নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজের পোস্টের উত্তর দিতে দেরী হয় সেজন্য সরি।

কাজী ফাতেমা ছবি

সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।

কাজী ফাতেমা ছবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

=কনে দেখার প্রথম অভিজ্ঞতা=

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১০



এবার বাড়িতে গিয়েছিলাম ভাইয়ের ছেলের আকিকা অনুষ্ঠানে আর ছোট ভাইয়ের জন্য কনে দেখতে। কনে দেখার অভিজ্ঞতা আমার এই প্রথম।

আমাকে কনে হিসেবে একজন দেখেছিল যখন আমি কম্পিউটার বিজনেস করতাম সেই সেন্টারে। সেদিন বেটা বজ্জাত কিছু কথা বলে চলে গিয়ে বলেছিল কইন্যা বাইট্টা। তখন আমার বাংলাদেশ ব্যাংকের জব হয় নাই। যাই হোক আমার লক্ষ্যই ছিল একটা জবের। ২০০১ এ ঢুকছি বাংলাদেশ ব্যাংকে, তখন প্রশাসন বিভাগ প্রশাসন শাখায় কাজ করার সুযোগ হয় এবং সেখানকার বড় স্যার ভাবীরা তাসীনের বাপরে পাত্র হিসাবে দেখায়, সে সরাসরি কথা বলেনি আমিও না। যেহেতু একই অফিস দেখা করে কথা বলার প্রয়োজন হয়নি। ভাই ভাবীরা দুলাভাইকে খবর দিয়ে এনে প্রস্তাব পাঠায় । এবং ২০০২ এ আমাদের বিয়ে হয়ে যায়। কন্যা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার অভিজ্ঞতা আমার হয় নাই আলহামদুলিল্লাহ। আর আমাদের সময় এত সাজগুজের প্রচলনও ছিল না মনে হয়। অথবা আমি গ্রামের মেয়ে বলে কোনো সাজগুজ ছাড়াই একবার কনে হিসেবে মুখ দেখাইছি আর তাসীনের বাপে এমনেই দেখছে।

যাই হোক এবার ভাইয়ের জন্য কনে দেখলাম দুই জায়গায়। প্রথম যাই বাহুবল থানায় কনে দেখতে কনেদের বাড়ী। কথামত ঘটককে সাথে নিয়ে আমরা বিকেলে পৌছিঁ তাদের বাড়ী। রাস্তার পাশেই বাড়ীটি। আমরা তিনবোন আর দুলাভাই আর ছোট বোনের জামাই আর আন্ডা বাচ্চা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম।

বাড়িতে প্রবেশ করেই দেখি চারিদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, কনের বাবা এমনকি আপন চাচাও নেই। চাচাতো চাচারা আমাদের সাথে ছিলেন সারাক্ষণ। ওদের বাড়ির উঠোনটা পাকা। বাড়িগুলো এমন ভাবে করা হয়েছে যেন শহরের বাড়ীর মত মনে হয়েছে। একেবারেই গুছানো। ড্রয়িং রুমে বসে চারিদিক লক্ষ্য করলাম। দেখলাম দেয়ালের রঙের সাথে মিলিয়ে ঘরের পর্দা। উনাদের সাত আট'টা রুম হবে মনে হয়। উনারা আমাদের ড্রয়িং রুমে নাস্তা এনে দিলেন না সরাসরি নিয়ে গেলেন ডাইনিংয়ে । গ্রামের ডাইনিং হিসেবে তাদের ডাইনিং রুমটা ভালোই।

নাস্তার আইটেমগুলো খুবই সুন্দর এবং পরিপাটিভাবে টেবিলে সাজানো। অনেক নাস্তা ছিল সেদিন, পুডিং, পায়েস, নুডুলসসহ তিন চার জাতের পিঠা পুলি, আঙ্গুর আপেল থেকে ধরে পনেরো আইটেম হতে পারে আনুমানিক। সবই হাতের তৈরী ছিল। পুডিংটা বেশ লেগেছিল। ভদ্রতা প্রকাশ পেয়েছে ধাপে ধাপে। খেয়ে এসে বসলাম কনে দেখার অপেক্ষায়।

অবশেষে কনে আসলো আস্তে আস্তে করে। কিছু একটা গন্ডগোল বুঝেছিলাম। উনারা বলেছিলেন কনে ৫.২ ইঞ্চি। যাই হোক। কনেকে উনারা মেকাপ দিয়ে সাজিয়ে এনেছেন, এটা আমরা চাইছিলাম না। যাই হোক কথা বার্তা বলে কনে সহ আমরা তিনবোন ভিতরে গেলাম। কনের সাথে নানান কথা বললাম। তার কনেকে আমার আম্মা আব্বাকে দেখানোর জন্য ভিডিও কল দেয়ার সময় আমার ছোট বোন বললো বোন কিছু মনে করবেন না । তোমার জুতো খুলে ফেলো,. প্লিজ মাইন্ড করো না। কনে জুতা খোলার পর দেখলাম আমার বোনের সমান মানে আমার সমানই....... আমি আর আমার বোন দুইজনেই পাঁচফুটের নিচে। কিন্তু মেয়েটার চোখ মাশাআল্লহ, আর কী মায়াবী তার চাহনি। তিনবোনেরই কনে পছন্দ হয়ে যায় মুহূর্তে। যেহেতু কনে দেখার অভিজ্ঞতা আমার নেই আমি বললাম পরে ভেবে কথা বলতে হবে। শেষে কনের মা চাচীরা আসলেন।

গল্পের এক পর্যায়ে চা এল, উফ্ কী বলবো একেবারে আমার হাতের তৈরী চায়ের মতন। ঘন লিকার ওয়ালা চা। খেয়ে আরাম পেয়েছি। সেদিনের মত বিদেয় নিয়ে চলে আসলাম। রাতে আমাদের আলোচনায় উঠে আসলো মেয়ে খাটো এবং কালো। আমরা বোনেরা বলি মেয়ে এত কালো না কিন্তু বোন জামাইরা বজ্জাত দুইজনে কয় মেয়ে কালো খাটো। আমার ভাই বলেছে খাটো কোনো ফ্যাক্টর না আসল হলো ভদ্রতা পরিবেশ এবং তাদের আতিথেয়তা। এই আলাপ এখনো চলছে। তারাও আমাদের কথা বার্তা ফ্যামিলি পছন্দ করেছে। আমাদের বাড়ী আসতে চায়। আমরা চলে আসাতে সে সুযোগ হয়নি আর। কারণ আব্বা আম্মা বুড়ো মানুষ তারা কোনোভাবেই মেহমানদের যত্ন করতে পারবেন না। আমার ভাবতে এখন কষ্ট লাগে আমাদের ঘর দোর আর আগের মত নাই। আব্বার বয়স প্রায় নব্বই আর আম্মার বয়স ৭০ হতে পারে। দুইজনেই অসুখে আক্রান্ত। বাড়ীর জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে খালি কান্না পায়। ভাবি ভাইয়ের বউটা যেন গুছানো হয়। সেইজন্য এই কনেকে বেশী পছন্দ হয়েছে। কারণ তাদের বাড়ীঘর খুব সুন্দর গুছানো। কিন্তু আরেকটা জিনিসের জন্য আমার মন খারাপ হয়েছিল। এত সুন্দর বাড়িতে ফুলগাছ লাগানো হয়নি একটাও।

০২।

পরেরদিন গেলাম আমুবাগান চুনারুঘাট এ পাত্রী দেখতে। আমরাই আবার গেলাম কনে দেখতে। কনের বাবা রিটায়ার্ড আর্মি পার্সন, বড় দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে ব্যবসা করেন। কনের বাড়ীতে ঢুকেই মন খারাপ হয়, যেদিকে ঢুকবো উঠোনের মাঝামাঝি দেখলাম মেয়েদের কাপড় টানানো আর মেয়েদের সালোয়ার এমনভাবে রোদে দেয়া হয়েছে দেখেই মেজাজ বিগড়ে গেছে। আরে বাবা আমরা এসব কাপড় তুলে উঠোন পার হয়ে তোমাদের ঘরে যাবো। যেহেতু আগে থেকেই জান আমরা আসবো পাত্রী দেখতে। যাই হোক , পাকা বাড়ীর ড্রইং রুমে বসতে দিল, বসেই দেখি সোফার পাশে বিছানা আর সেই বিছানায় মশারীর তিন ডানা টানানো। যেহেতু পাত্রী দেখতে যাবো মশারীটা খোলা উচিত ছিল। মশারী খোলা হলো না দেখে আবার মন খারাপ হল।

আমরা বসার পর প্রথমেই কনের মা আসলেন। আমাদের এমন পরিবেশ বাহির থেকে কেউ আসলে আগে ছেলেরা যায় দেখা করতে। কিন্তু সেখানে কনের মাই আসলেন আগে এখানে দুলাভাই আর ছোট বোন জামাই ছিলেন। তারপর নাস্তা আসলো। ইয়া মাবুদ সমোচা দেখি বাজারের কেনা, সাথে দিলেন খেজুর আর আপেল। আপেলগুলো কাটাও হয়নি। বিচি সহ আপেলের আগা পাছা না কেটেই। বুঝলাম ধন থাকলেই রুচি হয় না অনেকের। শেষে পাস্তা দিলেন ঘরের বানানো সেটাও মুখে তোলা যায়নি।

তারপর কনে দেখতে আমরা ভিতরের রুমে চলে গেলাম। কনে ৫.২ লম্বা। মাত্র ইন্টার পরীক্ষা দিছে আমার বড় ছেলের সাথে। সে মেয়েটি মেকাপ করেনি। কিন্তু চেহারায় খুব মায়া লুকানো। এত ফর্সা না তবে কালোও না। উনাদের সব বোনের দেখলাম মাঝখানে দাঁত ফাক। সেটার জন্য আবার বিশ্রিও লাগছিল না। মেয়ের হাতে ধরে দেখি সে ঘেমে যাচ্ছে। ছোট বোন বললো বইন তুমি ঘাবড়ে যাচ্ছো কেন, তুমিও আমাদের বোন নো টেনশন।

এক পর্যায়ে চা আসলো, উনারা চাও সঠিক বানাতে পারলেন না। এক চুমুক দিয়ে সবাই রেখে দিলাম। অনেক কথা বার্তার পর চলে এলাম বাড়ীতে। এদের পরিবেশ দেখে আমাদের পছন্দ হয়নি তাই কথা আগে বাড়লো না আর।

আসলে এগুলো কারো বদনাম না, ধন সম্পত্তি থাকলেই হবে না। রুচি থাকতে হবে। গুছানো হতে হবে। ভদ্রতা মনে হয় এটাকেই বলে। পাত্রী দেখতে গেলে কত কিছু বিবেচনা করতে হয় মাগো মা। একেকজনের ভাবনা চিন্তা একেকরমের। এমনিতে দেখি হাজার লক্ষ মেয়ে, লক্ষ লক্ষ ছেলে যেই না পাত্র পাত্রি দেখতে যাওয়া হয় তখন দেখা যায় পাত্রও নাই পাত্রীও নাই। এটা আমার প্রথম কনে দেখার অভিজ্ঞতা। প্লিজ যা সত্য ঘটেছিল তাই বললাম এখানে কোনো পরিবারকে ছোট করার প্রয়াস ছিল না। অনেকের এমন অভিজ্ঞতা আছে হয়তো। আবারও বলছি এসব আমার অভিজ্ঞতা কারো বদনাম নয়।

সবচেয়ে বড় সত্য হল, জন্ম মৃত্যু বিয়ে সব আল্লাহর হাতে। আমার ভাইয়ের জোড়া যার সাথে, তার সাথেই ইংশাআল্লহ বিয়ে হবে। আমাদের দেখা অদেখায় কিছুই হবে না যদি না আল্লাহর ইচ্ছা থাকে।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: তুমি তো বাইটটা না ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পাঁচ ফুটের নিচে তো বাইট্টাই থাকে বলে। থ্যাঙ্কিউ

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০০

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: ভাল লেগেছে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৪৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ অনামিকা

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের আর পরিবর্তন হলো না।
যুগ যুগ ধরে একই ভাবে চলছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: পরিবর্তন হয়েছে ত। এই দেখাটা আমাদের এখানে চলে। দেখা পর্যন্তই, কনেকে আগের মত হেনস্থা করা হয় না

৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

মিরোরডডল বলেছেন:




ছবিপু,
বিয়ে করবে তোমার ভাই, সংসার করবে ভাই, তোমরা বোনরা কেনো মেয়ে দেখছো?
ছেলে মেয়ে ওদের জানাশোনা হওয়াটা জরুরি।

রাতে আমাদের আলোচনায় উঠে আসলো মেয়ে খাটো এবং কালো।

হোয়াট??? সিরিয়াসলী !!!
এযুগে এখনো এভাবে মেয়ে দেখা হয়, আবার এরকম সমালোচনাও হয় :(
লুক দিয়ে কি হবে! মানুষটা কেমন সেটা ইম্পরট্যান্ট।

পুরো পৃথিবী যখন সামনে এগিয়ে যায়, আমরা তখন পেছন দিকে হাঁটছি :((

সবচেয়ে বড় সত্য হল, জন্ম মৃত্যু বিয়ে সব আল্লাহর হাতে।

তাই নাকি? কিন্তু পোষ্ট পড়ার পর মনে হচ্ছে তোমরা তিনবোন আর বোনের জামাইদের হাতে।:P

আমার ভাইয়ের জোড়া যার সাথে, তার সাথেই ইংশাআল্লহ বিয়ে হবে। আমাদের দেখা অদেখায় কিছুই হবে না যদি না আল্লাহর ইচ্ছা থাকে।

বোঝোই যখন তাহলে তোমরা ক্যামেরার সামনে থেকে সরে দাঁড়াও।
নায়ক নায়িকাকে স্ক্রিনের মাঝে এন্ট্রি দাও।
ওরা দুজন দুজনের সাথে কথা বলবে।
ব্যাটে-বলে ম্যাচ করলে প্রসিড করবে, আর নয়তো টাটা গুডবাই, নেক্সট :)


৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৫৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু ভুল বুঝো না। ভাইয়ের সম্মতিতেই দেখতে গিয়েছিলাম। এখন ভাইয়ের উপরে ছেড়ে দিয়েছি। সে গিয়ে দেখুক কথা বলুক, তার বুঝে পড়লে বিয়ে হবে, না হলে নাই। বিয়ের আগে বাড়িঘর দেখা লাগে। হুটহাট ত আর কাউকে বউ করে আনা যাবে না। কনে দেখার চল অনন্তকাল ধরেই চলছে। তবে আগের মত কনেকে হাঁটিয়ে গান গাওয়ায়ে নানান কথার বুপাকে ফেলা হয় না। এই দেখাটা নরমাল ছিল। মানুষ যেমন দেখতে তেমনই ত বলতে হবে। শহর বলেন গ্রাম বলেন কনে না দেখে কে বিয়ে করতে যায়। সবাই ত সুন্দরই চায়। সুশ্রী ভদ্র গুছানো এগুলো বাহির থেকে বুঝা যায় না। তাই এই আয়োজন ছিল

দেখে এসে আমরাও বিব্রত হয়েছি সত্যিই। এভাবে আর দেখতে যাওয়া হবে না। ভাইকে বলেছি তুই আগে দেখে পছন্দ করে জানালে আমরা দেখতে যাব। এমনভাবে দেখতে গেলে একটা পরিবারের উপর কষ্টের ঝড় যায়।

এইটুকু বিবেচনা আমাদেরও আছে বইন। যারা ছি ছি করতাছে গিয়ে দেখেন তারাই এমন করে কত পাত্রী দেখতাছে। বাংলাদেশে এমনই চলে। সরি আর কইন্যাই দেখমু না।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

শিশির খান ১৪ বলেছেন: আপু , খুব সুন্দর ভাবে আপনার কনে দেখার অভিজ্ঞতা ফুটিয়ে তুলেছেন।মজাই লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা। আমার কাছে হবিগঞ্জ এর মেয়েদের একটু ঝগড়াইট্টা মনে হয় হবিগঞ্জ এর মেয়েরা চিল্লায় চিল্লায় কথা বলে অবশ্য সবাই এক রকম হয় না।এই রকম খুটায় খুটায় পাত্রী বা পাত্র দেখা টা আমার কাছে কেমন জানি অপমান জনক মনে হয় অনেকটা কোরবানির গরু দেখার মতো।শহর হইলে অফিস বা রেস্টুরেন্ট এ পাত্রী দেখা যাইতো কিন্তু চুনারুঘাট এ তো তা সম্ভব না। তবে আপু আপনার ঘর এর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা দেইখা মন মানসিকতা বুঝার কৌশলটা ভালো বুদ্ধি মনে হয়েছে।আপু এক দিন আধা ঘন্টা পাত্রীর চেহারা আর উচ্চতা দেইখা কি মন মানসিকতা বুঝা যায় ? অচেনা ঘটকের দেখানো পাত্রী আমার কাছে কেমন জানি জুয়া জুয়া মনে হয়।বিয়ার পর যদি দেখেন অন্য রকম মন মানসিকতা তখন কি করবেন ?বাবা মার্ সেবা করবে কিনা সেটাই বা আগে ভাগে কি ভাবে বুঝবেন তবে অল্প বয়সের মেয়ে দের ধৈর্য কিন্তু একটু কম হবার কথা আপনার ভাই এর বয়স কি রকম সেটা কিন্তু বলেন নি সেটা শুনলে একটা আন্দাজ পাওয়া যাইতো। যাক আপনার বর্ণনা অনুযায়ী আমার কিন্তু প্রথম মেয়েটাই ভালো মনে হয়েছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ঝগড়াইট্টা সব খানেই আছে ভাই। তবে গলা বড় আমাদের আস্তে কথা কইতে পারি না। মানুষের চেহারা দেখলে অনেকটা আঁচ করা যায়। তবে আমি বরাবরই ঠকি। ভালো মনে করি কাউকে শেষে একদিন দেখি মানুষটা তেমন যুইতের না

এই দুই দেখাই শেষ আর দেখব না, ভাইকে জানিয়ে দিয়েছি। এমন করে দেখতে যাওয়া ঠিক না। আম্মা আব্বার অনুরোধে গিয়েছিলাম। আগে পাত্রী পছন্দ করতে হবে ভাইকে তারপর লোক লাগিয়ে পরিবারের খোঁজ নেয়া হবে। যারা অরুচিকর বলতেছে তারা কনে পরিবার কনে না দেখেই বিয়া করছে। মহান পুরুষ।

ধন্যবাদ আপনাকে

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

রানার ব্লগ বলেছেন: ট্রিপিক্যাল বাংগালী আচার!! ভাগ্যিস বলেন নাই হেটে দেখাও, চুল খুলে দেখাও, ওজু করে দেখাও।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: না এসব দেখা অভদ্রতা। এটা স্বাভাবিক পর্যায়ের কনে দেখা ছিল। আমরা এভাবে যাব না আর।
দেখা যাক কী হয়।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মানুষ তো এখন টাকা দেখে ।বিশেষ করে কনে পক্ষরা সরকারি চাকরিজীবি না হলে মেয়ে বিয়ে দিতে চান না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম তাও ঠিক। কিন্তু কিছু মা বাবা মেয়ের পড়াশুনার শেষ হওয়ার আগেই বিয়ে দিতে চায়। ধন্যবাদ ভাইয়া

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাই রে কই আছি !!!!!
আল্লাহ জানে মেহমানদারী সামলাতে মেয়ের পরিবারের উপর দিয়ে কী যাচ্ছে।
বর্ণনা ভালো হয়েছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপুরে গ্রামে এভাবেই পাত্রী দেখে। শহরে রেস্টুরেন্টে চলে যায়। আমাদের তো রেস্টুরেন্ট নাই। আর মা বাবা মেয়েকে এভাবে দিতে চান না যেতে বাহিরে। কিত্তাম।

৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

শায়মা বলেছেন: হা হা আমার খুবই মজা লেগেছে।

আর লেখাটা পড়ে বুঝলাম একদম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে জানো তুমি আপুনি!!!!!!!!

যাইহোক কালো বেটে মেটে এইসব না দেখে ঐ যে ঘর বাড়ি গুছায় রাখে রুচিসন্মত খানাপিনাও মজাদার এমন মেয়েই আমার পছন্দ। তবে উপরে উপরে দেখে কিছুই বুঝা যাবে না কোনটা সাদা সাদা কালা কালা ....... :)



আর ঐ যে গুছায় রাখে না চা টাও বাজে সেই মেয়েটাকেও আমার পছন্দ....... কি হবে এত পাত্তা দিয়ে??? গজতে ড্যাম কেয়ার মানুষেরও দরকার আছে।

দুইটার সাথেই বিয়ে দিয়ে দাও ভাইকে আপুনি! :)

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমি কিছুই জানি না আপু। সবাই নিয়ে গেল সাথে গেলাম। কালো বেটে এসব ব্যাপার না। আসলে পরিবেশ না দেখলে বুঝা যায় না মানুষ কি রকম।

আজকাল মেয়েরা হল নেটের যুগের মেয়ে সিরিয়াল যুগের মেয়ে এরা সাংসারিক কাজ পরিচ্ছন্নতাকে নিজের উপর বোঝা মনে করে। এই বিষয়ে ইদানিং কালের বউদের অবস্থা দেখে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছে। মন তখন খারাপ হয় যখন দেখি ঘরদোর এলোমেলো, রান্নাঘর পরিষ্কার না, বাথরুম নোংরা। এখনকার গ্রামের মেয়েরা সিরিয়াল দেখতেই ব্যস্ত দেখি গ্রামে গেলে। আমাদের উঠোন বাড়ির আশপাশ একেবারে রাস্তা পর্যন্ত আমরা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার রাখতাম আর এখন জঙ্গল হয়ে গেছে। কারো এসব দেখার সময় নেই। আমার লাগানো ফুলের বাগান মরে পরে আছে।

এসব ভাবনা থেকেই আসলে গিয়ে বাড়িতে কনে দেখার সিদ্ধান্ত ছিল। এখানে সবাই ছি ছি কইতাছে এদের জিগাও কত কন্যা দেখে শেষে বিয়ে করছে। যদিও আমরা এত খুটিয়ে দেখিনি। কথা বলেছি আর উচ্চতা দেখেছি।

আর দুইটারে বিয়া করাইলে ঝগড়া থামাইবো কেডায়। তোমার কাছে পাঠায় দিমুনি।

আমাদের সামনের বিল্ডিংয়ে নাকি এক বেডার দুই বউ। সে কী করলে উপর নিচ দুইটা ফ্লাট কিনছে । বেডার কত সুবিধা দেখ। একদিন এই বাসার রান্না মজা না হইলে আরেক বউয়ের বাসায় গিয়া খাইবো। বদ বেডা।

১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু, বর্ননা পড়ে যা বুঝলাম তা হল আপনারা আসলে কনে দেখতে যান নাই, কনে দেখার নাম করে একটু খানাপিনার উদ্দেশ্যে গিয়েছেন । :D তানাহলে যার বিয়ে সে না গিয়ে অন্য এত লোকজন কেন যাবে ?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাইরে বয়স হইছে। এখন খাওয়া দাওয়ায় আর লোভ নাই এত খাবারের মাঝে খালি পুডিংটাই খাইছি। এত লোকজন বেড়াইতে গেছি। আনন্দে গেছি ঘুরতে গেছি।

থ্যাংকিউ সো মাচ

১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমি কিচ্ছু কমু না। জোশ কইরা পোস্ট টা পড়লাম। আরো বেশি জোশ কইররা পড়লাম কমেন্টস গুলা। ডল, শিশির আর শায়মাপুর কমেন্টস বেশি ভাল্লাগসে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

সবার কমেন্টই জোস....
এবার দিলখুশ?

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: আপনারাতো একই অফিসে চাকরি করতেন।এবার বলুন বিয়ের আগে কতো দিন এক সাথে সিনেমা দেখেছেন ও চাইনিজ খাবার খেয়েছেন।
সোয়েটার চলচিত্রে সুন্দর কনেদেখার দৃশ্য আছে।
গৃহপালিত ভাইটিকে এবার একটু ঘরথেকে বের করুন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বিয়ের আগে একদিনও কথা হয়নি । দেখাও করিনি। কথা পাকাপাকি খুবই দ্রুত হয়ে গিয়েছিল। আমি ২০০১ এর মে মাসে জয়েন করি ব্যাংকে আর বিয়ে হয় ২০০২ এর জুন মাসে। ২০০২ সালেই বিয়ের কথা বার্তা চলছিল। অপরিচিত ব্যক্তির সাথে একা রেস্টুরেন্ট সিনেমা বাপরে এত সাহস আমার কোনোকালেই ছিল না। এখনো এই সাহস নাই। এইবার একা যাবো বলে তো ব্লগ ডেতেই যাবো না।

আপনারা গৃহপালিত? মানে ছেলেরা?

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাইন্ড করবেন না। আমি আমার ছোট মেয়েকে কখনও এভাবে দেখতে দিব না যদি আমি বেচে থাকি ঐ সময়।

আসলে এভাবে না দেখে কোন মার্কেট, পার্ক, রেস্তোরা বা ঘোরার জায়গায় উভয় পক্ষ আসা উচিত। এখন সেটাই হয়। আর ছেলে মেয়ে একে অন্যকে দেখবে বুঝবে। এটা আগে। পরিবারের বেশী জড়িত হওয়া ঠিক না।

যে মেয়েগুলিকে রিফিউজ করা হবে ওদের নিয়ে গ্রামের সমাজ নানা কথা ছড়াবে। ওদের বিয়েতে সমস্যা হবে। তাই এত ঘটা করে দেখাটা আমার পছন্দ না। এভাবে দেখলে এই মেয়েরা নিজের উপর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, সেলফ এসটিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিজেকে পণ্য মনে করে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: না ভাইয়া মাইন্ডের কিছু নাই । আমার ছেলেদেরও বলবো আগে পছন্দ কইরা আয় বেটারা পরে জানাইস ফ্যামিলি সম্পর্কে খোঁজ নিয়াম নে। এভাবে দেখাটা ঠিক হয়নি আমরাই উপলব্ধি করেছি যদিও লেখাতে এইটুকু অংশ বাদ গেছে সরি। আর দেখবো না দেখবো না দেখবো না। যে বিয়া করবো সে গিয়া দেইখ্যা আইয়া কইলে আমরা খোঁজ নিমু।

হ্যা সত্যিই এটা বিব্রতকর মেয়েদের জন্য। কিন্তু গ্রামে এমন কালচারই। প্রায়ই এইসব আয়োজন হচ্ছে চারিদিকে। যে সমাজে বাস করি সে সমাজের রীতি কিছু্টা হলেও মানতে যে হয় এজন্য। তাছাড়া আব্বা আম্মার অনুরোধে গিয়েছি। আমি এমনিতেই বাড়িতে বছরে একবার যাই তাই আর হয়তো দেখাই হবে না কনে।

আচ্ছা আপনার মেয়েকে কী করে দেখাবেন বা কেমন করে কনে দেখালে বিষয়টি সুন্দর হয় আর পরিবার বংশ এসব কীভাবে খোঁজ নিতে হয়? পরিবার না দেখলে তো শেষে পস্তাতে হয়। আপনার অভিজ্ঞতা প্লিজ শেয়ার করবেন কারণ আমাদেরও ছেলে মেয়ে আছে ভবিষ্যতে যাতে বিব্রত না হই অথবা কাউকে বিব্রত অবস্থায় ফেলতে না পারি সে জন্য এ বিষয়ে আপনার ধারণাগুলো জানাবেন।

থ্যাংকিউ সো মাচ ভাইয়া জি

১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৮

মামুinসামু বলেছেন: "বাগানের" জন্যে শুভ কামনা রইলো।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আচ্ছা। থ্যাংকিউ

১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১০

কলাবাগান১ বলেছেন: মাইনাস বাটন থাকা জরুরী.....

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আবেদন পত্র লিখুন এডমিন বরাবর

১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

শ্রাবণধারা বলেছেন: অরুচিকর একটা পোস্ট। এই নিম্ন মানসিকতাকে এভাবে উপস্থাপনের কোন প্রয়োজনই ছিল না!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই নিম্ন মানসিকতা নিয়েই বাংলাদেশের মানুষ বড় হচ্ছে, বিয়ে করছে সংসার করছে। অকে ফাইন

১৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৩৫

স্প্যানকড বলেছেন: শেষ দিকের ইন শা আল্লাহ লিখাটা ঠিক করেন প্লিজ। আসলে দেশের মানুষের উন্নতি হইল না। অবশ্য এখন দেশের বেশির ভাগ মানুষ মেয়ে মানুষ বলতে ধলা চামড়া বুঝে আর পুরুষ বলতে মালদার পাত্তি ওয়ালা খোঁজে। ভালো থাকবেন খুব।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উচ্চারণ এভাবেই সঠিক স্প্যানকড, আমাদের আগের উচ্চারণ সব ভুল
হ্যাঁ ঠিক ধলা চামড়ার দাম বেশি।

তবে আমরা একেবারে ফর্সা বা একেবারে কালো খুঁজি না, মোটামুটি হইলেই চলে। ধন্যবাদ

১৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:



সাড়ে চুয়াত্তর পার্ফেক্ট বলেছেন:
তার কমেন্টে লাইক দিলাম।
শ্রাবণধারাও বলেছেন: অরুচিকর একটা পোস্ট।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনি সহ সবাই পার্ফেক্ট বলেছেন। আমরা এই নিম্ন মানসিকতা নিয়েই বাংলাদেশে বসবাস করছি

১৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০২

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আমার বড় আপার বিয়ে হয় ১৯৭৭ সনে, এরপর আরও পাঁচ বোনের বিয়ে হয়েছে। আমি দেখেছি কনে দেখা পুরো বাড়িতে কি বিরূপ প্রভাব ফেলে। এই পোস্ট সরিয়ে ফেলে নিজেকে আয়নায় দেখুন বোন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হ্যাঁ এটা বিব্রতকির পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। আমরা এমনভাবে দেখব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু গ্রামে এমনই চলে আসছে।

২০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এরকম করে মেয়ে দেখাকে আমার কাছে হাটে গরু-ছাগল বিক্রির মতো লাগে। একদম অসহ্য ব্যপার। এটা মানা যায়না।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একদম ঠিক। আমরা নিজেরাই লজ্জিত হয়েছি। আর সিদ্ধান্ত নিয়েছি এমনভাবে আর দেখবো না। কিন্তু গ্রামে এরকমই হয়ে আসছে। শহরে থাকলে অন্য ব্যবস্থা করা যেত।

আর দেখবো না আমরা এমন করে।

ধন্যবাদ আপনাকে

২১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনাদের কাজটা ঠিক হয়নি। অহেতুক দু’টা পরিবারকে খাটিয়ে নিলেন।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এমন খাটানো আমরারেও মাইনষে খাটাইছে। যদিও আমাদের উদ্দেশ্য এরকম ছিল না। পরে ঠিক করে নিয়েছি এভাবে দেখতে যামু না। রেস্টুরেন্টে গেলে দেখি আরও বেশী খরচ তখন? আমরা সালামি দিয়া আসছি তো পোষাইয়া নিবো নে তারা :)

থ্যাংকিউ

২২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

বিটপি বলেছেন: আফসোস! আমার জীবনে কোন কনে দেখলাম না। একজনের সাথে প্রেম করেছি তিন বছর, তারপর তাকেই বিয়ে করেছি। বিয়ের পরে নাকি অন্যের বউকে আকর্ষণীয় লাগে শুনেছি, কিন্তু আমার বউয়ের কাছে দুনিয়ার সব মেয়েকেই পাইনসা লাগে। যত বয়েস বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে ওর সৌন্দর্যও ফুটছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ বাকি জীবন সুখে রাখুন আপনাদের। আমিই আমড়ার প্রেম করতে পারি নাই। এত ছোট খাটো ছিলাম কেউই পাত্তা দিত না। আমারে দিয়া বন্ধুরা চিঠি আনা নেওয়া করতো। এখন যদি সেই সময়টা পাইতাম প্রেমিক বন্ধুদের নাকে ঘুষি দিয়ে প্রেম ছুটাইতাম হাহাহা

ধন্যবাদ ভালো থাকুন

২৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষকে হতে হবে যোগ্য ও দক্ষ। শিক্ষিত। আধুনিক। উদার। কুসংস্কার মুক্ত। মানবিক ও হৃদয়বান।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: তাতো বটেই । ধন্যবাদ আবার আসার জন্য

২৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

মামুinসামু বলেছেন:
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আচ্ছা। থ্যাংকিউ

আপনাকেও ধন্যবাদ :)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো থাকুন

২৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪২

জগতারন বলেছেন:
এই লেখিকার অনেক লিখাই আমি এই ব্লগে পড়িয়াছিলাম আজকের লিখাটি পড়িলাম
সেই সাথে শকলের মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্য।

হ্যাঁ,
এটা স্বীকার করিতে হয়; আধুনীক যুগে এই এইভাবে আর কনে নির্বাচন করা ঠিক নয়।
কিন্তু ইহাই আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতিতে বহুদিন ধরিয়া চলিয়া আসিয়াছে।
ইহা এতো সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভবনা।
আমি এই পোষ্ট পড়িয়া যাহাতে মুগ্ধ তাহলোঃ
এই লেখিকার দৃষ্টি, প্রতিয়মান অবস্থা পরপ্রেক্ষিতে বর্ননা,
দৃষ্টী ভংগী, ও উপলব্ধী দিয়ে বর্তবান অবস্থার বর্ননা এবং বিচার।
তার পর তাহা মনে রাখিয়া লিখিয়া এখানের পাঠক/ পাঠীকাদের সাথে শেয়ার করা।
এ রকম কাজ সবাই পারে না।
তাই আমি পোষ্টোটিতে লাইক দিলাম।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাজাকাল্লা খইর জগতারণ ভাইয়া
ভালো থাকুন ফি আমানিল্লাহ

২৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশে পারিবারিক বিয়ে এভাবেই হয়, এটা নিয়ে লেখককে এত হেনেস্তা করার কি হলো? ১০ বছরের প্রেমের বিয়ে যেমন ১ বছরও টিকে না আবার একদিনের দেখাতে বিয়ে সারাজীবন টিকে।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জ্যাক
ভালো থাকুন খুব।

২৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: ডিম নাকি মুরগী, কোনটা আগে?

চিরায়িত সামাজিক নিয়ম বদলানো সাধ্যে কার ?


আমরা যারা মেয়ে দেখারা প্রচলিত এই নিয়মের বিপক্ষে বলছি তাদের মাঝে কত জন ভিন্ন নিয়মে মেয়ে দেখিছি বা দেখবো।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: তাদের কাছে এ প্রথা রুচিহীন লেগেছে । অথচ বিয়ে করার সময় কয়টা মেয়ে দেখেছে কে জানে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য থ্যাংকিউ সো মাচ ইমতিয়াজ ভাই
ভালো থাকুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.