![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখতে, পড়তে, গাইতে এবং আকতে খুব ভালবাসি। আমি একজন বিবাহিত পুরুষ এবং পরিবারের অভিভাবকও বটে।
কলকাতা বনাম বাংলাদেশ বিষয় টা সামনে এলেই মাথায় চলে আসে মজার এই বাক্যটি "খেয়ে এসেছেন নাকি গিয়ে খাবেন"।
আসলে কলকাতা বাসি হুবহু এই কথাটি বলে না, তবে তাদের বিষয়টি কিছুটা এমনই। বাংলাদেশের মানুষের যেমন দেখে অভ্যাস, তেমন মানসিকতা কোলকাতাতে নেই। তার অর্থ এই নয়, যে তারা অতিথিকে আপ্যায়ন করে না। তারা অবশ্যই অতিথি আপ্যায়ন করে, তবে, তাদের মানসিকতা বাংলাদেশের মতন নয়। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় বড় দেয়, বড় নেয়। বড় উপকার করে, আবার বাঁশ দেবার সময়ও বড় বাঁশটি দেয়। ওদিকে কোলকাতার মানুষ সবসময় ছোট দেওয়া-নেওয়া করে।
দুই বাংলার মানূষের এমন পার্থক্যের দুটি কারন আছে।
ভদ্রতার লজ্জাঃ কোলকাতার মানুষের ভদ্রতা ও তার জন্য লজ্জা অনেক বেশী। বাংলাদেশের মানুষ একে অন্যের সাথে আরো গভীরভাবে মিশে। তাই ভদ্রতা কম করা লাগে, লজ্জা কম লাগে। যেমন, বাংলাদেশে এক বন্ধু আরে বন্ধুকে বলে - "আজকে আমার কাছে টাকা নেই, আমি বিল দিতে পারবো না, তুমি বিল দাও"। ব্যাস, সমস্যা শেষ। একই পরিস্থিতিতে কলকাতার বন্ধুরা একে অপরকে বলে - "আজ আমি মানিব্যাগ আনতে ভুলে গেচি মাইরি, তুই বিল দিয়ে দে খন, পরের দিন আমি দিব"। এমন কথা শুনলে মনে হয়, এই লোকটির বিল দেবার ইচ্ছাই নেই। কোলকাতায় গিয়ে এমন ধরনের কথাবার্তা শুনেই বাংলাদেশীরা তাদেরকে ভুল বোঝে।
বাস্তব-বাদীঃ বাংলাদেশের মানুষ মাঝে মাঝে এমন কিছু কাজ করে, যেটা তার ভাল লাগে, কিন্তু কাজটিতে কারো কোন উপকার হয় না। কোলকাতার মানুষ বাস্তব বাদী। তারা শুধুমাত্র ভালো লাগার জন্য অপ্রয়োজনীয় কাজ করে না। যেমন, বাংলাদেশে মামার বাড়ী গেলে, তিন দিন পরে, মামা বলে - "আরে, এসেই যাই যাই করছিস কেন? তোর কলেজ খোলা তো কি হয়েছে? এখানে কয়দিন থেকে বেড়িয়ে যা, এর পরে বাড়ী ফিরিবি"। ওদিকে কলকাতার মামা বলে - হ্যা, তিনদিন হয়ে গেচে, তোর কলেজও খুলেচে। আমার এখানে থাকতে কোন অছুবিদা নেই, তুই চিন্তা কর, কি করবি। এমন কথা শুনে মনে হয়, মামা তার বাসায় রাখতে চায় না। কলকাতায় গিয়ে এমন কথাবার্তা শুনেই বাংলাদেশীরা তাদেরকে ভুল বোঝে।
কলকাতার মানুষেরা অতিথি আপ্যায়ন করে না, অথবা তারা কৃপণ, এমন ধরনের যত বদনাম শোনা যায়, এগুলো সত্য নয়। বাংলাদেশ ও কোলকাতার মানুষের মানসিকতা ভিন্ন। সেজন্য একে অপরকে ভুল বোঝে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: বাহ! অদ্ভুত রীতিতো!! অসংখ্য ধন্যবাদ
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: ভাল লিখেছেন - সহমত
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!
৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫১
সোনাগাজী বলেছেন:
কলিকাতার ছেলেমেয়েদের ভালোবাসা বিয়ে অবধি গড়ানোর হার কত?
আপনার যাওয়া আসা আছে, নাকি ভার্চুয়াল।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: আপনার প্রশ্ন তো দুইটা হয়ে গেল!! কোনটার উত্তর দিব বলুন তো?
৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
নিমো বলেছেন: তা ভাইদা কি কলকাতা থেকে খেয়ে এসছেন নাকি গিয়ে খাবেন? নাকি ...
৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৫
অধীতি বলেছেন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় আছে জনাকতক কোলকাতাবাসীর সাথে। তবে আপনি যেরকম বলেছেন সেটা সরাসরি সাক্ষাৎ ছাড়া অনুধাবন করা সম্ভব নয়।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: হুম হয়তো বা
৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২২
কলাবাগান১ বলেছেন: কলকাতার বাংগালীর খাওয়ার খোটা দেওয়া বাংলাদেশের বাংগালীরা খেয়ে খেয়ে শুধু ডায়াবেটিস হাসপাতাল বেড ছাপিয়ে এখন করিডোর এর মেঝে তেও জায়গা পায় না, আর কলকাতার বাংগালীরা হাফ ডিম খেয়ে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছে, চাদে যাওয়ার রকেট বানাচ্ছে...।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: দারুন বলেছেন
৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: কলকাতায় যারা থাকেন এদের বেশির ভাগের বাড়ি আমাদের বাংলাদেশে। ৪৭ সালে দেশভাগের কারনে আজ এই অবস্থা। কাজেই ওরা আমরা আলাদা নই।
৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তারা শারীরিক ও মানসিক ভালো আছে
৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এরা খুব বাস্তববাদী এবং মিতব্যয়ী। এই ব্লগেই একজন সিনিয়র ব্লগার তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন যে উনি দেখেছেন এক দম্পতি কনডম ধুয়ে শুকিয়ে কয়েকদিন পর্যন্ত ব্যবহার করে। মিতব্যয়ীতার একটা জলজ্যান্ত উদাহরণ এটি। বাংলাদেশীরা বেশী অপচয় করে। ওদের মত করা উচিত।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৪
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: হা হা হা ভাইরে ভাই যা বললেন।
১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১
রানার ব্লগ বলেছেন: কোলকাতা সম্পর্কে আপনার ধারনা খুবই কম যেটুকু আছে তার বেশ বড় অংশ ভুল। এখানে কোলকাতার কেউ থাকলে তাকে দিয়েই প্রমান করিয়ে দিতে পারতাম। ফালতু টপিক।
১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
সাড়ে চুয়াত্তুর ভাইয়ের মন্তব্য দেখে হাসলাম। ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করে। সর্বনাশ।
কথা হচ্ছে, যারা তাদের এসব কথা বলে বেড়ান, তাদের কাছে যদি এসব বিষয় এতই খারাপ মনে হয়, তাহলে তারা যান কেন তাদের কাছে? না গেলেই তো হয়।
১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১১
মওদুদ মান্নান বলেছেন: আমরা কি ভুল বুঝে দূরে সরে গেছি? তাহলে চলুন এখন একতার গান গাই।
১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের শ্রদ্ধেয় ব্লগার জুলভার্ন ভাই এই গল্প বলেছিলেন একটা পোস্টের মন্তব্যে। এটা ওনার দেখা সত্য ঘটনা। ওনার পরিচিত এক দম্পতির বাসায় গিয়ে উনি নিজের চোখে দেখেছিলেন এবং তাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন এই ব্যাপারে।
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৯
পুকু বলেছেন: দুরত্বের কারনে ভুল বোঝাবুঝি।তবে আদর আপ্যায়নে পূর্ববঙ্গের লোকেরা দিলখোলা।লোক দেখানোর কোনো নাটুকেপনা নেই।তাদের মধ্যে ভালবাসায় কোন খাদ নেই।পরিস্হিতির কারনে তারা এপার বাঙ্গলায় থাকুক বা ওপার বাঙ্গলায়।ভালবাসায় খামতি নেই কোথাও।এটা সত্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কালচারের ভিন্নতার কারণে ভাব প্রকাশের এই ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। এক জাতির কাছে যা খুবই সাধারণ অন্য জাতির কাছে তা খুবই অগ্রহণযোগ্য। ইউরোপের কোন এক দেশের কথা শুনেছি তারা নাকি প্রেমিক প্রেমিকা এক সাথে খাবারের পর দুজনে আলাদা আলাদ বিলে দেয়ে, এমনকি স্বামী, স্ত্রী, মা, বাবা এক টেবিলে খেলেও নাকি যার যার বিল সে দেয়।