নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। লেখকের অনুমতি ব্যতীত যে কোন কবিতা, গল্প, ছড়া, ছবি পোস্ট করা হতে বিরত থাকবেন।
বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে দেয় জ্বলন্ত আগুনে। হাসিমুখ, মনে অতৃপ্তি, ইচ্ছেগুলো গোপন গোপন হোলি খেলে বুকের উঠোনে।
কথার ভুল, কাজের ভুল, হাসিতে ভুল, নারীর কান্নাতেও যেন ভুল। বুকের গহীনে কত যে কান্নার ঢেউ, সেকি! জানলো কেউ?
আত্মজদের মুখে ফুটাতে হয় হাসি, কর্তার চোখে এনে দিতে হয় মুগ্ধতা। ফরমায়েশের সুতোয় বাঁধা নারী, ভাঙা স্বাধীনতার ডানা। ওড়তে গিয়েও ফিরে আসতে হয় পিছুটানে।
নারী রোজগারের কড়িতেও স্বাধীনতা হারিয়ে সাঁতার কাটে অবহেলার নদীতে। তুচ্ছ তাচ্ছিল্যেতার সীমায় পা রেখেও ঠোঁটে হাসি, যেন সংসার পেয়েই তার পাওয়া হয়ে গেল একশত সাত সমুদ্দুর সুখ।
বাঁধা বিপত্তির মুখে ছাই ছুঁড়ে কোন নারী স্বাধীনতার উঠোনে পা রাখলেই তার কপালে বেহায়াপনার লাগে তকমা।
মুখ গুঁজে কথার অপমান সয়ে কত কত নারী টানছে নিরবে সংসারের ঘানি। কয়টা নারী পেয়েছে শুনি, এক গুচ্ছ ফুল, এক গাঁছি কাঁচের চুড়ি, বেলীর মালা অথবা বর্ষার কদম?
কয়টা নারী পেয়েছে সহসা সারপ্রাইজ! বলে বলে না পেয়েই নারী ইচ্ছেগুলোর মুখে ছিপি লাগিয়ে করে যায় সুখে নৈমিত্তিক কর্ম। নারীর ইচ্ছের মূল্য এক আনা দুই সিকি, অচল অচল অচল।
নারীর রক্ত ছোঁয়া স্বজনদের রাখা হয় অবহেলার পাত্রে। মূল্যহীন স্বজন'রা বুঝেও না বুঝার ভান ধরে হাসিমুখে বরণ করে নেয় অবহেলা।
পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজ, নারীরা হলোই বা শাসক। পুরুষ হওয়ার দম্ভ থামাতে কে পেরেছে আর!
এ করো না,ও করো না, এখানে যেয়ো না, লিখো না, করো না সাহিত্য চর্চা, কত শত বিপত্তি নারীর চলার পথে, এমন পথ কতজন আর পেরেছে ডিঙাতে!
তবুও কত নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প। সে গল্প নারী একাই পড়ে সুখে হয় আত্মহারা। একদিন অতল গহবরে তলিয়ে যেতে যেতেও নারী হেসে ওঠবে খিলখিল, বলে যাবে তার পরাধীনতায় বেঁচে থাকার গল্প। সে গল্প শুনে কী পুরুষ অনুতাপে পুড়বে?
©কাজী ফাতেমা ছবি
০৭/১১/২০২২
১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার অনুভবটা অনেক সুন্দর। অনেকেই তা বুঝে না। অনেকেই বিয়ে করে ফেলেছে মানে, তার একটা অধিকার এসে গেছে , সে যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে। কত মেয়ে সন্তানের জন্য থেকে যায় নরকপুরীতে।
ধন্যবাদ আপনাকে
২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর উপস্থাপন!
১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: থ্যাংকিউ সো মাচ ভাইয়া জি
ভালো থাকুন
৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭
এম ডি মুসা বলেছেন: চমৎকার (
১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
ভালো থাকুন
৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: বিয়ের পরে কে যে সুখী কে যে দুখী হিসাব কষতে পারি না। নারী মনে করে পুরুষ হইয়া জন্ম নেয়া ভালো ছিল আর পুরুষ মনে করে নারী হয়ে জন্ম নিলে শুধু ভাত রান্না করেই দিন কাটানো যেত।
১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাহাহাহা তবে পুরুষরা বেশী মাতব্বরী ফলাতে চায় বউদের উপর, তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে
কেউ কেউ তো দাসী বাঁদি মনে করে।
থ্যাংকিউ সো মাচ
৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
শায়মা বলেছেন: নো পাত্তা কে কি ভাবলো.......
হয়ে যাও আপনার মাঝে আপনি হারা
আপন সৌরভে সারা .......
যেন আপনার মন আপনার প্রাণ আপনারে সঁপিয়াছো!!!
১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব তো আর ভাবি না আপু। নিজের কথাই ভাবি এখন
নিজেই একশ এখন। নো পরোয়া
অনেক ধন্যবাদ আপু।
৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩
আজব লিংকন বলেছেন: সে গল্প শুনে কী পুরুষ অনুতাপে পুড়বে?
আপা কট্টর ধামিকেরা পুড়বে।
১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হুম পুড়বে। পুুড়ক পুড়ে মরুক
ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো থাকুন
৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭
জটিল ভাই বলেছেন:
নতুন কাব্য লিখতে এতো ভয় কেনো কবি?
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভয় কেরে করতাম। নতুন গুলা এমনিতেই পোস্ট করি না। পুরাতনগুলো ভাল্লাগে
৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪
মেহবুবা বলেছেন: চারিপাশে এমনি চিত্র, নিয়তির আঁকা। পায়ে পায়ে নিষেধের বেড়াজাল।
তবে 'মা' হতে পারার পরম সৌভাগ্য কত যে সুখকর, অনেক কিছুতে ভারসাম্য এনে দেয়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু কী সুন্দর মন্তব্য করেছেন মাশাআল্লহ মন ভরে গেল।
আপনি ঠিক বলেছেন। বাচ্চারা যখন জড়িয়ে ধরে। দুনিয়াতে মনে হয় আর কিছু লাগে না আলহামদুলিল্লাহ
জাজাকিল্লাহ খইর
ভালো থাকুন আপু
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যে পরিবারে একটা সদ্য নতুন নারী যে তার আপন ভুবন বিসর্জন দিয়ে এসেছে সেখানে যদি কথার ভুল, কাজের ভুল, হাসিতে ভুল এমনকি কান্নাতেও ভুল ধরে তাহলে আপন ভুবন বিসর্জন দেওয়া নারীর জন্য পরিবারটা দোজখ ছাড়া আর কিছুই। এই পরিবারের পশুরা এই ব্যথা নিজেকে দিয়ে উপধব্ধি করেনা যে এটা কতটা নির্মম ব্যথা! কোন সময় এই ব্যথা মৃত্যুর চেয়ে কঠিন মনে হয়।