নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরের বাড়ির পিঠা খাইতে বড়ই মিঠা ।

কিরকুট

আমি মানুষ, আমি বাঙালি। আমার মানবিকতা, আমার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানতে চাওয়া, ক্ষতিগ্রস্ত করতে চাওয়া প্রাণী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ। আমার দেশের উপর আঘাত হানতে চাওয়া প্রাণীদের পালনকারী, প্রশ্রয়দানকারী মাত্রই আমার কাছে পিশাচ, রাক্ষস। হোক সে যে কোনো সাম্প্রদায়িক কিংবা ঢেঁড়স চাষ পরামর্শক।

কিরকুট › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারেক রহমান: অপরাধ, অহংকার ও অপদার্থতার প্রতীক

৩০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৪




বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন একজন ব্যক্তির নাম চিরকাল কলঙ্কের অক্ষরে লেখা থাকবে — তিনি তারেক রহমান। একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, দেশদ্রোহী, এবং বিএনপির তথাকথিত "ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান", যিনি রাজনীতি না শিখেই রাজনীতির চূড়ায় বসার বাসনায় পুরো একটি রাষ্ট্রকে দুর্নীতির ছোবলে ক্ষতবিক্ষত করেছেন।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়, তারেক রহমান ‘হাওয়া ভবন’ নামের একটি অঘোষিত বিকল্প সরকার চালিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের বদলির টাকা, টেন্ডারের কমিশন, নিয়োগের দালালি — সব কিছুই চলত তার অনুমতি ছাড়া না। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করে "কমিশন ব্যবসা" প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, যার কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। দেশ যেন ছিল একমাত্র তার বাণিজ্যিক খামার।

তবে তার সবচেয়ে ঘৃণ্য অধ্যায় হলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, যেখানে আওয়ামী লীগের একটি রাজনৈতিক সমাবেশে নারকীয় সন্ত্রাস চালানো হয়। এই হামলার মূল পরিকল্পনায় তারেক রহমানের নাম ছিল স্পষ্ট । তিনি শুধু রাজনীতির ব্যর্থ উত্তরাধিকারী নন, বরং একজন বিচারিকভাবে প্রমাণিত অপরাধী।

আরেকটি চাঞ্চল্যকর দৃষ্টান্ত হলো ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, যেখানে দেশের মাটিতে বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছে অস্ত্র পাচারের পরিকল্পনার সঙ্গেও তারেক রহমান জড়িত ছিলেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে এমন অপরাধ কোনো সভ্য দেশে হলে, একজন রাজনীতিবিদের কবর রচনা হয়ে যেত। অথচ তিনি এখনো লন্ডনে বসে ভিডিও কলে নেতাগিরি করছেন!

তার অহংকারের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিএনপির অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রেও তার উপস্থিতি নেই। যিনি নিজেই দেশের বাইরে পলায়ন করে আছেন, তিনি আবার জনগণকে "তথাকথিত মুক্তির" কথা বলেন! এই দ্বিচারিতা শুধু হাস্যকর নয়, ভয়াবহ। তারেক রহমান নিজের দলকেই অচল, দুর্বল ও বিভক্ত করে তুলেছেন — নেতৃত্বের নামে লজ্জাজনক এক সার্কাস।

এই দাম্ভিক, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অপরাধে জর্জরিত ব্যক্তির হাতে যদি দেশের ভবিষ্যৎ হয়, তাহলে তা হবে কেবল ধ্বংসের ছায়া। তারেক রহমানের মতো পলাতক আসামিকে যারা নেতা ভাবে, তারা আদতে দেশের শত্রুকে পূজার আসনে বসাচ্ছে।

সময় এসেছে, মানুষকে সত্য বলার
তারেক রহমান একজন অপরাধী, একজন অর্থ লোপাটকারীপ্প, একজন ব্যর্থ রাজনীতিক এবং একজন পলায়নপর কাপুরুষ।




মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০২

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



হাওয়া ভবনের ডাকাত সর্দার।

৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

কিরকুট বলেছেন: এই লোক আর তার পিতা বাংলাদেশের রাজনীতি কে কলুষিত করেছে।

২| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জব্বর একটা ব্লগ লিখেছেন। আওয়ামী পন্থী এবং ডানপন্থী ব্লগাররা আপনার লিখিত বক্তব্যের সাথে একমত হয়ে কোলাকুলি ও হান্ডশেক করবে। বিএনপি পন্থী ব্লগার রা নিরবে পড়ে এই লেখা চুপচাপ প্রস্থান করবে। উহাদের কিছুতেই কিছু যায় আসে না। :-B

৩| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



লেখক বলেছেন: এই লোক আর তার পিতা বাংলাদেশের রাজনীতি কে কলুষিত করেছে।

-ওর বাবা শেখকে হত্যা করে, বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানায়ে গেছে; ওর মা চুরি করে মিলিটারীকেও চোর বানায়ে গেছে; সে হাওয়া ভবানে বসে ডাকাতী করেছে।

৪| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



@কুতুব,

কোন পন্হীরা কি করবে, সেটা আপনি অনুমান করছেন; তবে, ইহা কি আমাদের জন্য নতুন তথ্য? ইহা কি আপনার জন্য নতুন তথ্য? কথাগুলো আবার সামনে আসছে কারণ, কিছু লিলিপুটিয়ান ব্লগার এই ডাকাতকে "রাজনীতিবিদ" বলছে!

৫| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০

কাঁউটাল বলেছেন: কথা ঠিক নয়। তারেক রহমানের বিষয়ে হাউয়ামী লীগের চুষড়ালরা অনেক ভুয়া নিউজ ছাপিয়েছে। শেক হাসিনা পালানোর পরে উহাদের গুড়া কিরমি যে বেড়ে গেছে - তার প্রমান এই লেখা।

৬| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: খাইয়াম@ব্লগে আওয়ামী পন্থী ও ডানপন্থী ব্লগারদের একটি মাত্র জায়গায় ঐক্যমত প্রকাশের সুযোগ আসে তা হলো বিএনপির বিরুদ্ধে পোস্ট। বাস্তবেও একই রাজনীতি চলছে। সবার চোখের বালি এখন বিএনপি। বিএনপি না থাকলে ইন্টেরিম ও ডানপন্থী দের জন্য ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারা হত। নিজেদের মনের মতো ভাবে দেশ শাসন করতে পারতো। আওয়ামী লীগ চায় শেখ হাসিনা ফিরে এসে ক্ষমতায় বসলেই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার পূর্ণতা পাবে। তারেক ডাকাতের সর্দার অযোগ্য কিন্ত বাকি যারা আছে সবাই যোগ্য।

৭| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০২

কাঁউটাল বলেছেন: ছাগল খাইয়ামের নৃত্যকলা করার জন্য ইহা একটা আদর্শ পোষ্ট।

৮| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



@কুতুব,

আমেঐকা ও আমাদের সেনাবাহিনী কিভাবে আমাদের দেশকে পকেটে ধরে রেখেছে? তারা পকেটে রাখতে পেরেছে কারণ শেখের পর কোন শক্তিশালী নেতা ছিলো না; আজকে ১ জন রাজনীতিবিদও নেই!

৯| ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: ইউনুসের সাথে একান্তে আলাপ করে সে বিএনপির অনেক ক্ষতি করেছে।তার উচিত ছিলো তার বিশ্বস্থ কিছু নেতাকে সংঙ্গে রাখা।ডিসেম্বরে নির্বাচন থেকে সরে এসে সে নিজের ক্ষতি করেছে দলের ক্ষতি করেছে।সেনা প্রদানকে অপমান করেছে।সেনা বাহিনী এটা মনে রাখবে।এমন ধারনা আছে এটা সে টাকা খেয়ে করেছে।একান্তে আলাপের বিষয় এটাই ছিলো।টাকার পরিমান নির্ধারণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.