| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
করপোরেট
ঘুরি ফিরি, গানবাজনা শুনি। কি করব ভাবছি! একদিন কিছু করব!
আগের প্রজন্ম সফল আসলে।
উনারা চাইতেন, উনাদের ছেলেমেয়েরা শখে গান করুক, পেশাগত না। বাদ্যবাজনা, তার কি দরকার? দেশে আজ পুরা সংগীত ইন্ডাস্ট্রি বসে যাচ্ছে। শৌখিন শিল্পী দিয়ে পেশাদারিত্বের কাজ চলছে।
উনারা চাইতেন, বাইরে বাইরে না ঘুরে ঘরে থাকুক, যৌথ পরিবার ভেঙ্গে সবাই এক দুই ঘরের বেশি নিয়ে থাকতে চায়না।
উনারা চাইতেন, বাইরের বই বা “আউট বই” যেন উনাদের ছেলে-মেয়েরা না পড়ে। আজকাল বই পড়ার চল দেখিনা, ঝোঁক টা নেই।
বই? সেও তো ওঁর একখানা রয়েছে! – এভাবেই আছে ব্যাপারটা এখনো!
উনারা চাইতেন, এলাকায় ঝামেলা বা সমস্যা হলে তোমার যাওয়ার দরকার কি? একারনে একসময় প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার বিপ্লবী হলেও, এখন জিম করে পেটে ছ-খানা প্যাক বানিয়ে সেলফি দেয়া ছেলেটাও পেটানো শরীর নিয়ে সামনের ওপর লাঞ্ছিত হতে থাকা মেয়েটাকে দেখেনা। নিছকই ঝামেলা এড়াতে।
হ্যা, আমাদের পূর্বসূরিরা সফল। তাঁরা নির্ঝঞ্ঝাট জীবন চেয়েছিলেন আমাদের জন্য, সবার থেকে আলাদা করে, একা করে।
আয়েশ করে উনারা আজ আমাদের সাথে ফেসবুকে বসে অবসরে লাইক-কমেন্ট দিয়ে সময় কাটান। আমাদের মতই কোন সমস্যায় পোস্ট শেয়ার করে, বা “এংগ্রি/স্যাড” দিয়ে দায় মেটান। উনারা আমাদের শিখিয়েছেন, আমরা উনাদের শিখিয়েছি।
মাঝখান দিয়ে সব ধ্বংশ।
জিন বা জীবন্ত প্রাণের বংশগতির আণবিক একক নাকি একটা করে প্রজন্ম বাদ দিয়ে পরের প্রজন্মের সাথে মিল রাখে। সেকারনেই বাবার সাথে কম দাদার সাথে মিল বেশি দেখা যায়। তাহলে কি আরেক প্রজন্মের অপেক্ষায় থাকতে হবে, যারা আবার এসে খ্যাপাটে পাগলের মত নিয়ম নীতি ভেঙ্গে আবার সব আগের জায়গায় শ্বাস নেয়ার মত জীবন ফেরত আনবে?
একদিন এই পাগলামিগুলো গলা টেপা খেতে খেতে মরে যাবে। গলায় ফাঁশ লেগে দম বন্ধ হয়ে মরে যাবার মত পাগলামিদেরও মৃত্যু হয়।
তখন মাথা ঠুকে মরলেও আর প্রাণপণ চাইলেও এই পাগলামীগুলো ফিরে আসবেনা, জন্মাবেইনা
©somewhere in net ltd.