নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের পোস্টের উত্তর দিতে দেরী হয় সেজন্য সরি।

কাজী ফাতেমা ছবি

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

কাজী ফাতেমা ছবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন গদ্য-১

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

উলটো পথ ধরে হাঁটছি না আর। পথে হাঁটার সাথী খুঁজতে নিত্যই উলটো পথ ধরে ঘুরেছি। বিড়বিড় করে গান গেয়ে গেয়ে ধূলোওড়া পথে হেঁটেছি। নিয়ন আলো অথবা ফ্লাড লাইটের আলোয় নিজেকে ছায়া বানিয়ে সাথী খুঁজেছি। কখনো পেয়েছি কখনো ঘুরে ক্লান্ত হয়ে সোজা পথ ধরেই হেঁটেছি। নির্জন পথটি বড্ড প্রিয় আমার....

বকুলের ঘ্রাণে মাতাল হতে হতে নিজেকে কতবার হারিয়েছি কল্পলোকে। লজ্জা বিসর্জন দিয়ে বকুল ফুল সন্তর্পনে কুঁড়িয়ে আঁচল ভরেছি। অথবা হাতের মুঠোয় করে কতক ফুল নাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে আনমনে হেঁটেছি একাই।

সন্ধ্যামালতির স্নিগ্ধ ঘ্রাণ নিয়ে পথ চলা থেমে যাবে কিছুদিন পরই.. ছায়া বিছানো পথের বাঁকে বাঁকে বৃক্ষরাজীরা সাথী হত কথা বলার। সেগুনের কাঁচা পাকা পাতার ফাঁকে চাঁদ এসে ধরা দিত চোখের পাতায়... সঙ্গী কখনো চাঁদই হয়ে যেত। আলোয় মাখানো পথের ধুলোরা উড়ে উড়ে সৃষ্টি করতো রঙ্ধনু বৃষ্টি। রঙধনুর বৃষ্টিতে স্নান করতে করতে কতটা প্রহর কেটে গেলো হায়!!

মিটিমিটি তারা জ্বলে নিভে মনের আকাশে সুখ সুখ প্রহর শেষে নীড়ে ফেরা একরাশ ভাল লাগা নিয়ে। সময়গুলো বেশি ছিল না, ত্রিশ, চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশ। অথচ কতই না সুখ ছড়ানো ছিল সে প্রহরগুলোতে, সে যে একান্তই নিজস্ব একটা প্রহর। নিজের সাথে নিজের বুঝাপড়ার সে ক্ষণ, কখনো অশ্রু ঝরা পল কখনো নিভৃতে হৃদয়ের কষ্ট ঝরানো পল। কখনো বা সুখের স্মৃতি রোমন্থন করা পল আহ।কখনো সব ভুলে মহান আল্লাহর নামে জিকির তছবি পড়া প্রহর।

শিউলীর গাছে আঁধফোটা ফুলগুলো ছুঁয়ে ছুঁয়ে অন্তরে স্নিগ্ধতা ধরে রাখার প্রহর যা শুধু আমার ছিল শুধু আমার। দূর্বাঘাসে ঘুমন্ত বিড়ালের মায়াভরা মুখ অন্তরে আনত অনাবিল আনন্দ। মাঝ রাস্তায় পোয়াতি কুকুরের বিশ্রাম দেখে দেখে প্রশান্তির প্রহর কেটে যেত নিমেষে।

হাঁটার বন্ধুদের মন ভরানো কথামালা ধরা দিত আমার কাব্যে। ছন্দ সুর সকল ঝরে পড়ত কথা কাব্যে। কখনো হাসিতে ফেটে পড়া প্রহর কখনো দু:খ স্মৃতি রোমন্থনে বিমর্ষ বদনের প্রহর। ধাঁধা, কৌতুক, বাস্তব জীবনের ছবি ফুটে উঠত কথার রাজ্যে। আঁকা হত সুখের ছবি মনের ক্যানভাসে।

হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে শানবাঁধানো কাঠবাদাম গাছের ছায়ে জিড়ানোর উছিলায় সেই আবার গল্প জুড়ে দেয়া প্রহরগুলোও স্মৃতি হয়ে যাবে আহ। কদম ফুলের পাঁপড়ি চুয়ে যেনো পড়ছে ছেড়ে যাওয়ার দু:খকাব্য। ঝরা পাতার কাব্য হবো আমি। ঝরে যাব প্রিয় পথের সাজানো বৃক্ষরাজী হতে। ছাতিম ফুলের মাদকতায় নিজেকে আর হারাতে পারব না, জোড়ে নি:শ্বাস টেনে নিব না আর ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ।

গোল চত্বরের হরেক ফুলের সুভাস ভুলে চলে যেতে হবে নতুন ঠিকানায়... পরিচিত মুখগুলো ধীরে ধীরে অপরিচিত হতে থাকব ভুলে যাব মায়াবি সব মুখাবয়ব। চেনা পথ চেনা ঠিকানা হয়ে যাবে কিছুদিন পর অচেনা আগা।

এত স্মৃতি এত সুখ প্রহর, এত শান্তির প্রহরগুলোর বর্ণনা দিতে গেলে হয়ত হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস হয়ে যাবে। চুয়ে চুয়ে পড়বে উচ্ছ্বাস ভরা সব ক্ষণের সুখ সে উপন্যাসে।

জীবন এমনই... দুনিয়া ছেড়েই চলে যেতে হবে, সেতো নীড় পরিবর্তন। মানুষতো তাই আবেগে ভরা বুক। মনের নীল আকাশে শুভ্র অভ্ররা যেভাবে ভেসে বেড়ায়,, একদিন না একদিন সে অভ্র কালো হয়ে গলে পড়বেই, বৃষ্টি ঝরবেই মনের আকাশে। এখানের আকাশের ছবি মনের ক্যামেরায় ক্লিক করে করে ক্ষান্ত হব।

ক্ষমা করো প্রিয়রা ভুলত্রুটি সব, প্রিয় রাস্তা ক্ষমা করে দিস তোর উপর হেঁটেছি, ব্যথা যদি দিয়ে থাকি।

আমি ঝরা পাতা কাব্যে নাম লিখিয়েছি। ঝরে পড়ব দেখিস... কষ্টে নীলিন আমি হৃদয়ে ঝরে পড়ছে রক্ত চুয়ে চুয়ে... আমি পাতা, লাল হয়ে গেছি, কমলা হব ঝরব, ছাই রঙ্গা হয়ে দুমড়ে মুছড়ে শুকনো হয়ে মর্মর সুরে মিশে যাব মাটিতে, কেউ খুঁজে পাবে না আমায়।

আমি ঝরা পাতার কাব্য হবো.... হতে যাচ্ছি... কেউ কি হাত পেতে ধরবি মাটি ছোঁয়ার আগে....!!!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৮

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগল।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাদা। কষ্ট করে পড়ার জন্য ভাল থাকুন

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

শামছুল ইসলাম বলেছেন: খুব আবেগঘন একটা লেখা।

আপনার লেখার হাত ভাল।
অসীম বেদনা মহতী সাহিত্য সৃষ্টির মূল অনুপ্রেরণা। শুরু করে দিন না আজ থেকেইঃ

//এত স্মৃতি এত সুখ প্রহর, এত শান্তির প্রহরগুলোর বর্ণনা দিতে গেলে হয়ত হাজার পৃষ্ঠার একটা উপন্যাস হয়ে যাবে। চুয়ে চুয়ে পড়বে উচ্ছ্বাস ভরা সব ক্ষণের সুখ সে উপন্যাসে।//

ভাল থাকুন। সবসময়।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার উৎসাহ পেয়ে ভাল লাগল কিন্তু গল্প উপন্যাস লেখা বুজি আমার দ্বারা হবে না। সময় খুব অল্প
সংসার চাকুরী বাচ্চা সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস জীবন তবুও ভাল থাকার জন্য লিখে যাই লুকোচুরি খেলার মাধ্যমে।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লেগেছে , আরো কিছু বলার ছিল রেখে দিলাম সংগোপনে ।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বলে ফালানস্যার

ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.