![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক বন্ধুর প্রশ্ন : দ্বীপ, কই কিছুই তো হচ্ছে না!
আমি : কী হওয়ার কথা ছিল?
বন্ধু : তোমার আরো ভালো জায়গায় থাকা উচিৎ ছিল?
আমি : সেটা কী হতে পারত?
বন্ধু : ভাল একটা চাকরি।
আমি : আমার চাকরিটা কী খারাপ ছিল?
বন্ধু : ছাড়লে কেন?
আমি : কিছু করার জন্য।
বন্ধু : কী করার জন্য?
আমি : যা করছি?
বন্ধু : কী করছো?
আমি : যা আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এবং আমার বাস্তবতায় করা সম্ভব না।
বন্ধু : তাহলে?
আমি : জেনেশুনে ব্যর্থতার পথে হাঁটছি।
বন্ধু : কেন?
আমি : একটা জীবন, যা ভেবেছি, যেমন ভেবেছি সেভাবেই হাঁটছি। কোন বৃত্তের মধ্যে নেই, থাকতে রাজিও নই। কাউকে বৃত্ত বন্দী করতেও চাই না। কোন আদর্শের পক্ষে নেই, কোন আদর্শ বাতলাতেও চাই না। প্রত্যেকটা আদর্শই এক একটা ধর্ম, যা মানুষের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে এক সময়। আমি মূলত, আদর্শ বিরোধী, তো সেক্ষেত্রে অগ্রগতি খুব টাফ হয়ে যায়, কারণ প্রত্যেকেই কোন না কোন আদর্শ অাঁকড়ে ধরে আছে। একটি গ্রুপের মধ্যে আছে, এবং একে অপরের স্বার্থ সংরক্ষণ করছে। এর বাইরে গিয়ে জীবনধারণ করা আমাদের সমাজে খুব কঠিন।
বন্ধু : জেনেশুনে বিষপান কেন?
আমি : একটু একটু করে পান করছি, বিষ হজম করার শক্তি অর্জন করতে পারলে তখন কিছু করা যাবে।
বন্ধু : আচ্ছা, তুমি আদর্শের পক্ষে না, কিন্তু মার্কসবাদও তো একটা আদর্শ?
আমি : আমি মার্কসবাদ মানি তোমাকে কে বলল? সকল মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে করতে হবে, এজন্য কোন বাদের দরকার নেই। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে, এজন্য কোন বাদের দরকার নেই। মানুষ সেই লেভেলে পৌঁছালে এমনিতেই হয়ে যাবে। মানুষের মনস্তত্ব তৈরি করাটা হলো আসল কাজ।
বন্ধু : তাহলে তুমি কী মানো?
আমি : নেচার মানি। থিওরি মানি। যেমন, আর্কিমিডিসের থিওরি। যেমন, নিউটনের থিওরি। যেমন, পিথাগোরাসের থিওরি। আইন মানি, এবং আইনের সংস্কার মানি।
বন্ধু : তাহলে, তোমার কাজের লক্ষ্যটা কী?
আমি : কাজের লক্ষ্য কাজ করা। যতটা পারা যায় কাজ করা। যা করতে চাই, তা করা। পাশাপাশি, কৌশলে আদর্শগুলোকে আঘাত করা, যাতে সেগুলো একসময় বিনাশ হয়।
বন্ধু : যারা সরাসরি আঘাত করে চলেছে?
আমি : তারা সাহসী। তবে ঠিক করছে না। এতে অনেকের মধ্যে ঐসব আদর্শের শীকড় আরো শক্ত হচ্ছে। ওরা আদর্শগুলোকে আরো শক্ত করে অাঁকড়ে ধরছে। এক ঝটকায় হবে না।
এক বন্ধুর প্রশ্ন : দ্বীপ, কই কিছুই তো হচ্ছে না!
আমি : কী হওয়ার কথা ছিল?
বন্ধু : তোমার আরো ভালো জায়গায় থাকা উচিৎ ছিল?
আমি : সেটা কী হতে পারত?
বন্ধু : ভাল একটা চাকরি।
আমি : আমার চাকরিটা কী খারাপ ছিল?
বন্ধু : ছাড়লে কেন?
আমি : কিছু করার জন্য।
বন্ধু : কী করার জন্য?
আমি : যা করছি?
বন্ধু : কী করছো?
আমি : যা আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এবং আমার বাস্তবতায় করা সম্ভব না।
বন্ধু : তাহলে?
আমি : জেনেশুনে ব্যর্থতার পথে হাঁটছি।
বন্ধু : কেন?
আমি : একটা জীবন, যা ভেবেছি, যেমন ভেবেছি সেভাবেই হাঁটছি। কোন বৃত্তের মধ্যে নেই, থাকতে রাজিও নই। কাউকে বৃত্ত বন্দী করতেও চাই না। কোন আদর্শের পক্ষে নেই, কোন আদর্শ বাতলাতেও চাই না। প্রত্যেকটা আদর্শই এক একটা ধর্ম, যা মানুষের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসে এক সময়। আমি মূলত, আদর্শ বিরোধী, তো সেক্ষেত্রে অগ্রগতি খুব টাফ হয়ে যায়, কারণ প্রত্যেকেই কোন না কোন আদর্শ অাঁকড়ে ধরে আছে। একটি গ্রুপের মধ্যে আছে, এবং একে অপরের স্বার্থ সংরক্ষণ করছে। এর বাইরে গিয়ে জীবনধারণ করা আমাদের সমাজে খুব কঠিন।
বন্ধু : জেনেশুনে বিষপান কেন?
আমি : একটু একটু করে পান করছি, বিষ হজম করার শক্তি অর্জন করতে পারলে তখন কিছু করা যাবে।
বন্ধু : আচ্ছা, তুমি আদর্শের পক্ষে না, কিন্তু মার্কসবাদও তো একটা আদর্শ?
আমি : আমি মার্কসবাদ মানি তোমাকে কে বলল? সকল মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে করতে হবে, এজন্য কোন বাদের দরকার নেই। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে, এজন্য কোন বাদের দরকার নেই। মানুষ সেই লেভেলে পৌঁছালে এমনিতেই হয়ে যাবে। মানুষের মনস্তত্ব তৈরি করাটা হলো আসল কাজ।
বন্ধু : তাহলে তুমি কী মানো?
আমি : নেচার মানি। থিওরি মানি। যেমন, আর্কিমিডিসের থিওরি। যেমন, নিউটনের থিওরি। যেমন, পিথাগোরাসের থিওরি। আইন মানি, এবং আইনের সংস্কার মানি।
বন্ধু : তাহলে, তোমার কাজের লক্ষ্যটা কী?
আমি : কাজের লক্ষ্য কাজ করা। যতটা পারা যায় কাজ করা। যা করতে চাই, তা করা। পাশাপাশি, কৌশলে আদর্শগুলোকে আঘাত করা, যাতে সেগুলো একসময় বিনাশ হয়।
বন্ধু : যারা সরাসরি আঘাত করে চলেছে?
আমি : তারা সাহসী। তবে ঠিক করছে না। এতে অনেকের মধ্যে ঐসব আদর্শের শীকড় আরো শক্ত হচ্ছে। ওরা আদর্শগুলোকে আরো শক্ত করে অাঁকড়ে ধরছে। এক ঝটকায় হবে না।
©somewhere in net ltd.