নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেরা নাম চোকার্স

আমি একজন বাংলাদেশী সংস্কৃতির ভক্ত তবে বাঙ্গালী সংস্কৃতির নয়

মেরা নাম চোকার্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালমান খান \

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

অনেকে বলেন সালমান খান অভিনয়ে কাচা। আমির খান কিংবা শাহরুখ খানের তুলনায় অত্যান্ত নগন্য।

হ্যা, এটা সত্য যে সালমান অভিনয়ের থেকে অন্য সব কিছুতে বেশি মনোযোগ দেন।

কিন্তু যারা হাম আপকে হ্যায় কোন, দিল তেরা আশিক, হাম সাথ সাথ হ্যায়, পেয়ার কিয়া তো দারনা কিয়া, তেরে নাম, কারান অর্জুন, ম্যা নে পেয়ার কিয়া, সাজান, জড়ুয়া নং ১ মুভিগুলা দেখেছেন তারা আশা করি সালমানের এক্টিং এবিলিটি নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলবে না। ক্যারিয়ারের সেরা অভিনয়টা বোধহয় তিনি করেছেন "হাম দিল দে চুকে সানাম" সিনেমায়। ঐশ্বরিয়া রায় আর অজয় দেবগানের সাথে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন। কমেডি আর ইমোশনাল দুই জায়গাতেই টেন/টেন।

এছাড়া সাম্প্রতিক কালে দাবাং এবং বডিগার্ড সিনেমাতেও ভাল অভিনয় করেছেন।

এ তো গেল অভিনয়ের কথা! একটা কমার্শিয়াল ফিল্মে অভিনয় বাদে আরও অনেক কিছু থাকে। ডান্স, একশন, ম্যাগনেটিক এপিয়ারেন্স -এই দিক গুলো থেকে নিশ্চিতভাবে বলিউডের নং ১ সাল্লু ভাই।

আমির খান এওয়ার্ড ত্যাগ করা শুরু করেছিলেন এর দুর্নীতি দেখে। এতদিন ভাবতাম, এওয়ার্ড দেয়াতে আবার দুর্নীতি কি করে হয়?

এখন বুঝলাম যখন দেখলাম 'হায়দার' ছবিতে মাস্টার ব্লাস্টার অভিনয় করেও যখন শাহীদ কাপূর নন সেরা অভিনেতা হিসেবে এওয়ার্ড পান শাহরুখ খান।

যখন ভারতের সব থেকে জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান কিংবা 'পিকে' দিয়ে বিশ্ব মাতানো আমির কেউই পিপল চয়েজ এওয়ার্ড পান না কারন এরা এওয়ার্ড অনুষ্টানে পারফরমেন্সও করেন না আবার আসেনও না ।

অনেকেই বলেন, শাহরুখ খান ভদ্র সমাজের শিক্ষিত নারী-পুরুষের ফেবারিট আর আমির খান সচেতন মানুষের নায়ক।

আর যেসব সাধারন মানুষ দুবেলা খাবার যোগাড় করতে হিমশিম খায়, শ্রমিক-জনতা ই সালমান খানের জনার্দন।

সাল্লু মিয়ার ফিল্ম খুব কম সং্খ্যক মাল্টিপ্লেক্সএ রিলিজ পায়। সাধারনত একক হলে ৫০-৬০ রুপি যেসব হলের টিকিটের মূল্য। সেখানে রিলিজ করে ৩০০ কোটি কামানো আর মাল্টিপ্লেক্সে (যেখানে টিকিটের মূল্য ৪০০-৫০০ রূপি) বেশির ভাগ চলে ৩০০ কোটি কামানো নিশ্চয়ই এক কথা নয়।

এভাবেই নিজের ক্যারিয়ারে টানা ২৯ টি ছবি হিট দিয়েছেন বলিউডকে। ১৯৯৯ সালের পর 'বীর'ই ছিল তার ফ্লপ ছবি।

তাইতো রাজেশ খান্না আর অমিতাভ বচ্ছনের পর সালমান খানের নামের আগেই "সুপারস্টার" শব্দটা ব্যাবহার করা হয়।

নিজের ক্যারিয়ার তো গড়েছেনই সেই সাথে পরোক্ষভাবে গড়ে দিয়েছেন শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারও (বাজিগর ছবিতে প্রথম সালমানকে অফার করা হলেও তিনি তা ছেড়ে দেন যাতে পরবর্তীতে শাহরুখ অভিনয়ের সু্যোগ পান। এটিই শাহরুখ খানের প্রথম হিট ছবি)

এছাড়া গোবিন্দার নূতন করে বলিউডে উত্থানের পিছেও রয়েছে সালমানের হাত। এছাড়া ঋত্বিক রোশান, ঐশ্বরিয়া রাই, কারিনা কাপূর, ক্যাটরিনা কাইফ, অর্জুন কাপূর, ইমরান খান, বরুন ধাওয়ান, সিদ্ধার্থ মালাহোত্রা, টাইগার শ্রফ, সুরাজ পাঞ্চলি, সোনাক্ষি দের ফিল্ম ক্যারিয়ারেও রয়েছে তার অসামান্য অবদান।

তাইতো বলিউডের "ভাই" সালমান খান।

তার পারিবারিক জীবনও ভাইয়ের মত। একমাত্র তার বাসায় যে কেউ যে কোন সময় প্রবেশ করতে পারে। এখানে কোন নিরাপত্তা কর্মী থাকে না। এখন অবধি তার কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই। তার সমস্ত টাকা-পয়সা তার বাবা সেলিম খানের একাউন্ট এ জমা হয়। তার পকেট খরচের টাকাও বাবার কাছ থেকে চেয়ে নেন। এখনো তিনি তার মা'র সাথে ঘুমান।

তার বিয়ে না করার মূল কারন পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালবাসা। বিয়ের পর যদি পরিবারের থেকে আলাদা হতে হয় এই ভয় এখনো তাকে তাড়া করে বেড়ায়। এছাড়া তার উপর 'হরিণ শিকার' মামলাও চলছে যার কারনে তার জেলও হতে পারে তাই তিনি কোন মেয়ের জীবন নস্ট করতে চান না। মামলা শেষ হওয়ার পরপরই বিয়ে করবেন বলে আশা করা যায়।

ঐশ্বরিয়া রাইকে খুব ভালবাসতেন তিনি। এমনকি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরই তার সম্পর্কিত কোন কথাই আজও মিডিয়ায় বলেন নি। কেউ বললেও তার প্রতিবাদ করেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

মেরা নাম চোকার্স বলেছেন: ঘ(রক্যফন্ন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.