নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
একটা বিয়ে পাগলা বুড়ো ছিল
উস্কোকুস্কো ইয়া লম্বা চুল ছিল,
গায়ের চামড়া খানিক ঝুলছিল,
বয়সটা পঁয়ষট্টিতে ঠেকছিল;
পেশা ভিক্ষা, কাঁধেতে মলিন ব্যাগ ছিল
এবাড়ি ওবাড়ি ভিক্ষাটাই কাজ ছিল।
পরের বাড়িতে তার একখানা ঘর ছিল
ভাঙ্গা ঘরটির মাথায় ছনের ছাল ছিল ।
সেই বুড়োটার বিয়ে করার বড়ই শখ ছিল,
একে একে বিয়ে করে করেই তাদের ছাড়ছিল।
বিয়ের পাত্রীদের সবই ভিক্ষা পেশা ছিল
বিয়ে করে একত্রে ভিক্ষা করতে নামছিল।
বনিবনা না হলেই তালাকে বউ ছাড়ছিল।
ফের বিয়ে করার স্বাদ মনে তার জাগছিল!!
গায়ের লোকেরা বুড়োরে নিয়া ভাবছিল;
বুড়োরে জব্দ করার ফন্দি মনে আটছিলো,
গায়ের দুষ্টুরা এক পাত্রীর প্রস্তাব নিয়ে আসছিল
বিয়ের খবরে দুষ্টু বুড়ো খুশিতে আটখানা হচ্ছিল,
অবশেষে বারই ফাল্গুন বিয়ের দিনটা ধার্য্য ছিল,
বিয়ে পাগলা বুড়োর মনে ফাগুন হাওয়া বইছিল;
গায়ের দুষ্টুদের মুখে মুখে মুচকি হাসি ফুটছিল,
বুড়োর বিয়ের স্বাদটা চিরতরে শেষ বুঝি হচ্ছিল,
বিয়ে নিয়ে গায়ের সবাই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছিল
জমানো টাকায় বুড়ো তার বিয়ের বাজার করছিল,
একখানা শাড়ি, সাথে চুড়ি আর কিছু মিষ্টি কিনছিল।
ধীরে ধীরে শুভ দিন এগিয়ে এলো
সবে মিলে বুড়োকে সাজিয়ে দিলো,
এই গায়েরই এক দুষ্টু ছেলে, নাম তার খেলা ছিল,
বুড়োর সাথে বিয়ে দিবে বলে তারে বউ সাজিয়েছিল,
কার পেটে যে কত হাসি দেখারই বিষয় ছিল;
ভূঁয়া হুজুর দ্বারা কবুল তাদের বলিয়েছিল,
সব আয়োজন শেষে, তাদের ফুলবাসর ছিল,
তার ঘরে চারপাশে উৎসুকদের ভিড় ছিল।
বুড়ো তার বউয়ের মুখ দেখতে মরিয়া হয়ে উঠছিল;
সংকোচ ঝেড়ে মিনমিনে কণ্ঠে নতুন বউটা বলছিল,
বাথরুমে যাব, প্রশ্রাবের বেগ বড্ড পাচ্ছিল,
বুড়োটা বদনা হাতে, দরজা যেই খুলছিল,
শেষমেষ খেলা মিয়া তার মুখ দেখিয়েছিল,
পড়িমরি শাড়ি উঁচিয়ে সে এক দৌঁড় দিলো;
চারদিকে হু হু হা হা হাসির রোল পড়ছিল।
সেদিনই বুড়োর বিয়ে করার স্বাদ, চিরতরে মিটছিল
বাকি দিনগুলো বুড়োর, সুখে দু:খে একা একাই কাটছিলো।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ হাসাতে পারছি বলে
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩১
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা...... অসাধারন.... অসাধারন.... অসাধারন
সোহানী কে কপি করে বলছি
সব মিলে এত মজা পেয়েছি যে
মনে হয় সোহানীর চেয়েও
শত গুনে বেশি হেসেছি
হাহাহাহাহাহা
আপু
Excellent
100 te 200
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পড়ছিলাম আর নিজে নিজেই হাসছিলাম --- অনেক দিন পর মজার একটি কবিতা পড়লাম ---দারুন মজার ----অসাধারণ
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: দুপুর দুইটা, প্রচন্ড খিদা এর মধ্যেই আপনার পোষ্ট না পড়ে পারলাম না। আর বিপত্তিটা এখানে হাসতে হাসতে খুদা আরো বেরে গেল। তবে গুলো আনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হায় হায় । যাই হোক খাবার দিতে পারলাম না বলে দু:খিত
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০২
ঢাকাবাসী বলেছেন: বেশ মজার।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকু
৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৮
উদদিন বলেছেন: অপূর্ব একটা কবিতা , -যে কবিতার ছন্দে-ছন্দে ইমাজ কথা বলছিলো !
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা...... অসাধারন.... অসাধারন.... অসাধারন