![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্পর্শকাতর, মানে স্পর্শে কাতর। ভাল কথা। স্পর্শে কাতর খারাপ না, ইংরেজিতে- সেনসিটিভ। কেউ কেউ আবার ভেরি সেনসিটিভ। স্পর্শকাতর ঠিক আছে, পাশাপাশি স্পর্শামোদ থাকা দরকার ছিল। একজন না হয় স্পর্শে কাতরালো, আরেকজন তো আমোদিত হল, নাকি? তো দিনে দিনে যেটি দেখতে পাচ্ছি- দেশে বিশেষ ধরনের স্পর্শে কাতর লোকের সংখ্যা খুব বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা, ক্ষরা, মহামারি, লঞ্চডুবি, প্রেট্টোল বোমা, খুন, গুম, ধর্ষণ, ক্ষুদা, দারিদ্র্য, শিশু হত্যা, শিশু শ্রম কোন কিছুতেই ধারনা করা যায় না যে, এদের কার্ভি/স্লিম/বাল্কি দেহের মধ্যে একটা হৃদয় আছে, ঐসব সমস্যার কথা বলে ‘হাতুড়ি পেটা’ করলেও কোন হৃদয়ের সন্ধান অাপনি পাবেন না। কিন্তু একটা জায়গায় হাত দেন, খুব জোরে হাত দিতে হবে না, জাস্ট একটু স্পর্শ, বর্তমানে স্পর্শও করতে হয় না, পাশ দিয়ে ‘হাতটা’ একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আসলেই কাজ হয়ে যায়; তাতেই এদের অনভূতি কাতরায়। আচ্ছা, ‘কাতর’ মানে তো দুর্বল, নাকি? তো কাতরাতে কাতরাতে এরা কিন্তু দুর্বল হয় না, বরং ভয়ঙ্কর হয়। এই অনুভূতির মাজেজা বোঝা কঠিন। বর্তমানে ‘ধ’ বললেই এরা ধর্ম বোঝে, ধ তে তো ধনেশ পাখিও হয়, হয় না? ‘না’ বললে বোঝে নাস্তিক, না তে নাপিত হয় না? চুল কাটো কার কাছে? ‘ঈ’ বললে ভাবে ঈশ্বর বলেছি, সাথে নিজেরাই ‘নাই’ যোগ করে নেয়। বলে, ‘ও ঈশ্বর নাই বলেছে’ কোপা।। যদি কেউ বলে- সবটাই একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার, একটা নেচারাল সিস্টেম। তখন বলে, ঈশ্বরকে সিস্টেম বলেছে, কোপা; কেউ আবার কাতরাতে কাতরাতে বলে, আমাগো ঈশ্বররে সিস্টেম করে নিয়ে যাচ্ছে, কোপা।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
জনাব মাহাবুব বলেছেন: হ য র ল ব অবস্থা। মাথার উপর দিয়া গেল
