নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের পোস্টের উত্তর দিতে দেরী হয় সেজন্য সরি।

কাজী ফাতেমা ছবি

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

কাজী ফাতেমা ছবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

=আমার স্বজন\'রা জরাজীর্ণতায় আচ্ছন্ন আজ=

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৫



©কাজী ফাতেমা ছবি

জরাজীর্ণতায় আচ্ছন্ন আমার স্বজন কিছু
আহা বয়স আর বার্ধক্য যে নিয়েছে তাদের পিছু,
অচিরেই হারাবো হয়তো কাউকে, হয়তো আমিও যেতে পারি আগে,
মৃত্যুকে কী কেউ আজও আনতে পেড়েছে বাগে?

তবুও চোখ ফেটে যায় কষ্টে, বুক ফেটে যায় দেখলে জরাজীর্ণ মুখগুলো
অথচ এই সংসার এই উঠোনে কী দাপট তাদের,
কর্ম করেছেন নৈমিত্তিক উড়িয়ে ধুলো;
সবই শেষ হয়ে যায়, সব কিছুরই ঘটে যায়/যাবে ইতি,
কে বাড়াতে পেরেছে অনন্তকাল জীবনের সাথে সম্প্রীতি!

মুখগুলো চোখের আয়নায় উঠে ভেসে,
একদিন আমাদের দেখলে উনারা সুখে উঠতেন হেসে,
কী খাওয়াবেন বলে কী ব্যস্তই না হতেন একেকজন স্বজন
আমরা যাবো বেড়াতে, করতেন কত রান্নার আয়োজন,
আজ দেখতে গিয়ে তাদের, শুধু দেখেছি অশ্রজলের ধারা,
তুমুল কষ্ট তুফান ভিতরবাড়ীকে দিয়ে যায় নাড়া।

অসুখে ভোগে, বিছানায় ধরাশায়ী কেউ,
কারো জীবন পথে অভাব অনটনের ঢেউ,
কেউ বেঁচে আছেন জরায় আচ্ছন্ন হয়ে, ধুকে ধুকে,
আর কেউ ভালো থাকার মন্ত্র যাচ্ছে নিত্য ফুঁকে।

আমাদের নানাবাড়ী, দলবেঁধে বেড়ানোর দিনগুলো সেই,
মামাতো ভাইবোনেরা সবাই মিলে দিন কয়েক কেটে যেতো কত আনন্দেই;
হই হুল্লোড়, রাতে হারিকেনের আলোয় পেপারের বিড়ি,
আহা দিনগুলো আমাদের.... দূরত্ব যেন আজ পর্বত গিরি;
উঠোন জুড়ে আমরা খেলায় মগ্ন, পড়াশুনার চিন্তা শূন্য,
মামা মামীরা আমাদের পেয়ে হতেন কতই না ধন্য।

আজ এখানে আমি সমুদ্দুর এপারে, আর স্বজন'রা ওপারে,
হয় না দেখা কত বছর, কত সহস্র দিন, দুঃখ বাঁশি মন সেতারে;
হঠাৎ দেখতে পেয়ে হৃদয় আজ কষ্টে ভারী, বুকে ব্যথার পাথর,
কী জরাজীর্ণ মুখগুলো, দেখেই হয়ে পড়েছি বিষাদে কাতর।
(২৮-১০-২০২০)

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১০

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: সুন্দর

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকস এ লট ভালো থাকুন

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪০

অপ্‌সরা বলেছেন: স্বজনদের জন্য ভালোবাসা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ভালোবাসা স্বজনদের জন্য। স্বজনরা ভালো থাকুক

ধন্যবাদ আপুনি

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৫

কালো যাদুকর বলেছেন: বিদেশে যারা থাকেন, এটি আমাদের সব সময়ের কস্ট। মরে গেলেও শেষ দেখা হয় না। অনেকদিন পরে পরে যখন দেখা হয়, তখন অনেক পরিবর্তিত মুখ দেখা হয়। সে মুখে নতুন নতুন ভাঁজ থাকে।

সুন্দর কবিতা। কবিতার তারিখ পুরনো ।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম । আম্মা আব্বাকে ছেড়ে ঢাকা থাকি। তাও বছরে একবার যেতে পারি । নানাবাড়ী আম্মার সাথে প্রায়ই যেতাম আর এখন যাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারি না ;(

ধন্যবাদ কালো যাদুকর। হ্যা পুরোনো লেখাই এখানে দেই। ফেসবুকে হঠাৎ চোখে ভেসে উঠলে ভালো লাগে।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আসলেই কষ্টের! ভাল লিখেছেন

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খইরন
ভালো থাকুন ভাইয়া জি

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৫

সোহানী বলেছেন: হুম সত্যিই তাই।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জি আপু্। আমরাও জরাজীর্ণতায় আচ্ছন্ন হচ্ছি ধীরে ধীরে।

থ্যাংকিউ সো মাচ ভালো থাকুন আপুন

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৯

অক্পটে বলেছেন: ভালো লিখেছেন, আহারে জীবন! আহারে যৌবন! জীবনের এক একটা অধ্যায় আমরা পেরিয়ে যাই কত ঘটনাবহুল ভাবে।
কবিতাটি ভাবনার মধ্যে একটা ঢিল ছুঁড়ে গেল।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অধ্যায়গুলো আমরা পার করে যাচ্ছি জরাজীর্ণতার পানে। আমার শাশুড়ীকে দেখেছি কী করে তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যেতে।

থ্যাংকিউ সো মাচ
ভালো থাকুন অকপটে।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীবনের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে আপনার কবিতায়। আমরা সকলে সেই পথের যাত্রী।

কবিতাটা ভালো লেগেছে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সেই পথের যাত্রী আমরাও। বাচ্চারা বড় হচ্চে আমরা হচ্ছি বুড়ো

থ্যাংকিউ সো মাচ ভাইয়া
ভালো থাকুন

৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০

Ml Ali বলেছেন: ভাল লাগলো জীবনের স্মৃতিচারণ চরণে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই
ভালো থাকুন স্বজনরা ভালো থাকুক

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২২

অজ্ঞাতকুলশীল বলেছেন: আমি ছোট থেকেই নানীর আচলের ছায়ায় বড় হয়েছি। এখন মায়ের পরেই নানী আমার আপনজন।
কিন্তু ৬৯ এর বার্ধক্যে এসে তিনি তার নিজের ছেলে-মেয়েদেরকেই কখনো কখনো বোন, নাতি, ছোট ভাই ডেকে যাচ্ছে। নিজের বাড়িতে থেকেও বলে "আমি বাইত যামু, আমারে বাইত নিয়া যান"। আমার নাম বলে ডাকে, কিন্তু আমাকে দেখলে পরিচয় না দেয়া পর্যন্ত চিনেনা।
মাঝেমাঝে হাসিও পায়, একদিন হইছে কি:
আমার ছোট খালা মাছ এবং তরিতরকারি কাটছে নানী পাশেই বসেছিল, নানী তার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলে "তুমি এতো কাজ কাম করো, তোমার বাবা-মা তোমারে দেখতেও আসেনা!"
আল্লাহ আমাদের আপনজনদের ভালো রেখ....

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আহা নানা নানি নেই আমাদের নানা আমি ছোট থাকতেই মারা যান। নানী আমার চাকুরীর পর মারা গেলেন। আমার নানীর ১৫ জন ছেলেমেয়ে ০৯ জন ছেলে বড় হয়েই মারা গেল। দুইবোন আর চার ভাইয়ের ফ্যামিলি নিয়ে নানীর বিরাট সংসার তখন। তখন কেউ আলাদা হননি। সবাই এক সাথে যেতাম নানাবাড়ি। ভাত খাওয়ার টাইমে সবাই শীতল পাটি বিছিয়ে খেতে বসতাম সব মামীরা ভাত বেড়ে দিতেন আহারে সেই স্বাদ ভোলার নয়। পরবর্তীতে সবাই আলাদা হয়ে যান কিন্তু আন্তরিকতা আগের মতই এখনো বজায় আছে।

নানাবাড়ী গেলে দুঃখে মনটা কাঁদে চারজন মামী জরাজীর্ণতায় আচ্ছন্ন চারজনই বিছানাই সব। নড়াচড়া করতে পারেন না। :(

ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন

১০| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৯

অঙ্গনা বলেছেন: আমার খালা নানীর আদরের কথা মনে আসলো ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নানা নানি মামি খালা বড় আদরের। উনাদের আদর স্নেহের কথা ভুলতে পারবো না

ধন্যবাদ আপু

১১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: বাস্তবতা কবিতায় সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকিউ সো মাচ ভাইয়া
ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.