![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আস্তিকতা সমস্যা নয়, সমস্যা প্রচার। ঈশ্বর সমস্যা নয়, সমস্যা ঈশ্বর তত্ত্বে । তেমনি নাস্তিকতাও কোন সমস্যা নয়, সমস্যা নাস্তিকতাকে আস্তিকতার বিপরীত তত্ত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া।
বিষয়গুলো এত সহজ নয়, সহজ সমাধানও নেই। তাহলে এত সহজ ব্যাখ্যা দাঁড় করানো কেন? ‘ঈশ্বর নেই’ বলে যদি আপনার এবং জনগণের কোনো লাভ না হয়, তাহলে তা বলতে হবে কেন?
আপনি বলবেন, বলার স্বাধীনতা থাকবে না কেন? আমি আপনার সাথে একমত যে, কেউ কিছু যৌক্তিকভাবে বলতে চাইলে তা বলার সুযোগ থাকতে হবে। তবে সুযোগ নেই -এটি তো স্পষ্ট, নাকি? তাহলে প্রথম কাজ বলা নয়, বলার সুযোগ তৈরি করা। প্রথমে একটি যুক্তিনির্ভর সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে, তারপর জনগণ প্রস্তুত হলে আস্তিকতা এবং নাস্তিকতা নিয়ে সব কথা বলা যাবে। এখন তো জনগণ এসব শুনতে প্রস্তুতই নয়, এক ধাপ ডিঙিয়ে গেলে সমস্যা তো হবেই।
অফিসের দরজায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যে দারোয়ান গেট খোলে আর বন্ধ করে, তাকে ‘ঈশ্বর নেই’ বলবেন আপনি কোন সাহসে? যদিও দুর্বত্ত্বের ঈশ্বরই তাকে অপ্রয়োজনে দারোয়ান বানিয়ে রেখেছে গেটে।
কিন্তু সে তো ভেবে নিয়েছে, তাকে ভাবানো হয়েছে যে ঈশ্বর না থাকলে তার আর কিছুই থাকে না। তার তো পরকালই সম্বল!
“যার জন্য করি চুরি সে কয় চোর” কথাটা এক্ষেত্রে ঠারে ঠারে খাটে। ‘ঈশ্বর নেই’ বললে ওরকম কোনো ‘দারোয়ানই’ আপনাকে আগে আক্রমণ করবে, যাকে আপনি মুক্ত করতে চাচ্ছেন, যার জন্য আপনি কথা বলছেন।
আপাতভাবে সে দারোয়ান, কিন্তু আসলে তো সে দুর্বত্ত্বের দাস, দুর্বত্ত্বের পাহারাদার তার নিজের অজান্তেই এবং তাকে বসানো হয়েছে মূলত আপনাকে-আমাকে মোকাবেলা করার জন্যই, কোনো চোর-ডাকাতের জন্য খুব একটা নয়।
আগে ‘ঐ দারোয়ানকে’ অর্থনৈতিকভাবে মুক্ত করতে হবে, তাছাড়া কোনো পথ বোধহয় খোলা নেই সামনে। তারপর আস্তিকতা-নাস্তিকতার কথা বলা যাবে। অর্থাৎ বিষয়টা শেষ পর্যন্ত অথনৈতিকই।
©somewhere in net ltd.