নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
মিনি উপন্যাস-৬ (কল্পনার তুই)
#তুই
নানা রকম তিক্ততায় রোদ্দুরের মন আজ ক্ষত-বিক্ষত। বুকফাঁটা কান্নায় মুহুর্মুহু ভেঙে পড়ছে সে বারবার। কিন্তু সে কান্না চোখ অবধি এসে পোঁছায় না। জলহীন চোখ দু'টোতে যেনো অশ্রু'র বদলে রক্ত ঝরে পড়বে।
কেউ একজন জিজ্ঞাসা করে
-চোখ লাল কেনো
-প্রচণ্ড মাথা ব্যথা তাই!
রোদ্দুর অনায়াসে এড়িয়ে যেতে পারল। কেননা সবাই বাহির দেখে ভেতরের কান্না কারো চোখে পড়ে না!
............
একদা রোদ্দুর গল্প বই পড়ার পোকা ছিল। বই কেনা সারারাত জেগে বই পড়া নেশার মত ছিল। রোদ্দুর খুব আবেগি। বই পড়ে পড়ে কখনো সে হেসে উঠত কিংবা কখনো ডুকরে কেঁদে উঠত, কেঁদে কেটে পরক্ষণে লজ্জায় লাল হয়ে উঠত। কখনো আপনজনেরা এ নিয়ে কথা বলত না বরং উৎসাহ দিয়ে যেত সবাই।
রোদ্দুরের জীবনে ধীরে ধীরে ব্যস্ততা বেড়ে যেতে থাকে, বই পড়াও আগের তুলনায় কমে যায়, তবুও বই কেনা থেমে নেই। বই জমে জমে পাহাড় না হলেও অনেক জমে গেছে। ইচ্ছে হলে সে বই খুলে দুই এক পাতা পড়ে নেয়। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ রোদ্দুরকে আজো মাতাল করে দেয়।
মধ্য দুপুরের রোদ্দুরের স্থায়ী আবাসে কেউ বই পড়া বা বই পছন্দ করে না। বই পড়লেও কথা শুনতে হয় তাকে। বই রাখার জায়গা হয় কাটের আলমারী কিংবা কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে। অপ্রয়োজনীয় জায়গায় বইগুলো নিথর পড়ে থাকুক সেটাও কারো কারো সহ্য হয় না। তিক্ত কথন শুনতে হয় প্রায়ই। কাজের মেয়ের নাম ধরে হাক ছেড়ে কেউ বলতে থাকে এখান সব বই বাইরে ফেলে দে অথবা বেছে দিস। বারবার একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি। এই শুন, বইগুলো বস্তায় ভরে বারান্দায় ফেলে রাখ, শুধু এগুলো রাখার কি প্রয়োজন!! অথচ রোদ্দুরের মনে কি ঝড় বয়ে যায় সেদিকে আপনজনেরা ফিরেও দেখেনা। রোদ্দুরের আবেগের কোনো মুল্যই নেই না আছে অনুভূতির কোনো মূল্য!! রোদ্দুর চুপ থাকে কিন্তু তার ভিতরে কান্নার ঢেউ উঠে তাকে কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
আজও রোদ্দুরের অন্তর চুয়ে চুয়ে রক্ত ঝরছিল... বিমর্ষ বদনে বসে কিংবা শুয়ে অথবা আনুষঙ্গিক কাজ করে কষ্ট ভুলতে চায়। কিন্তু চাইলেই কি পারা যায়।
...................
রোদ্দুরের কল্পনায় একটা তুই আছে। রোদ্দুর সে তুইটাকে খুব ভালবাসে। যা ইচ্ছে তাই করতে পারে রোদ্দুর সে তুই'র সাথে। ঝগড়া, ভালবাসা, মারামারি, খুনসুটি, তাকে নিয়েই রোদ্দুর ছড়া লিখে কবিতা লিখে কখনো উপন্যাস। আজও রোদ্দুর তুই নিয়ে মনে মনে ছড়া আওড়াচ্ছে....
ইচ্ছে করে একটুখানি
তোর বুকেতে শুই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
তোরই পথটি চেয়েরে বন্ধু
ব্যাকূল হয়ে রই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
আচম্বিতে হারিয়ে যাস
চলে গেলি কই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
তুইতো আমার গোলাপ বেলি
হাস্নাহেনা জুঁই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
আমি কে তোর হই??
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
মনের মাঝে বন্দি করে
হৃদ গভীরে থুই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
চাঁদের আলো সূর্যের আলো
কলকল ঝর্ণা ঐ
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
তুইতো একটা তুই যে আমার
তুইতো নোসরে দুই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
তুইতো আমার কথার বন্ধু
আগুন ফোটা খই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
হাসি ঠাট্টা তুইতো আমার
আনন্দ হইচই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
ছড়া উপন্যাস কবিতা
তুইতো গল্পের বই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
মিষ্টি মণ্ডা সন্দেশ যে তুই
তুই টকমিষ্টি দই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
আমিও কিন্তু তোরই হইরে
অন্য কারো নই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
..........................
সেই তুই পাখিটা উড়াল দিয়ে আসছে সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পাড়ি দিয়ে। রোদ্দুর কল্পনায় তাই দেখে যাচ্ছে যেনো...
তুই পাখিটা যখন সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিবে তখন সে তুই পাখিটা ভয়েসে জানিয়েছিল আমি আসছি এই যে শুভ্র মেঘের ডানায় উঠে বসলাম। দোয়া করিস।অপেক্ষায় ছিল রোদ্দুর....
তুই পাখিটা যখন প্রিয় সব কিছুর সানিধ্যে এসে পৌঁছায় সে তখন দারুন এক্সাইটেড হয়ে পড়ে। সব কিছুই তুই'র কাছে ভাল লাগতে থাকে। আনন্দে লাফাতে থাকে। তুই পাখিটা শুদ্ধ অক্সিজেনে ডানা মেলে উড়তে থাকে।
রোদ্দুর যখন ডুবেছিল এ নিয়ে। ঠিক তখনই সে তুই হতে বাতাসে ভর দিয়ে ভয়েস ম্যাসেজ পায়.... এসে পৌঁছেছি....রে এই যে শুরু পেঁপু তবুও ভালবাসিরে তবুও ভালবাসি আমার মাতৃভূমি... ভালবাসি দেশের মাটি, ভালবাসি মাতৃভূমি ভালবাসি ভালবাসি...রোদ্দুরের কান যেনো ফেটে যাচ্ছে... শুনতে গিয়ে....
-আর আমাকে???
তুই পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকিস নে কেনো তুকেও ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসিরে ভালবাসি... ও মধু আই লাভ ইউ... তুই আমার মধুরে তুই আমার মধু ভালবাসি তুকে!!! শেষ বাক্যটি ছিল সুরে সুরে.... বিকট চিৎকারে রোদ্দুরের সম্বিত ফিরে আসে... বাস্তবে পৌঁছে রোদ্দুর থমকে যায়!!
আচ্ছা রোদ্দুরের তিক্ত ভুবনে এইটুক কাল্পনিক ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকাটা কি খুব অন্যায় হয়ে যাবে??
০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪
লক্ষ্মীছেলে বলেছেন: আচ্ছা রোদ্দুরের তিক্ত ভুবনে এইটুক কাল্পনিক ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকাটা কি খুব অন্যায় হয়ে যাবে?? ++-+
+++++++++++++++++++++++++++ সুন্দর উপন্যাস, কবিতা দুটোই। ধন্যবাদ আপু এমন একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো.........।। আপনার কবিতায় একটি গান মনে পড়ে গেল।।
প্রেমের মরা জলে ডোবেনা
ও প্রেম করতে দুই দিন, ভাঙতে একদিন
অমন প্রেম আর করিস না......
প্রেমেরে কভু নিতাই মারেনা।
০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য
লেট আনসারের জন্য সরি
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯
শায়মা বলেছেন: আচ্ছা রোদ্দুরের তিক্ত ভুবনে এইটুক কাল্পনিক ভালবাসা নিয়ে বেঁচে থাকাটা কি খুব অন্যায় হয়ে যাবে?
হায় হায় কাল্পনিক ভালোবাসা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আপু!!!!!!!!!!!!!!!!
হা হা হা মজা করলাম !!!!!!!!!!!! অনেক অনেক ভালো লেগেছে বিশেষ করে তুই কবিতা!!!!!!!!!!!
০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপি। লেখার জন্য লেখা এই আরকি অন্য কিচু নয়
ভাল থাকুন
লেট আনসারের জন্য সরি
৪| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্প ও কবিতা দুটুই ভাল লেগেছে ।
লক্ষ্মীছেলের মত আমারও গানের কয়টি লাইন মনে পড়ছে
কাগজের এই নৌকা যদি ময়ুর পংখী হয়ে যেত
গল্প কল্প না হয়ে সত্যি হয়ে যেত
কল্পরার রঙএ উড়ে উড়ে কোন
সমুদ্রে হারিয়ে যেতাম ।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কবিতাটির জন্য ।
০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৫| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৯
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: গল্প আর কবিতা দুটোই ভাল লেগেছে
০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু তোমাকে অনেকদিন পর দেখলাম । কোথায় হারালে শুনি
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
প্রামানিক বলেছেন: ভালো লাগল। ধন্যবাদ