নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা যারা জেনেটিক্যালি ভাগ্যবান, কিন্তু ঈশ্বর মানো না

০৩ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

মেধাবীরা সংশয়বাদী অথবা নাস্তিক হয়, এবং তা হবেই, বিভিন্ন কারণে কারো জীবনাচারণ ভিন্ন হতে পারে, তবে এটিই বাস্তবতা। খানিকটা ‘বেকুব’ না হলে নিশ্চিতভাবে কিছু বিশ্বাস করা কঠিন। আবার কিছু ধূর্ত আছে যারা নিশ্চিতভাবে কিছু বিশ্বাস করছে না, কিন্তু বিশ্বাসের কথা বলছে বেকুবদের ধোকা দেওয়ার জন্য। কথা হচ্ছে- পৃথিবীতে বেকুবদের সংখ্যাই বেশি। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। এখন এই কম মেধাবীরা যেহেতু সংখ্যাই ভারি, তাই তাদের একটা নিয়ন্ত্রণ তো থাকবেই। ঈশ্বর বেশেই তারা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে বাধ্য হয়। যদিও নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে নেই, সুযোগ নিয়েছে ধাপ্পাবাজেরা। একটি গল্প বলি- মামা বাড়িতে একঘর নিকট প্রতিবেশী ছিল- সেখানে একটি ছেলে প্রচুর পড়াশুনা করত। প্রচুর মানে প্রচুর। ক্লাস সিক্স থেকে সে খেয়ে না খেয়ে পড়াশুনা শুরু করে এবং সেধারা সে অব্যাহত রাখে এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত। এত পড়েও কিন্তু তার কিছু হয়নি। কোনমতে সে এসএসসি পাশটা করেছে। তারপর আর এগোতে পারেনি। তার আগ্রহ বা চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিল না। এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে, যাদের আগ্রহ এবং চেষ্টার ত্রুটি থাকে না, কিন্তু মেধার অভাবে পেরে ওঠে না। এই চেষ্টা করেও পেরে না ওঠা মানুষদের আপনি বুঝ দেবেন কীভাবে? আরেকটি ছেলের কথা বলি- একই এলাকার সে। সেও দুঃস্থ পরিবারের। খেলেধুলে, সবকিছু করে, মাঝে মাঝে একটু পড়াশুনা করে সে এসএসসিতে ভাল রেজাল্ট করল এবং ধাপে ধাপে তার অগ্রগতি হল, এখন সে ভাল চাকরি করে। বিভিন্ন সময়ে শ্রমজীবী বিভিন্ন মানুষের সাথে আলোচনা করে দেখেছি- কোন পরিবর্তনের কথা তারা চিন্তাই করতে পারে না, তারা শুধু তাদের শরীরের উপর আস্থা রাখে। ঘাড়ের উপর অবস্থিত মাথাটার ভিতর যে কিছু থাকতে পারে, সে বিশ্বাসই তাদের নেই। ফলে বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অন্য কিছুতে। আসলে বাস্তবতাটা মানতেই হবে। এই যে জেনেটিক্যালি কম যোগ্যতার মানুষ, এরা তো পিছিয়ে পড়বেই। এদেরকে সমান্তরালে রাখার কোন উপায় নেই। কোনো সমাজতন্ত্র দিয়ে সম্ভব হবে না। যেটা সম্ভব, তা হচ্ছে- এদেরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল না করা এবং তাদেরকেও মর্যদার অবস্থানে রাখা। তো যতদিন মেধাবী (চালাকও হতে পারে) এবং যোগ্যতরদের আড়ম্বর এবং ‘অযোগ্যদের’ তাচ্ছিল্ল করার সংস্কৃতি চালু থাকবে, ততদিন ঈশ্বর থাকবে বীর বিক্রমে, সাথে ধাপ্পাবাজদের চাপাতিও থাকবে। অর্থাৎ ঈশ্বরকে যদি শান্ত রাখতে হয়, তাহলে সবার জন্য মর্যাদা নিশ্চিত হতে হবে, এবং ‘যোগ্যতরদের’ আস্ফালন বন্ধ হতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

Saheyd বলেছেন: কি দিয়ে কি বোঝালেন কোনোকিছু তে লজিক কাজ করেনাই। At least reasonable হওয়া দরকার ছিল। আপনি যদি আপনার নিজেকে দিয়ে নিজের বিশ্বাস কে ব্যাখ্যা করতেন তাহলে এমন হত না। আপনার মগজ তো অন্য কারো মাথায় নাই তাই না?

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৬

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.