![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব বাচ্চাই একেকরকম শারীরিক গঠন নিয়ে জন্ম নেই এবং সেভাবেই বেড়ে উঠে। জন্মের পর কোন কোন বাচ্চাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখতে হয়, আবার কোন কোন বাচ্চাকে রাখতে হয়না। তাই, মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি শিশুই স্বকীয়। শিশু অবস্থা থেকেই তার অনেক কিছুর শেখার আছে বা করার আছে। তবে, সেই অনুযায়ী যদি কোন উন্নতি যদি আপনার চোখে না পড়ে, তাহলে অবশ্যই শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তাই, শিশু কাল থেকেই বাচ্চার পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে খাবার-দাবার, পোশাক-পরিচ্ছদ, চিকিৎসা এবং সস্থ্য ডায়াপার ব্যবহার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চা অবস্থায় এগুলোর মাঝেই সে সীমাবদ্ধ। তবে, যদি কোন ধরণের অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়, নিম্নে দেওয়া বিষয়গুলো যদি চোখে পড়ে, তাহলে সেসম্পর্কে করনীয় হচ্ছে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। তাই, নিম্নোক্ত লেখাগুলো পড়ুন।
কোন কোন বিষয় চোখে পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন
ক) কোন কিছুর প্রতি যদি আগ্রহ না দেখালেঃ বয়স যতই বৃদ্ধি পাবে, বাচ্চা ততোই বুঝতে শিখবে এবং কোন কিছুর প্রতি আগ্রহ দেখাবে। যদি সেটা না হয়, তাহলে বাচ্চার বৃদ্ধিতে সমস্যা আছে।
খ) কোন শব্দে প্রতিক্রিয়া না দেখানোঃ সুন্দর কিছু দেখার সাথে সাথেই বাচ্চা সেই জিনিসের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাবে। যদি না দেখায়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
গ। কোন কিছু ধরে নিজের কাছে আনতে না পারাঃ একটি সুস্থ বাচ্চা সামনে যা পাবে, তাই নিজের কাছে নিতে চাইবে। যদি এমনটা না দেখে থাকেন, তাহলে বুঝবেন, বাচ্চাকে ডাক্তার দেখানো উচিৎ।
ঘ। বয়স বৃদ্ধি পেলেও হামাগুড়ি দিতে না পারলেঃ বয়স যত বাড়বে, বাচ্চা ধীরে ধীরে হাঁটতে শিখবে, হামাগুড়ি দিতে শিখবে। যদি সেটা না করে, তাহলে ডাক্তার দেখাবেন।
ঙ। সাহায্য ছাড়া উঠে দাঁড়াতে না পারলেঃ ছোট বয়সে বাচ্চারা সাহায্য ছাড়া উঠে দাঁড়াতে পারেনা। তবে, বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে কোন কিছু ধরে নিজেই দাঁড়াতে পারে। তবে, বয়স বেড়ে যাওয়ার পরেও যদি বাচ্চা নিজে নিজে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে শিশু ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
৬। প্রতিউত্তরে কিছু না বললেঃ একটি সুস্থ শিশুর সাথে কথা বললে প্রতিউত্তরে তারা অনেক কিছুই বলতে চাইবে। তবে, যদি ওরকম কিছু না হয়, তাহলে বুঝবেন, বাচ্চার সমস্যা আছে।
৭। খাবারের প্রতি আগ্রহ না দেখালেঃ খাবার যেমন স্বাদেরই হোক, সামনে খাবার দেখলে বাচ্চা খেতে চাইবে। আর যদি খাওয়ার আগ্রহ না দেখায়, তাহলে বুঝবেন, বাচ্চাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিৎ।
৮। মা-বাবার সংস্পর্শ না বুঝতে পারলেঃ মা-বাবার সংস্পর্শ প্রত্যেক বাচ্চাই বুঝতে পারে। তবে, বয়স বেড়ে যাওয়ার পরেও যদি কোন বাচ্চা সেটা বুঝতে না পারে, তাহলে বুঝে নিবেন বাচ্চার সমস্যা আছে।
বয়স বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে উপরে উল্লেখিত অনেক বিষয় বাচ্চার আয়ত্তে আসার কথা। এসবের কিছুই যদি বাচ্চার আয়ত্তে না আসে, তাহলে বুঝে নিতে হবে, বাচ্চার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা আছে। তখন অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০
Michael Rema বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: সচেতন মূলক পোষ্ট। ভালো।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১
Michael Rema বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয়ে পোস্ট করেছেন। শিশুদের বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন বিকাশ হয়। সেগুলো জেনে শিশুর পরিচর্যাকারী যদি খেয়াল রাখেন, বিশেষ করে মা তাহলে এমন সমস্যা আছে সহজেই শানক্ত করা সম্ভব। যেমন শিশু কানে শুনছে কিনা সেটা জন্মের ১/২ দিন পরেই শনাক্ত করা যায়। মা যখন বুকের দুধ খাওয়াবেন তখন একদম নিরিবিলি পরিবেশ রাখবেন। এরপর কেউ শিশুর মাথার পেছন দিক থেকে খুব আস্তে করে ডাকবেন শিশুকে, "এই যে বাবা...সোনা মনি..." ইত্যাদি বলে। শিশুর শ্রবণে যদি সমস্যা না থাকে তবে মা সেটা বুঝতে পারবেন। শিশু খাওয়া থামিয়ে দিবে, শব্দের উৎস খুঁজবে।
বাক এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধীতার প্রধান একটি কারন কিন্তু ঠিক সময়ে শনাক্ত না করা।
সর্বোপরি একটি সুস্থ শিশুই আমাদের সবার কাম্য। তাই সচেতন থাকাটাও আমাদের জন্যে জরুরী।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
Michael Rema বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২
Michael Rema বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩
করুণাধারা বলেছেন: খুবই দরকারী কথা লিখেছেন, এই পোস্ট অনেকেরই কাজে আসবে। এর সাথে আমি আরেকটা কথা যোগ করতে চাই, বাচ্চা যদি যে কোনো শব্দ শুনে কোন রকম প্রতিক্রিয়া না দেখায়, তাহলে সেটাও স্বাভাবিক নয়।