নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দারোগা সাহেব

দারোগা সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহের পুত্রের বিয়ে ও বাসর
এবং হাজারো কয়েদীর জন্য একটি মানবিক প্রর্থনা ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩

লক্ষীপুর কারাগারে তাহের পুত্র বিপ্লবের বিবাহ ও বাসর এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি ।

এ ঘটনা যেমন রঙ্গ রসের সৃষ্টি করেছে আবার ক্ষমতার দাপটকেও দেশবাসীর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ।

বিষয়টা হয়ত এতটা আলোচিত হতনা যদি ঘটনার নায়ক লক্ষীপুরের গডফাদার খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্ত আবু তাহের পুত্র বিপ্লব না হতেন ।

সত্য বলতে এই বিবাহ একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং এখানে মন্দ কিছু হয়নি বরং ভবিষ্যতের জন্য ঘটনাটি একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে ।

বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে হাজার হাজার কয়েদীর অবস্থান ।

এসব কয়েদীর অনেকেই আছে যাবজ্জীবন অথবা দীর্ঘমেয়াদে কারাদন্ড প্রাপ্ত । যারা বাহিরের জগত থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন । এই বিচ্ছিন্নতা হেতু এসব কয়েদী তাদের জৈবিক চাহিদা পূরণের বৈধ পথ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । এই বঞ্চনা তাদেরকে ঠেলে দিচ্ছে একটি ভয়ংকর পাপ ও মারাত্মক সাস্থ্য ঝুঁকির দিকে ।

যদিও কারাগারে অবিবাহিত ও বিবাহিত কয়েদীরা বঞ্চিত হচ্ছে বিবাহ এবং তাদের স্ত্রীদের সান্নিধ্য থেকে কিন্তু তাই বলে তাদের জৈবিক চাহিদা কিন্তু তাদেরকে ছেড়ে যায়নি । বরং দীর্ঘ দিন জৈবিক চাহিদা পূরণের বৈধ পথ না থাকায় এসব কয়েদী এই চাহিদা পূরণে এক প্রকার বাধ্য হয়ে সমকামিতার মত একটি জঘণ্য পথকে বেছে নিচ্ছে । ফলে কারাগারগুলো সংশোধনাগার না হয়ে উল্টো পাপাচারের আখড়ায় রুপান্তরিত হয়েছে ।

কারাগারে সিনিয়র কয়েদীদের শিকার হচ্ছে মূলত নবাগত কয়েদীরা বিশেষ করে যারা অল্প বয়স্ক । কারাগারে চলমান সমকামিতা সম্পর্কে জেল সুপার থেকে শুরু করে কারারক্ষী পর্যন্ত সবাই অবগত কিন্তু বিষয়টি সমাধানের যেন কেউ নেই ।

এ অনৈতিক কর্ম ও পাপাচার থেকে উত্তোরণে প্রতি মাসে বা সপ্তাহে বন্দীদের জন্য নির্দিষ্ট এক বা একাধিক দিন কারাভ্যন্তরে নির্ধারিত কক্ষে তাদের স্ত্রীদের সাথে একান্তে কিছু সময় কাটানোর ব্যবস্থা করাটা জরুরী হয়ে পড়েছে ।

এতে করে যেমন কারান্তরীণ পুরুষ অথবা মহিলা কয়েদী তার জৈবিক চাহিদা বৈধভাবে পূরণ করতে পারবে ঠিক তেমনিভাবে কারাগারের বাহিরে অবস্থানরত তার স্ত্রী/স্বামীও পরকিয়ার মত পাপাচার/ সামাজিক অনাচার থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে সক্ষম হবে ।

তাই কেবল তাহের পুত্রদের জন্য সুযোগটি অবারিত না করে কারাগারে অবস্থানরত সকল বিবাহিত ও অবিবাহিত কয়েদীর জন্য এ সুযোগের দ্বার খুলে দেয়াটা এখন মানবিকতার দাবী ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: এরা হাসিনার আশির্বাদপুষ্ট সুতরাং এদের কথাই আলাদা। এদের সাথে আমজনতাকে মেলানো কি ঠিক হবে?

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯

মোমের মানুষ-২ বলেছেন: বিষয়টির সাথে পুরোপুরি একমত.........এটা কেবল তাহির পুত্রদের জন্যই নয়, সবার জন্যই করা হউক

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

নিজাম বলেছেন: শতভাগ একমত। সবার জন্য এমন ব্যবস্থা করা হোক।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯

মুহাই বলেছেন: সহমত

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: প্রিয় ভাইয়েরা আসুন আমরা বিদ্যুতের বিল নিয়ে একটু আলোচনা করি।
বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য - নাভিশ্বাস মধ্যবিত্ত জনসাধারনের-প্রতিকার চাই
গতমাসে (জুলাই মাসে) বাসার বিদ্যুত বিল এসেছে ৭৪৯ টাকা (১০৭ ইউনিট)।
ডিপিডিসির বিদ্যুত বিল এর ট্যারিফ থেকে দেখা গেল ওরা যে স্ল্যাব দিয়েছে সেখানে সর্বনিম্ম স্ল্যাব ০-৭৫ ইউনিট। ৭৫ ইউনিট বিদ্যুত খরচের হিসাব- ৭৫ ইউনিট বলতে ৭৫ কিলোওয়াট আউয়ার, যার মানে ৭৫*১০০০ ওয়াট আউয়ার। চারটা ইনার্জি লাইট, একটা/দুইটা সিলিং ফ্যান, একটা ফ্রিজ স্বাভাবিক ভাবে চালালেই তো ৭৫ ইউনিটের বেশি বিদ্যুত খরচ হয়ে যায়। তাহলে এ স্ল্যাবটির উপকার তো আমরা মধ্যবিত্ত ছোট একক পরিবার পাচ্ছি না।
এ স্ল্যাবটি পরিবর্তন করে এটিকে ০-১২০ ইউনিটে আনার জন্য কিছু কি করণীয় আছে, পরামর্শ দিন।
লিংক: Click This Link

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিদ্যুৎ সেক্টরে যা দুনম্বরী টাকার খেলা চলে ঘুষ চলে মাসে কোটি টাকা আয় চলে আর সেইসব টাকা বহুৎ উপ্রে যায় সেখানে আপনের এইসব প্রস্তাব হালে পানি পাবেনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.