![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই বর্তমান সময়কে অতীত ও ভবিষ্যৎ এ সেতুবন্ধন তৈরী করে। একটা ভালো বই প্রকাশ করে লেখকের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে পাঠকের হাতে তুলে দিতে দাঁড়িকমা প্রকাশনীর জন্ম। বাংলাদেশের প্রধান দুটি শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটির সত্বাধিকারী মো. আবদুল হাকিম কর্তৃক যাত্রা শুরু করে। ২০২০ সালের বইমেলা পর্যন্ত দাঁড়িকমা প্রকাশনীর প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা চার শতাধিক। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের সার্বভৌমত্বে আকুণ্ঠ শ্রদ্ধাশীল প্রকাশনা সংস্থাটি নতুন লেখকের বই প্রকাশনার পাশাপাশি চিরায়ত বই ও সময়ের প্রথিতযশা লেখকের বই প্রকাশ করে আসছে।
কবি ফররুখ আহমদের কি অপরাধ?
আহমদ ছফা
খবর পেয়েছি বিনা চিকিত্সায় কবি ফররুখ আহমদের মেয়ে মারা গেছে। এই প্রতিভাধর কবি যাঁর দানে আমাদের সাহিত্য সমৃদ্ধ হয়েছে—পয়সার অভাবে তাঁর মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে পারেননি, ওষুধ কিনতে পারেননি। কবি এখন বেকার। তাঁর মৃত মেয়ের জামাই, যিনি এখন কবির সঙ্গে থাকছেন বলে খবর পেয়েছি তাঁরও চাকুরি নেই। মেয়ে তো মারাই গেছে। যারা বেঁচে আছেন, কি অভাবে, কোন অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে দিনগুলো অতিবাহিত করছেন, সে খবর আমরা কেউ রাখিনি।
হয়ত একদিন সংবাদ পাব কবি মারা গেছেন, অথবা আত্মহত্যা করেছেন। খবরটা শোনার পর আমাদের কবিতাপ্রেমিক মানুষের কি প্রতিক্রিয়া হবে? ফররুখ আহমদের মৃত্যু সংবাদে আমরা কি খুশি হব, নাকি ব্যথিত হব? হয়ত ব্যথিতই হব এ কারণে যে, আজকের সমগ্র বাংলা-সাহিত্যে ফররুখ আহমদের মত একজনও শক্তিশালী স্রষ্টা নেই। এমন একজন স্রষ্টাকে অনাহারে রেখে তিলে তিলে মরতে বাধ্য করেছি আমরা। ভবিষ্যত্ বংশধর আমাদের ক্ষমা করবে না, অথচ কবি ফররুখ আহমদের মরার সমস্ত ব্যবস্থা আমরাই পাকাপোক্ত করে ফেলেছি। আমরা তাঁর চাকুরি কেড়ে নিয়েছি, তাঁর জামাই এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের সত্ভাবে পরিশ্রম করে বাঁচবার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। রাস্তা-ঘাটে কবির বেরোবার পথ বন্ধ করে দিয়েছি। প্রয়োজনীয় সবগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা ত্রুটি রাখিনি।
কবি ফররুখ আহমদকে আমরা এতসব লাঞ্ছনার মধ্যে ফেলেছি তার কারণ তো একমাত্র কবিতাই। ফররুখ আহমদের একমাত্র অপরাধ তিনি একদা পাকিস্তানের সপক্ষে কবিতা লিখেছেন। তাঁর কবিতার একটি বিশেষ জীবনাদর্শ দুষ্টলোকের ভাষায় ইসলামি জীবনাদর্শ। এখন কথা হল, তখন কি পাকিস্তানের সপক্ষে কবিতা লেখা অপরাধ ছিল? আমরা যতটুকু জানি পাকিস্তান এবং ইসলাম নিয়ে আজকের বাংলাদেশে লেখেননি এমন কোন কবি-সাহিত্যিক নেই বললেই চলে। অন্য অনেককে বাদ দিয়েও কবি সুফিয়া কামালের পাকিস্তান এবং জিন্নাহর ওপর নানা সমযে লেখা কবিতাগুলো জড়ো করে প্রকাশ করলে ‘সঞ্চয়িতা’র মত একখানা গ্রন্থ দাঁড়াবে বলেই আমাদের ধারণা। অথচ ভাগ্যের কি পরিহাস কবি সুফিয়া কামাল বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি হয়ে মস্কো-ভারত ইত্যাদি দেশ সফর করে বেড়াচ্ছেন, আর ফররুখ আহমদ রুদ্ধদ্বার কক্ষে বসে অপমানের লাঞ্ছনায় মৃত্যুর দিন গুনছেন।
ফররুখ আহমদের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করে বাংলাভাষার সতীত্ব হানি করেছেন। কিন্তু কবি ফররুখ আহমদ নিজে বলেছেন, তিনি শব্দ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, কবিতার ক্ষেত্রে তা নিশ্চয়ই দোষনীয় নয়। বিশেষত বাংলাদশে এমন একটা সময় ছিল, কবি-সাহিত্যিকেরা উর্দু, ফারসি ঘেঁষা দেখাতে পারলে বর্তে যেতেন। তাদের অনেকেই এখন বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন রয়েছেন। তাছাড়া ইংরেজি, জার্মান, সংস্কৃত ইত্যাদি ভাষা নিয়ে যাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কবিতা, গল্প লিখতে চেষ্টা করেছেন, তাঁদেরকে সে সকল রচনার জন্য পুরস্কৃত করতেও আমাদের বাধছে না। ও সমস্তের ফলে যে বাংলাভাষা সমৃদ্ধ হচ্ছে সত্যিকার অর্থে সে বিচার কে করবে? অথচ অন্য কবি-সাহিত্যিক সকলে বাইরে রয়েছেন। কিন্তু শাস্তি ভোগ করছেন একা ফররুখ আহমদ—এ কেমন ধারা বিচার? ফররুখ আহমদের বিরুদ্ধে যে দু’টি উল্লেখযোগ্য নালিশ রয়েছে, সেগুলো হল—তিনি রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে চল্লিশজন স্বাক্ষরকারীর একজন। তিনি স্বশ্রদ্ধভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছেন।
কিন্তু স্বাক্ষরদানকারী চল্লিশজনের অনেকেই তো এখনো বাংলাদেশ সরকারের বড় বড় পদগুলো অলংকৃত করে রয়েছেন। কিন্তু ফররুখ আহমদকে একা কেন শাস্তি ভোগ করতে হবে? পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন না কে? আজকের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (শেখ মুজিব) স্বয়ং তো এক সময়ে পাকিস্তান আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। সাতই মার্চের পূর্ব পর্যন্ত তিনি পাশাপাশি জয়-বাংলা এবং জয়-পাকিস্তান শব্দ দু’টো উচ্চারণ করেছিলেন, তাহলে ফররুখ আহমদের অপরাধটা কোথায়? বলা হয়ে থাকে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ে তিনি অনেকবেশি সাম্প্রদায়িক বিষোদগার করেছিলেন। সেপ্টেম্বরের যুদ্ধের সমস্ত প্রমাণ এখনো নষ্ট হয়ে যায়নি।
বাংলাদেশের সমস্ত লেখক-কবি-সাহিত্যিক সাম্প্রদায়িকতার প্রচারে কে কার চাইতে বেশি যেতে পারেন সে প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। কেউ যদি চ্যালেঞ্জ করেন আমরা দেখিয়ে দিতে পারি। মানুষের স্মৃতি এত দুর্বল নয় যে, হিং টিং ছট ইত্যাদি প্রোগামগুলো ভুলে গেছে। ঐ সমস্ত প্রোগ্রাম যারা করেছে সংস্কৃতির সে সকল কলমধারী গুন্ডারা বাংলাদেশে বুক চিতিয়ে শিক্ষা-সংস্কৃতির আসন দখল করে আছে—কি আশ্চর্য। চাকুরি হারাবেন, না-খেতে পেয়ে মারা যাবেন এক ফররুখ আহমদ।
এতসব দোষের মধ্যেও ফররুখ আহমদের কতিপয় গুণের কথা আমরা না-উল্লেখ করে পারছিনে। সেপ্টেম্বর যুদ্ধের পরে কবি ফররুখ আহমদকে যখন প্রাইড অব পারফরমেন্স দেয়ার কথা ওঠে, তিনি অস্বীকার করেছিলেন। আমরা শুনেছিলম, তিনি বলেছিলেন, একজন কবির ক্ষমতাদর্পীর হাত থেকে নেয়ার কিছুই নেই। খবর পেয়েছিলাম, সে প্রাইড অব পারফরমেন্স এমন একজন সাহিত্যসেবীকে দেয়া হয়েছিল এখন যত্রতত্র তাঁর শোকসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি দলের সকলে তাঁর কথা মনে করে শোকাশ্রু বর্ষণ করছেন।
মজার কথা হল, তিনিও দখলদার পাকিস্তানি সৈন্যদের দ্বারা বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের সপক্ষে বক্তব্য রেখেছিলেন। যাকে নিয়ে এত লাফালাফি তিনি যদি বেঁচে থাকতেন আজ হয়ত কারাগারেই থাকতেন। আমাদের কথা হল, ফররুখ আহমদের মত একজন শক্তিমান স্রষ্টার চাকুরি কেড়ে নেয়া, সপরিবারে তাঁকে মৃত্যু-যন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করার পেছনে ন্যায়-নীতিসঙ্গত যুক্তিটা কি হতে পারে?
আমরা বাংলাদেশের আরো একজন খ্যাতনামা কবির কথা জানি (কবি শামসুর রাহমান)। যিনি পাকিস্তানি দখলদার সৈন্যদের তত্ত্বাবধানে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিকটির (দৈনিক পাকিস্তান) সম্পাদকীয় রচনা করেছিলেন। ঐ পত্রিকার চাকুরি করেন আর একজন কবি সম্পর্কে কানা-ঘুষা শোনা যাচ্ছে যে, তিনি পাকিস্তানি মেজর ক্যাপটেনদের সাহায্যে নাম ভাঙ্গিয়ে লাহোর করাচি ছুটোছুটি করেছেন। কেউ যদি আমাদের বক্তব্যকে অসত্য মনে করেন, বাস্তব প্রমাণ দাখিল করতে পারব।
কত মুসলিম লীগ এবং জামাতে ইসলামের গুন্ডা, এনএসএফ-এর চর সরকারি আনুকূল্যে পুনর্বহাল হয়েছে, তাদের সংখ্যা হাজারকে হাজার। একজন দুজন নয়।
কিন্তু শাস্তিভোগ করবেন একজন আত্মমর্যাদাজ্ঞানসম্পন্ন কবি। এ ধরনের অবিচার আমাদের এ বাংলাদেশেই হওয়া সম্ভব। প্রসঙ্গত ভূতপূর্ব পাকিস্তান অবজার্ভার পত্রিকার কুখ্যাত বার্তা-সম্পাদক এবিএম মুসার নাম বলতে পারি। এই মুসা সাহেব মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কোলকাতায় যেয়ে হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ডে আওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধে যে বিষোদগার করেছিলেন, দেশপ্রেমিক নাগরিকদের মন থেকে সে স্মৃতি এত তাড়াতাড়ি মুছে যায়নি। মুছে যাওয়া সম্ভব নয়। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেমিক সম্মানটি দিতেও রাজি ছিলেন না।
হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ডে তাকেও রেবেল বলে অবহিত করেছিলেন। সেই মুসা সাহেব এখন বাংলাদেশের সংসদ-সদস্য (আওয়ামী লীগের)। ফররুখ আহমদের অপরাধ শেষ পর্যন্ত এই দাঁড়ায় যে, তিনি অন্যান্য বিশ্বাসঘাতকদের মত শ্লোগান বদল করতে পারেননি। সৎ কবিরা অনেক সময় ধরতাই বুলিতে গা ঢেলে দিতে পারেন না। সেটাই তাদের একমাত্র অপরাধ। কবি ফররুখ আহমদও এই একই অপরাধে অপরাধী।
অন্যান্য কবি-সাহিত্যিক যাদের কোন রকমের আদর্শবোধ নেই, চরিত্র নেই, সুবিধেটাই নীতি। আমরা জানি, তারা আজ ফররুখ আহমদের নামে দুটো সমবেদনার কথা কইতে কুণ্ঠাবোধ করেন। তারপরেও আমরা মনে করি ফররুখ আহমদ একজন বীরচরিত্রের পুরুষ। একজন শক্তিমন্ত কবি। ফররুখ আহমদের রুটি রোজগারের পথ খুলে দিতে আবদন করার কোন সার্থকতা নেই। কেননা, এবিএম মুসা সাহেবের মত মানুষেরা এই সরকারের সংসদ-সদস্য, হি টিং ছটের কলমধারী গুন্ডারা এই সরকারের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণাদাতা। তাদের যদি বিবেক থাকত, যদি সাহিত্যে এবং সাহিত্যিকদের প্রতি প্রেম থাকত কবি ফররুখ আহমদের মেয়ে বিনা চিকিত্সায় মারা যেত না। কবিকে বৃদ্ধ বয়সে উপোস করতে হত না। আমরা ফররুখ আহমদকে বাঁচাবার জন্য, তার পরিবারকে বাঁচাবার জন্য ‘ফররুখ আহমদ সাহায্য তহবিল’ গঠন করার জন্য কবির অনুরাগীজন এবং দেশপ্রেমিক, সংস্কৃতিপ্রেমিক জনগণের কাছে আবেদন রাখছি।”
–গণকণ্ঠ, ১৬ জুন, ১৯৭৩
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সাতই মার্চের পূর্ব পর্যন্ত তিনি পাশাপাশি জয়-বাংলা এবং জয়-পাকিস্তান শব্দ দু’টো উচ্চারণ করেছিলেন,
এ ধরনের কথার জন্যই আহমদ ছফাকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না। ফররুখ আহমেদকে যতটা বড় কবি হিসেবে তুলে ধরেছেন, ততোটা কোন কালেই ছিলেন না।
আর যে পাক মনোভাবাপন্ন হতে পারে, তার প্রতি সামন্ন করুণাও হওয়া উচিৎ না।
আহমদ ছফা এতোদিন বেঁচে থাকলে ছাগু উপাধী পেতেন নির্ঘাত
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪১
আল ইফরান বলেছেন: নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: মওলানা ভাসানী - একদিকে কম্যুনিজম, আরেকদিকে ইসলামী - উভয়ের বিকট মিশ্রণ।
বুঝতে ভুল করেছেন, সমাজতন্ত্র আর কম্যুউনিজমের মধ্যে বহুত তফাৎ।
ভাসানী হক কথা বলতেন, সেইটা ইসলাম না সমাজতন্ত্র তা একাডেমিক ডিসকোর্সের ব্যাপার।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: @আল ইফরান
সমাজতন্ত্র আর কম্যুনিজমকে আমি কখনোই 'এক বা অভিন্ন' বলিনি। আপনি নিজেই বুঝতে ভুল করেছেন।
ভাসানী একজন মাওবাদী কম্যুনিস্ট ছিলেন আবার পাশাপাশি ইসলামপন্থীও ছিলেন। এই কম্যুনিজম প্লাস ইসলাম - এটাকে বিকট মিশ্রণ বলছি। ধন্যবাদ।
৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন: নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে পাঁঠারা বিচি হারাইয়া ছাগুতে পরিণত হয় ! এই বিচি হারানোর প্রক্রিয়ায় অর্জিত বুদ্ধুপ্রকর্ষণ এই প্রক্রিয়ায় তাহাদের উৎপন্ন শব্দদূষণের সমানুপাতিক হইবে ! আর প্রক্রিয়াকরণের পূর্বেই যদি তাহাদের বিচি বিস্ফোরিত হয় তাহা হইলে বুদ্ধুপ্রকর্ষণ শব্দদূষণের ব্যাস্তানুপাতিক হইবে ! খিকজ !
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
নান্দনিক বুদ্ধিপ্রকর্ষ বলেছেন: আহমদ ছফা ছিলেন চূড়ান্ত পর্যায়ের আওয়ামী লীগ বিরোধী একজন বামপন্থী লেখক। ৭১ পরবর্তী বামপন্থীরা বাংলাদেশে ক্ষমতার অংশীদারিত্ব না পেয়ে এরকম বিভিন্ন প্রোপ্যাগান্ডামূলক মিথ্যাচার করে বেড়াতেন তাদের প্রকাশিত পত্রিকাগুলোতে যেমন - গণকন্ঠ, হক কথা ইত্যাদি। মজার ব্যাপার হলো, এই বামপন্থীরা স্বার্থ হাসিলের জন্য ডানপন্থী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলাতে সামান্যতম দ্বিধা করেননি। অজস্র উদাহরণ আছে, যেমনঃ
১) মেজর জলিল ছিলেন বামপন্থী, পরে হলেন ডানপন্থী। ডানপন্থী আন্দোলনও করলেন। সেজন্য পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন। তার মৃত্যুও হয় পাকিস্তানেই।
২) আল মাহমুদ ছিলেন বামপন্থী, পরে হলেন ডানপন্থী অর্থাৎ এখানেও ডাবল স্ট্যান্ডার্ড !
৩) আহমদ ছফা আর ফরহাদ মজহার - একই ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন। একসময় বামপন্থী, এখন ডানপন্থী।
৪) কর্নেল তাহের বামপন্থী অথচ মুক্ত করেছিলেন ডানপন্থী জিয়াউর রহমানকে যেই জিয়া তাকে পরে ফাসিতে ঝোলান।
৫) মওলানা ভাসানী - একদিকে কম্যুনিজম, আরেকদিকে ইসলামী - উভয়ের বিকট মিশ্রণ।
এরপর অজস্র উদাহরণ আছে। আহমদ ছফাসহ এসব বামপন্থী মুক্তিযুদ্ধের পরে ডানপন্থীদের সাথে আঁতাত করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি।