নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের পোস্টের উত্তর দিতে দেরী হয় সেজন্য সরি।

কাজী ফাতেমা ছবি

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

কাজী ফাতেমা ছবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের টুকিটাকি.........

০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

রমযান মাসের ফজিলত......



রমজান মাসই হলো সে মাস যে মাসে অবর্তীণ হয়েছে কুরআন যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবঙ সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পত নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী । কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে । (সুরা বাক্বারাহ্-১৮৫)



হযরত আবু হুরায়রা ( রা: ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যখন রমজান মাসের প্রথম রাত্রি এসে উপস্থিত হয় তখন শয়তানও অবাধ্য জ্বিনসমূহকে বন্দী করে রাখা হয় । দোযখের সমস্ত দ্বার রুদ্ধ করে দেয়া হয় আর বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় । (আহমাদ ও নাসায়ী)



রোযার ফজিলত...........



হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রোযা অবধারিত করা হয়েছে, যেমন অবধারিত করা হয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগণের উপর যেন তোমার তাকওয়াহ অর্জন করতে পার । (সূরা বাক্বারাহ্-১৮৩)



হযরত আবু হুরায়রা ( রা: ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি ঈমানের দাবীতে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় রমজানের রোযা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)



হযরত সাহল ইবনে সা'দ ( রা: ) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: বেহেশতের আটটি দরজা রয়েছে তন্মধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়্যান । রোযাদার ব্যতীত ঐ দরজা দিয়ে কেউই প্রবেশ করতে পারবে না । (সহীত বুখারী ও মুসলিম)



ইফতারের ফজিলত :



হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস ( রা: ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ইফতারের সময় রোযাদারের একটি দু'আ থাকে যা প্রত্যাখান করা হয় না । (বাইহাক্বী)



তারাবীহ নামাযের ফজীলত :



হযরত আবু হুরায়রা ( রা: ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি ঈমানের দাবীতে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের (অর্থাৎ তারাবীহ্ নামায আদায়) করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে । (সহীহ বোখারী ও মুসলিম)



সাহরীর ফজিলত:



হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত । রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমরা সাহ্‌রী খাও । কেননা, এতে বরকত রয়েছে । (সহীহ্ বুখারী)



লাইলাতুল ক্বদরের ফজিলত :



নিশ্চয় আমি একে (আল কুরআন) অবতীর্ণ করেছি ক্বদরের রাতে । ক্বদরের রাত সম্পর্কে আপনি কি জানেন?

ক্বদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ । এ রাতে প্রত্যেক কাজের জন্য ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিব্রাইল) অবতীর্ণত হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে । এটা নিরাপত্তা যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে । (সূরা ক্বদর)



ইতিক্বাফের ফজিলত :



আলী ইবনে হুসাইন সূত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত-তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যক্তি রমজানের (শেষ) দশ দিন ইতিক্বাফ করবে সে যেন দুটি হজ্ব ও দুটি উমরা করল (বাইহাক্বী)



রোযার প্রকারভেদ :



ফরয রোযা :

যেমন : রমজান মাসের রোযা



ওয়াজিব রোযা :

যেমন-মানতের রোযা



নফল রোযা :

নিষিদ্ধ পাৎচদিন ব্যতীত বছরের যে কোন দিন আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জনের নিমিত্তে রোযা রাখা । বিশেষ করে শাওয়ালের ছয় রোযা ।



আশুরার রোযা তথা মুহররম মাসের নয় ও দশ তারিখের রোযা



প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা ইত্যাদি ।



মাকরূহ রোযা : যেমন - সন্দেহের দিন রোযা রাখা



হারাম রোযা : যেমন ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও ঈদুল আযহার পরের ৩দিনে রোযা রাখা । আইয়া তাশরীক ।



রোযা ভঙ্গের কারণ



-ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো খাদ্য বস্তু পানাহার করলে ।



-রাত মনে করে সুবহি সাদিকের পর সাহ্‌রী খেলে



-সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করলে



-ভুলে আহার করত: রোযা ভেঙ্গে গেছে ধারণায় পুনরায় খেলে



-নাকে-কানে এমনভাবে ঔষধ ব্যবহার করলে যাতে পেটে বা মাথায় পৌছে যায় ।



-পেশাব পায়খানার রাস্তা দিয়ে ঔষধ বা অন্য কিছু ব্যবহার করলে



-স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক করলে ।



যেসব কারণে রোযা মাকরূহ হয় ;



-নিষিদ্ধ কোনো জিনিস চিবালে বা চেখে দেখলে



-কোন দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখলে ।



-গরগরা করে কুলি করলে বা নাকের ভিতর পানি টেনে নিলে ।



-ইচ্ছাকৃতভাবে মুখে থুথু জমা করে গলধকরণ করলে



-মিথ্যা কথা বললে



-গীবত করলে ।



-রোযার কারণে অস্থিরত প্রকাশ করলে



-গালাগালি ও ঝগড়া ফাসাদ করলে



-সমস্থ দিন নাপাক অবস্থায় থাকলে



-কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেষ্ট, মাজন ইত্যাদি দিয়ে দাত মাজলে ।



যে সব কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না.....



-অনিচ্ছাকৃতভাবে গলার ভিতর ধূলা-বালি, ধোয়া বা মশা-মাছি প্রবশে করলে ।



-সুগন্ধি ব্যবহার করলে বা অন্যকিছু ঘ্রাণ নিলে ।



-অনিচ্ছাকৃতভাবে কানে পানি প্রবেশ করলে



-অনিচ্ছাকৃতভাবে বমি হলে



-চোখে সুরমা ব্যবহার করলে



-নিজ মুখের থুথু কফ ইত্যাদি গলধকরণ করলে ।



-শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করলে



-গরমের কারনে ঠান্ডা অনুভবের জন্য গোসল করলে



-মিসওয়াক করলে



-স্বপ্নদোষ হলে ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য :)

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

প্রয়োজনীয় একটা পোস্ট।

মাহে রমজানের শুভচ্ছা।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩২

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জরুরী তথ্যগুলো ভাগাভাগি করে নেবার জন্যে।
মাহে রমজানের শুভেচ্ছা রইলো।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:২২

মীর রেজা হোসাইন শহীদ বলেছেন: ভাইজান আসসালামু আলাইকুম, আপনার গুরুত্বপূর্ণ সিয়ামের আর্টিকেলটি পাঠ করেছি। প্রায় সব কিছুই অতিব প্রয়োজনীয় জিনিস লিখেছেন। কিন্তু তারাবী নামক যে হাদিসটি দিয়েছেন তা কোথা থেকে দিয়েছেন? সেখানে কি ব্যারাকেডের মধ্যে তারাবী কথাটি লেখা আছে? নিশ্চয়ই নাই। সেখানে যে শব্দটি আছে তাও আছে কিয়ামুল্লাইল। এখানেই শেষ করেন নাই। রমজানের সাথে তারাবীর সম্পর্ক জুড়ে দিয়েছেন। এটা কেমন কথা ! সকল হাদিসগুলো পাঠ করলে দেখবেন সকল হাদিসেই শেষ রাত্রিতে কিয়ামুল লাইলের কথা বলা আছে, আরো বলা আছে রমজানে বা রমজান ছাড়া সব সময় তিনি (নবীজী সা.) ) এই নামায আদায় করতেন। তাহলে আপনি কেমন করে এই নামাযকে রমজানের রোজার সাথে যুক্ত করলেন? ইলামে যাহা নাই তাহা আপনি চালূ করার দোষে দোষী হলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.