নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
নানা রকম তিক্ততায় রোদ্দুরের মন আজ ক্ষত-বিক্ষত। বুকফাঁটা কান্নায় মুহুর্মুহু ভেঙে পড়ছে সে বারবার। কিন্তু সে কান্না চোখ অবধি এসে পোঁছায় না। জলহীন চোখ দু'টোতে যেনো অশ্রু'র বদলে রক্ত ঝরে পড়বে।
কেউ একজন জিজ্ঞাসা করে
-চোখ লাল কেনো
-প্রচণ্ড মাথা ব্যথা তাই!
রোদ্দুর অনায়াসে এড়িয়ে যেতে পারলো।কেননা সবাই বাহির দেখে ভেতরের কান্না কারো চোখে পড়ে না!
একদা রোদ্দুর গল্প বই পড়ার পোকা ছিল। বই কেনা সারারাত জেগে বই পড়া নেশার মত ছিল। রোদ্দুর খুব আবেগি। বই পড়ে পড়ে কখনো সে হেসে উঠত কিংবা কখনো ডুকরে কেঁদে উঠত, কেঁদে কেটে পরক্ষণে লজ্জায় লাল হয়ে উঠত। কখনো আপনজনেরা এ নিয়ে কথা বলত না বরং উৎসাহ দিয়ে যেত সবাই।
রোদ্দুরের জীবনে ধীরে ধীরে ব্যস্ততা বেড়ে যেতে থাকে, বই পড়াও আগের তুলনায় কমে যায়, তবুও বই কেনা থেমে থাকেনি। বই জমে জমে পাহাড় না হলেও অনেক জমে গেছে। ইচ্ছে হলে সে বই খুলে দুই এক পাতা পড়ে নেয়। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ রোদ্দুরকে আজো মাতাল করে দেয়।
মধ্যদুপুর রোদ্দুরের স্থায়ী আবাসে কেউ বই পড়া বা বই পছন্দ করে না। বই পড়লেও কথা শুনতে হয় তাকে। বই রাখার জায়গা হয় কাঠের আলমিরা কিংবা কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে। অপ্রয়োজনীয় জায়গায় বইগুলো নিথর পড়ে থাকুক সেটাও কারো কারো সহ্য হয় না। তিক্ত কথন শুনতে হয় প্রায়ই। বারবার একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি। এই শুনো, বইগুলো বস্তায় ভরে বারান্দায় ফেলে রাখো, শুধু শুধু এগুলো ঘরে রাখার কি প্রয়োজন!! অথচ রোদ্দুরের মনে কি ঝড় বয়ে যায় সেদিকে কেউ ফিরেও দেখেনা। রোদ্দুরের আবেগের কোনো মুল্যই নেই, না আছে অনুভূতির কোনো মূল্য!!
রোদ্দুর চুপ থাকে কিন্তু তার ভিতরে কান্নার ঢেউ উঠে তাকে কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায় প্রায়ই। আজও রোদ্দুরের অন্তর চুয়ে চুয়ে রক্ত ঝরছিল... বিমর্ষ বদনে বসে কিংবা শুয়ে অথবা আনুষঙ্গিক কাজ করে কষ্ট ভুলতে চায়। কিন্তু চাইলেই কি পারা যায়।
...................
রোদ্দুরের কল্পনায় একটা তুই আছে। রোদ্দুর সে তুইটাকে খুব ভালোবাসে। যা ইচ্ছে তাই করতে পারে রোদ্দুর সে তুই'র সাথে। ঝগড়া, ভালোবাসা, মারামারি, খুঁনসুটি, তাকে নিয়েই রোদ্দুর ছড়া লিখে কবিতা লিখে কখনো উপন্যাস। আজও রোদ্দুর তুই নিয়ে মনে মনে ছড়া আওড়াচ্ছে....
ইচ্ছে করে একটুখানি
তোর বুকেতে শুই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
তোরই পথ চেয়েরে বন্ধু
ব্যাকূল হয়ে রই
আচম্বিতে যাস হারিয়ে
চলে গেলি কই।
তুই যে আমার তুই।
তুইতো আমার গোলাপ বেলি
হাস্নাহেনা জুঁই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
আমি কে তোর হই??
তুই যে আমার তুই।
মনের মাঝে বন্দি করে
হৃদ গভীরে থুই
চাঁদের আলো সূর্যের আলো
কলকল ঝর্ণা ঐ
তুই যে আমার তুই।
তুইতো একটা তুই যে আমার
তুইতো নোস দুই
তুইতো আমার কথার বন্ধু
আগুন ফোটা খই
তুই যে আমার তুই।
হাসি ঠাট্টা তুইতো আমার
আনন্দ হইচই
ছড়া উপন্যাস কবিতা
তুই গল্পের বই
তুই যে আমার তুই।
মিষ্টি মণ্ডা সন্দেশ যে তুই
তুই টকমিষ্টি দই
আমিও কিন্তু তোরই হইরে
অন্য কারো নই
তুই যে আমার তুইরে বন্ধু
তুই যে আমার তুই।
.........................
রোদ্দুর কল্পলোকে ভেসে যাচ্ছে....... সে বন্ধ চোখে দেখছে.....সেই তুই পাখিটা উড়াল দিয়ে আসছে সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পাড়ি দিয়ে। রোদ্দুর কল্পনায় তাই দেখে যাচ্ছে যেনো...তুই পাখিটা যখন সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিচ্ছে তখন সে তুই পাখিটা অদৃশ্য আওয়াজে জানিয়েছে যেন আমি আসছি এই যে শুভ্র মেঘের ডানায় উঠে বসলাম। দোয়া করিস।অপেক্ষায় ছিল রোদ্দুর....
তুই পাখিটা সহসা যেন প্রিয় সব কিছুর সান্নিধ্যে এসে পৌঁছায় সে তখন যেন দারুন এক্সাইটেড। সব কিছুই তুই'র কাছে ভালো লাগতে থাকে । সে আনন্দে লাফাতে থাকে। তুই পাখিটা শুদ্ধ অক্সিজেনে ডানা মেলে উড়তে থাকে।
রোদ্দুর যখন ডুবেছিল এ নিয়ে। ঠিক তখনই সে তুই হতে বাতাসে শূন্যে বার্তা পায়.... এসে পৌঁছেছি....রে এই যে, ভালোবাসিরে তবুও ভালোবাসি আমার মাতৃভূমি... ভালোবাসি দেশের মাটি, ভালোবাসি মাতৃভূমি ভালোবাসি ভালোবাসি...রোদ্দুরের কান যেনো ফেটে যাচ্ছে... শুনতে গিয়ে....
-আর আমাকে???
তুই পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকিস নে কেনো তোকেও ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসিরে ভালোবাসি... ও মধু আই লাভ ইউ... তুই আমার মধুরে তুই আমার মধু ভালোবাসি তোকে!!! শেষ বাক্যটি ছিল সুরে সুরে.... বিকট চিৎকারে রোদ্দুরের সম্বিত ফিরে আসে... বাস্তবে পৌঁছে রোদ্দুর থমকে যায়!! তুই বলে কেউ ছিলো না, নেই কেউ তুই হয়ে রোদ্দুরের কাছে!
আচ্ছা রোদ্দুরের তিক্ত ভুবনে এইটুকু কাল্পনিক ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকাটা কি খুব অন্যায় হয়ে যাবে?
(ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৬)
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ভাইয়া। ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৮
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আপু আপনাকে আবার জেনারেল করলো কি কারণে? খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একটু মন্তব্য লিখছিলাম নতুন নকীব ভাইয়ার পোস্টে...। ইসলাম বিদ্বেষী কথাটার জন্য
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমার যদি একটা সরকারী চাকরি থাকতো তাহলে এরকম লেখা আমিও লিখতে পারতাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: চাকুরীর বয়স আছে নি ভাই, এপ্লাই করতে থাকেন ইনশাআল্লাহ হয়ে যাবে। আসলে বর্তমানে আপনি কী করছেন? কোথায় জব করছেন?
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এতো তুই আর তোর আর ছড়াছড়ি ছড়া কবিতা।
আপনার শুধু ছড়া কবিতায় তুই ও তোর শব্দটি সর্বমোট ৬৫ বার ব্যবহার করা হয়েছে। আমি মোটামোটি তিন বার গুণে চিন্তা করছি আর গুনা যাবে না, কারণ ইহা গুণে আমি বার বার ভুল করছি - কখনো ৬৭ আবার কখনো ৬৫। যাইহোক দুই চারটি এদকি সেদিক হলে যোগ বিয়োগ করে নিবেন। আমি সর্বশেষ গুণেছি ৬৫ আপাতত এটিই সলিড বলে ধরে নিচ্ছি।
দাওয়াতি পাঠকের আলাদা গুণ থাকতে হয়। আপনি বোন আমাকে দাওয়াত দিয়ে এনেছেন। তাই আপনার ছড়া কবিতা পড়েছি এটি আশা করি জানাতে পেরেছি - বুঝতে পারলে যায়গায় বসে আওয়াজ দিয়েন গো বোন - খেজুরের গুড়ের ফিরনি পিঠা বোনোর বাড়িতে পৌছাতে হবে ভাবছি।
ভাইয়ের জন্য দোয়া দরখাস্ত।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লিখাটা তুই নিয়া
তাই তুই দিয়া খাতা ভরাই লাইছি ভাই হাহাহাহা কষ্ট করে গুনেছেন আমারও জানা হলো হাহাহাহা।
দাওয়াতনা দিয়াই কী উপায়। জেনালের করে রাখছিলেন এডমিন, নকীব ভাইয়ার পোস্টের মন্তব্যের কারণে।
এবার কোন পিঠাই খাইনি। দাওয়াত রাখলাম খাবো ইনশাআল্লাহ ভাইয়ের বাড়ীর ফিরনি পিঠা
জাজাকাল্লাহ খাইরান ভালো থাকুন ভাই
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৭
এম ডি মুসা বলেছেন: কবিতা টুকু ভালো লাগছে, ইচ্ছে করে তুইযে আমার তুই
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন
৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৫
রামিসা রোজা বলেছেন:
ছবি আপা ,
এই লেখাটার মাঝে আলাদা একটি প্রাণ আছে ।
যেহেতু এটা প্রথম পাতায় যায়নি তাই এটা কি আবার রিপোস্ট দেয়া যায় ?
ভালো থাকুন সবসময় এই দোয়া করি ।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি। বহুদিন পরে রিপোস্ট করবো ইনশাআল্লাহ। আপনি এসেছেন দেখে খুশি হলাম
ভালো থাকুন স্বপরিবারে। ফি আমানিল্লাহ
৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
রক্ত দান বলেছেন: চমৎকার কথা কাব্য।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রক্ত দান। আপনার নামটা জানা থাকলে ভালো হতো
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: তুইকে নিয়ে রোদ্দুরের কাল্পনিক ভালোবাসায় ভেসে বেড়ানোর কাব্য সুন্দর হয়েছে, ভাল লেগেছে। + +
তবে ছড়াটাকে মনে হলো অনাবশ্যকভাবে একটু বেশিই দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। ভেবে দেখতে পারেন, দুই একটা স্তবক ছেঁটে দেয়া যায় কিনা।
পুনঃ সেফ হয়েছেন?
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
ছোট করে দিয়েছি। একবার দেখে যাবেন আশা করি
ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ
৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
শেষের প্রশ্নটা খুব অন্যায় হবে কিনা এর উত্তর দিতে পারবে কাভা,
যেভাবে কাল্পনিক ভালোবাসা বলা হয়েছে
ছবিপু তোমার এই কবিতা যেন একদমই এ গানটা ।
মনে হয় এ গানের গীতিকার গোপনে তোমার এই কবিতা পড়েছে
তুই কি আমার মতো ভাবিস আমায়?
ভালোবাসা খুঁজে নিস জলের ছোঁয়ায়?
তুই কি আমার মতো সপ্ন দেখিস?
চোখের আকাশ জুড়ে আমায় আঁকিস?
ভেজা চোখে ঝরে পরে শিশিরের সুর,
তোর কথা মনে পরে রাত্রি দুপুর।
তুই কি আমার মতো উদাস কবি?
লিখে যাস হৃদয়ে কাব্য ছবি?
তোকে ছাড়া হয়নাতো কোন উৎসব।
তুই...তুই তো আমার সব
তুই তো আমার সব
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহা এটা পোস্ট করার সময় হাসি পাইছিলো । ২০১৬ সালের লেখা ।
অনেক ধন্যবাদ আপি। ভালো লাগলো মন্তব্য
১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: কাল্পনিক ভালোবাসাই একমাত্র যন্ত্রণাহীন ভালোবাসা...
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:০৯
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি ভাইয়া
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন
১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪০
করুণাধারা বলেছেন: ভালো লাগলো তুই কাব্য!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান আপি
ভালো থাকুন অনেক অনেক
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার কথা কাব্যের অসাধারণ যুগলবন্দি!
ধন্যবাদ আপু শীতের পড়ন্ত বিকেেলে
সুন্দর লেখনি উপহার দেবার জন্য।
শুভকামনা।