জেনে খুশী হলাম যে আপনার ভাল লেগেছে। বুঝতে পারেন নি সেজন্য দুঃক্ষিত। আমার ইংরেজী পোস্ট টি ও ঘুরে আসুন। ওটা একটু সহজ করে লেখা।

আমি সবসময় ই এরকম পোস্ট ই দেই। যেই জ্ঞান থেকে ও শেয়ার করা যায় না, সেই জ্ঞান থাকার দরকার কি এটাই আমার চিন্তা ধারা। আমার ব্লগবাড়ি থেকে ঘুরে আসুন। আরো অনেক মজার মজার তথ্যবহুল পোস্ট পাবেন। আর সামনে ও আরো অনেক পোস্ট আসবে। ৭/৮ টা পোস্ট পেন্ডিং এ আছে। যেটা আগে শেষ হবে, ওটা আগে আপলোড হবে।

ধন্যবাদ। আপনি ও ভাল থাকবেন।

৬| ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:০০

পুলক ঢালী বলেছেন: ১/ পৃথিবীর নিজ অক্ষের ওপর একবার ঘুরে আসতে ২৪ ঘন্টা সময় লাগে। তাই একদিনে ২৪ ঘন্টা। আপনি ১০০ ঘন্টা ধরবেন কেমনে? ভাই আপনি এমন একটা উত্তর দেবেন ধারনা করিনি। মঙ্গলে ২৫ ঘন্টায় ১ দিন এটা তো পৃথিবীর মানুষের কল্পনা করা বা ধরে নেওয়া সময় (মঙ্গল থেকে কেউ এসে বলেছে? তোমাদের ২৪ ঘন্টা যেভাবে হিসাব করেছো আমরাও সেভাবে মানে সময়ের একক অভীন্ন রেখে ২৫ ঘন্টায় দিন পেয়েছি!! ;) )। ১ সেকেন্ড মূহূর্তটি কোথায় পেয়েছেন সেটা বলুন :D
১ সেকেন্ডকে আরো সূন্ক্ষ করে ১০০০ ভাগ করে প্রতি ভাগকে ১ সেকেন্ড ধরলে ২৪ ঘন্টার সংখ্যাটা বড় হয়ে যাবেনা? পৃথিবীর আবর্তনে পরিবর্তন হবেনা সংখ্যাটা শুধু বদলে যাবে !! ;)
আমি আসলে বুঝাতে চেয়েছিলাম সময়ের ধারনাটা আমরা গ্রহ নক্ষত্রের বিচরনের কালকে সংখ্যা দিয়ে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য ধরে নিয়েছি।
১ সেকেন্ড সময় এটা সময়ের হিসাবের ক্ষেত্রে ধ্রুব হিসাবে ধরে নেওয়া হয়েছে বলে আমার মনে হয় এবং পৃথিবীবাসী এটা মেনে নিয়ে সময়ের হিসাবের জাল (নেট) বুনেছে। (ধরে নিলে তো যা খুশী ধরে নেওয়া যায় আমি ফান করে সেটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম :D )
ভাল থাকুন ভাই।

১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: ও মোর খোদা রে!!! ভাই তো অন্য লেভেলে চলে গেলেন :D :D আসলেই ঠিক বলেছেন। এটা আমাদের ই নামকরণ। আমরা সেকেন্ডের নামকরণ মিনিট, আর মিনিটের বছর করলে বলা হত ৬০মিনিটে এক বছর :D। মজাই আসলে।।।

শুভকামনা রইল ব্রাদার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.