নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
©কাজী ফাতেমা ছবি
মুগ্ধ তুমি মুগ্ধতা ছড়িয়ে হারিয়ে গেলে অজানায়
উড়বে না আর এখানে স্বাধীনতার ডানায়;
বন্ধু রবিউলের একটি রক্তাক্ত জবানবন্দি
সে রক্ত যে তোমারই মুগ্ধ
যে রক্তে ভিজে গেছে রাজপথ, সবুজ ঘাস।
তোমার স্মৃতিগুলো রবিউল উড়িয়ে দিয়েছে হাওয়ায়
রাতের কুয়াশা, বৃষ্টির জল টিনের চাল গড়িয়ে
ভিজিয়ে দিত স্বপ্ন ঘুমের আরাম কাঁথা;
তুমি তো তা শুকাতে দিতে না। তোমার বন্ধু
কতটা ভালোবাসতো তোমায়, সবকিছু পরিপাটি করে
এনে দিত তোমার সম্মুখে।
কী মনোযোগী ছাত্র তুমি, ক্লাস করতে না কখনো মিস
সবাই হাসতো, বলতো পড়া পাগল ছেলে;
দুরন্ত তুমি, অথৈ মেধা বুকের ভেতরে নিয়ে
তুমি হারিয়ে গেলে শূন্যে।
কী মায়া তোমার মুখে বাবা, তুমি তোমার মায়ের একা ছেলে নও
তুমি কোটি মায়ের ছেলে আজ;
কত মা কেঁদেছে তুমি কী তা দেখেছো মুগ্ধ;
সহপাঠীদের প্রিয় তুমি, মেধার মূল্যায়নে নেমেছিলে রাজপথে।
তুমি যখন পানি লাগবে পানি লাগবে বলে আগাচ্ছিলে পথ
আমরাও মুগ্ধ হয়ে দেখেছি, কে জানতো খানিক বাদেই তুমি হয়ে যাবে নাই
কী করে পারলো ওরা আমাদের করের টাকায় কেনা বন্দুকের গুলিতে
তোমার বুক ঝাঁঝরা করে দিতে!
প্রিয় মুগ্ধ আমিও তো মা, তোমার মুখখানায় আমি আমার ছেলের মুখ দেখি
ক্লান্ত হয়ে যখন বসেছিলে দু'দন্ড
ভাবতেও তো পারো নি, চলে যাবে নিশ্চুপ চাপা অভিমান বুকে নিয়ে
সহসা ভাগ্যরেখায় এসে লাগবো মারণ বুলেট, তুমি লুটিয়ে পড়লে।
তুমি তো চেয়েছিলে ছুটিতে ঘুরতে যাবে দলবেঁধে
টিকেট কেটে ফেলেছিলে, কত পরিকল্পনা ছিল জীবন নিয়ে
স্বপ্ন পূর্ণতা পায়নি মুগ্ধ, তুমি ফ্রি ল্যান্সার ছিলে
সম্মানের সাথে বয়ে এনেছিলে দেশের জন্য সুনাম;
মুগ্ধ বড্ড তাড়া ছিল বুঝি যাওয়ার।
তুমি হেরে যাওনি, তুমি ঝরা সফেদ পালক
তুমি মরে গিয়েও হয়েছো অমর
মুগ্ধ তুমি ইতিহাসের পাতায় করে নিয়েছো স্থান;
কোটি মানুষের দোয়া তোমার সঙ্গে
রব তোমাকে নিশ্চয়ই জান্নাতে দেবেন ঠাঁই।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কান্না এসে যায়
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুগ্ধ কে হত্যা করেছিল শিবির।
মুগ্ধ আন্দোলনে ছিল ঠিকই।
কিন্তু শেষদিকে মুগ্ধ এদের তৎপরতা কিছুটা বুঝতে পেরেছিল, জামাত শিবিরের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিল। এবং বিভিন্ন সহপাঠীকে সাবধান করছিল,
এটা বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক তাকে মাথায় এক রাউন্ড গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু হট্টগলের ভেতর কেউ বুঝেনি কে হত্যা করলো।
কিছু দিন পর হত্যা ও স্ট্যাটাস নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে, আবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
কুচক্রিরা হত্যার দায় পুলিশ ও সরকারের ঘাড়ে দেওয়ার জন্য প্রথম আলো ও বিবিসি কে দিয়ে একের পর এক স্টোরি তৈরি করে যাচ্ছে, অথচ সেই সময় পুলিশের কোন হামলা ছিল না, পুলিশ ব্যবহার করে শটগান আর আর রাবার বুলেটের রাইফেল, আর মুগ্ধ মারা গেছে পিস্তলের ১ রাউন্ড গুলিতে মাথায়। আর পত্রিকার ফরমায়েশি লেখাগুলো পড়ে বুঝা যায় কেন একটি যুবকের মৃত্যুর জন্য এত কাহিনী এত এত পৃষ্ঠা অযুহাত লিখতে হয়। পুরনো ভিডিও ছড়িয়ে সহানুভূতি আদায়। কিন্তু তার শেষ স্ট্যাটাস এবং বন্ধুদের কাছে কি বলেছিল সেগুলো কোন ফরমায়েসি পত্রিকার রিপোর্টে খুঁজে পাওয়া যায় না।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৪৯
করুণাধারা বলেছেন:
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ঘটনার মোড় ঘুরাতে মানুষগুলো উঠে পড়ে লেগেছে। মুগ্ধ জান্নাত লাভ করুক দোয়া করি
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:০৬
নব অভিযান বলেছেন: ব্লগ কর্তৃপক্ষ কি নিয়ম মেনে চলছে?
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কেন কী হইছে?
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:২২
হাবিব ইমরান বলেছেন:
হাসান কালবৈশাখীর কাছে কি এই পোস্টে করা কমেন্টের কোন স্পষ্ট প্রমাণ আছে? নাকি দলান্ধতার কারণে অহেতুক, বানোয়াট একটা কাহিনি প্রচার করছেন?
শেষ পর্যন্ত মুগ্ধকে মারার ব্যাপারটাও আরেকজনের উপর চাপিয়ে দিলেন? আহ হা।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। উনার সিচুয়েশনটা বুঝতে পারেননি হাহাহা
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৫৭
সামরিন হক বলেছেন: ওদের আল্লাহ জান্নাত দান করুক।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিন
জাজাকিল্লাহ খইর
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২১
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: একরাশ মুগ্ধতা। আমরা মুগ্ধের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিন
অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকুন
৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মর্মান্তিক।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই
ধন্যবাদ
৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:২৯
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী
এখানে ছিলো, সে নিজে দেখেছে। সে নিজে দেখেও বুলেটটি রুখে দেয়নি। গু*লিটা দেখে চলে আসছে। ছাত্রদলের সংহতি প্রোগ্রামে আমি ছিলাম, সেখানে গুলি করার পুলিশী স্টাইল আর ধরনটি দেখেছি।
প্রথমে টিয়ার মারে, ছেলেপিলে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে, তখন মারে ছোঁড়া গুলি। ফাইনালি টার্গেটেড লোককে মারে স্টেনগান, এসএমজি, একে৪৭, স্নাইপার থেকে গুলি।
মীর মুগ্ধকে মেরে ফেলার স্টাইলটিও একই। একদম ঠান্ডা মাথায় তাক করে গুলি করেছে স্নাইপার থেকে যা ধোঁয়ায়ও ছেলেটিকে স্পষ্ট দেখেছে। এগুলো প্রশিক্ষিত বাহিনী ছাড়া অসম্বব।
হাসান কালবৈশাখীরা আর রাজনৈতিক অন্ধত্বে মানুষের জীবনবোধ দেখছে না।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উনাদের বুঝিয়ে লাভ নাই। দলকানা
ধন্যবাদ আরেফিন
১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫
জটিল ভাই বলেছেন:
আল্লাহ্ জান্নাতবাসী করুন। আমিন।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমিন
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:২১
শায়মা বলেছেন: ভিডিওটা দেখলেই কলিজা কেঁপে ওঠে।