![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রন্থ পুঁজিছো ভন্ডের দল.. মূর্খেরা ওরে শোন.. মানুষ আনিছে গ্রন্থ.. গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন... অবনীল অপ্সরা[email protected]
মুখবন্ধ: নিম্ন বা মধ্যবিত্ত জীবনের টানা-পোড়েন, হাসি-কান্না অনুভূতিগুলো অনেক বেশি স্পর্শকাতর, স্মৃতিজাগানিয়া। তবে যাদের সেই যাপিত জীবনের স্মৃতিকাতরতা বড় বেশি ভোগায়, চলমান সময়ে তারা খুব বেশি সুখে থেকেও সেই দিনগুলোকে ভুলতে পারেন না, ভুলতে পারেন না সেই অসময়ের টুকিটাকি না পাওয়া গুলোকে। হয়ত আজ সময় তাদেরকে সেগুলো দ্বিগুন পরিমাণে ফিরিয়ে দিয়েছে, তবে নিষ্ঠুর সময় নিজে কখনো ফিরে আসেনি। আবারো বোরিং একটা লেখা প্রকাশের জন্য আন্তরিক ক্ষমাপ্রার্থণা।
গল্পকথা:
যাচ্ছে চলে, যাক না সময়! :
খুব বেশি বড়ও হইনি। আমি তখন মাত্র ক্লাস ফাইভে পড়ি, ছোট ভাইয়া সেভেনে আর বড় ভাইয়া ইন্টারমিডিয়েটে পড়ত। বড় আপু পড়াশোনা করার অবসরই পেত না। সংসার সামলেই আপুর বেলা কাটত। বাকি দুই বোন ছোট হলেও পিঠাপিঠি ছিল।
বাবার সরকারি চাকুরির সুবাদে আমরা কলোনীতে থাকতাম। আমাদের কলোনীটা অনেক বড় আর ফাঁকা ছিল। অনেক বড় একটা মাঠকে ঘিরে অনেকগুলো কোয়ার্টার। প্রতি শুক্রবার বিকেলটা ছিল মনে রাখার মত। কারন ঐ দিন বিকেলে মিষ্টিওয়ালা হাতে-টানা গাড়িতে করে হরেক রকম মিষ্টি নিয়ে হাঁক-ডাক শুরু করত। আমাদের শিশু মনের চাঞ্চল্যের কারন ছিল ওটাই। কারন মিষ্টি আমাদের অনেক প্রিয় ছিল। অভাবের সংসারে যেখানে অংক কষে কষে কেবল তিনবেলা খাবারের যোগাড় ছিল বাবার একমাত্র সাধনা সেখানে মিষ্টান্ন কেনার ব্যাপারটা তো একটা বড় রকমের বিলাসিতা। তাই মিষ্টিওয়ালা যখন কলোনীতে পা রেখে বেল বাজিয়ে হাঁকতো “কদমা বাতাসা মিষ্টি” তখন ভেতর থেকে পড়িমরি করে আমরা বড় ৪ ভাইবোন বারান্দায় এসে রেলিং এ অনেকটা ঝুলে ঝুলে মিষ্টিগুলোর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম। সেখানে লাল, সাদা, কালো অনেক রকম মিষ্টি ও মিষ্টান্ন থাকত। মিষ্টিওয়ালা যখন ফেরি করতে করতে আমাদের বাসার সামনে দিয়ে চলে যেত তখন এক, দুই, তিন , চার...... এভাবে মিষ্টি গুলো গুনতাম। হঠাত করে হয়ত বা বড় ভাইয়া লোভ দেখানোর জন্য কোন এক বিশেষ প্রকারের মিষ্টির দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলত “রাশু, আমি বড় হয়ে চাকরি করে ও-ইই মিষ্টিটা কিনব।” তখন ছোট ভাইয়া প্রগলভ হয়ে দুই হাতে বড় ভাইয়ার হাত ধরে বলত “ভাইয়া ভাইয়া বড় হয়ে আমাকেও কিনে দিবে?” ভাইয়া উপরের দিকে তাকিয়ে আনমনা হবার ভান করে বেশ জোর দিয়েই বলত “আচ্ছা যাহ্ তোদের সব্বাইকে পছন্দ মত মিষ্টি কিনে দেয়া হবে!” এভাবে আমরা ভবিষ্যত মিষ্টির স্বাদ কেমন হবে তা ভেবে জিভে আসা জলটুকু একটানে সুড়ুৎ করে গিলে ফেলতাম। আর না কিনেও দেখে দেখেই আমাদের মিষ্টি খাওয়া হয়ে যেত। তারপর মিষ্টিওয়ালা যখন পুরো মাঠটা একবার ঘোরা শেষ করে কলোনী ছেড়ে বের হয়ে যেতে উদ্যত হত তখন আমাদের সেকি চিৎকার... ইশ। মিষ্টিওয়ালা একটু আস্তে আস্তে যাও না। সবগুলো মিষ্টি তো ঠিকমত দেখা হয়নি। আরেকবার ঘুরে আসোনা! সত্যি বলতে এই চিৎকার কখনো ভাষা খুঁজে পেত না। মনের কথা মনের কোন গহীনেই হারিয়ে যেত।
অভাবে কখনো স্বভাব নষ্ট:
আমাদের স্কুলে সবাই অনেক বড়লোক ছিল না এটা সত্যি তবে টিফিনের ফাঁকে কিংবা স্কুলে বেল বাজার আগে অনেকেই অনেক কিছু কিনে খেত। ছোট্ট আমি চেয়ে চেয়ে দেখতাম। আমারো লোভ হত। সব সময় না, তবে মাঝে মাঝে। বিশেষ করে দুধের মালাই আইসক্রিম আর তিলের খাঁজা খেতে অনেক মজা লাগত। একদিন আমি কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই একটা কাজ করে ফেলি। শেপু আমাদের সাথেই পড়ত। সেদিন আমার সামনে দাঁড়িয়ে একটা আইসক্রিম খাচ্ছিল।প্রচুর উৎসাহে আইসক্রিমে কামড় বসাচ্ছিল তখন বেখেয়ালে ওর হাত গলে একটা এক টাকার কয়েন পড়ে যায়। আমি কেন যেন কিছু না ভেবেই ডান পা দিয়ে কয়েনটার উপর দাঁড়িয়ে পড়ি। কিছুক্ষণ পর শেপু তার কয়েন খুঁজতে শুরু করল। আমার দিকে তাকিয়ে বলল, “হ্যাঁ রে রাশু আমার কয়েন টা এখানে কোথাও পড়েছে। দেখেছিস?” আমি কয়েনের ওপর দাঁড়িয়েই এদিক সেদিক ঘুরে-ফিরে কয়েন খোঁজার ভান করে দিব্যি ওকে মিথ্যে করে বলে দিয়েছি, “কই নাতো!” তারপর ক্লাসের ঘন্টা বাজলে শেপু তার কয়েন ভুলে চলে গেল। আমি পায়ের নিচের লুকানো জায়গা থেকে কয়েন বের করে নিয়ে দুটো দুধের মালাই আইসক্রিম ডান আর বাম হাতে নিয়ে তাড়াহুড়ো করে হাপুস হুপুস করে খেতে খেতে ক্লাসের দিকে গেলাম। বাবা সব সময় বলেন মিথ্যে বলা মহা পাপ। আমি সেদিন অকারনে মিথ্যে বলেছি। বাবা আরো বলেন লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। আমি সেদিন লোভও করেছি। কিন্তু অভাবের কারনে আমার শিশু মনে আইসক্রিম খাওয়ার চেয়ে সেই পাপানুভূতিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে খুব বেশি প্রবল হয়ে ওঠেনি হয়ত।
আমার আপন আধার:
আমার পরিচয় না দিয়েই স্মৃতিচারণে চলে গেলাম। আমি রাশু। মা, বাবা, দাদা, দাদু, দুই ভাই আর চার বোনকে নিয়ে ছিল আমাদের ছা-পোষা সংসার। বাবা সরকারি চাকুরে। বাবা একজন সৎ মানুষ ছিলেন তো তাই আমরা অভাবের মধ্যে দিয়েই বেড়ে উঠি। আমাদের শৈশব কেটেছে অনেক কষ্টে। দোলনায় দোল খেয়ে আমি, আমরা বড় হতে পারিনি। এমনকি মায়ের আদরও খুব একটা পাইনি। কারন আমার মা ছিলেন কিছুটা বিকারগ্রস্থ। যাকে সোজা বাংলায় কেউ কেউ পাগল বলে। তবে সব সময় না সেটা মাঝে মাঝে মাথা চাড়া দিয়ে উঠত। সবাই বলত মা নাকি অভাবে পাগল হয়ে গেছেন। যখন মায়ের পাগলামি উঠত তিনি অস্থির হয়ে যেতেন। আমাদের চিনতে পারতেন না। চিৎকার দিয়ে পাড়া মাতাতেন। আমি তখন পর্দার আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতাম। মাঝে মাঝে মা কাউকে না জানিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে কোথায় কোথায় যেন চলে যেতেন। তখন কখনো বড় ভাইয়া, কখনো আব্বু কিংবা আত্মীয়রা মাকে খুঁজতে যেতেন। একবার মা বারো দিনের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম মা আর কখনো ফিরে আসবে না। আমরা আমাদের মাকে আর কখনো দেখবো না। আমাদের প্রিয় মায়ের অপ্রিয় পাগলামিও সহ্য করতে হবে না। কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে মা ফিরে এলেন। এভাবে মায়ের প্রতিটি ফিরে আসা যেন অনেকগুলো নক্ষত্রের মাঝে একফালি চাঁদের রেখা টেনে দিত।
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে? কভু আশীবিষে দংশেনি যারে??:
জীবনের এসকল টানা পোড়েন থেকে আমি আজ অনেক দূরে নিশ্চিন্ত মনে বিবাহিত জীবন যাপন করছি। আজ আমিও একজন মা। আমার আছে দুটি চাঁদমুখ, আমার সন্তান। আমার সন্তানেরা আজ পায় অফুরন্ত ভালোবাসা। মাঝে মাঝে আমার ভালোবাসায়, আমার মাতৃত্বের চরম উৎপাতে তারা বলে "মা তুমি কি পাগল হয়ে গেছ?" হয়ত বা আমার ভালোবাসা ওদের কাছে মূল্যহীন না হলেও পাগলামি ঠেকে!! সত্যিকারের পাগল মায়ের ভালোবাসাহীন জীবন যাপনের যাতনা ওরা কি বুঝবে?
তবুও হাহাকারে বৃত্তবন্দি:
আমার বড় ভাইয়া তার কথা রেখেছে। মস্ত বড় ইঞ্জিনিয়ার হবার পর থেকে বাড়িতে নিয়মিত মিষ্টি আসা শুরু করেছে। মাঝে মাঝে সেগুলো কোন একনিষ্ঠ ভক্তের অভাবে পঁচে গলে গিয়ে স্থান খুঁজে নেয় গাঁটারে। আমার বিশাল ফ্রিজটা ভর্তি হয়ে থাকে রকমারি নামী-দামী আইসক্রিম আর মিষ্টান্নে। আইসক্রিম কিংবা মিষ্টান্নের আবেদনে আমার জিভে জল আসে না, তবে চোখে মাঝে মাঝে জলীয় কিছু একটার অস্তিত্ব অনুভব করি। এই সমৃদ্ধ বর্তমানে এত সব সুখের ভিড়ে শৈশবের বেরসিক দু:খ জাগানিয়া স্মৃতিগুলো মাঝে মাঝে এসে ভিড় করে, হাহাকার সুরে মনের অলিগলিতে গুমরে মরে।
উৎসর্গ:
গল্প লেখাটি একজন সত্যিকারের রাশু আমার জেসমিন আপুকে উৎসর্গ করলাম। আপুর মত মানুষেরা অদ্ভুতুড়ে জীবনের কাছে অনেক চেয়েও কিছুই পায় না। আবার না চাইতেই অনেক বেশি কিছুই পেয়ে যায়।
২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৫
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
ধন্যবাদ!!
মাইনাস কি দিয়ে দিছেন না পরে দিবেন??
২| ২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
নীরব 009 বলেছেন: অন্তত ৩য় হই আগে।ভাল লাগা দিসি
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
আপনি দ্বিতীয় হয়েছেন!
পুরষ্কার কি চান?
৩| ২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
নীরব 009 বলেছেন:
মনটা দিলেন তো খারাপ করে। আপনার আম্মুর কথা শেষে কিছু লিখলেন না। উনি কেমন আছেন এখন?
ভাল থাকুন সবসময়। শুভ কামনা রইল।
২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: উহুম!! নীরব ভাই!! এইটা কি বললেন? আমার আম্মু না তো রাশুর আম্মু অসুস্থ! রাশুর জবান বন্দিতে লেখা গল্প! আমার কোন বাচ্চা-কাচ্চা নাই!!
আমি মাত্র এম বি এ তে ভর্তির অপেক্ষায়!
৪| ২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
সবই যে দুঃখের কথা বললেন
এবারে সুখের কথা লিখুন সেই সময়ের ।
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২৯
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
হুম। আসলে আমি লিখতে পারি না। চেষ্টা নিলে কেন যেন সুখের কথা লিখতে পারি না! হয়ত আমি অনেক সেকেলে, এজন্য!
ধন্যবাদ ভাইয়া!
৫| ২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৬
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: এটা গল্প না, এটা গল্প না। এটা আমার কাহিনী। আপু, আমরা কখনো খুব বেশী গরীব ছিলামনা। কিন্তু আমার বাবা আমার ফুপুদেরও চালাতেন। ফুপাতো ভাইরা আমাদের বাসায় থাকতো। কিন্তু আমার মা কখনো এ নিয়ে আব্বুকে কিছু বলেননাই। বরং ফুপাতো ভাইদের লুকিয়ে লুকিয়ে প্রায়ই ৫-১০ টাকা দিত যাতে পড়তে গিয়ে দুপুরে খেতে পারে। কিন্তু আব্বু বলতো যে সকালে নাস্তা করে গিয়ে বাসায় এসে খাবে, এত নবাব হইলে হবেনা। ওদের বাসায় আসতে সন্ধ্যা হত। এজন্যই আম্মু মাঝে মাঝে দিত। তবে আমাদের দেয়নি, কোনদিন দেয়নি। আমার মনে আছে আমি ১ টাকার বেলুন কেনার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেদেছিলাম, কিন্তু আমাকে দেয়নি। আবদার একবার রাখলে নাকি লাই পেয়ে মাথায় উঠে যাব, এভাবে বলতো।
আব্বু বেশী রকম সৎ আর জেদী ছিলো। এজন্য কিছু করতে পারেনি। আব্বুর কলিগরা দেখতাম অনেক হাই ফাই চলতো। এজন্য আব্বুর উপর অনেক রাগ হত। কোন রকম দাবী জানাতামনা আর আবদার বলে কিছু আছে ভুলে গিয়েছিলাম, কারন কোনদিন মেটানো হয়নি। তাই চুরি করতে শিখেছিলাম। আম্মু বাজার করে বাসায় আসলে ২-১ টা কয়েন ব্যাগ খুলে মেরে দিতাম। একবার আমাদের উপরে ৩ তালায় ২ ছেলে আসলো আমেরিকা থেকে। ওরা ললিপপ খেয়ে উপর থেকে ফেলে দিল অর্ধেক। আমি আর আমার বড় ভাই টের পেয়ে অনেক্ষন ধরে ওর পাশ দিয়ে ঘুরাঘুরি করলাম। যখন দেখলাম যে উপর থেকে কেউ তাকিয়ে নেই, আর আসেপাশেও কেউ নেই, আমরা ওইটা কুড়িয়ে নিয়ে ধুয়ে খেয়ে ফেললাম। গ্রেপ ফ্লেভার ছিল মনে হয়, বেগুনী ললিপপ। আপু, সত্যি বলতে কি এখনো ভুলিনি ওই ললিপপের মজা। আমি তখন মনে হয় ৬-৭ বছরের, ভাইয়া ৮-৯। আমার বোন লক্ষী ছিলো। ওর কোন রকম চাহিদা ছিলোনা। চাহিদা বলে কিছু যে থাকতে পারে এটা ওকে বুঝতে দেয়া হয়নি, তাই হয়তো।
খাওয়া দাওয়ার কস্ট অবশ্য তেমন ছিলোনা। গ্রামের বাড়ি থেকে মাঝে মাঝেই মাছ নিয়ে আসতো, তবে কুরবানীর মাংস বিলিয়ে যেটা থাকতো, সেটা ছোট ছোট পোটলা করে ফ্রিজে রেখে দেয়া হত। যাতে সারা বছর অল্প অল্প করে খেতে পারি। মেহমান আসলেও মাংস রান্না হত কুরবানীরটাই।
এরপর আমাদের দিন আস্তে আস্তে বদলাতে থাকে। আব্বুর প্রমোশন হয়। ফুপাতো ভাইরা চলে যায়, চাকরী করতে শুরু করে। টাকা পেতাম হাতে তখন, মাঝে মাঝে ৫-১০ টাকা, তাও মাসে ২-১ বার। ঈদে ৫০ টাকার মত। আজিজ মিল্ক চকলেট, সাদা গোল শনপাপড়ী, ১ টাকার আইস্ক্রীম এসব কিনে খেতাম। তবে বেশীদিন থাকেনি এমন। আব্বুকেও হারাই হুট করে। এরপর বেশ কয়বছর কি যে কস্টে গেছে আমাদের। যতটা না আর্থিক, তারচেয়ে বেশী আম্মুর জন্য আর ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভয় পেয়ে।
খুব কস্টে গেছি বলা হয়ত ভুল হবে, তবে অনেক সংগ্রাম করে গেছে আমাদের মাঝের বেশ কয়টি বছর। এরপর ভাইয়া ছাত্র থাকতেই অনেক টাকা পেতে শুরু করে টিউশনী করে, ব্যাচ পড়িয়ে। আর কিসের উপর যে ভরসা করে আম্মু নিজের সব গয়না আর অল্প কিছু যে জমি ছিল সব বেচে ঢাকায় জায়গা কিনেছিল আব্বু মারা যাবার পর, ওটা বেড়ে কয়বছরে অনেক গুন হয়ে যায়। আম্মু বলতো, মাটিই খাটি। এরপর ডেভেলপার আসে, বাড়ি বানায়, আমাদের নিজেদের ফ্লাট হয় কয়টা। স্বপের মত করে আমাদের দিন পুরা পালটে যায়। আমাদের বাসায়ও এখন খাওয়ার লোক নেই। নস্ট হয় অনেক কিছু। যেটা হয়তো আরো ১৫-১৬ বছর আগে আমরা কল্পনাই করতে পারিনি, কল্পনা করতে পারিনি যে এমন দিন আসবে। জীবন আসলেই একটা গল্প। আর এই জীবন নিয়ে, পুরোনো এইসব স্মৃতি নিয়েই এখন আমরা অসম্ভব সুখী।
অনেক কথা বলে ফেললাম আপু। এটা আমার গল্প, আমাদের জীবনের সত্যি গল্প। লেখাটা আমি নিয়ে নিলাম।
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
আসলে কি ভাইয়া, নবাবি নিয়ে খুব কম মানুষই পৃথিবীতে এসেছে। এছাড়া যারা পায়ের ওপর পা তুলে খায়, বিলাসিতা করে, তাদের অধিকাংশই আসে অন্যের মাথায় বাড়ি মেরে আনা পয়সায়। আর এদের আভিজাত্য দেখে অভাবী মানুষদের মনে হা-হুতাশ জন্মায়। তখন নিজের না পাওয়াগুলো যতটা না কষ্ট দেয় তারচে অন্যদের পাওয়াগুলোই মনের ভেতরে গুমরে মরতে থাকে।
মধ্য ও নিম্নবিত্তদের জীবনের এসকল বিষয় আমাকে অনেক নাড়া দিয়ে যায়। কলম ধরলেই আমি এসকল বিষয় ছাড়া কোন উপাদান পাই না। তাই লিখিও না।
আমি হয়ত গল্পের রাশুর মত অত কষ্টে বেড়ে উঠিনি। আমার মাও আল্লাহর রহমতে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ। তবে কম কষ্টও করিনি। এক্ষেত্রে মানসিক যাতনাটাই মনে হয় বেশি। তবে সবগল্পগুলোই কোথাও না কোথাও এসে এক পর্যায়ে মিলেই যায়! তবে গল্পের রাশু নিতান্তই কোন গল্পও নয়। সত্যিকারের উপাদানও ওতে আছে। সেটা আর না বলি।
আপনার পুরো গল্প পড়ে টানা দীর্ঘশ্বাস এল। তবে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে সে অবস্থা বয়ে বেড়াতে হয়নি। এর চে বড় সুখের বিষয় আর কি হতে পারে?
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সময় আর যত্ন নিয়ে পোস্ট পড়ার ও মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকুন সবসময়। শুভকামনা রইল!
৬| ২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৩৩
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: মন মন মন মন মন খারাপ হল!খুব খুব খুব খারাপ!
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
মন খারাপ থাকলে খুব ভালো কবিতা লেখা যায়। একটা কবিতা লিখে ফেল আপুনি! তুমি লিখে পোস্ট দাও আমি আসতেছি!
৭| ২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৩
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: এই-ই তো মধ্যবিত্ত জীবন | অঙ্কের পৌন:পুনিক নিয়মের মত |
২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
নিম্ন বা মধ্যবিত্তের জীবনটা বড়ই ধূসর লাগে। বড়ই ধূসর। জানিনা কবে মুক্তি মিলবে। অপেক্ষায়....
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া!
অ:ট: এক দুগ্ধজাত পোস্ট আর কয়দিন। নতুন কিছু কবে পাব?? ভ্রমণ পোস্টের আকাঙ্খায়!
৮| ২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৭
বড় বিলাই বলেছেন: পোস্টটা পড়ে মন্তব্য দিতে গিয়ে দেখি পোস্ট নাই। যাক আবার ফিরে পেলাম।
খুব ভালো লাগল লেখাটা। সাদা-মাটা জীবনও কেমন করে যেন অসাধারণ হয়ে ওঠে। শুভকামনা সকল রাশুর জন্য।
৩০ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:২৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
আপু তখন আসলে পোস্টের হেডিং টা ঠিক ছিল না। তাই সাথে সাথেই ড্রাফটে নিয়েছিলাম।
তবে কি আপু সাদামাটা জীবন সবার জন্য অসাধারণ হয়ে ওঠে না। কারো কারো সৌভাগ্য থাকে কিনা!! কিংবা নিজেই নিজের ভাগ্য গড়ে নেয় কিনা! ধন্যবাদ আপু!
৯| ২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৪১
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: মাইনাচ দিলাম, একগাদা মাইনাচ। আমার এইসব গরীবি গালগল্প অসহ্য লাগে। আমি বড় হইছি বাদশাহী স্টাইলে, আমার লাইগা বড়লোকী কাহিনী লিখবেন। নাইলে মাইনাচই মাইনাচ দিয়া যামু।
৩০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
হাহাহাহা!!
আচ্ছা! আপনার যা খুশি দিয়েন ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাইয়া!
১০| ২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:১৪
সায়েম মুন বলেছেন: দুঃখ ছাড়া সত্যিকার সুখানুভূতি বুঝা যায়না। কিন্তু শৈশবের দুঃখটা/ কষ্টটা যখন প্রকট তখন সেটা মেনে নেয়া কষ্টকর!
পোষ্ট পড়ে খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে।
৩০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
শৈশবের না পাওয়াগুলো ছোট্ট মনে যে বেদনার উদ্রেক করে সেটা আর কোন সময়ের সাথে তুলনীয় নয় ভাইয়া। কেননা শিশুমনের সেইবেলায় ছোট ছোট চাওয়াগুলো আজকে পূরণীয় হলেও অনাকাঙ্খিত, অপ্রয়োজনীয়।
কান্নায় উপলব্ধি বাড়ে।
ধন্যবাদ ভাইয়া!
১১| ২৯ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:০৮
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: আপনার দেখার চোখ ও লেখার হাত অসম্ভব ভাল।
গল্পটি আমার অথবা আমার পাশের বাসার। পড়তে গিয়ে দেখি, পুরোনো স্মৃতির পাতাগুলো এখনও টাটকাই আছে। কিছুই ভুলিনি। একটুও না................
পুরোনো কষ্টের(!) স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য মাইনাস। বর্তমানের সবপাওয়া সময়ে দাঁড়িয়ে ১৫-২০ বছর পিছনে গেলে সেই কষ্টগুলিকেই একজীবনের সবচাইতে বড় পাওয়া মনে হয় !
বর্তমানের বিশাল সব প্রাপ্তি যোগ করলেও সেই সময়ের ছোট একটি পাওয়ার সমান হয় না, অন্তত আমার কাছে।
৩০ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২১
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
বলেছি তো কোন গল্পই এক সুতোয় গাঁথা মালা নয়। কিন্তু কোন না কোন জায়গায় গিয়ে শেষ পর্যন্ত মিলেই যায়!
হাহাহা! এই মাইনাস পেয়ে ধন্য হলাম বৈকি!
খুব সুন্দর কথা বলেছেন। আসলে কষ্টে মানুষ পুড়ে খাঁটি হয়। অন্তত আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস!
ঠিক তাই। সেই পাওয়াগুলোর তুলনা জগতের কোন পাওয়ার সাথে নেই।
অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা!
১২| ৩০ শে জুন, ২০১১ ভোর ৫:২৪
মেঘ_মেঘা বলেছেন: ট্যাগ কমেন্ট করে গেলাম আর ভালো লাগা দিয়ে গেলাম। ঘুম থেকে উঠে পড়বো। ঘুম থেকে কখন উঠবো এটা জানি না।
তুই লেখা দিলি আমাকে বলিস নাই কেন? এই জন্য তোরে মাইনাস
৩০ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: আপু তাহলে পড়েই ভালো লাগা দিতে! পরে যদি ভালো না লাগে তখন কি হবে?
কি বলব। আমার বলতে লজ্জা লাগে!! :!>
কি বিপদে পড়লাম। সবাই আমাকে কথা নেই বার্তা নেই শুধু মাইনাসের উপর রাখে। আপু তুমিও!
১৩| ৩০ শে জুন, ২০১১ ভোর ৫:৪০
নাআমি বলেছেন: আধাঁরি অপ্সরা, অসাধারন লাগল তোমার ভিন্ন শিরোনামের খন্ড খন্ড কাহিনী !! সত্যি, অভিভূত হয়ে গেলাম ! কাহিনীটা মন খারাপ করে দিল ঠিকই কিন্তু সেটা তোমার লেখার সার্থকতার কারনেই......
ভাল থাক আপু.......।
৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:২৯
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
এক জীবনের খন্ড খন্ড অনেকরূপ দিতে পারলে আরো ভালো লাগত। তবে বড় লেখা অনেকেই পড়তে চান না। তাই ছোট করার প্রয়াস ছিল।
মন খারাপ করে দেয়ার জন্য দুঃখিত!
তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আপুনি!
১৪| ৩০ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:০৪
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
সুখের কথা , আশার কথাও লিখতে হয়।
ভালো লাগলো।
৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৩
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
যাদের জীবনটাই দুঃখে গড়া তারা ছোটখাট সুখের গল্প লিখতে পারে না। আবার সুখের দিন গুলো আসলে যত দীর্ঘই হোক না কেন সেগুলো কেন যেন খুব একটা আবেদনময়ও হয়ে ওঠে না। যাই হোক। লেকচার দেয়াটা একটা স্বভাব হয়ে গেছে মামা। দুঃখিত!
ধন্যবাদ!
১৫| ৩০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১৭
লেখোয়াড় বলেছেন: আপনার লেখাটা, লেখাটাকে ঘিরে অন্যের মন্তব্য, আর আপনার প্রতিউত্তর সব মন দিয়ে পড়লাম। একসাথে অনেক রকমের গভীর অনুভূতি আর জীবনবোধ নিয়ে গেলাম।বলতে পারেন অনেকটা আচ্ছন্নতা নিয়ে গেলাম।
ধন্যবাদ।
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:১৫
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
ভাইয়া অনেকেই পড়েন। তবে পড়ার মূল সূর অনেকেই বোঝেন না। অথবা বুঝলেও ভুলে যান। তবে কিছু মানুষ সব সময়ই সব কিছুকে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেন। আপনার ভাবনা অনেক সুগভীর জেনে ভালো লাগল।
শুভকামনা রইল ভাইয়া।
১৬| ৩০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৫
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: মন খারাপ করেনা লক্ষী
কালকে পড়েছিলাম কমেন্ট করা হয়নি।
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:২১
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
পড়ার জন্য ধইন্না!
১৭| ৩০ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৩৩
মেঘ_মেঘা বলেছেন: আঁধারি লেখাটা পড়ে খুব মন খারাপ হলো। মনে হলো আমি আমার নিজের অতীত দেখতে পারছি। মাঝে মাঝে খুব লিখতে ইচ্ছা করে কেমন কেটেছে আমার ছোটবেলা। কিন্তু লিখতে যেয়ে গলার কাছে কেমন যেন আটকে আসে। ছোটবেলার না পাওয়া গুলো সারাজীবন হাজার পেলেও বোধ হয় ভুলে যাবার মত না।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... ভাইয়ার কথা পড়ে ভালো লাগলো। তাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে জানিস কিছু মানুষ এই পৃথিবীতে আসে শুধু কষ্ট করার জন্য। সেরকম আমার আম্মু আর আব্বু। আব্বু খুব বেশী সৎ মানুষ তাই সে জীবনে ২বেলা দুমুখো খাওয়াতে আর লেখা পড়ার ব্যবস্থা করতেই তার উপার্জন শেষ করে দিয়েছে। আমার আম্মুর জন্য খুব কষ্ট হয়। এমন জীবন আম্মুর পাওয়ার কথা ছিলো না। জমিদারের মেয়ের কপাল এমন কেন? ১৫ বছর বয়েসে বিয়ে হয়েছে থাকে শুধু কষ্টই দেখছে। খুব বেশী চাপা স্বভাবের মানুষ আম্মু তাই কিছু বলে না। তবে আমি সব সময় বুঝি আম্মু কেন আমার বড়লোক খালাদের বাসায় যেতে চায় না।
ছোটবেলার শখ আহ্লাদগুলো ছোটবেলার জন্যেই। বড় হয়ে সেগুলোর আর কোন দাম থাকে না। হঠাৎ করে মনে পড়লো ছোটবেলায় কাপড় দিয়ে বানানো ছাড়া আমার কোন পুতুল ছিলো না খেলার জন্য। ১টা পুতুলের কি শখ ছিলো ! ফিডার মুখ থেকে বের করে দিলে যেই পুতুলটা খুব কাঁদতো ! ৮০০ টাকা অনেক বেশী একটা পুতুল কেনার জন্য। তাই আমার কোনদিন পুতুল কেনা হয় নি।
সব কিছু বদলায় আমাদের বাসার অবস্থা যেন কিছুতেই বদলাবার না ! কবে যে আমাদের সব হবে !
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩৫
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: আপু তোমাকে চিমটি। আমার আম্মুও আন্টির মতই।একদম যেমনটা লিখেছ তেমনটা। আম্মুর রিলেটিভস রা অনেক রিচি রিচ। কিন্তু আমরা আমার খালাদের বাসা ছাড়া কোথাও তেমন যাই না। কাউকে পরিচয়ও দেই না। আম্মু কারো কোন অনুষ্ঠানে এ্যটেন্ড করেন না। বিশেষ করে যেইসব রিলেটিভস রা অনেক হাই ক্লাস। কারন ওদের ঐ সব অনুষ্ঠানে যেতে হলে সেরকম সাজ পোষাকে না যাওয়াটা তাদের জন্য অপমানসূচক হতে পারে কিনা!?
আমি ছোট বেলা থেকেই আমার মায়ের এই গুনটি ভালোভাবে রপ্ত করেছি। আল্লার রহমতে অনেক বেশি আত্মসম্মান বোধ নিয়ে বসবাস করি। আমৃত্যু করে যাব। এজন্য অবশ্য অনেকেই আমাকে অহংকারি মনে করে। কারন অনেকের সাথেই আমি খুব ভালোভাবে মিশতে গিয়েও মিশি না। পারি না। কারন ঐ যে আমি যেভাবে কাউকে খাতির করতে চাইব সেভাবে হয়ত পারব না। তাই চুপচাপ ইগনর করি।
পুতুলের যে ঘটনা বললে তা পড়ে মন খারাপ হল। আমার ছোটবেলাটা অবশ্য অনেক ভালোভাবে কেটেছে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত সব চাওয়াই পূরণ হয়েছে। তারপরই দুঃখের দিনের শুরু। আমিও কেন যেন সব বুঝে একটু সিটিয়েই গিয়েছিলাম। কখনো এসব আবদার করিনি আম্মু আব্বুর কাছে। এবং আমার আব্বু আম্মু কখনো বলতে পারবে না আমি কবে কোন জিনিসের জন্য তাদের কাছে আবদার জুড়েছি। না দিতে পারলে মা বাবার খারাপ লাগবে এটা আমার কেন যেন একটা বুঝ হয়ে গিয়েছিল। এস এস সি পরীক্ষার পর থেকে আমি নিজের চেষ্টায় টিউশানি করে চলি এবং চলছি। জানিনা আর কতদিন লাগবে এভাবে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলার ইতি হতে। বলতে গিয়ে কত কথা বলে ফেললাম!!
আংকেল কে নিয়ে যে লেখা দিয়েছ তাতেই অনেক কিছু বুঝেছি আপু। ইনশাল্লাহ। এইতো তিোমরা এখন বড় হয়ে গেছ। আর বেশিদিন না। তোমাদের হাসি আনন্দের দিংুলো খুব সামনেই দেখতে পাচ্ছি!
তোমার জন্য অনেক শুভকামনা আপুনি! ভালো থাক নিজের মত করে।
১৮| ৩০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২০
বহুলুল পাগল বলেছেন: কান্তেসি আর কান্তেসি :-((
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৩৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
কাইন্দে আর কি হপে রে মমিন??
১৯| ৩০ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২৬
সরলতা বলেছেন: অনেক সময় নিয়ে লেখাটা পড়লাম আপু। অনেক ছোট ছোট স্মৃতি,নিজের জীবনের কিছু কথা মনে হল। অবশ্য তুমি জান। কারণ নিজের ছোট্ট জীবনটাকে নিয়ে আমার লেখাটা তোমার প্রিয় তালিকায় দেখেছি আগেই।
তুমি খুব সুন্দর লিখ আপু। অনেক ভাল লিখ।
আমার লেখার লিঙ্কটা এই লেখায় দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। থাকুক!
আমাদের লাল-নীল ছোট্ট সংসার
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
হ্যাঁ সরল। তোমার ঐ লেখা পড়তে গিয়ে আমি খুব নস্টালজিক হয়েছিলাম। তোমার লেখনীও চমৎকার ছিল তাই প্রিয় করে নিতে হল। আসলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই মনে হয় এমন শূন্যতার মধ্য দিয়েই বেড়ে ওঠে!!
তোমার লিংক আমার পোস্টের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিল আপুনি।
ভালো থেক সবসময়!!
২০| ৩০ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন:
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৩
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
মন খারাপ করে না ভাইয়া!
২১| ৩০ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০১
রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: লেখক বলেছেন: উহুম!! নীরব ভাই!! এইটা কি বললেন? আমার আম্মু না তো রাশুর আম্মু অসুস্থ! রাশুর জবান বন্দিতে লেখা গল্প! আমার কোন বাচ্চা-কাচ্চা নাই!!
হাহাহাহাহা। ভালো লাগছে লেখা। আরেকজনের জবানবন্দী ভালোই লিখছেন। আমারো একই অবস্থা। লিখতে বসলেই ঝাপি ঝাপি দুঃখ হাজির হয়।
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৬
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
কি জানি একটা আছে না? ঐ যে??
দুঃখে যাদের জীবন গড়া...কি যেন লাইন আছে না? :-<
ধন্যবাদ!
২২| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:৩৮
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: মেঘাপু, খুব তাড়াতাড়ি অবস্থা বদলাবে। অনেক অর্থই সব না। এসব কস্টের মধ্যেও দেখবেন আপনি কোন না কোন ভাবে অনেক সূখী অন্য অনেক ধনীর চেয়ে। আন্টির জন্য অনেক শ্রদ্ধা। আমার মায়ের মত অনেকটা। আম্মুও বড়লোক আত্মীয়ের বাসায় যেতে চাইতোনা। আব্বু মারা যাবার পর অনেক আত্মীয়ের আসল রুপ দেখেছি। আমরা বাসায় গেলে ভয় পেত মনে হয়। মনে করতো যে আবার কিছু দিতে হয় নাকি। আমার আপন চাচাই দেখেছি বাসায় গেলে খেতে বসলে অন্য আত্মীয়ের চেয়ে আমাদের কম খেতে দিত, একবারো সেধে খাওয়াতোনা। তবে আম্মু কখনো কারো থেকে কিছু নেয়নি। এখন আমরা উনার বাসায় গেলে কখনো খালি হাতে যাইনা। ২-৪ দিন রান্না করা লাগবেনা এমন জিনিস সাথে করে নিয়ে যাই। ভাই বেশ অনেকদিন চাকরীতে ঢুকেছে, মাল্টিন্যাশনালে। আমিও ঢুকেছি। বেশ ভালোই টাকা আসে প্রতি মাসে। এতো টাকা দিয়ে করবো কি বুঝিনা। আমাদের চাওয়া পাওয়া এখনো খুবি অল্প। এখন আমরা সূখী বলা যায়, সূখী হতে খুব বেশী কিছু লাগেনা আপু। তবে অবশ্যই টাকা লাগে। আমার অবশ্য বেশ কিছু খেলনা ছিলো। আব্বুর কিনে দেয়া না, বেশিরভাগই গিফট ছিলো আর আমার ভাইয়ার গুলা। সবগুলাই এখনো আছে। অনেক স্মৃতি ওগুলায়। অনাগত দিনগুলো ভালো কাটুক আপু। শুভকামনা সবসময়ের জন্য।
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৪৯
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
ঠিক আছে। এমন আত্মীয়দের এভাবেই লজ্জা দেয়া উচিত!!
ইয়ে মানে ভাইয়া একটা কথা বলতে চাইতেছিলাম... :#> :!>
টাকা পয়সা বেশি হয়ে গেলে আর কি করবেন তা ঠিক বুঝতে না পারলে এইদিকে পাঠিয়ে দিয়েন।
আমি আবার ভবিতব্য একাউন্টেন্ট কিনা...... সব টাকা সুন্দর করে হিসেব করে রাখব। আর বুঝেনই তো!! একাউন্টেন্ট রা হল লিগেলি চুরি করায় ওস্তাদ। করলাম নাইলে একটু চুরি দারি......তাও আবার লিগেলি!!
২৩| ৩০ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:০৫
রাজর্ষি....... বলেছেন: নস্টালজিক করে দেয়ার জন্য মাইনাস...........
স্মৃতি গুলো যেন হঠাৎ খুব তাজা হয়ে উঠল........
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: আপনার মাইনাস সবার দেয়া মাইনাস গুলোর সাথে সজতনে তুলে রাখলাম দাদা!! জমে গেলে মালা বানাব!
অনেক ধন্যবাদ ঋষি দা!
২৪| ০১ লা জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৫৩
যাচ্ছে চলে যাক না বলেছেন: বাবা সব সময় বলেন মিথ্যে বলা মহা পাপ। আমি সেদিন অকারনে মিথ্যে বলেছি। বাবা আরো বলেন লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। আমি সেদিন লোভও করেছি। কিন্তু অভাবের কারনে আমার শিশু মনে আইসক্রিম খাওয়ার চেয়ে সেই পাপানুভূতিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে খুব বেশি প্রবল হয়ে ওঠেনি হয়ত।
বাবারা হয়তো চায় তাদের অক্ষমতা যেন আমাদের রিপুর উৎসাহ না হয়...
তয় গল্প পড়ে দুষ্ক পাইছি...
০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
তাইলে অহন অট্টু কান্দেন!!
ধন্যবাদ!!
২৫| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৫৮
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: ব্যাঙ্কার শ্বশুর খুজে পাইছি, আপাতত উনার উপর ভরসা রাখতেছি।
আপনাকে কেন খামাখা কস্ট দিব?? তবে বিয়ে করলে কি হবে বুঝতেছিনা। বিয়ের যা খরচ, বিয়ে আমার ব্যাঙ্ক ব্যালান্সে মাইনাচ দিয়া যাবে মনে হয়।
এজন্য যত পেছানো যায় আরকি, কিছুদিন অন্তত ধনী ভেবে নেই নিজেকে।
সব স্বচ্ছল ছেলেই বিয়ের পর পথের ফকির হয়।
০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
শুনে ভাইয়া অনেক কষ্ট পেলাম যে আপনার শশুর ব্যাংকার!!
মনে মনে কত স্বপ্ন সাজাইলাম যে আপনার গচ্ছিত রাখা টাকা দিয়া পরের পয়সা নাড়াচাড়া কৈরা ধনী হবার মজা লুটব!
আপনার আর ভাবীর জন্য অগ্রীম শুভকামনা ভাইয়া!
২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৭
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: আপনার জন্যও একটা ভাইয়া ঠিক করে দিব নাকি? ব্যাঙ্কার হইলে হবে? সারাদিন টাকা হিসেব করবে, নিজের না হোক, টাকা তো টাকাই, তাইনা??
আপনার কোন কমেন্টের জবাবে জানি একটা আধারী কবিতা লিখে ফেললাম। দেখে আইসেন।
০২ রা জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
নাহ! থাক ঠিক আছে। :!> :#> :!> :#> :#>
কবিতা দেখতে গিয়েছিলাম।পাওয়ার চলে গিয়েছিল!
দেখে আসব!
২৭| ০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৫৫
নীরব 009 বলেছেন:
০২ রা জুলাই, ২০১১ রাত ৮:০৪
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
২৮| ০২ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: এইসব লেখা আমি পড়তে পারিনা। মনটা খারাপ হয়ে যায়। তাই ছোট্ট কমেন্ট করেই চলে যাই।
মেঘার কমেন্ট এবং রিপ্লাইটা পড়ে আরো খারাপ লাগলো। অনেকটাই আমার সাথে মিল। অভাবের সংসারযে কতো জঠিল, কতো কষ্টে ভরা তা ধনিরা কি বুঝবে? সেখানে আমরা কতো ছোট ছোট (ছোট হলেও আমাদের জন্য সেই সব ছিলো অনেক বড় চাওয়া) চাওয়াগুলো না পাওয়ার বেদনা যে কতো তা কে বুঝবে?? সে না পাওয়ার কষ্টগুলো বুকে নিয়েই আমাদের বড় হওয়া। এখন ভাবি বাবারা এমন সৎ না থাকলে এমন কি হতো?? বাবাদের ওই সৎ হওয়াটা আমাদের অনেক চাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। তবে সেই না পাওয়াটাই হয়তো এখন সুখের কারন। ভালোইতো পাইনি, তার চেয়ে হাজার গুন সুখের জিনিসতো পেলাম, সততার শিক্ষা। ছোটবেলার চাওয়াগুলো যদি পেয়েই যেতাম তাহলে এটাকি পাওয়া হতো?? সো, নু মন খারাপ। আমার কষ্টগুলো কিন্তু অনেক ভারি, সেটুকু বুকে বয়েই দিনাতিপাত করছি।
আপনার সামনের দিনগুলো অনেক সুখের না হোক, তবে দুঃখ আপনার কাছ থেকে দুরে থাকুক।
০৩ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:১২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
দুঃখের আগুনে পুঁড়েই মানুষ খাটি হয়.........সিনেমেটিক কথাবর্তা!!
আসলে অভাববোধ মানুষকে প্রকৃত মানুষ রূপে গড়ে উঠতে সাহায্য করে। কারন হাত পা থাকলেও আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানবতা বা মনুষত্য বিবর্জিত কিনা!!
যে সব লেখা ভালো লাগে না বা পড়তে কষ্ট হয় সেগুলো ইগনর করাটাই বেটার। আমি তাই করি। আপনার কষ্ট ও প্রয়াসের জন্য ধন্যবাদ!
২৯| ০২ রা জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৫১
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: বিষন্ন অদ্ভূত সুন্দর একটা লেখা। ছোটবেলার অনেক না পাওয়া আর কস্টের কথা মনে পড়ে গেল। তবে আমার কখনো এমন মনে হয় নি যে ওর আছে, আমার কেন নাই? আমি খুব সহজেই না থাকাটাকে মেনে নিতে পেরেছিলাম। মনে হতো এই বিষম বৈষম্যই বুঝি খুব স্বাভাবিক।
শুভকামনা অপ্সরা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
সবার গল্প বিষন্নতায় ভরা হবে কেনো? কারো কারো গল্প হবে সিন্গ্ধ। পাওয়ার আমেজে ভরপুর। তবে কি আপু না পাওয়া দিয়েই যদি শুরুটা ওঠে তাহলে তার না পাওয়ার বোধটা হয়তো অত বিষন্ন নাও লাগতে পারে। কিন্তু হঠাৎ করে না পাওয়া যে কত বড় শুণ্যতা এটা শুধুমাত্র সেই বুঝতে পারে যে কিনা হঠাৎ করে ঐ অবস্থার মধ্য দিয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপু!!
৩০| ০২ রা জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:২২
লিটল হামা বলেছেন: খুব চমৎকার, টাচি একটা লেখা। অনেক ভালো লাগলো।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
ধন্যবাদ হামা ভাই!!
শুভকামনা!
৩১| ০৩ রা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৪৫
লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: এই লেখাটা মিস করে ছিলাম. খুবই চমত্কার হয়েছে গল্পটা.
সাথে স্মৃতির নদীর নিজ জীবন কথাও
০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫৯
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো ভাইয়ার মন্তব্যটা আমার পোস্টের সৌন্দর্যের বৃদ্ধি করছে!
ধন্যবাদ আপুনি!
৩২| ০৩ রা জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:১২
শোশমিতা বলেছেন: গল্পটা মন খারাপ করা, কিন্তু খুব বাস্তব!
অনেক ভালো লাগলো!
কেমন আছো আপু??
০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
ঠিক আপুনি! কাল্পনিক উপকরনের চে বাস্তবতাকে পুঁজি করে লিখতে আমার বেশিই ভালো লাগে!
আপু আমি ভালো! তুমি ভালো তো?
শুভকামনা!
৩৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২৬
বৃষ্টিবেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৯
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু!
৩৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪৫
লেখোয়াড় বলেছেন: সেই অসমাপ্ত জীবনের কথা বলতে চেয়েছি, সেই না মেটা সাধের মনটার কথা শোনাতে চেয়েছি, যে জীবন-মনের যে কষ্টের, যে বেদনার, যে না পাওয়ার অদৃশ্য শক্তি মানব-মনকে যাতনায় রিক্ত করে রাখে। কিন্তু ওইগুলোকে যে অপরূপ করে দেখতে পারে সে অনেক কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে।
ধন্যবাদ আ অ।
কেমন আছেন?
০৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৪৫
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
আবারো অনেক ধন্যবাদ।
জ্বী আমি ভালো।
আপনিও ভালো থাকুন, সবসময় শুভকামনা!
৩৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ২:৫৭
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: ভালো লাগলো গল্প।
অভাবে স্বভাব নষ্ট পর্বটা প্যাথেটিক
০৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৪৬
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
আসলেই!!!
এটা কিন্তু বাস্তব ঘটনা!
ধন্যবাদ ডেমন!!
৩৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:১৫
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: খুব ভাল লাগল আধারি । আসলে মানুষ হতে হলে কিছু কষ্ট সহ্য করা উচিত সবারই ।
পৃথিবীতে সততার আলাদা একটা মূল্য আছে যেটা আর কেউ না বুঝলেও যে সৎ সে নিজে আর স্রষ্টা বোঝেন ।
আমার শৈশব সেরকম কোন কষ্টে না কাটলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটি পয়সা ছোটবেলায় আমাকে দেয়া হত না । স্কুলে আমি হেটেই যেতাম । আমার মনে হয় আরাম আয়েশ আর জীবন ধারণ দুটোর মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য কিছুটা সময় সবারই শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত ।
খুব ভাল লাগল পোস্ট টা । শিক্ষামূলক
০৭ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৪৯
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
ঠিক তাই!!
কষ্ট সয়ে যে বড় হয় তার মানবিক বোধ টা অনেক বেশিই থাকে। আপনার শৈশবর গল্প শুনলাম। ভালো লাগল যে আপনি জীবনের অপর পিঠ দেখেও অভ্যস্ত!!
ধন্যবাদ তানিম অনুপ্রেরণার জন্য।
শুভকামনা সবসময়!
৩৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫৮
ডেইফ বলেছেন:
লেখাটা যে হৃদয় দিয়ে লেখা সেটি অনুভব করা গেল।
মনটা কেমন যেন হয়ে গেল লেখাটি পড়ে। হয়তো সবসময় যা চেয়েছি তা পেয়েছি বলেই ছোট থাকতে অন্যের অনুভবগুলো বুঝতে পারতাম না।
অনেক অনেক ভাল লিখেছেন আপনি। শুভকামনা রইল সবসময়ের জন্য।
০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৩৩
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাইফ ভাইয়া!
৩৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:১০
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: এধরণের লেখা পড়ে আমি কখনো নিজের অনুভূতিটুকু শেয়ার করতে পারিনা। আমি কোন ভাষা খুঁজে পাইনা।
০৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১০:৫১
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
সব সময় অনুভূতি প্রকাশের যোগ্য হবে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ নয় ভাইয়া! থাক না কিছু কথা, কিছু অনুভূতি ভাষাহীন!
ধন্যবাদ!
৩৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১২:২৮
কথক পলাশ বলেছেন: একটা ব্যাপার অবাক লাগছে,
এই লেখায় আপনি কতজনের অতীতকে যে চোখের সামনে এনে দিয়েছেন!
মনে আছে, পাশের বাসার ছেলেটি যেদিন একটা চাবি দেয়া খেলনা গাড়ি কিনে আনলো, হিংসায় কয়েকদিন রাতে ঘুমাতে পারিনি।
০৯ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
এতজনের দুঃখী অতীত দেখেছেন আপনি?!
আহারে!!
ধন্যবাদ ভাইয়া!
৪০| ০৫ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:২২
সোনাবালি'র আপন ভুবন বলেছেন: আমরা সেফ হয়েছি, আসবেন একদিন আমাদের ভুবনে বেড়াতে ---
০৯ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
গিয়েছি!!
৪১| ০৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৪৯
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: আমি কবিতা লিখতে পারছিনা আপু।
০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: কেন আপু? আমি দেখে এলাম আপনি কবিতা লিখেছেন!!
৪২| ০৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫৩
জোম্বি বলেছেন: মাইনাস মন খারাপ করে দেওয়ার জন্য
দু:খ ভাল লাগে না
০৯ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
দীর্ঘশ্বাস!
৪৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:০৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আজকে হরতাল বলে কাজের চাপ কম, তাই অফিসে বসেই শেষ পর্যন্ত লেখাটা পড়ে ফেললাম...
জীবনের প্রতিচ্ছবি খুব সুন্দর করে তুলে এনেছেন, এই বাস্তবতা অনেকের জীবনের সাথেই মিলে যাবে, আমার জীবনেও এমন একটু ছিল না তা নয়, খুব গরীব হয়ত ছিলাম না, কিন্তু ছোট বেলার সব চাওয়া পূর্ণ হত না, হলেও অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হত...
আপনার লেখা অনেক ভেতরে ছুয়ে যায়, ভাল লাগল...
১০ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৩
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: আসলে খুব কম মানুষেরই সব চাওয়া পূর্ণ হওয়া সম্ভব। তবে অভাব আর চাওয়া দুটো একটু ভিন্ন! অনেকেই আছে অভাবে না থাকলেও স্বভাবের কারনে বেশি চাহিদা অনুভব করে। সেটা খুব একটা ভাববার বিষয় না! আর কাঠখড় পোড়ানো প্রাপ্তগুলোই মনে হয় বেশিদিন মনে থাকে!
ধন্যবাদ।
শুভকামনা!
৪৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
কাউসার রুশো বলেছেন:
চলচ্চিত্র-বিষয়ক ই-বুকের পর এবার বর্ষার ই-বুক ' বৃষ্টির দিনে '
৪৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:১০
হাম্বা বলেছেন: হয়ত আজ সময় তাদেরকে সেগুলো দ্বিগুন পরিমাণে ফিরিয়ে দিয়েছে, তবে নিষ্ঠুর সময় নিজে কখনো ফিরে আসেনি।
১০ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৫:১৪
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: নিষ্ঠুর!!
ধন্যবাদ হাম্বা ভাই!
৪৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১১
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: এটা ২৬ তম পেলাস ক্যামনে মিস হইলো পোষ্ট টা>>>
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: ধন্যবাদ সাকিন!
৪৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:৩৩
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: লেখক বলেছেন:অ:ট: এক দুগ্ধজাত পোস্ট আর কয়দিন। নতুন কিছু কবে পাব?? ভ্রমণ পোস্টের আকাঙ্খায়!
%% দুগ্ধ ফেননিভ শয্যা ছেড়ে একটা পোস্ট দিয়েছি যা মোটেও দুগ্ধজাত নয়
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:০৮
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন: হুম। একটু ব্যস্ত আছি। ঈদের আগেই ব্লগে ফিরব আশা রাখি। তখন পড়ব! ধন্যবাদ!
৪৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৫২
হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: এই সব বিষয় নিয়েই একটা মধ্যবিত্তের উপন্যাস হয়ে গেলে তো কোন ক্ষতি নেই। সেই ফেলে আসা যাপিত জীবনের স্মৃতিকে আপনি নাড়া দিয়েছেন অসাধারনভাবে।
+++!!!
০১ লা আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:১২
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
মধ্যবিত্তের সব গল্প গুলোই একই সূ্ত্রে গ্রথিত।
অনুভূতি আর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হাসিন!
৪৯| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২৮
জয় রাজ খান বলেছেন: গল্পটা পড়ে কোন কিছু অনুভব করতে পারছি না কেন জানি হয়তো এমন কঠিন বাস্তবতা দেখিনি বলে! শৈশবটা অনেক ভাল কেটেছে
এবার বাকী জীবনটা ভাল কাটলেই হয়
২৫ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১৭
আধাঁরি অপ্সরা বলেছেন:
সবার শৈশব তো একভাবে কাটেনা। তাই না? শুনে ভাল লাগল যে তুমি সৌভাগ্যবানদের একজন!
৫০| ১০ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:০২
তপ্ত সীসা বলেছেন: কমেন্ট সহ সব পড়লাম। কিছু বলার নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো... বলেছেন: দিছি দিছি, আমিই দিছি পুত্তুম পিলাচ।
এখন পইড়া ভাল্লাগ্লে মাইনাচও আমি দিমু।