নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ব্লগারের সকল লেখাই সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

ধ্রুবক আলো

লেখকরা মনে মনে যত লেখা লিখেন তার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ লিখেন কাগজে-কলমে। - হুমায়ুন আহমেদ

ধ্রুবক আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যরকম শহুরে জীবন যাপন আমার..

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৫



দুর থেকে বাসটাকে দেখে খুব জোরে একটা দৌড় দিলাম। এ যাত্রায় বাস টা ছুটে গেলে কমপক্ষে আরও আধাঘন্টা দেরি হবে ঢাকা পরিবহন সংখ্যায় খুব একটা বেশি না। শাহবাগ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সরাসরি কোন পরিবহন সংখ্যায় খুব একটা বেশি না, ডাবল ডেকারে খুব বিপদে না পরলে চড়ি না। এরকম টা প্রায়ই ঘটে, দৌড়ে গিয়ে বাসে চড়তে হয়। এটা অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা। প্রতিদিন জ্যাম ঠেলে ঢাকায় চলাফেরা করা খুব কষ্টকর। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে খুব সকালে উঠতে হবে এই চিন্তা করে ঘুমোতে হয়। কারন বেশি দেরি হয়ে গেলেই জ্যাম আরও তীব্র হয় । প্রতিনিয়তই একি অবস্থা বলতে গেলে সপ্তাহে সাত দিনই। একটা যান্ত্রিক জীবন বয়ে বেড়াচ্ছি কমবেশি আমরা সবাই। ঢাকা শহরের জ্যাম ইদানিং আরোও ভয়ানক হয়ে উঠছে। অপ্রীতিকর এবং অসহ্যনীয়। তবুও প্রানের শহরে ছুটে চলা।
একদিন এক বন্ধুকে সকালে টেক্সট করেছিলাম, তোমাদের জন্য Good Morning আর আমার জন্য জ্যাম Morning.। ঘুম থেকে উঠেই প্রস্তুতি ঢাকা রওনা দিতে হবে। বাসে চাপতে হবে,, জ্যামের ভোগান্তি পোহাতে হবে ইত্যাদি নিত্য নৈমিত্তিক ব্যপার হয়ে গেছে। এবং একটা অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। জ্যাম নিরসনে আর কোন সম্ভাবনাই দেখি না এখন। আপাতত সে কথা বাদ দেই।।



মাঝে মাঝে ঢাকার রাস্তাগুলো তে একা একাই হেটে বেড়াই। ভালোই লাগে বলতে গেলে সেরকম একধরনের অনুভুতি। খুব বেশি ভালো লাগে রাত জেগে থাকা নিয়ন বাতির আলো আর আলোকিত রাস্তা অথবা হলুদ বাতির আলো ও আলোকিত রাস্তা। আমি এই বাতির আলোকে হলুদ আলোই বলি, জানি না আর কেউ বলে কিনা! খুব ছোটবেলা থেকেই এই নিয়ন বাতি বা হলুদ বাতি গুলোর প্রতি আমার আকর্ষন টা একদম অন্যরকম, যেন মনে হয় বাতি গুলো আমার নিজের। ঢাকা বসবাস অনুপোযোগি শহর হতে পারে তবে ঢাকা একটা আধুনিক এবং ব্যস্ত নগর। রাতে এর দৃশ্য একদম ভিন্ন। রাতেই খুব ভালো লাগে ঢাকায় ঘুরে বেড়াতে যদি না কোন ছিনতাইকারি র কবলে না পরা যায়!!! অনেকেই রাতে ঘুরে বেড়ায়, এটা সাভাবিক ব্যপার। কেউ সাথে গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফ কে নিয়ে ঘুরে, রিকশা করেও ঘুরে বেড়ায়, যাই হোক এই বিষয়ে কিচ্ছু বলবোনা! অনেকে বন্ধু দের দলবল নিয়ে, ঘুরে আড্ডা দেয়, চা খায়, গান গায় আর হৈ হুল্লোর করে। আমিই একা একাই ঘুরে বেড়াই আর দেখি, ভালোই লাগে। একধরনের আনন্দ উপভোগ করি। এই নিয়ন আলোর শহর, শহুরে জীবন খুব অনুভব করি। যখনই হেটে বেড়াই তখনই মনে হয় এই রাস্তাগুলোতে আগে কখনো আসিনি। একদম অন্যরকম জীবনের মত যা কখনোই উপভোগ করিনি, বিষ্ময়কর এক অভিজ্ঞতা!! কাটাবন রোড, নীলক্ষেত রোড থেকে ধরে টি এস সি চত্বর, ফুলার রোড, এরকম আরও হলুদ বাতির রাস্তা আছে যেসব রাস্তায় প্রায়ই ঘুরে বেড়াই।

একদম অন্যকরম শহরে ঘুরে বেড়ানো জীবন আমার..।।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩০

হাবিব বলেছেন: আসলে ঢাকা শহর এর কথা কি বলব,জেম এর কারনে মানুষ আধা পাগল হয়ে যাই অফিস বা চাকরিতে যাইতে যাইতে। তবে রাতের ঢাকা দিনের ঢাকার মত না।সত্যি রাতে ঘুরলে অনেক মজা লাগে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভাই জ্যামের কথা আর বইলেন নাএকদম অসহ্যকর,
মত এক হওয়ার জন্য ভাই আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: যানজট মানুষের হাজার হাজার শ্রম ঘন্টা অপচয় করে চলেছে, অথচ এদিকে নজর দেবার কেউ নেই। দেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব অপরিসীম।
আপনার রাত বেরাতে একা একা ঘুরে বেড়াতে ভাল লাগে?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: যানজট এতটাই ভয়াবহ উঠেছে যে বেঁচে থাকাটা এখন কষ্টের হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নেই। এই জ্যাম দিনকে দিন বাড়বেই। কমবে না।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৭

ধ্রুবক আলো বলেছেন: রাত বিরাতে ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়াতে আমার এতটাই ভালো লাগে যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। যখন শহরের রাস্তা দিয়ে হেটে বেড়াই আমার কাছে কল্পনার মত লাগে। ইচ্ছে হয় আর বাড়ি না ফিরি। কিন্তু বাড়ি তো ফিরতেই হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.