| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসলেই কি আবহমান কাল থেকে বাংলার সাধারন মানুষের খাবার পান্তা ইলিশ?
আমি যতটুকু দেখেছি, আমার কাছে মনে হয়েছে উত্তরটা না ই হবে। আমি ভুলও হতে পারি কিন্তু আমার বাংলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আমার মনে হয়েছে, ইলিশ সব সময় সব যুগেই একটা অভিজাত মাছ ছিলো। এমন কি বাঙালীর জামাই সষ্ঠি, অতিথী আপ্যায়ন ইলিশ ছাড়া চলতো না। সেখানে ইলিশ কিভাবে পান্তার সাথে বর্ষবরনের প্রথম প্রহরের খাবার , মানে বাঙালীর সকালের খাবারের মর্যাদা পেলো। এটা আমার কাছে অনেকটাই বানিজ্যিক মনে হয়েছে। অনেকটা ইষ্টারের এগের মত। এই ইষ্টারে আমি এই প্রশ্নটা করেছিলাম আমার কিছু খৃষ্টান কলিগকে। তাদের মতে এগের সম্মর্কটা ধর্মের থেকে বেশি বানিজ্যিক।
সেযাই হোক, উৎসব বলে কথা। উৎসব উৎসবই। বাঙালী বড়ই আমুদে জাতি, সব সংঘাত, ভাদাভেদ, দারিদ্র, অভাব ভুলে। বাঙালী উৎসবে মাতবেই। সবাইকে শুভ নবর্বষ ১৪২০।
শুনলাম, এবার ইলিশের আগুন লাগা ধাম। সকল রেকর্ড ভেংগে সে উচ্চভিত্তের নাগালের বাহিরে এবার। আসুন ইলিশের দুঃখ ভুলে বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঙালীর সকালের খাবার দেখি।বাঙালী ঐতিহ্য পালোন করতে এগুলোও আপনি ট্রাই করতে পারেন।
১) পান্তা - শুকনা মরিচ ভর্তা: এই খাবার টা বরিশাল এলাকায় প্রচলিত খাবার। বিশেষ করে মাঠে যারা কাজ করে।
২) দধি- চিড়া: এটা ও খুবই বিক্ষাত বাঙালী খাবার। চাইলে আপনি দধি-চিড়ার সাথে একটু ঘোল মিশাতে পাড়েন। চাইলে একটা রসোগোল্লাও যোগ করতে পারেন। স্বাধ আর নাই বললাম। আমার মরহুম বাবার প্রিয় খাবার ছিলো।
৩) পান্তা-শুটকি ভর্তা: এইটা সম্ভবত সবচেয়ে পপুলার খাবার। চিন্তা করলেই আমার মাথা নষ্ট। চাইলে শুকনা মরিচ পোড়া আর একটা ডিম বাজি যোগ করলে আমি শেষ।
৪) গড়ম ভাত- আলু ভর্তা: এটা আমার দ্বিতীয় প্রিয় খাবার। এক চামাচ গাওয়া ঘি। লুলু পড়ে গেলো। বা আপনি গরম ভাত-আলু ভর্তা আর মশুর ডাল খেতে পারেন। তবে আমাকে না দিয়ে খাইলে, পেট খারাপ হইতে পারে।
৫) খিচুড়ি-ডিম ভুনা: মনে হয় বিস্তারিত না বলাই ভালো। আমার লুলু পডতে শুরু করছে। আমার প্রিয় খাবার। চাইলে এখাবারের সথে আপনি যদি একটু মরিচ ভর্তা আর শুটকি ভর্তা যোগ করেন। পৃথিবীর কোনো খাবারের সাধ্য নাই এই খাবার কে হারায়। আর যদি এক পিচ ইলিশ মাছ যোগ করেন, মন্তব্য নিসপ্রোয়জন।
৬) চা-বাকরখনি: এটা পুরনো ঢাকার বিক্ষাত খাবার। ঐতিহ্য বাহী খাবার। অনেকেরই পছন্দ কিন্তু আমার কাছে বাকরখনি রসোগোল্লা দিয়েই মজা লাগে, সেই রকম মজা।
৭) ঝাউ ভাত-নারকেল-তাল পাটালী: যদি কেউ এই খাবারটা আগে না খেয়ে থাকেন। খেয়ে আমাকে যানাইয়েন। খুলনা এলাকার এই খাবারটা ও ঐতিহ্য বাহী এবং খুবই মজার।
এ নববর্ষে আপনি ইলিশ-পান্তার দু:ক্ষে না কেদে উপরের যে কোনো একটা ঐতিহ্য বাহী খাবার ট্রাই করতে পারেন। আশাকরি নববর্ষ আপনার ভালোই কাটবে।
ও আচ্ছা আপনি চাইলে নিচের ২ টা বাঙালী পানীয়য়ের যেকোনো একটা ট্রাই করতে পারেন। ২ টাই জগৎবিক্ষাৎ
১) লাচ্চি: খুব সহজ কিন্তু খুবই সমাদার আর স্বাস্হ্য কর এখাবার সারা পৃথিবীর সব ইন্ডিয়ান ফুডের দোকানেই পাবেন। একটা ব্লেন্ডারে বরক কুচি নেন, এখন পরিমান মত টক দৈ, চিনি আর সামান্য লবন মিশিয়ে ব্লেন্ড করে টেষ্ট করুন। খবই কম জামেলায়, কম খরচে এর চেয়ে মজার পানিয় সম্ভবত পৃথিবীতে বিরল।
২) লেবুর শরবত: গরম থেকে এসে এরচেয়ে ভালো কোনো রিফ্রেসিং ড্রিস সম্ভবত আর নাই।
যাই হোক অনেক বড় লেখা হয়ে গেলো। কেউ কষ্ট করে পডলে, ধন্যবাদ। সবার নতুন বছর ভালো কাটুক। আমার মাতৃভুমি সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে সমৃদ্ধির পথেই থাকুক। সবার জন্য শুভ কামনা।
প্রবাসে আজ খুবই মিস করবো চারুকলার র্যালী, টিএস সি এর প্রনের মেলা। খুবই মিস করবো।
একটা গোপন কথা বলি, এই টি এস সি তেই ৯ বছর আগে ১লা বৈশাখে আসীম দিগন্তীর সাথে আমার দেখা হয়েছিলো। আজ সাড়ে ৮ বছর এক ছাদের নিচে চলছে আমাদের টোনা টুনির সংসার। দুই পিচ্চিকে নিয়ে আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি আমরা। তাই ১লা বৈশাখ আমাদের এক বিশেষ দিন। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
অসীম দিগন্ত বলেছেন: ধন্যবাদ।
২|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৩১
মুহসিন বলেছেন: দোয়া করছি।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
অসীম দিগন্ত বলেছেন: শুভ কামনার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২৩
রোদেলা দুপুর বলেছেন: দুয়া করি আপনারা ভাল থাকেন।