![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পরিচয় আমি মানুষ এর বেশি এখনও অর্জন করা হয়ে ওঠেনি। যদিও মানুষ পরিচয়টাও অর্জন করা নয় জন্মসুত্রে পাওয়া
"বাংলার ষোড়শী"
চপলা সুন্দরী ষোড়শী কন্যা ছন্দ তুলে হেঁটে যায় মৃদুমন্দে,
নৃত্যের তালে তালে সরিষা ক্ষেতের পাড় ধরে যায় ঈষৎ ছন্দে।
বাতাসে তার কালো কুন্তল দোলে তার কয়েকটি দুষ্ট অলোক,
অবাধ্য হয়ে ঢেকে দেয় তার আখিঁ যুগলের ঝলক।
মৃদুকন্ঠে ভেসে ওঠে চঞ্চপটে,গুন গুন করে গায় ষোড়শীনী,
গানেরও কলি,শুনে মনে হয় যেন কতো গো তাহারে চিনি।
হঠাৎ এক বিকট ধ্বনি ভেসে আসে ষোড়শীর কানে,
কেঁপে ওঠে সবুজ ধরা,পাখি গাছে করে ওঠে কিচিমিচি।
কালো বুট,মাথায় হেলমেট জলপাই রং এর পোষাকে,
সারি সারি ছুটে আসে যন্ত্রমানবের দল ষোড়শীনীর পাণে ।
সাহসী সরলা, নিস্তেজ চপলা এগিয়ে গিয়ে সুধায়,
" তোমরা কারা নষ্ট করতে এসেছো প্রকৃতি, কি তোমাদের অভিপ্রায়?"
ওকে দেখে লোভাতুর দানবের বেড়ে যায় মন ক্ষুধা,
লালসা তারা চরিতার্থ করে একে একে ওর বুক চিরে,
ছিনিয়ে নিয়ে সর্বস্ব তার আনন্দ করে, যেনো পিয়েছে সুধা,
একে একে সব যন্ত্রমানব চলে যায় ধীরে ধীরে।
নিথর নিঃস্তব্ধ বিবস্ত্র দেহ পড়ে থাকে ধরে,
প্রকৃতি শুকনো পাতায় আলিঙ্গনের ছলে জড়িয়ে নেয় বাহুডোরে।
নদীও বাধ ভেংগে ঠাই দেয় তারে আপন বুকে,
ক্রন্দিতে থাকে নিখিল অঝোরে ষোড়শীর শোকে।
এভাবে ষোড়শী সাহসী লাস্যময়ী বিলীন হয়ে যায় প্রকৃতির পরে,
কত শত ষোড়শীর করুন পরিনতি এই সবুজের তরে।
উৎসর্গেঃ বাংলার বুকে ধর্ষিত সকল ষোড়শীকে
©somewhere in net ltd.