নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফাইটিং উইথ ক্যান্সার। আমাকে ফেসবুকে পেতে \'মহাজাগতিক ক্যান্সারযোদ্ধা\' লিখে Search করুন।অথবা -> https://facebook.com/shipon.mia.3785/about?refid=17

ক্যান্সারযোদ্ধা

ক্যান্সারযোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিনে খাওয়া হচ্ছে মানব ভ্রুণ, তৈরি হচ্ছে মৃত বাচ্চার স্যুপ

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০


সম্প্রতি জানা গেছে চীনের কিছু মানুষ যৌনশক্তি
বাড়ানোর জন্য শিশুদেরকে খেয়ে ফেলে।…
ইউটিউবে ভিডিওটি দেখুন এখানে- https://
m.youtube.com/watch?v=45aiUImX
JR8&itct=CAkQpDAYACITCOPMh_f_3
MgCFeImfgod4GYBOFIl4Kat4KeN4Ka
w4KeB4Kaj4KeH4KawIOCmuOCnjeCmr-CngeCmqg
==&hl=en&gl=US&client=mv-google
চরম ঘৃণিত এই কাজের খবর ইন্টারনেট ও
ইমেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা পুরো
বিশ্বকে হতবিহবল করে দিয়েছে।
২০১৩ সালের ২৫ জুলাই দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সিউল
টাইমস’ এ একটি ইমেইল আসে যাতে ছিল বেশ কিছু
ছবি।
এ ভয়াবহ, বীভৎস ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারী
ছবিগুলোতে দেখা যায় মৃত শিশু ও নির্দিষ্ট সময়ের
আগেই গর্ভপাত ঘটানো অপূর্ণাঙ্গ ভ্রুন বা ফিটাসের
স্যুপ তৈরি করা হচ্ছে মানুষের খাবার জন্য!
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ক্যানটন বা গুয়াংডন
এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
জানা গেল সেখানকার পুরুষরা তাদের
শারীরিকস্বাস্থ্য ও যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য
ভেষজ শিশু স্যুপ (herbal baby soup) খেয়ে
থাকে!
এরকম অবস্থায় জানা গেল আরেক ঘটনা। চীনের
এক দম্পতির ইতোমধ্যেই একটি কন্যাসন্তান ছিল।
মহিলাটি সন্তান-সম্ভবা ছিলেন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার
মাধ্যমে জানতে পারলেন তার দ্বিতীয় সন্তানটিও
মেয়ে হতে যাচ্ছে। ততদিনে তার গর্ভস্থ
সন্তানের বয়স ৫ মাস। তিনি ও তার স্বামী গর্ভপাত
করানোর সিদ্ধান্ত নেন। স্বাভাবিকভাবে কোন শিশু
যদি ভূমিষ্ঠ হবার আগেই মারা যায় তবে তাতে ২০০০
ইউয়ান খরচ হয়, সেখানে গর্ভপাত করাতে খরচ হয়
মাত্র কয়েকশো ইউয়ান। তবে যারা মৃত শিশু বিক্রি
করতে চান না, তারা প্লাসেন্টা বা অমরা বিক্রি করতে
পারেন ইচ্ছা করলে।
একজন স্থানীয় সাংবাদিকের মতে, এই সমস্যার
উৎপত্তি মূলত হয়েছে চীনাদের মাত্রাতিরিক্ত
স্বাস্থ্যসচেতনতার কারণে। এছাড়া অনেকের
মতে, চীন সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে
‘এক সন্তান নীতি” চালু করেছিল। আর এ হতভাগ্য
শিশুগুলো এই নীতিরই নির্মম শিকার।
এছাড়া চীনের অধিকাংশ পরিবার মেয়ে সন্তান নয়,
ছেলে সন্তান আশা করে। গরীব পরিবারগুলো
তাদের মেয়ে শিশুদের বিক্রি করে দেয়
অর্থের আশায়। চরম ঘৃণিত “বেবি স্যুপ” এর উদ্ভব
এই মানসিকতা থেকেই।
তাইওয়ানে মৃত শিশুরা ৭০ মার্কিন ডলারে বিক্রি হয় গ্রিল
করা ‘রুচিকর’ (?) খাবার হিসেবে!
হং কং থেকে প্রকাশিত NEXT সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনে
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে শিশুদের
মৃতদেহ কিংবা ভ্রূণ স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য রক্ষার নতুন
উপকরণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এছাড়া
প্লাসেন্টা বা অমরাকে সুস্বাদু খাবার হিসেবে খাওয়া
হয়।
এমনকি গুয়াংডনে হাসপাতালগুলোর মাধ্যমেই অনেক
সময় এসব অঙ্গ কেনাবেচা হয় ও এগুলোর চাহিদা
আকাশচুম্বী।
ম্যাগাজিনের অনুসন্ধানী প্রতিনিধিরা এগিয়ে যেতে
থাকেন।
নরমাংস ভক্ষণের নতুন এই রীতি তাদেরকে নিয়ে
যায় চীনের আরেক প্রদেশ লিয়াওনিং-এ।
ম্যাগাজিনটির মতে, লিয়াওনিং এর একজন তাইওয়ানীজ
ব্যবসায়ী একটি ভোজসভা আয়োজন করেন। তার
একজন গৃহপরিচারিকা ছিল যাকে সবাই মিস লিউ নামেই
চিনতো। মিস লিউ ছিলেন লিয়াওনিং এর স্থানীয়
অধিবাসী। ভোজের দিন অসাবধানতাবশত তার মানব
শিশু ভক্ষণের বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়। ভোজ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাইওয়ানীজ মহিলারা
আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মিস লিউ পরে এও
বলেন, অনেক মানুষই মানবশিশু খেতে আগ্রহী,
তবে চাহিদা অনেক বেশি। যাদের ক্ষমতা অনেক
বেশি তারাই কেবল সবচেয়ে “ভালো জিনিস” পায়।
সাধারণভাবে ছেলে শিশু ভ্রূণকে সবচেয়ে
উৎকৃষ্ট বলে ধরা হয়।
প্রতিবেদকের অনুরোধে মিস লিউ কঠোর
গোপনীয়তার মধ্যে প্রতিবেদককে সেই
জায়গায় নিয়ে যান যেখানে মানব ভ্রূণ রান্না করা হয়।
তিনি দেখলেন, একজন মহিলা একটি ছুরি দিয়ে
ছেলে শিশু ভ্রূণ কেটে কুচি কুচি করছেন ও
সেটি দিয়ে স্যুপ তৈরি করছেন। আর আশেপাশে
মানুষকে এই বলে আশ্বস্ত করছেন যে, ভয়
পাবার কিছু নেই, এটি “প্রাণীর মাংস”। অনেক
চীনাদের কাছে মানব ভ্রূণ ভক্ষণ করা নাকি এক
ধরণের শিল্প!
২২ মার্চ, ২০০৩। গুয়াংজি প্রদেশের বিংইয়ন পুলিশ একটি
ট্রাক থেকে ২৮ টি মেয়ে শিশুকে উদ্ধার করে,
যাদেরকে পাচার করা হচ্ছিলো আনহুই প্রদেশে।
শিশুগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড় বাচ্চাটির বয়স ছিল
মাত্র তিন মাস। তিন-চারটি শিশুকে একটি একটি করে
ব্যাগে ঢোকানো হয়। উদ্ধারের সময় শিশুগুলো
প্রায় মরণাপন্ন অবস্থায় ছিল। ৯ অক্টোবর, ২০০৪
এর সকালবেলা। সুজহৌ এলাকার জিউকুয়ান শহরের
একজন ব্যক্তি আবর্জনা পরিষ্কারের সময় বেশ কিছু
ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন শিশুদের দেহ আবিষ্কার করেন। দুটি
মাথা, ছয়টি পা, চারটি হাত, দুটি ধর পাওয়া গেল।
তদন্তে জানা গেল, শিশুগুলোর মাত্রই ভূমিষ্ঠ
হয়েছিল, এদের বয়স হয়েছিল ১ সপ্তাহ ও রান্নার
পরে খাওয়ার পর হাত-পা গুলো উচ্ছিষ্ট হিসেবে
ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে।যদিও মানব ভ্রূণ খাওয়া
নিষিদ্ধ করে চীনে কঠোর আইন চালু আছে,
কিন্তু একইসাথে চীনের ‘এক সন্তান’ নীতি
অনেক দম্পতিকে অকালে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য
করে, যেগুলোর সুযোগ নিচ্ছে একদল জঘন্য
মানুষ।
এছাড়া মাও সেতুং এর ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ কিছু
ক্ষেত্রে চরমপন্থী রূপ ধারণ করে, যার ফলে
চীনের অনেকের মাঝেই নৈতিকতা ও মানুষের
জীবনের প্রতি সম্মান দেখানোর প্রবণতা কমে
গিয়েছে।
গ্লোবাল রিপোর্টারস ভিয়েনার তাই জরুরী আহবান,
“নরমাংস ভক্ষণকে ‘না’ বলুন ও সেইসব শিশুদের
জীবন বাঁচাতে
এগিয়ে আসুন।
এটা কোন বিষয় নয় আপনি বিশ্বের কোন প্রান্তে
আছেন।কিন্তু এই তথ্যটি প্রকাশ করে হয়তো
সেই সব নিষ্পাপ শিশুদের বাঁচাতে পারবেন যারা
হয়তো নির্মম ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে
যাচ্ছে।“ যদিও অনেকেই এটিকে নিছক ‘গুজব’
বলে মনে করছেন। যাবতীয় তথ্যের লিঙ্ক
দিয়ে দেয়া হলো। সত্য-মিথ্যা নির্ণয় পাঠকের
বিবেচনা।
লেখাটি এর আগে প্রকাশ করেছে এইবার্তা ডট
কমে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

বিপরীত বাক বলেছেন: পুরোনো প্যাচাল।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

বিপরীত বাক বলেছেন: এটার সচিত্র ছবি ইন্টারনেট এ এসেছিল তা প্রায় ১৩ বছর আগে।।২০০১-২০০২ র দিকে।।। চাইল্ড বারবিকিউ নামে।।
তবে এটা যে যৌনশক্তি বৃদ্ধির জন্যে সেটা জানতাম না।। সে ছবি আরও ভয়ানক ছিল।।। বাচ্চা পিস পিস করে কাটছিল এক বাবুৃর্চি আর একটা বাচ্চা ঝলসানো অবস্থায় পরিবেশন করা হচ্ছিল।।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৮

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: এখনো এটা হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.