নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে তোমায় ছাড়ে ছাড়ুক, আমি তোমায় ছাড়বো না মা।

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই।

ধ্রুবরাজ

মরতে চাই, লেখার জন্য। তবু বাচবো না বোবা হয়ে।

ধ্রুবরাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্যরকম কোন ভালাবাসার গল্প (ধ্রুবের আকাশে মন মেঘ)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

---------------------------------গল্পটার শুরু শেষের কিছুটা আগ থেকে। কেন? সব কথা জিজ্ঞাস করতে হয় না, তা উচিৎ ও নয়।একটা মেঘলা দিন। জানালায় লাগানো একটা নীলকণ্ঠ ফুলের লতানো গাছ। গাছে সবে মাত্র কুড়ি এসেছে। জানালা দিয়ে দেখা যায় রাস্তার ওপারের ছোট্ট একটা পার্ক। পার্কের পাশের কৃষ্ণচূড়ার লালে ছেয়ে গেছে বৃষ্টিতে ভেজা কালো পিচ ঢালা পথ।

-তোমার নীলকণ্ঠ ফুল কি ভাল লাগে?

-হুম, অনেক ভাল লাগে। (মনের আলতো হাসিতে উত্তর।)

-আচ্ছা মন, দেয়ালের উপর আঁকা পেইন্টিংটা তোহ অস্বাধারন!-ধন্যবাদ,আসলে ওটা আমার আঁকা।

(ছবিটার দিকে অনেক্ষন তাকিয়ে কি যেন ভাবি আনমনে, কোথায় যেন হারিয়ে যেতে থাকি।)



কম্পিউটারে একটা গান বাজতে থাকে। খেয়াল করিনি। হটাৎ কানে যেতেই শুনি...

"সকাল আসে না...

আয়না হাসে না...

একলা খোলা বই...

সে ভালবাসে না।"



গানের কথা গুলো হটাৎ যেন পুরানো কোন এক বিকেল মনে করিয়ে দিল। ছোট বেলার ছোট্ট একটা মাঠ, সেখানে একজন কিশোরীর লাফালাফি,ছুটো-ছুটি। মনে করিয়ে দিল

ছোট্ট বেলার কিছু ভাললাগার ও ভালবাসার মুহুর্ত, কিছু অবুঝ ভালবাসা।



হুশে আসলাম মনের একটা মিষ্টি ডাকে...

-"কোথায় হারায় গেলা?"-অ্যা... ও তুমি? না মানে...... ও আচ্ছা... হ্যা... হারিয়ে গিয়েছিলাম আমার সেই সুন্দর ছোটবেলায়। ছোট্ট বেলার ভালবাসাকে স্বপ্ন দিয়ে আকড়ে ধরে রাখার মিথ্যে প্রয়াস চালাচ্ছি মাত্র। বাস্তবতাটাকে তোহ তুমি গলা টিপেই শেষ করে দিলে, তাই এখন স্বপ্ন নিয়ে আছি, স্বপ্ন তেই বাঁচি। নিজের মতন।



অনেক্ষন দুজনেই চুপ করে থাকি। কে জানে... হয়তবা মন ও হারাতে চাচ্ছে নতুন করে সেই পুরানো ছোট বেলার খেলার মাঠে।

এভাবে চুপ করে কেটে যায় কত সময়,দিন। কত কিছু হয়ে গেলো মাঝে, কত নাটক, কত চরিত্রের প্রবেশ ঘটল সেই নাটকে। সেই নাটকে এত্ত চরিত্রের মদ্ধে চরিত্রহীনের একটা পাঠও করলাম।



হটাৎ, কোন এক বিকাল বেলাতে মনের সাথে শহীদ মিনারের সামনে দেখা। ভাবিনি আবার ওর সামনে এভাবে পড়তে হবে আমাকে...

-আরেহ দীপ না? তুমি? কেমন আছ? অনেক গুলো দিন পর।-হ্যা, আসলেই... অনেক দিন পর...

(আমার গলা টা কেমন যেন জড়িয়ে আসতে থাকে।)মাঝে মাঝে কিছু মুহুর্ত আসে যখন পৃথিবীর সবচেয়ে ভালবাসার মানুষটির চেহারাও অনেক বেশি কষ্ট দেয়। কষ্টে হয়ত চোখের কোণা আংশিক ভিজে ওঠে কিন্তু সে জল কারো সামনে আসার আগেই কষ্টের তাপে বাষ্প হয়ে উড়ে যায়। ধরা দেয় না সামনে এসে।

তুমি কেন এভাবে আমার সামনে আসলে হটাৎ করে? সব তোহ ভালই চলছিল...

জানি আপনারা আমার কথার মানে বুঝতে পারছেন না। হয়তবা আমিই বুঝাতে চাচ্ছি না।



আবার ঘুরা ঘুরি শুরু হল নতুন করে। আবার পুরানো দিন গুলো সামনে আসতে থাকল। ভালবাসা জিনিসটা আসলেই অনেক খারাপ!

আবার সেই পাগলামি, কারো জন্য অন্তহীন অপেক্ষার প্রহর গোনা, কারো জন্য আবার সেই রকম্ফের অনুভুতি।



আগের মন আর বর্তমানের মনের মধ্যে অনেক বড় একটা পার্থক্য দেখতে পারছি। কিন্তু এটা কি পজেটিভ ধরবো? নাকি নেগেটিভ? আবার ভয় হয়... একটা গান মাথায় ঘুরতে থাকে বার বার,"জানি আসবেনা ফিরে আর তুমি, তবু কেন আশা বেধে রাখি।" কারন আশায়ই তোহ মানুষ ঘর বাধে। আশাতেই ভর করে নতুন করে বাচে।



ঢং ঢং করে ঘড়িতে কখনই ১২ টা বাজে না। নীরবেই বাজলো পুরানো নিয়মে ১২টা। আমার এবং ঘড়ির, দুটোরই। ভেতর থেকে কিসের যেন একটা অস্থিরতা, একটা ফোন কল, একটা মাত্র sms। আকুলতা ভালবাসা প্রকাশ করার। কিন্তু আবার? মন কি বুঝবে? নাকি আবার আমাকে......

নাহ, আর না। যদি আবার কষ্ট পাই? তাই বলে ভিতরে জমানো ভালবাসাকে কিভাবে নিজের ভেতর বলিদান করব? কিভাবে বলিদান করব চাপা কষ্ট গুলোকে?

একটা বার দেখিই না শেষ চেষ্টা করে। যদি তাকে শেষ বারের মত বুঝাতে পারি যে আসলেই আমি তাকে কতটা ভালবাসি! শুধু তোমার জন্যই............

সেলফোনটা হাতে নিলাম। বুকের ভিতরে কে যেন হাতুড়ি পেটাচ্ছে। ফোনের রিং বাজছে... পিং... পিং... পিং...-হ্যালো ধ্রুব বল...

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

-

এভাবে কেটে গেলো কতগুলো বছর,ঠিক নেই। আকাশে কালো মেঘ, টিপ-টিপ বৃষ্টি হচ্ছে। মন জানালার গ্রিলের দিকে হাতটা বাড়ায়, বৃষ্টির স্পর্শ পেতে। মনের অজান্তেই গলায় সুর ওঠে...



"সকাল আসে না,

আয়না হাসে না...

জানলা খোলা মেঘ.........

সে ভালবাসে না।"

মুখের পরে এক ফোটা জল দেখতে পাওয়া যায় মনের। কিন্তু সেটা বৃষ্টির কাছ থেকে নেওয়া নাকি মনের একান্ত আপন জল বোঝা যায় না।চেতনায় ফিরে মন পিছন থেকে শুভ্রের ডাকে...-মা, চলো। আজ তুমি আর আমি দুর্গায় খেতে যাবো। বাবার সাথে কত্ত আগে গিয়েছিলাম, ভুলেই গেছি।

মন কি যেন ভাবে, তারপর চোখ থেকে একফোটা জল গড়িয়ে মাটিতে পড়ার আগেই হেসে বলে...-চল্‌।



কি জানি, মন ৩৫ বছর পর আজও হয়ত সেই পুরানো রঙিন দিনগুলির ছবি আঁকতে পারছে তার পরা আজ সাদা সাড়িতে।

ধ্রুবের দেয়া লাল বেনারসিটা ফ্যাঁকাসে সাদা হল আজ দুই বছর। তারপরও ধ্রুব যেন ধ্রুব তারার মত আজও জ্বল জ্বল করছে মনের আকাশে ,ধূসর মেঘের ফাঁকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.