![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্তানের জন্য পিতা-মাতা ছাড়া আর কেউ আপনজন হতে পারেনা। কারণ, সন্তানের সাথে পিতা-মাতার সম্পর্ক হয়ে থাকে ভালোবাসার সম্পর্ক। যে ভালবাসার কোনো সীমারেখা নেই। তবে, আধুনিক জীবনের চলাফেরায়, সন্তানের সাথে পিতামাতার সম্পর্কের মধ্যে বেশ ফারাক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে, এর কিছু কারণ রয়েছে বটে। অতিরিক্ত কাজের ব্যস্ততায় এর মূল কারণ। পাশাপাশি, পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাব। এবং এধরণের বোঝাপড়ার অভাব এবং অতিরিক্ত কাজের ব্যস্ততার কারণে পিতা-মাতার সাথে সন্তানদের সম্পর্কের মধ্যে অনেক টানাপোড়ন চলে এবং পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। পরিবারে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতা এবং অশান্তি। তাই, পরিবারের এই বন্ধন অটুট রাখতে প্রয়োজন সন্তানকে প্রচুর পরিমাণে সময় দেওয়া, এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া।
ছোটবেলা থেকেই সন্তান পিতা-মাতার সাথে সময় কাটায়, এবং সন্তানের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন শুরু হওয়া উচিত ছোট বেলা থেকেই। এবং এক্ষেত্রে সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছোটবেলা থেকেই বাচ্চার সাথে খেলাধুলা করা, বাচ্চার পছন্দ-অপছন্দের দিকে খেয়াল রাখা জরুরী। এতে করে বচ্চা পিতামাতার প্রতি ছোটবেলা থেকেই নির্ভর করতে শুরু করবে, এবং কোনো কিছু করার আগে পিতা-মাতার পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করবে। কারণ, ছোটবেলা থেকে যদি সন্তানের ভালোমন্দের দিকে দৃষ্টি না দেওয়া হয়, সন্তান যা ইচ্ছা তাই করতে চাইবে, এবং এর মাধ্যমে ভুল পথে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এবং বচ্চা যখন বড় হবে, সেসময় যা ইচ্ছা তাই যদি করতে দেওয়া না হয়, এভাবেই পিতা-মাতার সাথে সন্তানের সম্পর্ক খারাপ হওয়া শুরু করে।
নানান কর্মব্যস্ততার কারণে অনেক পিতামাতারই বাচ্চাকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়ে ওঠেনা। কিন্তু, সন্তানের জন্য এইযে সময় না দেওয়াটা ভবিষ্যতে সম্পর্কের মধ্যে বিস্তর ফারাক সৃষ্টি করার এক অন্যতম কারণ হয়ে দাড়ায়। তাই, পিতামাতা হিসেবে যখনই অফিসের ছুটি হবে বা সময় হবে, ঠিক তখনই বাচ্চাকে সময় দিতে হবে, নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে যেতে হবে। যেকোনো মূল্যেই বাচ্চার জন্যে সময় বের করে নিতে হবে। আর, এর মাধ্যমে পিতামাতার সাথে সৃষ্টি হয়ে পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা। বাচ্চার যত্নের আরও বেশি তথ্য পেতে ভিজিট করুন এই লিংকে।
পিতা এবং মাতা উভয়কেই সমান দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাচ্চাকে গোসল করানো, খাওয়ানো, ডায়াপার পরিবর্তন করা, খেলানো ইত্যাদি অনেক বিষয় আছে, যেগুলোর দিকে সময় দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন উভয়কেই। সন্তান যেকোনো অপরাধই করুক না কেন, সাথে সাথেই পিতা এবং মাতাকে সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে। সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে।
পিতা-মাতার মধ্যে যেকোনোধরণের সমস্যায়ই হোক না কেন, সেটা কখনোই সন্তানের সামনে দেখানো উচিত নয়। সন্তানের সামনে বেশি ঝগড়া করলে সন্তান বিষন্নতায় ভোগে। এবং, এই বিষন্নতা সন্তানের মধ্যে অনেকদিন ধরে বিদ্যমান থাকে, যা বাচ্চার শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধিতে সমস্যার সৃষ্টি করে।
প্রত্যেক মা বাবাই চায়, তাদের সন্তান ভালো থাকুক, বা সন্তানের ভবিষ্যৎ সুন্দর হোক। তাই, সন্তানের ভালোর জন্য যা কিছু প্রয়োজন, যত কষ্টই হোক, সন্তানের চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
Michael Rema বলেছেন: প্রশ্নটার উত্তর একটু চিন্তা করে দিতে হবে। তাছাড়া এর উত্তর বোধহয় না দিলেই ভাল বলে মনে করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: পিতা মাতার উপরে আর কিছু নাই। বউ পরে আগে পিতা মাতা।
কিন্তু সব পিতা মাতাই চায় তাদের সন্তান ভালো হোক। কিন্তু এই সমাজে যারা খারাপ, চোর, ছিনতাইকারী, দূরনীতিবাজ তাদের বাপ মা কারা?