নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষা, মেধা-যোগ্যতার কথা ভুলে যান, প্রয়োজনে রাস্তার মোড়ে তরকারি নিয়ে বসুন

১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৭:৫৮

আপনি কিছুই করছেন না, দীর্ঘদিন আপনি কিছুই করছেন না। শুধু দোষ দিচ্ছেন, একে ওকে সবকিছুকে দোষ দিচ্ছেন।অনেকের দোষ আছে, সিস্টেমের দোষ সবচেয়ে বেশি, কিন্তু এই সিস্টেমটা তো আপনার এবং আমারই তৈরি, দায় তো আমাদেরই, নাকি? দোষ দেওয়া বন্ধ করুণ, দায় নিতে হবে। বয়স ত্রিশ পার হয়ে গেল, এখনও যদি আপনার হুঁশ না হয়, তাহলে কবে হবে? কই, এখনো তো আপনি কিছুই করছেন না! চাকরি হল না বলে আর কত চিৎকার করবেন? সব ভাবনা বাদ দিন, ভুলে যান আপনার স্টাটাসের কথা, কিছু না করাটাই সবচেয়ে বাজে স্টাটাস। খুব দামি শার্ট-প্যান্ট পরে, গায়ে পারফিউম মেখে ঘুরে বেড়িয়ে দেখেন তো আপনার দাম বাড়ে নাকি? বরং লোকে জিজ্ঞেস করবে- ‘ও করে কী?’
কিছু করতে হবে। একেবারে হাতের কাছে যা পান -এই মুহূর্তে তাই করুণ। যদি ঢাকায় থেকে থাকেন, তাহলে কাওরান বাজার বা শ্যাম বাজার থেকে পাইকাড়ি দরে তরকারি কিনে নিয়ে যেকোন এক কলোনিতে বসে বিক্রী করুণ। যেহেতু আপনি শিক্ষিত, খুব সহজেই কাজটি করতে পারবেন, হিসেব বুঝবেন দ্রুত। আপনি অনার্স/মাস্টার্স করা ছেলে/মেয়ে, এতে জনগণের কিচ্ছু যায় আসে না। জনগণ বোঝে- আপনি তাদের জন্য কিছু করছেন কিনা। কলোনিতে তরকারি বেঁচলেও তাদের জন্য কিছু করা হয়, তরকারিটা তারা হাতের কাছে পায়, আপনারও উপার্জন হয়। যদি আপনি গ্রামে থেকে থাকেন, তাহলে এক বিঘা কৃষি জমি বরগা নিয়ে নেমে পড়ুন, হাতে মোটেও টাকা না থাকলে, হাজার পাঁচেক টাকা কারো কাছ থেকে ধার নেন, এই সুযোগটুকু আপনার এখনো আছে নিশ্চয়ই, আছে না? নিজেদেরই তো কিছু জায়গা থাকার কথা। বসে আছেন কেন তাহলে? আজ থেকে মাঠে নেমে পড়ুন।
অবস্থা খুব খারাপ হলে শহরে গিয়ে কোন একটা দোকানের কর্মচারী হয়ে যান। জাস্ট চোখটা নামান আগে, দেখবেন পেশার অভাব হবে না। অফিসার হওয়ার চিন্তা বাদ দেন, ভেতরে মুরোদ থাকলে তরকারির দোকান করেও নিজের কাজটি করে যেতে পারবেন। আর উপার্জনই যদি আপনার একমাত্র লক্ষ্য হয়, তাহলে তো কোন কথাই নেই, যে কোন পেশায় থেকে বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা এবং পরিশ্রম কাজে লাগিয়ে ভাল উপার্জন করা যায়। শুরু করুণ আজই।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: দিব্যেন্দু দ্বীপ ,



খুব ভেবে দেখার মতো একটি বিষয়ে লিখেছেন । খুব সহজ করে বুঝিয়ে লিখেছেন যদি এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক বেকারদের একটু বোধদয় হয় । দেশের বাইরে পা দিয়ে এর চেয়ে ও নীচু ( আমাদের দৃষ্টিতে ) কাজ করতেও আমাদের দ্বিধা হয়না । কুলি-কামিনের কাজের জন্যেও লাখ টাকা খরচ করে সাগরের জলে হাবুডুবু খেয়ে মরতেও আমাদের আপত্তি নেই । আপত্তি শুধু নিজ মাটিতে দাঁড়িয়ে নিজের শ্রমে স্বাধীন ভাবে নিজের পেট ভরাতে , সংসারের হাল ধরতে ।

জাস্ট চোখটা নামান আগে, দেখবেন পেশার অভাব হবে না। আপনার এই কথাটির সাথে সম্পূর্ণ একমত । এছাড়া এই হতভাগা বেকারশ্রেণীর কাছে আর কোনও পথও খোলা নেই বোধহয় ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
কিছু করতে হবে। একেবারে হাতের কাছে যা পান -এই মুহূর্তে তাই করুণ।


সহমত!!

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.