নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
০১। সবুজ ধানের গায়ে একটা লাল লেডিবাগ
©কাজী ফাতেমা ছবি
=আমাদের গ্রাম=
যখনই আমার প্রিয় গাঁয়ে পা রাখি, মিহি ঘ্রাণ নাক ছুঁয়ে যায়। অন্তরে সুখের ঢেউ। যেখানে নাড়ী গাঁড়া, যেখানে কেটেছে শৈশব কৈশোর তারণ্য। কী নিষ্ঠুর নিজেকেই ভাবি। তাবৎ দুনিয়ার ব্যস্ততা কাঁধে নিতে যেই পা বাড়িয়েছিলাম যন্ত্র শহরের পথে, সেদিন মনেও হয়নি এখানে বারবার ফিরে আসা যাবে না আর । বছরের কোনো একদিন পা রেখে দিন ছয় সাতেক থেকে চলে আসতে হবে।
ইচ্ছেগুলো ধুলোয় গড়াগড়ি খায়, দীর্ঘশ্বাস মন চুয়ে পড়ে ইট পাথর এই শহরের ইট সুরকির পথে। অথচ কী নিরব নিবিঢ় মিহি হাওয়া সেখানে বইছে নিরবধি, সেখানে সহসাই ইচ্ছে হলেই যায় না বাড়ানো পা। সময়ের অপেক্ষায় কেটে যায় বছর। কোন সুখ নেই আমার গাঁয়ে। উফ ঘাসের উপর পা ফেলে যখন হাঁটি, মনে সুখ শিহরণ দোলা দিয়ে যায়। হাতে ক্যামেরা নিয়ে ছুটি আমার চেনা পথগুলোতে, ঠোঁটে তখন সুস্থতার মৃদু হাসি।
কখনো টলমলে জল পুকুর পাড়ে বসি, হাওয়া গিলি, তাকিয়ে রাস্তার উপর মানুষের চলাচল দেখি। কখনো পা ডুবিয়ে বসি স্বচ্ছ জলের পুকুর ঘাটে। কখনো ক্ষেতের আলে ঘুরে বেড়াই হাতে ক্যামেরা অথবা মুঠোফোন, ক্লিকে ক্লিকে তুলে আনি মুগ্ধতা সব। কখনো লেজঝোলা ফিঙ্গের কাছে গিয়ে বলি ও পাখি লেজঝোলা তোর ডানায় করে আমার দুঃখগুলো নিয়ে যাবি? কখনো ফড়িঙয়ের পিছু ছুটি ছবি করে রাখবো বলে স্মৃতির দেয়ালে।
আমার গাঁয়ের মাটিতে পা রাখলেই আমি উড়ন্ত দুনিয়া ভুলে যাই। ভুলে যাই সেখানেও অজানা অচেনা কত বন্ধু ছিল। কত টেক্সট কত কমেন্ট লাইক আহা! সে মোহ'র গন্ডি পেরিয়ে আমি প্রকৃতির বুকে সঁপে দেই নিজেকে। আমি আর কবিতা লিখি না। খুঁজি না ছন্দ। শব্দের কাছে নিজেকে বন্ধক রাখি না আর। কী যে মনোলোভা সময় আমার, বলে সে যাবে না বুঝানো।
কখনো শুকনো উঠোনে দাঁড়াই, প্রিয় রঙ্গন গাছে প্রজাপতির মধু খাওয়ার দৃশ্যতে চোখ রাখি, দেখি আমার রুপন করা সেই জবা গাছটা আজও আছে দাঁড়িয়ে, দিব্যি পাপড়ির ডানা মেলে ফুটে থাকে অসংখ্য জবা ফুল । আমাকে দেখে কী সুন্দর হাসি হাসে সূর্যের আলোতে। উঠোনের এক কোণে আধার কুটে খাচ্ছে মুরগির ছাও, মায়ের ডানার নিচে কখনো বসে থাকে ওরা আর মা পরম মমতায় ডানায় ঢেকে গলায় তুলে কক কক কক সুর।
হাঁস'রা ক্ষেতের ধানগুলো ঠোঁটে তুলে নিয়ে প্যাক প্যাক করে এগিয়ে যায়, আমি তখনো তাদের পিছু হাঁটি, পায়ের তলায় ভেজা মাটি, দূর থেকে হাওয়ায় উড়ে আসে ধানের ঘ্রাণ। অচেনা ফুলের ঘ্রাণ কখনো নাকে এসে জানান দেয়, আর বলে এই যে শুনো দেখো জীবন সুন্দর, বেঁচে থাকা কী যে সুন্দর। নিঃশ্বাসে তখন টানি শুদ্ধ হাওয়া জোরে। আহা আমার গাঁও আমার মাটি আমার ভালোবাসারা এখানে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
শহরের ঘরে বসে থাকি আর ভাবি কবে ছুঁবো ঘাস লতা পাতা, কবে ভাঁটফুলের ঘ্রাণে হবো মাতাল। কবে গোবর কুঁড়ানীর সাথে করবো খানিকক্ষণ সুখ দুঃখের আলাপন। এই যে স্মৃতির দুয়ারে দিল হানা, এই যে আমার মেঠোপথ,পথের ধারে ভাঁটফুল। এই যে আমার কচুরীপানায় ঢাকা ডুবা, তার জলে কী সুন্দর সাঁতার কেটে যাচ্ছে হাঁসরা।
গাঁয়ের মাটিতে পা রাখলেই আমি ফিরে পাই আমার শৈশব কৈশোর আর তারুণ্য, আমি ডানপিঠে তখনো ছিলাম, এখনো দৌঁড় দেই এক উঠোন হতে অন্য উঠোনে। হেঁটে বেড়াই গাঁয়ের পথে ঘাটে, দেখি নিবিড়........ ধান গাছের পিঠে ছোট লাল লেডিবাগ উফ, লাল পরীটা আমার ক্যামেরার শাটারে স্মৃতি হয়ে যায়। আর উপরে উঁকি দিয়ে দেখি বাতাবীলেবুর ডালে পিঁপড়েরা বসিয়েছে মেলা। চারিদিকে কত যে মুগ্ধতার ছড়াছড়ি, চারিদিকে কত যে সুন্দর হাওয়া, মন প্রাণ জুড়ে কেবল শীতল অনুভূতি। যে অনুভূতিতে বাসা বাঁধা গাঁয়ের প্রতি অসীম ভালোবাসা।
কখনো হট্টগোলে রাখি চোখ, কী করে মানুষগুলো আলপথ কেটে কেটে নিজের করে নেয়। কী করে ক্ষেত কেটে কেটে নিজের জমি নেয় বাড়িয়ে। একেতো চুরি, তার উপর চিনাজুড়ি দিয়ে ডাকে বৈঠক, বিচার শালিশ শেষে তালগাছ আমার পন্থায় ছিনিয়ে নিতে চায় অন্যের জমি। কী ভয়ঙ্কর স্বার্থপরতা মানুষের বুকে নিয়েছি ঠাঁই। অথচ তার জন্য বরাদ্দ মাত্র সাড়ে তিন হাত জমি। সে জমিতে সে একাকি থাকবে শুয়ে। খাবে তাকে পোকা মাকড়।
মানুষের মন মাকড়শার জালের মত যেন। প্যাঁচালো, অন্যের সম্পদে প্যাঁচ লাগিয়ে দিয়ে সেজে থাকে সাধু। এরা কখনো শিক্ষিত কখনো অশিক্ষিত ...... দু ধরণের মানুষের মনেই কেবল অন্যের জমির প্রতি লোভ থাকে ঝুলে। ভালো আর মন্দ মানুষের ভিড়ে আমি হেঁটে বেড়াই। হাসি আবার কিছু সত্য কথা বলে চলে আসি। কখনো ঘৃনায় নেই মুখ ফিরিয়ে। তর্কাতর্কির বুকে রাখি না ঠোঁট। কারণ আমি মানুষ ভালোবাসি, মানুষের জন্য পুষতে চাই না বুকে এক সমুদ্দুর ঘৃনা।
০২। গ্রামের মানুষ এই ছবিটির মত স্বার্থপর হয়। এই যে গরু রাখতে গিয়ে বাচুর ধান খাচ্ছে সেটার খেয়াল নেই। এমন করে কিনারের সব ধান গরু খেয়ে ফেলে।
০৩। ভাঁটফুলের ফল, কী সুন্দর রক্তিম আভা
০৪। টোপা পানা আর হাঁস
০৫। গলা ছিলা মুরগি আর তার বাচ্চারা
০৬। পুকুর পাড়ে ভাঁটফুল ফুটে আছে
০৭। মাকড়শার বাড়ী, কী নিঁখুত বুনন
০৮। লেজঝোলা ফিঙে
০৯। মুরগির ছাও।
১০।বাতাবী লেবুর ডালে লাল পিঁপড়ে।
১১। গ্রামের রাস্তা কাটা নিয়ে হট্টগোল বিচার শালিশ
১২। স্বচ্ছ জলের পুকুর ঘাট
১৩। আমাদের বাঁশঝাড়, এর ছায়াতলে দাঁ ড়িয়ে কত গল্প গুজব হয়ে যায়।
১৪। মধু ফুল
১৫। শুকনো পাতার সাথে ম্যাচিং হয়ে যায় এই মুরগির বাচ্চাগুলো
১৬। রাজা হাঁস
১৭। গাঁয়ের শিক কাবাব, গোমুট বলি আমরা
১৮। দুষ্টু বাচ্চারা
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকিউ সো মাচ ভাইয়া জি
ভালো থাকুন
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৫
সেডরিক বলেছেন: আপনি ভালো ছবিগ্রাফার।
কোন ডিভাইসে তোলা? কোন সফটওয়্যারে এডিট করেছেন?
ভালো লেগেছে। +
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকিউ সো মাচ। অশেষ কৃতজ্ঞতা। এগুলো ক্যানন ৬০০ডি তে তোলা । আর এডিট ফটোশপে। এডিট তেমন পারি না। সাধারণভাবে আলো কমানো বেশানো আর কালার গুলো কারেকশন করেছি
আল্লাহ ভালো রাখুন ফি আমানিল্লাহ
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ১, ২, ৬, ১৩ ও ১৪ বেশী ভালো হয়েছে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আচ্ছা ভাইয়া
থ্যাংকিউ সো মাচ
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পছন্দের ছবি- ৯, ১৬, ১৮ এছাড়া সব ছবিই ভালো হয়েছে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকিল্লাহ খাইরান ভাইয়া জি ফি আমানিল্লাহ।
আল্লাহ ভালো রাখুন
ভালোবাসা শুভেচ্ছা সতত
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বরাবরের মতই সুন্দর ছবি ব্লগ ও কথামালা।
ভাঁটফুল আমার খুব ভাললাগে যেমন সৌন্দর্য তেমনি হেনলাক্স স্নোর মত ঘ্রাণ।
++++++
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া জি
ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১২
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম আপা। আশা করি ভালো আছেন। মাশায়াল্লাহ নয়নাভিরাম সব ছবি।
ভালো লেগেছে। পছন্দ।
অঃ টঃ আপা, ক্যামেরা কিনতে চাইলে ক্যামেরা এবং লেন্স সম্পর্কে ভালো ধারণা কোথায় পাবো?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ওয়ালাইকুম আস সালাম ভাইয়া
জাজাকাল্লাহ খাইরান ।
ফেসবুক গ্রুপে যারা ভালো ফটোগ্রাফী করে তাদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৬
দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: দারুণ ছবি
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকিউ সো মাচ দাদা
ভালো থাকুন
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
জটিল ভাই বলেছেন:
কোন ছবিটাকে সবচেয়ে সুন্দর বলবো বুঝে পাচ্ছিনা।
তোলা ছবিগুলো? নাকি না তোলা ছবিকে?
জটিলবাদ প্রিয় আভী
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা না তোলা ছবিকে।
একবার আমার ক্লাসমিট এসেছিল ব্যাংকে
গেইটে লেখা এখানে ছবি তোলা যাবে না
বদ ছেলে বলে এই তোকে আমি এখানে তুলতে পারবো না রে
চল বাহিরে চল হাহাহাহ
থ্যাংকিউ সো মাচ
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধানের শীষে লাল পোকাটির ছবি খুব বেশী পছন্দ হয়েছে। আর ফুলের ছবিগুলো স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে যেন... ♥++++
২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকিউ সো মাচ বোকা
ভালো থাকুন সঙ্গেই থাকুন
ফি আমানিল্লাহ
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১
হাবিব বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর