নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকলের চেয়ে বড় মানে বড় নয়, নিজে যা ছিলাম তার চেয়ে বড় হতে পেরেছি কি? এভাবেই আত্নবিশ্লেষন হোক নিজেদের মাঝে।

চৌধুরী আসিফ

আমি লিখতে, পড়তে, গাইতে এবং আকতে খুব ভালবাসি। আমি একজন বিবাহিত পুরুষ এবং পরিবারের অভিভাবকও বটে।

চৌধুরী আসিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান সৃষ্টি কর্তাকে কেন আমরা দেখতে পাইনা?

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৩


স্ক্রিনের ছবিতে যে কয়টি রং আপনি দেখতে পাচ্ছেন সেগুলোর গন্ধ একটু শুকে দেখুন তো। কোন রং এর গন্ধ আপনার ভালো লাগে? আচ্ছা, আরেকটু সহজ করে দিচ্ছি। এই রং গুলো একবার কানে শুনুন তো। কোন রং শুনতে বেশি ভালো লাগলো? আরো সহজ করে দেই। আপনার হাত দিয়ে টেবিলের উপরে আঘাত করে, শব্দ করুন। এবার, সেই শব্দটি দেখুন। সেই শব্দের কি রং, সেটা আমাকে জানান। এত সহজ কাজগুলো, কোনটাই করতে পারলেন না। রং শুনতে পারেন না, শব্দ দেখতে পারেন না। কারণ, আপনার দেহে এমন করার ক্ষমতা নেই।

মনে রাখবেন : আপনি রং শুকতে বা শুনতে পান না, কিন্তু রং জিনিসটা ঠিকই আছে। আপনি শব্দ দেখতে পান না, কিন্তু শব্দ জিনিসটা ঠিকই আছে। সমস্যা আপনার নিজের। আপনার দেহে এমন শোনা ও দেখার ব্যবস্থা নেই। আপনি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে দেখতে পারেন না, শুনতে পারেন না, কারণ - আপনার দেহে তেমন ব্যবস্থা নেই। জান্নাতে আল্লাহ সেই ব্যবস্থা দান করবেন। তাতে জান্নাতবসিরা আল্লাহকে দেখতে পারবে। দুনিয়াটা আমাদের জন্য একটি পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় সময়ে আল্লাহ আমাদেরকে দেখার সুযোগ দেন নি। দেখার সুযোগ না পেয়েও, আপনি আল্লাহর ইবাদত করবেন, এটাই আপনার পরীক্ষা।

★আমার এক ছোট্ট ভাই কৌতুহল বসত এই প্রশ্নটি করে বসে। তারই প্রেক্ষিতে আমার ক্ষুদ্র উত্তর টি এই ব্লগে প্রকাশ করলাম যাতে অন্যেরাও এ বিষয়টি খুব সহজেই অনুধাবন করেতে পারে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০১

শিশির খান ১৪ বলেছেন: বাহ্ খুব সুন্দর যুক্তি দিয়ে বুঝাইলেন।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৪

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার ছোট ভাই কোন ক্লাসে পড়ে?

৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৪

তানভির জুমার বলেছেন: যারা নাস্তিক তারা এমন সুন্দর এবং যৌক্তিক কথাগুলোও বিশ্বাস করবে না। আপনি যদি কোন নাস্তিক কে প্রশ্ন করেন কোনকিছু কি এমনি এমনিই তৈরী হতে পারে সে বলবে অবশ্যই না। তাহলে বিশাল আকাশ-চন্দ্র -সূর্য পৃথিবী কোন কারণ ছাড়াই এমনি এমনি তৈরী হয়েছে। মানুষ পৃথীবিতে কোন কারণ ছাড়ই আসে আমার কোন কারণ ছাড়াই চলে যায়।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:



ছোট বাচ্চার লজিক।
বিশ্ব কত বড় আপানর ধারণা? যারা ২/৩ হাজার বছর আগে ধর্ম নিয়ে লিখেছেন, তাদের সময় বিশ্ব কড় বড় বলে ধারণা করা হতো?

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কেনো ছোট ভাই এমন প্রশ্ন করলো। সুন্দর যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন।

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৮

পাজী-পোলা বলেছেন: রং শুনতে পাই না কিন্তু দেখতে পাই, শব্দ দেখতে পাই না কিন্তু শুনতে পাই। পাঁচটা ইন্দ্রিয়র যে কোন একটা দিয়ে অনুভব করা গেলেই সেটা আছে আমার জানি। যেটা পাঁচটা ইন্দ্রিয় দিয়ে বোঝা যায় না, সেটার বিষয়ে সন্দেহ জাগবেই। যদি আমার দেহে সে ব্যাবস্থা না থাকে তবে সেটা সৃষ্টিকর্তার ডিফল্ট, তিনি ডিফল্ট পিস বানিয়েছেন এই দোষ তাঁর, আমার না।

দুনিয়াটা আমাদের জন্য পরীক্ষা? অথচো তিনি অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব জানেন, তাঁর হুকুম ছাড়া কোন কিছুই হয় না, সব কিছু জানার পরও কিসের পরীক্ষা? আমার ঠিক বুঝে আসে না।

তিঁনি জানতেন ইবলিশ আদমের কাছে মাথানত করবে না, তার ভেতরে অহংকার। তারপরও তিনি কেন ইবলিশের ভক্তিতে এত খুশি হয়েছিলেন, তাকে ফেরেস্তাদের সর্দার বানিয়েছিলেন?

৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: চোট ভাইকে ভুলবাল নাজানিয়ে তাকে বলবেন,আমি জানি না।তাতে আপনি ছোট হয়ে যাবেন না।হাজার হাজার প্রশ্নের উত্তর আমরা জানি না।সেখানে জানি না বলাই ঠিক।না জানলে কেউ ছোট হয়ে যায় না,ভুল উত্তর দিলে ছোট হয়ে যায়।

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কারণ উহা নাই তাই দেখতে পাই না, প্লেইন এন্ড সিম্পল।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আমাদের দেহে সেই ব্যবস্থা নেই; হাজার বছর আগে কিছু মানুষের দেহে ছিলো উনারা দেখেছে/কথা বলেছে যাদের আমরা নবী-রাসূল বলি। মেনে চলার চেষ্টা করি ;তাইতো?

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৫

পাজী-পোলা বলেছেন: ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১০০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

আমাদের দেহে সেই ব্যবস্থা নেই; হাজার বছর আগে কিছু মানুষের দেহে ছিলো উনারা দেখেছে/কথা বলেছে যাদের আমরা নবী-রাসূল বলি। মেনে চলার চেষ্টা করি ;তাইতো?


না, কোন নবী-রাসূল ও দেখেননি। এমন কোন কথা তারা কোথাও বলে যাননি।

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৬

এভো বলেছেন: এটাকে বলে আরগুমেন্ট ফর্ম ইগনরেন্স , এটা একটা লজিক্যাল ফেলাসি বা কুযুক্তি ।
যেহেতু গন্ধকে দেখা যায় না, শব্দকে দেখা যায় না ,, তাই আল্লাহ বা গড আছে।
একই ভাবে

যেহেতু গন্ধকে দেখা যায় না, শব্দকে দেখা যায় না ,, তাই মামদো ভূত আছে।
যেহেতু গন্ধকে দেখা যায় না, শব্দকে দেখা যায় না ,, তাই মা কালি আছে।
যেহেতু গন্ধকে দেখা যায় না, শব্দকে দেখা যায় না ,, তাই ইয়াহু আছে ।
যেহেতু গন্ধকে দেখা যায় না, শব্দকে দেখা যায় না ,, তাই স্পাইডারম্যান আছে ।
যেহেতু গন্ধকে দেখা যায় না, শব্দকে দেখা যায় না ,, তাই পং পং দেবতা আছে ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮

চৌধুরী আসিফ বলেছেন: শুনুন প্রশ্নটা একটা বাচ্চা ছেলের কৌতুহুল বসত করেছে আর তারই উত্তর টা আমি তার মতো ছোট্ট আকারে ছোট্টদের মত করেই দিয়েছে যাতে সে এর মাঝে প্রাঞ্জলতা খুঁজে পায় এবং অনুধাবন করতে পারে। আপনার মত মুরুব্বি প্রশ্ন করলে উত্তর টা আমি সেভাবেই দিতাম।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০১

বিটপি বলেছেন: এটাকে কোন যুক্তি বলেই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়না। আমাদের শরীরে এমন কোন ইন্দ্রিয় নেই বা বিজ্ঞানের এমন কোন আবিষ্কার নেই, যা দিয়ে সৃষ্টিকর্তা, জান্নাত, জাহান্নাম, মালাইকা - এই ব্যাপারগুলোর অস্তিত্ব প্রুভ করা সম্ভব। তবে একটা মারাত্মক জিনিস মানুষকে শিক্ষা দেয়া হয়েছে - তার নাম ঈমান। এই ঈমান এমনই এক জিনিস, যার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব অনুধাবন করা সম্ভব। আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব নিয়ে যদি ছোটভাইয়ের সামান্যতম সংশয় থেকে থাকে, তবে আমি বলব তার ঈমানের শোধন দরকার। অন্তরে ধারণ করে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করা দরকার। খুশু খুদুর সাথে নামাজ পড়া দরকার। তাহলে আল্লাহ্‌র অস্তিত্ব এমনিতেই অনুধাবন করা যাবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

চৌধুরী আসিফ বলেছেন: ব্যাপারটাকে আপনি বোধহয় খুব কঠিন দৃষ্টিতে দেখছেন। দেখুন, একটা বাচ্চা যখন সার্বক্ষণিক আল্লাহ এবং আল্লাহর সৃষ্টির কথা শুনবে ইসলাম ও নবী-রাসুলের কথা শুনবে সে বাচ্চা কৌতুহুল বসত এইরূপ প্রশ্ন করতেই পারে এ-তো দোষের কিছুই নয়। দৃষ্টিভঙ্গি সহজ হলে পৃথিবীর সমস্ত কিছুই সহজবোধ্য লাগবে।

১৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার যুক্তিতে কিছুটা ভুল বা জানার কমতি আছে। এই পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা গন্ধ শুকে কোনটা কি রঙ তা বলে দিতে পারেন। তারা বস্তুর খসখস আওয়াজ শুনে বস্তুর রঙ ধরন উপদান বলে দিতে পারেন। ইউটিউবে এমন অনেক উদাহরণ পাবেন।

১৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাহলেই অন্ধকার দূর হবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

চৌধুরী আসিফ বলেছেন: জ্বি, চেষ্টা করব তা কবর পর্যন্ত অর্জন করার।

১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: এই ধরনের কথাবার্তা পাড়ার টংএর দোকানে বলবেন, অনেক বাহবা পাবেন।
ব্লগে বললেই ধরা খেয়ে যাবেন।

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫৯

Srabon Mahmud বলেছেন: ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৮

পাজী-পোলা বলেছেন: রং শুনতে পাই না কিন্তু দেখতে পাই, শব্দ দেখতে পাই না কিন্তু শুনতে পাই। পাঁচটা ইন্দ্রিয়র যে কোন একটা দিয়ে অনুভব করা গেলেই সেটা আছে আমার জানি। যেটা পাঁচটা ইন্দ্রিয় দিয়ে বোঝা যায় না, সেটার বিষয়ে সন্দেহ জাগবেই। যদি আমার দেহে সে ব্যাবস্থা না থাকে তবে সেটা সৃষ্টিকর্তার ডিফল্ট, তিনি ডিফল্ট পিস বানিয়েছেন এই দোষ তাঁর, আমার না।

দুনিয়াটা আমাদের জন্য পরীক্ষা? অথচো তিনি অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব জানেন, তাঁর হুকুম ছাড়া কোন কিছুই হয় না, সব কিছু জানার পরও কিসের পরীক্ষা? আমার ঠিক বুঝে আসে না।

তিঁনি জানতেন ইবলিশ আদমের কাছে মাথানত করবে না, তার ভেতরে অহংকার। তারপরও তিনি কেন ইবলিশের ভক্তিতে এত খুশি হয়েছিলেন, তাকে ফেরেস্তাদের সর্দার বানিয়েছিলেন।

আপনার এই উত্তর টা "প্যারাডক্সিকাল সাজিদ" বইতে সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় লেখা আছে। কষ্ট করে বইটা পড়ে নিজের প্রশ্নের উত্তর জেনে নিবেন।

আর হ্যাঁ আপনার ধর্ম কি সেটা ও যদি জানাতেন খুশি হতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.