মানুষের দ্বিমুখী আচরনসমূহ

৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৪৬

ছবিটা ভালো করে খেয়াল করুন ও নিচের কথাগুলি নিয়ে একটু ভাবুন , দেখেন কোন মিল খুঁজে পান কিনা ?

১। সে জানে তাকে নাপাক পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে অথচ এমন দাপট দেখায় যেন পৃথিবী তার হাতের মুঠোয় ।



২। সে নিজেকেই নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা অথচ পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রন করতে চায় ।



৩। সে গাছ, নদী, পাহাড়, সাপ, মানুষের সামনে মাথা নত করে অথচ সৃষ্টিকর্তাকে উপেক্ষা করে চলে ।



৪। সে শান্তি প্রত্যাশী অথচ অশান্তির যাবতীয় কর্মকাণ্ড সেই করে ।



৫। সে জানে তার বিবেক তাকে সুপথের নির্দেশ দেয় অথচ তাকে অনবরত এড়িয়ে চলে ।



৬। সে জানে সৃষ্টিকর্তার আইনেই যাবতীয় সমাধান নিহিত অথচ ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়ার মত সে অনবরত আহম্মকি করে চলে ।



৭। সে স্বর্গে যাওয়ার আশা করে কিন্তু নরকের কাজ করে বেরায় ।



৮। সে নরকে যেতে চায়না অথচ সব অনর্থক কর্মে লিপ্ত থাকে



৯। নিজেক চালাক মনে করে কিন্তু কাজ করে বোকার মত ।



১০। জানে এই পৃথিবীতে আজীবন থাকতে পারবেনা কিন্তু এমন ইমারত গড়ে যেন আজীবন এখানেই থাকবে ।



১১। পৃথিবীটা সরাইখানার মত জেনেও এর সৌন্দর্যে মেতে থাকে ।



১২। পৃথিবীর সব কিছুই অস্থায়ী তবুও দুঃখ- কষ্টে ভেঙ্গে পড়ে ।



১৩। সৃষ্টিকর্তাকে বেশি ভালবাসতে হবে কিন্তু তা না করে তার সৃষ্টি নিয়ে মজে থাকে ।



১৫। সে কোলাহল মুক্ত পরিবেশ খোঁজে অথচ তার ঘরেই সারাদিন ডুগি তবলা বাজে ।



১৬। সে মা বাবাকে ভালবাসেনা অথচ আশা করে তার সন্তানেরা তাকে ভালবাসবে ।



১৭। অপরের অধিকার মেরে মজা পায় আর নিজের অধিকার নষ্ট হলে চিল্লায় ।



১৮। প্রতিবেশীর মানহানি করতে তার বিবেকে বাধেনা অথচ নিজের পরিবারের মানহানি হলে খড়গহস্ত হয় ।



২০। সে মুখে বলে এক আর কাজে করে আরেক ।



২১। সুবিধামত ধর্মগ্রন্থের উপদেশ ঝাড়ে অথচ নিজেই ধর্মগ্রন্থ থেকে শত মাইল বেগে দূরে পালায় ।



২২। দেহের কয়লা পরিস্কার করতে হাজারো প্রসাধন মাখে কিন্তু মনের ময়লা দূরীকরণের কোন উদ্যোগ নেয়না।



২৩। কোন কিছু নিতে ভুল করেনা কিন্তু সেটা ফেরত দিতে ভুলে যায় ।



২৪। নিজের হাজারো দোষ চোখে পড়েনা কিন্তু অপরের সামান্য দোষও তার কাছে ভারী লাগে ।



২৫। সফলতা চায় কিন্তু সফলতার জন্য পরিশ্রম করতে রাজি না বিয়ে না করে ছেলে চাওয়ার মত ।



২৬। সে জানে সবাইকে ফাকি দেয়া গেলেও নিজেকে ফাকি দেয়া যায়না, তবুও ফাকি দেয়ার কোশেশ চালায় ।



২৭। জানে ভুল করলে মাশুল দিতে হয় কিন্তু ভুল পথ থেকে সরে দাড়ায় না ।



২৮। সৃষ্টিকর্তার আহবানে সারা দেয়না অথচ চায় সৃষ্টিকর্তা যেন তার আহবানে সাড়া দেন ।



২৯। সময় চলে গেলে আর ফেরত আসেনা তবুও নানা বাহানায় সময় নষ্ট করে ।



৩০। আইন লঙ্গনের শাস্তি জেনেও আইন লঙ্গন করে ।



৩১। সে পৃথিবীকে বদলে দিতে চায় অথচ নিজে বদলায়না ।



যতদিন মানুষের আচরণে দ্বিমুখী নীতি থাকবে ততদিন সে দ্বিপদী জন্তুই থাকবে মানুষ নয় । মানুষ হতে হলে তাকে দ্বিমুখী নীতি ছাড়তে হবে ।

১০ টি +২/-০