নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেরুদন্ড হীন হয়ে পরছে জাতি

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪০

দেশের মানুষ আজ খুব দুর্বল হয়ে গেছে, প্রতিনিয়তই একটু একটু করে আরও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এক প্রকার মেরুদন্ড হীন প্রানীর মত হয়ে যাচ্ছে। কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উচু করে দাড়ানোর সাহস পাচ্ছে না জনগন। পুলিশ, প্রশাসনের ভয়ে সবাই কোনঠাসা হয়ে আছে। দেশে একটার পর একটা অঘটন ঘটে যাচ্ছে আবার ধামাচাপা পরো যাচ্ছে তারপরও সবাই চুপ। কেউ কিছু ই বলছেনা কোনরুপ আন্দোলনও হচ্ছে না ভয়ে। আর সবচেয়ে বড় সমস্য হলো এই দেশে একটা ইস্যু দিয়া আরেকটা ইস্যু ধামা চাপা দেয়া একটা সহজ একটা কাজ হয়ে গেছে, বলতে গেলে একটা ট্রাডিশন হয়ে গেছে।

দীর্ঘ ৫ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে সাগর-রুনির হত্যামামলা এখনও পর্যন্ত কোন সমাধান হলো না!! কেন খুন হলো কি কারনে খুন হলো আদৌ কিছু জানা গেল না শুধু রহস্যই হয়ে রয়ে গেলো!! শুধু দিন যায় আর মামলা গড়ায়। সাগরের মা কেদে বুক ভাসায় আর তাদের ছোট্ট সন্তান এখন মা-বাবা হীন এতীম একলা বড় হচ্ছে। এর আগে কিন্তু বিডিয়ার বিদ্রোহ ঘটলো দেশের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। অনেক তাজা প্রান, যারা এই দেশের সন্তান, এক অমূল্য সম্পদ আর্মি অফিসার, জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হত্যা হয়ে গেল।আজও পর্যন্ত যা একটা বড় রহস্য হয়ে রয়ে গেলো যে কেন বিডিয়ার বিদ্রোহ আর কেনই বা এই হামলা, কিছুই জানা গেলোনা। একটা ইস্যুর সাথে আরেকটা ইস্যুর টানাটানিতে সব ধামাচাপা পরে গেল।

শেয়ার বাজারের ধ্বসের কথা সবার মনে আছে কি না জানি না! আনুমানিক ১২০০ কোটি টাকা ( ভুল হলে মাফ করবেন ) আত্নসাত হয়ে গেছে, শত শত পরিবারে পথে বসে গেছে, ধ্বংসও হয়ে গেছে। এত বড় কেলেঙ্কারী ঘটনা কোন বিচার বা সমাধান কিছুই হলো না। শুধু কিছুদিন সংবাদপত্র আর নিউজ চ্যানেল গুলো গরম ছিলো ব্যাস। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, জামাআত ও হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন সব ইস্যুর মধ্যে এই শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী ইস্যুটাও চাপা পরে গেল।
তারপর রানা প্লাজার ধ্বস্ শতশত মানুষের মৃত্যু কতশত পরিবার পথে বসে গেল সবই এখন অতীত হয়ে গেছে। রানা প্লাজা ধ্বসের পর কিন্তু একটা মেয়ে নাম 'রেশমা' খুব ভালো অবস্থানে চলে গেছে। আর বাকিরা যারা গুরুতর আহত কিংবা নিহতদের পরিবারের কারও কিন্তু অবস্থান ভালো নেই!!! এই সকল বিষয় নিয়ে কারোও মাথা ঘামানোর সময়ই নেই।

রাজাকার দের ফাসি দেয়া হলো দেশ কে কলঙ্ক মুক্ত করা হলো। স্বাধীনতার চেতনা অক্ষুন্ন রাখা হলো। হ্যা আমরা সবাই রাজাকার যারা দেশদ্রোহী সকলেরই ফাসি চাই, কিন্তু রাজাকারদের ফাসি দিলেই তো সব দায়িত্ব তো শেষ হয়ে যায় না। যারা দেশের ক্ষতি করে একটার পর একটা দুর্নীতি করে টাকা আর ক্ষমতার পাহাড় বানাচ্ছে তারা কি দেশদ্রোহীর খাতায় নাম পরে না তারা কি দেশের জন্য কলঙ্ক নয় কি!? তাদেরও তো শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু কই কিছুই তো হচ্ছে না। বরং দুর্নীতি আরও বাড়ছে সাথে দুর্নীতিবাজও। এইটা একটা মেজর ইস্যু যার কোনও কুল কিনারা নাই।

পদ্মা সেতু নিয়েও দুর্নীতি কম হয়নি দেশে। বিস্তারিত বলার মত কিছু বাকি নেই, সবাই এর দুর্নীতি সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানেন। অর্থ আত্নসাতের কারনে শেষ পর্যন্ত কি হলো বাইরের দেশের সাথে একটু সম্পর্ক নষ্ট হলো। আমাদের সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী এই কারনে ছাটাই হলেন মন্ত্রীত্ব থেকে । এই ইস্যুটাও খুব গরম ছিলো যা এখন সবার মন থেকে মুছে গেছে।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুড়ি হলো, যার এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান হলোনা। এই অর্থ একবার বলছে ফিরিয়ে আনা যাবে আবার বলা হচ্ছে ফিরিয়ে আনা যাবে না। কোন উপায় বা সমাধান না দিতে পেরে 'বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর' সুপুরুষের মত পদত্যাগ করলেন যা এখন দৃষ্টান্ত অথচ কোন সমাধান তিনি দিতেই পারলেন না। দেশের মন্ত্রী মহোদয়দের সবারই একই অবস্থা, তারা বিস্মিত এবং মর্মাহত। মাঝখান থেকে বাংলাদেশের অনেক বড় অঙ্কের একটা অর্থ চুড়ি হয়ে গেলো যার কিছু অংশ দিয়ে পদ্মা সেতু সহজেই করা যেত। যাই হোক এই ইস্যুতে কয়েকদিন মিডিয়া খুব গরম ছিলো।

এরপর ঘটলো তনু ধর্ষন ও হত্যাকান্ড ঘটনা, খুবই মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক একটা ঘটনা এই ঘটনাটা বলতেও খুব কষ্ট লাগে। যার মামলা এখনও ঝুলে আছে আর কতকাল থাকে কে যানে। কোন কুল কিনারা নেই ঘটনার, তনুর মা বিচার চায়, গরীব তাই বিচার পায় না। কিছুদিন আগে ডেইলি স্টারে লেখা হয়েছে এই ব্যপারে যে, তনুর কথা হঠাৎ সবাই কেমন যেন ভুলে গেল। এই ইস্যু নিয়ে শাহাবাগিরা ব্যপক আন্দোলন করেছে ( শাহবাগি বললাম কিছু মনে করবেন না)। দেশ ব্যাপিও অনেক আন্দোলন হয়েছে, সবাই এর বিচারের দাবি করছে। মিডিয়া এই বিষয় টা নিয়ে অনেক হাইলাইট করেছে। কিন্তু এখন কোথায় তারা কেউ কোন শব্দ করছেনা। কোন্ এক ইস্যু তে হারিয়ে গেলো তনু হত্যাকান্ডের বিচার, তনুর মা শুধু চোখের পানি ঝড়ায় কোন বিচার পায় না।

দেশে কিছুদিন আগে ঘটে গেল জঙ্গী হামলা এবং আইএস এর তৎপরতা। গুলশান ১ এ হামলা হলো বিদেশি কিছু মেধাবী মানুষ মারা গেল, মারা গেলো বেশ সংখ্যক দেশের মানুষও। আর চুর্ন বিচুর্ন হলো দেশের মান। দেখা গেল কিছু ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র যাদের ব্রেইন ওয়াশ করে জঙ্গী বানিয়ে এই আত্নঘাতি হত্যাকান্ড ঘটানো হলো। দায় স্বীকার করলো আইএসআইএস( ISIS ) নামক সংগঠন যারা ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে ইসলাম ধ্ব্ংসের কাজ করছে। এরপর দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কিছু জঙ্গী ধরা হলো যার অভিযান এখনো চলছে। এই ব্যপার টাও মিডিয়াতে ব্যপক হাইলাইট হয়েছে যে এটা ছাড়া আর কোন খবর মনে হয় তারা প্রচার করতে ইচ্ছুক না। মানে অন্য খবরও দেখাইছে তবে মাথাব্যথা ছিলো জঙ্গী তৎপরতা। ওহহো, এই ইস্যুটাতেই কিন্তু তনু হত্যা মামলা ধামাচাপা খাইছে। বিচারাধীন আছে সব কিন্তু বিচার নাই সমাধানও নাই!!

জঙ্গী ইস্যু নিয়ে দৌড়তে দৌড়তে রামপাল বিদ্যুত প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়ে গেছে, দারুন একটা পরিকল্পনা ছিলো। এই বিদ্যুত কেন্দ্র বাস্তবায়ন বাতিলের জন্য প্রায় ২ - ৩ বছর যাবত আন্দোলন চলছে। ৯০% জনগন এর বিপক্ষে, তারপরও কিভাবে যেন প্রকল্প স্থাপনের চুক্তি সাক্ষরিত হয়ে গেছে, কোন ফাক ফোকর দিয়ে করে ফেলছে কেউই টের পায়নি। রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে অচীরেই। এ নিয়ে অনেক আন্দোলনের ঝড় উঠলো ফেসবুক সহ আরও সোস্যাল মিডিয়া ও ব্লগেও কম লেখালেখি হয়নি। তারপর কি জানি কি হয় কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা।

এদিকে দেশের বন্যার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। লাখ লাখ মানুষ বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত, সেখানে কোন সাহায্য সহযোগীতা পৌছাইতেছেনা। ভালো কথা এদিক টা মিডিয়া মামা একটু মনে হয় কমই হাইলাইট করছেন। এত কষ্টের জিনিস কিভাবে দেখানো যায়। সে যাই হোক বন্যার পানিতে ভেসে আসা হাতি কিন্তু ভালোই হাইলাইটস্ হয়ে গেছে একদম সেলিব্রেটি হয়ে গেছে। হাতিটি উদ্ধারের কাজে দুই দেশের উদ্ধার কর্মীরা ব্যপক কাজ করছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাতি টা মরেই গেল। মইরা যাবার পর হাতি পাইলো বঙ্গবাহাদুর উপাধি, ভারতীয় হাতী বইলা কথা। মিডিয়া কিন্তু ভালোই নাচা নাচছে, আর এই ইস্যুতে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র ইস্যু কিছুটা ধামাচাপা পরে গেছে।

*মুল ঘটনাগুলোর সার সংক্ষেপ আলোচনা করলাম।

এভাবে আর কতদিন চলবে, কতদিন আমরা সহ্য করব, তাকিয়ে থেকে তামাশা দেখব!?? বলতে হয় আমরা কিন্তু ভালোই বেকুব হচ্ছি আসলে বেকুব বানানো হচ্ছে। আমরা জাতি হিসেবে এতটা চোখ থাকতেও অন্ধ ভাবাই যায় না। অথচ অন্য কোন দেশের নাগরিক হলে কোন ভাবেই মেনে নেবে না এরকম কর্মকান্ড। এরকম চলতে থাকলে একদিন অস্তিত্ব হীন হয়ে পরবে এইদেশ, জাতি।
কোন দল বা কোন সংগঠনের পক্ষ হয়ে কথা গুলো লেখিনি!! লেখেছি দেশ ও জনগনের কথা ভেবে। এরকম কথা লেখা র জন্য যদি আমার কোন সমস্যা হয় হোক। আমি না হই অন্য কেউ তো লিখবেই সাহস করেআজ হোক আর কাল এটা আমার অধিকার আমি লিখবোই, বলবোই।এটা স্বাধীন রাষ্ট্র সবার বলার, লিখার অধিকার আছে। লেখালেখিও একটা প্রতিবাদের মাধ্যম। ৭১ এর সাধীনতা যুদ্ধে, ভাষা আন্দোলনের সময়, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়ও লেখক, কবি, সাহিত্যিক সহ আরও অনেকেই লিখেছেন। কারও কলম থেমে থাকেনি।

ভুল ত্রুটি ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।

ভালো থাকবেন সবাই......

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


"পদ্মা সেতু নিয়েও দুর্নীতি কম হয়নি দেশে। বিস্তারিত বলার মত কিছু বাকি নেই, সবাই এর দুর্নীতি সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানেন। অর্থ আত্নসাতের কারনে শেষ পর্যন্ত কি হলো বাইরের দেশের সাথে একটু সম্পর্ক নষ্ট হলো। আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী এই কারনে পদত্যাগ করলেন। "

-কে পদত্যাগ করলেন?

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২৩

ধ্রুবক আলো বলেছেন: দুঃখিত ভাই কিছুটা সংশোধন করা হইছে। ওইটা হবে যোগাযোগ মন্ত্রী

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এভাবে আর কতদিন চলবে, কতদিন আমরা সহ্য করব, তাকিয়ে থেকে তামাশা দেখব!?? বলতে হয় আমরা কিন্তু ভালোই বেকুব হচ্ছি আসলে বেকুব বানানো হচ্ছে। আমরা জাতি হিসেবে এতটা চোখ থাকতেও অন্ধ ভাবাই যায় না। অথচ অন্য কোন দেশের নাগরিক হলে কোন ভাবেই মেনে নেবে না এরকম কর্মকান্ড। এরকম চলতে থাকলে একদিন অস্তিত্ব হীন হয়ে পরবে এইদেশ, জাতি।
কোন দল বা কোন সংগঠনের পক্ষ হয়ে কথা গুলো লেখিনি!! লেখেছি দেশ ও জনগনের কথা ভেবে। এরকম কথা লেখা র জন্য যদি আমার কোন সমস্যা হয় হোক। আমি না হই অন্য কেউ তো লিখবেই সাহস করেআজ হোক আর কাল এটা আমার অধিকার আমি লিখবোই, বলবোই।এটা স্বাধীন রাষ্ট্র সবার বলার, লিখার অধিকার আছে। লেখালেখিও একটা প্রতিবাদের মাধ্যম। ৭১ এর সাধীনতা যুদ্ধে, ভাষা আন্দোলনের সময়, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়ও লেখক, কবি, সাহিত্যিক সহ আরও অনেকেই লিখেছেন। কারও কলম থেমে থাকেনি।

+++++++++++++++

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

নীলাকাশ ২০১৬ বলেছেন: এই জাতি তখন থেকেই মেরুদন্ডহীন হয়ে পড়েছে, যখন পার্শবর্তী দেশের অংগুলির ইশারায় এদেশের সম্ভাবনাময় যুব সমাজ মিডিয়ার আলাভোলা কথায় ভুলে শাহবাগের মোড়ে নিজেদের পশ্চাদ্দেশ পেতে দিয়েছে লাত্থি খেয়ে মিচকা হাসার জন্য। এদেশের মানুষ নিজেদের ন্যূনতম ব্যক্তিত্ব সেদিন হারিয়ে ফেলেছে।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৫৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: কথা খুবই কঠিন সত্য বলছেন, কথা গুলোয় আলোকপাত হয়না তাই কেউ বুঝেওনা তবুও ভাই কষ্ট হলেও আমাদের কিছু কথা বলতে হয়, দেশটা তো আমাদেরই। যদি সবাই এক হতে পারতো তাহলে আমাদের কেউ ক্ষতি করতে পারতো না।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৩

মাহিরাহি বলেছেন: আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী এই কারনে পদত্যাগ করলেন।

আমার মনে হয় আপনি বলতে চেয়েছেন, যোগাযোগ মন্ত্রী (আবুল হোসেন!)

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:২১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ ভুল দেখিয়ে দেওয়ার জন্য, কিছু মনে করবেন না প্লিজ, মানুষ মাত্রই তো ভুল। হ্যা ভাই যোগাযোগ মন্ত্রী (আবুল হোসেন!) বলতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী লিখে ফেলছি।

৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: যাক, এসব বিষয় নিয়ে যে আপনার বয়েসীরাও ভাবছে, এটাও কম কথা নয়। বাঙালী জাতি যুগে যুগে এভাবেই ঝিমিয়ে পড়েছে, আবার সময়মত ফিনিক্স পাখির ন্যায় ভস্ম হতে জেগে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এর গভর্নর সাহেব রিজার্ভ চুরির দায়ে সুপুরুষের মত পদত্যাগ করেন নাই, ভেতরে ভেতরে তিনি অনেক কসরৎ করে চলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তার কারণে তিনি হালে পানি পান নাই। শুনেছি, এখনো তিনি অর্থমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: এ জাতি আর জেগে উঠবে কি না তা সন্দেহ! এখন তো জাতি আরও ডেবে গেছে তলানিতে। অদূর ভবিষ্যতে আরও খারাপ অবস্থা হবে। সব বাঙালিদের ভেতর একটা মনোভাব উদয় হয়েছে, কথা বলে কি লাভ, কার কি হবে?
ঝিমিয়ে পরতেপরতে একদম মরে যাচ্ছে জাতি।

বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এর গভর্নর সাহেব রিজার্ভ চুরির দায়ে সুপুরুষের মত পদত্যাগ করেন নাই, ভেতরে ভেতরে তিনি অনেক কসরৎ করে চলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তার কারণে তিনি হালে পানি পান নাই। শুনেছি, এখনো তিনি অর্থমন্ত্রী হবার স্বপ্ন দেখেন।
এটা লজ্জা জনক হলেও সত্যি যে , এদেশের প্রশাসনিক লোকজন সব ধান্দাবাজ আর যোগ্যতা হীন, আর আমরা এদের ধারাই পরিচালিত হচ্ছি, খুব দুঃখজনক। যেমন শিক্ষা মন্ত্রী। প্রশ্ন ফাঁস তো বন্ধ হয়নি, উনি পদত্যাগও করতে রাজি না।
শিক্ষা ব্যবস্থা একদম ধ্বংস হয়ে গেছে।

ভাই, অনেক ধন্যবাদ, অনেক পুরোনো একটা লেখায় পাঠদান করেছেন, বেশ অনুপ্রানিত হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.