জগতের কিছুই পাল্টায়নি

০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৪

পাল্টায়নি কিছুই, জগতের কিছুই পাল্টায়নি। শ্রীকৃষ্ণ মরে গেছে, মরে গেছে গ্রীক কাল্পনিকতার জিউস, হোরাস এবং আইকারুসও। সমাজে মান সম্মান হারাবার ভয়ে যৌন সঙ্গী পরিচয় গোপনকারী মেরীর পুত্র যীশুও আজ বেচে নেই। গত হয়েছে আল্লাহ নামক কাল্পনিক চরিত্রের সৃষ্টিকারী ভন্ড মোহাম্মাদও, তাতেও কিচ্ছু বদলায়নি। যদিও নিউটন, আইনস্টাইন, গ্যালিলিও, লিওনার্ড ডা ভিঞ্চি, ইবনে সিনা এবং স্টিভ জবসের মত পৃথিবীকে বদলাবার মত শক্তিধর মগজের মৃত্যুতে বিশাল ক্ষতি হয়েছে পুরো জগতের। তার পরেও, আজও আলোর দেখা পেল না ধর্মান্ধ সেই চোখ গুলো, যাদের মাথা সর্বদাই নত হয়ে থাকে হাস্যকর সেই কাল্পনিক ঈশ্বরের গল্পের সামনে। এখনো শিশুকন্যা ধর্ষণকে বৈধ করতে উদাহরণ দেয়া হয় নয় বছরের আয়শার। গভীর রাতে দাড়িয়ে থাকা যৌবনকে ঠান্ডা করতে, স্বামীর ভালবাসার পিপাসী স্ত্রীকে বিছানায় ফেলে রেখে চন্দ্রমুখীর স্মরনাপন্ন হয় তাহাজ্জতের অজুহাতে। সম্পত্তি না দেবার উদ্দেশ্যে এখনো পুত্রের চিতায় পুত্র বধুকে পুড়িয়ে মারছে সতী দাহর উদাহরণ দিয়ে। দ্বিতীয় বিয়ের সবথেকে বড় বাধা সরাতে, প্রথম স্ত্রীর উপর ব্যবিচারিনীর মিথ্যে অপবাদ দিয়ে সরিয়া আইন অনুযায়ী পাথর ছুড়ে অথবা মানসিক রোগে আক্রান্ত স্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পরিত্রান পেতে, তাকে ডাইনি আখ্যা দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে অথবা বুকের মাঝে ক্রুস গেথে হত্যা করা করছে তারা। মুর্খ কুরুচিপূর্ণ মোল্লারা এখনো নারীদেরকে সম্মানিত করতে তাদেরকে তেতুল বলে সম্মোধন করে। কে বলে যে আমরা প্রগতির দিকে এগুচ্ছি? এখনো আদিম মগজ বিহীন মানুষ রুপি জানোয়ারদের জঙ্গলে আমাদের বসবাস, জঙ্গলটা যদিও ইট পাথরের দালান এবং প্রযুক্তিতে ঘেরা। তবুও পাল্টায়নি কিছুই, জগতের কিছুই পাল্টায়নি।

০ টি +০/-০