![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখতে, পড়তে, গাইতে এবং আকতে খুব ভালবাসি। আমি একজন বিবাহিত পুরুষ এবং পরিবারের অভিভাবকও বটে।
কোন দম্পতি যদি একের অধিক সন্তান জন্ম দেয়, তবে অবশ্যই তাদের মাথায় রাখতে হবে সব সন্তানের দায়িত্ব তাদের, সে যে পরিস্থিতিই হোক না কেন। বড় সন্তানের উপর তার ছোট ভাইবোনদের দায় চাপিয়ে দেয়া যাবেনা, কারণ সেটা তার দায়িত্ব নয়।
আমাদের সমাজে বড় সন্তানের উপর ছোট ভাইবোনের দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়াটা যেন অলিখিত নিয়ম। সব ত্যাগ তাকেই করতে হবে। সে নিজেও যে একটা শিশু সেটা ভুলে যায় সবাই। অথচ যে ভাইবোনের জন্ম হয়েছে তাদের এই দুনিয়াতে সে আনে নি। তাহলে কেন তাকে সব ত্যাগ স্বীকার করতে হবে?
বড় সন্তানের বয়সের পার্থক্য সর্বোচ্চ কত হয় সাধারণত? ৫/৬/৭! অনেকক্ষেত্রে দেড় বা দুবছর বা তার চেয়েও কম হয়। তাহলে কিভাবে এই ছোট শিশুটির কাছে আশা করি সে সব বুঝবে? সে তার সব দাবীদাওয়া ছেড়ে দেবে? কেন তাকে সবাই বলে যে - তুমি তো বড়, তুমি এটা ছোট ভাই/বোনকে দাও। ভাইবোনের মাঝে ঝামেলা হলে মা এসে বড়জনকে বকে, পেটায়। বাবাও এসে বড়জনকেই দোষ দেয়, কেন সে বুঝেনা! অথচ মা বাবা দুজনেই প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও তো বোঝেনা ওই ছোট শিশুটি কি চায়!
আস্তে আস্তে বড় হয় তারা। বাসার বড়জনকে ঘরের কাজে হাত লাগাতে হয়, কিন্তু ছোটজনকে কুটোটিও নাড়তে দেয়া হয় না, কারণ সে ছোট। পছন্দের কোনো খাবার বা পোশাক সব ক্ষেত্রেই প্রাধান্য পায় ছোটজন, এরপর বাকি থাকলে বড়জন সেটা পায়। যে ছোট সে কখনোই বড় হয়না। বয়স ২০/২৫/৩০ হয়ে গেলেও সে ছোটই থাকে।
সংসারের দায়িত্বও কিন্তু বড়ছেলের। বড়ছেলের পাশাপাশি সে দায়িত্ব এসে পড়ে বড় বউয়ের ঘাড়ে। তারা সংসারের দায়িত্ব নিতে বাধ্য। ছোটরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরলেও সমস্যা নেই। এই সমাজ ব্যবস্থায় "বড়ছেলে" টাইপ নাটক মানুষের পছন্দ। বড়ছেলেকে যে ত্যাগ করতে শিখতে হয়, নিজের শখ ও ইচ্ছা বিসর্জন দিতে শিখতে হয়। তা না হলেই সে কুলাংগার সন্তান, তাই ভাইবোনের দায়িত্ব নেয় না। অথচ ভাইবোন যে এখনো সাবলম্বী হতে পারেনি, বা সাবলম্বী হয়েও তুচ্ছ বিষয়ে বড় ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে সে দোষ কার?
সন্তান বছর বছর জন্ম দিলেই হয়না, তাদের প্রতি কর্তব্যটুকুও করতে হয়। এক সন্তানের ঘাড়ে জোয়াল বসিয়ে অন্যসন্তানদের টেনে নিয়ে যেতে বাধ্য করার যে রীতি তা কতটুকু স্বাভাবিক? কতটুকু মানবিক?
দায় চাপিয়ে দিতে হয়না। তখন সেটা গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়ায়। সন্তান মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পালন করবে ভালোবেসে, বাধ্য হয়ে নয়। এই সহজ সত্যটা কবে বুঝবো আমরা?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৩
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩৯
নাহল তরকারি বলেছেন: বাংলাদেশের কেউ বাপ মা হবার যোগ্য না।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৪
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: হয়তো বা, তবে সব দিক থেকে নয়।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৮
শায়মা বলেছেন: কিছু কিছু অলিখিত নিয়ম বাংলাদেশে আছে যা আসলে ভুল কিন্তু না মানলেই লোকে এটা বলবে সেটা বলবে ভেবেই ভুল মাথায় চাপিয়ে নেয় মানুষেরা।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৫
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: একদম ঠিক বলছেন
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৪
কামাল১৮ বলেছেন: চোট ভাই বোনের দায়িত্ব পালন করে কোন মেয়ে ।ভাইটি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৬
চৌধুরী আসিফ বলেছেন: হুম, কখনো কখনো এমনও হয়!
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: দায়িত্ব সবাই পালন করতে পারে না। এজন্য নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০
দারাশিকো বলেছেন: বড় ছেলে বিষয়ক যন্ত্রণাটা বুঝি। আপনার মতো আমিও এর বিরোধিতা করি। তবে, আমার আশেপাশেই এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যেখানে বড় ছেলেরা সানন্দেই এই দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত অর্থনৈতিক কষ্টে পড়ে গেলে এই দায়িত্বটা বোঝা হয়ে যায়। বড় ছেলের দায়িত্ব সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টাচ্ছে। এই চিত্র সামনে থাকবে না।