![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিচার বিবেচনা সত্য মিথ্যা আলোচনা পর্যালোচনা যাই হোক আমরাই সঠিক এটাই যখন শেষ কথা হয় তাহলে কিছুই বলার থাকেনা।
আমরা আসলেই দুর্ভাগা বাঙ্গালী ... সংখ্যা গরিষ্ঠ মুসলিম এর দেশে বাস করেও অসহায় ভাবে নিজের ধর্মকে অপমানিত হতে দেখতে হয় !
বর্তমানে যা হচেছ তা দেখে অনেক সময় মনে হয় আমরা মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও এদেশে দলিত শ্রেণীর, ভয় হয় নিকট ভবিষ্যতে আরও ভয়ংকর কিছু কি অপেক্ষা করছে?আমার মন্তব্য আপনাদের কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি দুঃখিত। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামের অবমাননা সে যেই করুক BNP বা আওয়ামী লীগ তা মেনে নেওয়া অসম্ভব।
তারপরেও বলছি,BNP বলুন আওয়ামী লীগ বলুন উভয় দলের নেতারা আদর্শের রাজনীতি না করে করে দলের রাজনীতি, দেশের জনগণকে ভালোনাবেসে ভালোবাসে দলের লোকদের, এজন্যই বাংলাদেশের মানুষেরা এত অভাগা।
সাত কোটি বাঙ্গালীর 98% ভোট পাওয়া বঙ্গবন্ধুর আওয়ালীগের দেশে জনগণ কিসের আশায় অন্য দলকে সমর্থন করে? কারও মনে কি প্রশ্ন জাগেনা? কিসের দুঃখে বঙ্গবন্ধুর সন্তানতুল্য বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে তার ভালবাসার দলকে, রক্তে মেশা আদর্শকে ছেড়ে থাকতে হয়? - এই প্রশ্ন করার সাহস কি এখনো আওয়ামী লীগের কারও হয়না? যেসব চাটুকার চোর চক্রান্তকারীর প্ররোচনায় বঙ্গবন্ধুর মাপের মহীরুহকেও জনগণের সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাদের বিচার কি অাওয়ামী লীগ করেছে? এটাই কি বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসার, শ্রদ্ধা করার নমুনা? এখনো সেই চক্রান্তকারীরা সক্রিয়, ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ ধরে সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত দিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কি ধর্ম নিরপেক্ষ আদর্শের সংজ্ঞা এভাবে ভেবেছিলেন? আমার মনে হয়না। এমন হলে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে উনার সময়ের সাত কোটি বাঙ্গালী এক কাতারে আসতোনা। বাঙ্গালীর অন্তরের অন্তস্হলে তিনি স্থান পেতেন না।
ধর্ম নিরপেক্ষতার মানে সংখ্যালঘু সহ সকল ধর্মের অধিকার রক্ষা, সংখ্যা গড়িষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানা নয়। প্রগতিশীলতা মানে নাস্তিকতা নয়,জাতীয়তাবাদ মানে উগ্রতাবাদ নয়, ধর্মভীরু মানে জঙ্গীবাদী নয়, মাদ্রাসা শিক্ষা মানে উগ্রপন্হী নয়। এসব কে কাকে বোঝাবে?
কে সেই সব মুনাফিকদের খুজে বের করে শাস্তি দিবে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ছায়ায় থেকেই তাঁকে ধর্মভীরু জনগণের অন্তর থেকে দূরে সরানোর চক্রান্তে লিপ্ত ছিলো এবং এখনো সক্রিয় আছে। এখন আওয়ামী লীগ কি আবারও একই ভুল করে আবারো প্রায়শ্চিত্ত্ব করবে নাকি বঙ্গবন্ধুর সত্যিকার আদর্শকে পুনর্জীবিত করবে? যদি আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের আদর্শে ফিরে না আসে, তাদের খুজে বের করে শাস্তি না দেয়, তাহলে ওইসব চক্রান্তকারীর অপরাধের দায়ভার বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে।
যে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করে জনগণ এর উপর যে কোন রায় চাপিয়ে দিতে পারে, কিন্তু মুজিবর, জিয়াউর দের মত ক্ষণজন্মা কিছু মানুষই জনগণের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকতে পারে। জাতি হিসেবে আমাদের দূর্ভাগ্য আমরা তাঁদের বাচতে দেইনি, তারচে বড় অপরাধ জাতীর এই সূর্য সন্তানদের নিজেদের হীন স্বার্থে বিতর্কিত করে তাদের অসম্মান করে বিশ্বের দরবারে নিজেদের হীন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছি, আমাদের দেশ ও জাতিকে বিভাজিত করেছি, কলংকিত করেছি।
আমার বক্তব্যে কাউকে ছোট করে থাকলে ক্ষমা চাচ্ছি। কট্টরপন্থীদের, চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্র থেকে নিজের আদর্শকে নিরাপদ রাখার অনুরোধ রইল।
আশা রাখি একদিন আবার জনগণকে দেশকে ভালবাসার মত কেউ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে এবং পূর্বের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত্ব করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
© ইফতেখারুল ইসলাম,
চট্টগ্রাম
©somewhere in net ltd.