নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সকলের চেয়ে বড় মানে বড় নয়, নিজে যা ছিলাম তার চেয়ে বড় হতে পেরেছি কি? এভাবেই আত্নবিশ্লেষন হোক নিজেদের মাঝে।

চৌধুরী আসিফ

আমি লিখতে, পড়তে, গাইতে এবং আকতে খুব ভালবাসি। আমি একজন বিবাহিত পুরুষ এবং পরিবারের অভিভাবকও বটে।

চৌধুরী আসিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে মাদরাসা দ্বীন রক্ষার দূর্গ হবে সেটাই হবে প্রকৃত মাদরাসা বা সহিহ ইসলামের শিক্ষা ব্যবস্থা।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৬


প্রিয় পাঠক, আপনি যদি বোখারা-সমরকন্দ, স্পেন-বুলগেরিয়ায় মুসলমানদের পতনের ইতিহাস পড়েন, তাহলে দেখবেন, যে, ওইসব অঞ্চলে যখন কাফিররা ইসলামের উপর আঘাত হানছিলো তখন একদল উলামায়ে কেরাম নিজেদের রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে ইসলামে হেফাজতের জন্যে দাঁড়ালো, তখন অন্যদল আলেম মাদরাসার মুহতামিমগিরি আর মুহাদ্দিসগিরি রক্ষায় প্রতিবাদ-প্রতিরোধকারী আলেমদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ফতোয়া আর অপপ্রচার আমদানি করলো, কখনো বললো এরা বাগী তথা রাষ্ট্রদ্রোহী, আবার কখনো বললো এরা খারেজি। এক সময় প্রতিরোধকারী আলেমরা সম্মানের সহিত শাহাদাত বরণ করেন, তখন ওইসব ফতোয়াবিদ আলেমরা মনে মনে ভাবলো, যাক, বিপদ কেটে গেলো, আমরা আরামে বাস করবো। কিন্তু না, একসময় তাদেরই পালা আসলো। শেষপর্যন্ত এরাও মৃত্যুবরণ করলো, তবে জিল্লতির সাথে এবং উনাদের স্বপ্নের মাদ্রাসাসমুহ ঘোড়ার আস্তাবল এবং গরুর গোয়ালায় পরিণত হলো।

প্রচলিত মাদরাসা প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে অনেক মুফতি বলেন, এগুলো হচ্ছে মুস্তাহাব। কিন্তু দ্বীনের প্রতিরক্ষা করা ফরজ। দ্বীন যদি না বাঁচে তাহলে মাদরাসার বিল্ডিং দিয়ে কী হবে? স্মরণ রাখুন, ইলমু দ্বীন শিক্ষা করা মানেই মাদরাসা প্রতিষ্ঠা নয়। খাইরুল কুরূনের যুগে মাদরাসা ছিল না, কিন্তু ইলমের প্রচার ছিলো। বর্তমানে আফগানিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানে মাদরাসার সংখ্যা বেশি, কিন্তু আফগানিস্তানের মুসলমানেরা আমাদের চেয়ে বেশি ইজ্জতে বাস করতেছে।

মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয় দীনের হেফাজতের জন্যে, দ্বীনকে নিয়ে ব্যবসা বা দ্বীনকে বিক্রি করার জন্যে নয়।অতএব যে মাদরাসা দীনের হেফাজত করতে পারে না এটা মাদরাসা হয় কীভাবে? যেভাবে মসজিদের মধ্যে কিছু মসজিদ আছে "মসজিদে জিরার" (যে মসজিদ মানুষকে দেখানোর জন্য, কারো প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে, আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতিত অন্য কোন উদ্দেশ্যে বা হারাম মাল দিয়ে নির্মিত মসজিদকে বলা হয় মসজিদে জেরার) তেমনিভাবে মাদরাসার মধ্যে কিছু মাদরাসা হচ্ছে মাদরাসায়ে জিরার।

তো ভাই প্রথমে ইসলাম বাঁচাও, ইসলামের হেফাজত হলে মাদরাসার হেফাজত হবে, আর যদি ইসলাম ছেড়ে মাদরাসা বাঁচাতে চাও তাহলে বোখারা-সমরকন্দের মতন প্রথমে দীন যাবে পরে মাদরাসা হবে ঘোড়া-গরুর আস্তাবল আর গোয়ালা। একটা কথা স্মরণ রাখবেন মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয় দীনকে রক্ষা করার জন্যে, দীনকে নিয়ে ব্যবসা করার জন্যে নয়। তাই যে মাদরাসা দীন রক্ষার দূর্গ হবে সেটাই হবে প্রকৃত মাদরাসা

যারা সরকারকে তেল মারতেছেন তাদের জন্যে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদীস-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমার উম্মতের কিছু লোক এমন আছে, যারা ইলম হাসিল করে এবং কুরআন পড়ে আর বলে, আমরা দুনিয়ামুখী শাসকগোষ্ঠীর কাছে গিয়ে পার্থিব চাহিদা পূরণ করি, তবে আমাদের দীনদারিকে তাদের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, এটা হতে পারে না। কাঁটাদার বৃক্ষ থেকে কাঁটা ছাড়া যেমন কিছুই পাওয়া যায় না, অনুরূপ বস্তুবাদী শাসকগোষ্ঠীর কাছে পাপ ছাড়া কিছুই অর্জন হয় না।(সুনানে ইবনে মাজাহ)

অতএব, দেখুন তো, বর্তমানে এর বাস্তবতা খুঁজে পান কিনা?

_____________চৌধুরী আসিফ।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকা, কানাডা, জাপান ও ইউরোপের লোকজন কি কাফের?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

চৌধুরী আসিফ বলেছেন: কাফের এর সংজ্ঞাটা আগে জানুন তারপর আপনি নিজেই আশাকরি বুঝতে পারবেন কারা কাফের। ধন্যবাদ

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরব দেশ সাধারণ স্কুলকেও মাদ্রাসা বলে। অর্থাৎ মাদ্রাসা মানে বিদ্যালয়।

আমাদের দেশের মাদ্রাসা ব্যবস্থার কিছু ত্রুটি আছে। এগুলিকে ঠিক করতে হবে।

মাদ্রাসার ছেলেরা বেকার বসে থাকে না। এরা কিছু না কিছু করে। সাধারণ শিক্ষার ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার বেশী। মাদ্রাসার অনেক ছেলে/ মেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অনেক ভালো করে। প্রচুর মেধাবী ছেলে/মেয়ে আছে মাদ্রাসাগুলিতে। এদের মধ্যে আদব কায়দা অনেক বেশী। তবে সব জায়গাতেই কিছু ব্যতিক্রম থাকে। কিন্তু আমরা ব্যতিক্রমী ঘটনাগুলিকে প্রচার করতে চাই নিজেদের সুবিধার জন্য।

নাস্তিকরা মাদ্রাসার পিছনে লেগেছে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

চৌধুরী আসিফ বলেছেন: বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সৌদিতে মাদ্রাসা নাই কেন?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

চৌধুরী আসিফ বলেছেন: প্রত্যেক ইসলামিক রাষ্ট্রেই ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। সেটা দেশভিত্তিক ভাষানুশারে বিভিন্ন নামে হয়ে থাকে। ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: কাফের এর সংজ্ঞাটা আগে জানুন তারপর আপনি নিজেই আশাকরি বুঝতে পারবেন কারা কাফের। ধন্যবাদ

-আমার মতে কোন মানুষই "কাফের" নয়; যারা মানুষকে কাফের ইত্যাদি ডাকে এরা খারাপ মানুষ। আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপের মানুষ সবচেয়ে ভালো মানুষ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

চৌধুরী আসিফ বলেছেন: আপনার ভাবনা অনেক সুন্দর। অসংখ্য ধন্যবাদ!

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



বুলগেরিয়া, স্পেনের মানুষ নিজ দেশে অনেক ভালো আছেন; ইয়েমেন, সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাকের মানুষ ভালো নেই।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আফগানিস্তানের মুসলমানেরা আমাদের চেয়ে বেশি ইজ্জতে বসবাস করতেছে।

খুব ভাল বলেছেন, তাহলে আমাদের এখন তাদের মত ইজ্জতের সাথে বসবাস করার জন্য কি করতে হবে?

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: পত্রিকায় প্রায় দেখা যায় মাদ্রাসার হুজুরকে কোমরে দড়ি বেধে থানায় নিয়ে যায় বলৎ কারের অপরাধে।স্কুলের কয় জন শিক্ষকে এভাবে নিয়ে যায়।ইউটিউবে হাজার হাজার ছবি পাবেন।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩১

কামাল১৮ বলেছেন: মাদ্রাসা বন্ধকরে সেগুলিকে স্কুলে রূপান্তর করা হউক।

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: অংক ও বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করা কি দ্বীনের মধ্যে পড়ে?

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকেই মাদ্রাসার শিক্ষাক্রম সম্পর্কে জানে না। মাদ্রাসাগুলিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান সহ সকল বিষয় পড়ান হয়। সাথে কিছু বাড়তি আরবি বিষয় পড়ান হয়। মাদ্রাসার ডিগ্রি এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রেও গ্রহণ করা হয়। সাধারণ স্কুলের ছেলে/ মেয়েরা যা পড়ে এরাও তাই পড়ে। সঙ্গে কিছু বাড়তি বিষয় পড়ে।

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

রানার ব্লগ বলেছেন: মাদ্রাসা নামম শিক্ষা ব্যাবস্থা ভিক্ষক জাতি তৈরী করছে।

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আমি যতদূর জানি কওমী মাদ্রাসায় শুধু ধর্মীয় বিষয় পড়ানো হয়। আমার ধারনা ভুল হলে জানাবেন।

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে পেচ্ছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ হাসান জামাল গোলাপ ভাই - আপনি এই লিঙ্কটা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে কউমি মাদ্রাসায় সব বিষয় পড়ান হয়।

কউমি মাদ্রাসার সিলেবাস

১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৮

শার্দূল ২২ বলেছেন: আল্লাহকে বুঝতে এবং নির্মল জীবন ঝাপন করতে কোরাণের বিকল্প নেই। আর কোরাণ বুঝতে অবশ্য লাগবে ইতিহাস ,ভৌগলিক এবং সব শেষে বিজ্ঞান। এই তিন না জানা মানুষের পক্ষে কোরাণ বুঝা এবং আল্লহাকে বুঝা সহজ নয়। বুঝলে শুধু বুঝবে বেহেশ্ত হুর আর সারাবান তাহুরা। এসব মরনের পরের কারবার, দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে যেই রসদ লাগে তা কোরাণে আছে। আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের মজবুত হবার জন্য দরকার তার ক্ষমতা জ্ঞান।

মাদ্রাসায় কোরাণ নিয়ে গবেষনা হয়না বললেই চলে। কামিল ডিগ্রি আসে ৬ হাদিসের উপরে। হাদিস কাজে লাগবে শুধু মাত্র সমাজে বিভাজন তৈরী করতে। আর আপনি জানবেন হাত নাভির উপর রাখবেন নাকি পাশের লোকের কাধে। বউ কি ৬ বছরের হবে নাকি ৬০ বছরের। এই বউকে কিভাবে মারবেন। লাঠি দিয়ে নাকি মেসওয়াক দিয়ে। আমিন আস্তে বলবেন নাকি মাইক ভাড়া করে। সহাবাস কি দাড়ায় করবেন নাকি দৌড়াতে দৌড়াতে। এমন সব আজগবি গজব এই হাদিসে পাবেন। যা দিয়ে আপনার চোখের সামনে সমাজ মসজিদ হবে দুই ভাগে কিংবা তার ও অধিক। সারা পৃথিবীর মুসলিম জাতিকে হাস্যকর করে তুলেছে এই হাদিস। আর এই হাদিস নিয়ে মুফতিরা গরম তক্তায় বসে ভক্তিতা দেয় লাফিয়ে লাফিয়ে। গরম কফিতে চুমুক দিয়ে একে অন্যকে কাফের বানিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন।
এই হাদিস নিয়ে মাতামাতি করছে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান গুলো, প্রতি বছর হাজার হাজার মায়ের সন্তান টুপি দিয়ে মগজ ঢেকে বেড়িয়ে পড়ছে দুনিয়াতে গড়ে উঠছে এক মগজহীন জাতি। তারা জন্ম দিচ্ছে আরেক প্রজন্ম।

আমি বিশ্বাস করি ইসলামিক দেশ গুলোর সীমানা উঠে যাবে ,যেদিন হাদিস উঠে যাবে দুনিয়া থেকে সেই সাথে ভারত মহাদেশের মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান। একজন ছাত্রের স্বাভাবিক সুন্দর পরিবেশে বড় হয়ে উঠলে সেই খুজে বের করবে তার সৃষ্টি কর্তাকে বুঝবে তার করনীয় ।

শুভ কামনা


১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩০

চৌধুরী আসিফ বলেছেন: অসাধারণ! বর্তমান মুসলিম সমাজের ধর্মান্ধ মুসলিম দের বাস্তবতা এতো সুন্দর ভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন মনে হচ্ছিল আমি আয়নায় সেই ধর্মান্ধ শ্রেনিদের দেখছি। অসংখ্য ধন্যবাদ!

১৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১৯

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.