![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখতে, পড়তে, গাইতে এবং আকতে খুব ভালবাসি। আমি একজন বিবাহিত পুরুষ এবং পরিবারের অভিভাবকও বটে।
মহাকাশ যে কত বড়, সেটা আমাদের কল্পনারও বাইরে। মহাকাশের তুলনায় আমাদের পৃথিবী একটি ধুলিকনার চেয়েও ছোট। সেই পৃথিবীর উপরের মহাসাগর, আরো ছোট। অর্থাৎ, মহাকাশের তুলনায় মহাসাগর কিছুই না। তবুও, বিষয়টা বোঝানোর জন্য সমুদ্র দিয়ে উদাহরন দিব।
আমরা ক্ষুদ্র মানূষ। আমাদের কাছে সমুদ্র অনেক বড়। সুমুদ্রের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত যেতে গেলে হারিয়ে যেতে হবে। ছবিতে সমুদ্র সৈকত দেখতে পাচ্ছেন। এই যে ছাতা আর চেয়ার আছে, এটা থেকে সমুদ্র কত দূরে? খুবই কাছে। মাত্র কয়েক পা হাটলেই সমুদ্রে যাওয়া যায়। লক্ষ্য করুন, আপনি হেটে সমুদ্রে পৌছাবেন ঠিকই কিন্তু সেটা সমুদ্র ভ্রমন হয় না। নৌকা নিয়ে অন্তত কয়েক কিলোমিটার গেলে, সেটাকে সমুদ্র ভ্রমন দাবী করতে পারেন। কিন্তু সমুদ্র সৈকতে চেয়ার থেকে হেটে গিয়ে পানিতে গেলে, আপনি সমুদ্রে পৌছেছেন দাবী করতে পারেন।
মানুষের মহাকাশ আবিস্কার জিনিসটা ঠিক তেমনই। মানুষ মহাকাশে পৌঁছেছে ঠিকই, কিন্তু মহাকাশ ভ্রমন হয়নি। সূর্য ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে। চাঁদ ৪ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। অথচ, স্যাটালাইট, মহাকাশ স্টেশন, ইত্যাদি মাত্র কয়েক শত কিলোমিটার দূরে। অর্থাৎ, খুবই কাছে। মাত্র কয়েকশত কিলোমিটার উপরে গেলেই মহাকাশ পৌছে যাবেন। গাড়ী চালিয়ে যদি খাড়াভাবে উপরে ওঠা যেতো, তাহলে মহাকাশে পৌছাতে মাত্র ২-৩ ঘন্টা লাগতো। মনে রাখবেন, এভাবে মহাকাশ পৌছানো হয়, তবে মহাকাশ ভ্রমন হয় না।
প্রায় ৪০ বছর আগে, মহাকাশের উদ্দেশ্য আমেরিকা দুইটি রকেট পাঠিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, মহাকাশ গবেষনা করা, ও এলিয়েনের কাছে পৌছানোর সম্ভাবনা তৈরি করা। এই ৪০ বছর যাত্রা করতে করতে, সম্প্রতি সেই রকেট সৌরজগতের বাইরে গেল। অর্থাৎ, এত বছরে, প্রায় ৫৩০ কোটি কিলোমিটার দূরে পৌছেছে।
সমুদ্র সৈকতে, চেয়ার থেকে নেমে, হেটে সমুদ্রে গিয়ে, পানিতে নেমে গোসল করলেন। এতে আপনার কতখানি সমুদ্র ভ্রমন হলো? ওই রকেটের ৪০ বছরের যাত্রা, এবং ৫৩০ কোটি কিলোমিটার গমন করে, ঠিক ততটুকু মহাকাশ ভ্রমন হয়েছে। মহাকাশ এতো বড় !!!
২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২৬
সোনাগাজী বলেছেন:
মহাকাশ নিয়ে আপনার যতটুকু উপলব্ধি, ইহাকে কোন একজনের পক্ষে সৃষ্টি করা কি সম্ভব?
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৫
বিটপি বলেছেন: ৪৬ বছর আগে মহাশূন্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা রকেট দুটি এখনো তো সৌরজগতের সীমানা মানে ওর্ট ক্লাউডও পার হতে পারেনি। তাহলে এরা মহাকাশের দিকে যাত্রা করবে কবে? ওর্ট ক্লাউডের ব্যাপ্তি প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার যা এক আলোকবর্ষের চেয়ে সামান্য কিছু বেশি। রকেট দুটি পাড়ি দিয়েছে মাত্র ৫ বিলিয়ন কিলোমিটার।
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১১
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি মহাকাশ পছন্দ করি।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
নতুন বলেছেন: সমুদ্র সৈকতে, চেয়ার থেকে নেমে, হেটে সমুদ্রে গিয়ে, পানিতে নেমে গোসল করলেন। এতে আপনার কতখানি সমুদ্র ভ্রমন হলো? ওই রকেটের ৪০ বছরের যাত্রা, এবং ৫৩০ কোটি কিলোমিটার গমন করে, ঠিক ততটুকু মহাকাশ ভ্রমন হয়েছে। মহাকাশ এতো বড় !!!
যে সমুদ্র ভ্রমন করতে চেয়েছে এবং কক্সবাজারে গিয়ে পানিতে নেমে গোসল করেছে তিনি শুরুটা করেছেন, এর পরে আরেক জন আরো এক পা এগিয়ে যাবে তার পরের জন আরো এক পা।
এভাবেই সমদ্র ভ্রমন পুরো করবে কোন একদল মানুষ। মানুষ থেমে থাকেনা। অসম্ভব বলে যদি ঘর থেকেই না বের হয় তবে কিছুই অর্জন হয় না।
ভয়েজার ৪৬ বছর পার করেছে, ইলন মাস্কের গাড়ী যাচ্ছে, এগুলি শুরু মাত্র, নতুন প্রযুক্তি আসবে তখন এতো পথ পাড়ী দিতে এতো সময় লাগবেনা।
মানুষ পায়ে হেটে দুনিয়ার প্রায় সব স্থানেই পৌছে গেছে, এখন সুপারসনিক গতিতে ভ্রমন করতে পারে, একদিন প্রায় আলোর গতির কাছা কাছি অথবা তার চেয়ে অনেক গুন বেশি গতিতে ভ্রমন করবে.....
সেটা সম্ভব হবে যাবা নুতন কিছু দেখতে চায় তারা, যারা অসম্ভব বলে বিশ্বাস করে বসে থাকে তাদের পক্ষে সম্ভব না।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: নাহল তরকারি চমৎকার মন্তব্য করেছেন: আমি মহাকাশ পছন্দ করি।~ গ্রেট
মহাকাশ নিয়ে আপনার উদাহরণ আরো ব্যাপক হওয়া উচিৎ ছিল। ধরুন যে আপনি, দুই ট্রিলয়ন কোটি মাইল দূরে সুমুদ্র দেখতে যাবেন পদব্রজে। সবে মাটি পা ফেললেন হাটা শুরু করার জন্য
লিখতে থাকুন- আশা করি ভবিষ্যতে আপনার কলম থেকে চমৎকার কিছু নিবন্ধ পাব।
@ চাঁদগাজী সাহেব, আপনার ধারনা এই সৃষ্টির পেছনে কতজন আছে?
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: মহাকাশ তো অনন্ত।
মহাকাশ নিয়ে কোরআনে অনেক কথা লেখা আছে।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন: মহাকাশ নিয়ে আপনার যতটুকু উপলব্ধি, ইহাকে কোন একজনের পক্ষে সৃষ্টি করা কি সম্ভব?
এ ধরণের বাচ্চা সুলভ প্রশ্ন পড়তে মজাই লাগে।
আমরা ধারণা করতে পারি না এত কিছু একজন সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু ধারণা করতে পারি যে এত কিছু একলা একলাই তৈরী হয়েছে!
আজব না? যারা এমন চিন্তা করে, তাদের যদি বলেন যে মাটির নিচ থেকে মিরপুর স্টেডিয়ামে আকাশ থেকে একটা বাস পড়ছে, সেই বাসে কোন জ্বালানী দেওয়া লাগে না, একলা একলাই চলে; এরা বিশ্বাস করে নিবে! আর যদি না বিশ্বাস করে, তাহলে বুঝবেন এরা নিজেদের বিভ্রান্তির মধ্যে নিজেরাই ঘুরপাক খায়!
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: লেখার ইচ্ছা থাকা ভালো,এটা একটা ভালো দিক।আরেকটু পড়াশুনা করে জেনে বোঝে লিখুন।সময় চলে যায় নি।
মহা বিস্ফোরণের পরে আলোর গতিতে সম্প্রসারিত হয় মহাবিশ্ব।বিষয়টা চিন্তায় আনতে পারেন কিনা চেষ্টা করুন।