"মেঘা"-শেষ পর্ব

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

অনেকদিন হলো দ্বীপের খোঁজ নেয়া হয়না। ছেলেটিও একবারও কল কিংবা একটা মেসেজ ও দেয়নি। একটা মেসেজ দেয়া উচিৎ ছিল..। অনেক আত্মকেন্দ্রিক ছেলেটা!!! বারান্দায় বসে মোবাইল হাতে রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে এইসবই ভাবছিল মেঘা। খুব রাগ হচ্ছে তার দ্বীপের উপর। ছেলেরাও এতটা আত্মকেন্দ্রিক হয় দ্বীপকে না দেখলে বুঝতেই পারতনা সে।
আজ প্রায় একমাস তাদের মাঝে যোগাযোগ নেই যদিও মাঝে একবার একটা মেসেজ দিয়েছিল মেঘা। কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে কোন সাড়া পায়নি সে। তাই অভিমান করে আর কোন কথাই বলবেনা ঠিক করেছে মেঘা। অভিমান করেছে ঠিকই তবে প্রতিটা মূহুর্তেই দ্বীপের কথা মনে পরছে তার। দুজনই খুব বেশী জেদী!! কেউ কারও কাছে হার মানার নয়। মেঘার দিনগুলো আবার ছন্নছাড়া হয়ে যাচ্ছে। কোনকিছুতেই তার ভাল লাগছেনা। অনেকদিন অপেক্ষা করেছে দ্বীপের একটা কলের জন্য। কিন্তু দ্বীপতো নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত!! মেঘার খোঁজ নেয়ার মত সময় নেই ওর। কিছুটা ভুলেও যাচ্ছে সেই অভিমানী মেয়েটিকে। দ্বীপের কাছে মেঘা শুধুই একজন ছোট্ট বন্ধু ছিল। তার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই যে কথা বলতে বলতে মেঘার মনের ছোট্ট একটা জায়গা সে নিয়ে নিয়েছে। মেঘাও কখনো কিছু বুঝতেই দিলনা তার মনে কি চলছে।
মেঘা আজ একা অলস সময় পার করছে। সেই জেদী ছন্নছাড়া স্বভাব জেগে উঠছে ওর মাঝে। যেহেতু তাকে বূঝানো, তার মন্দ কাজগুলো ধরিয়ে দেয়ার মানুষটিকে সে দূরে সরিয়ে দিয়েছে তাই সে আবার আগের মত হয়ে উঠছে। অসংখ্য সপ্ন আর ইচ্ছেগুলো নিজের হাতে ধংস্ব করছে তার সাথে পৃথিবী থেকে লুকিয়ে রাখছে তার না বলা ভালোলাগার কথা।
ছেলেটির সাথে আর কখনও কথা হবেনা ওর কিংবা মেঘা নিজেই আর সুযোগ দিবেনা ছেলেটিকে!!! ওর মনের কথা মনেই রেখে দিবে স্বযত্নে। দিনগুলো কাটিয়ে দিবে কিছু সুন্দর স্মৃতি নিয়ে।

( এভাবেই হয়ত কিছু মানুষ নিজের মনের কথা নিজের কাছেই লুকিয়ে রাখে শুধুমাত্র তথাকথিত আত্মসম্মানের জন্য। পৃথিবীর বুকে অপূর্ণ থেকে যায় তাদের ইচ্ছেগুলো আর কিছু সম্পর্ক শেষ হয় শুরুর আগেই। )

#সমাপ্তি

০ টি +০/-০