নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হব সকাল বেলার পাখি

দিব্যেন্দু দ্বীপ

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে

দিব্যেন্দু দ্বীপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিমুল জামানের কণ্ঠে নির্মল রবীন্দ্র সঙ্গীতও মাদকতায় ভাণে!

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২১



রবীন্দ্র সঙ্গীতের সাথে ‘মাদকতা’ শব্দটা খুব মানান সই নয়। তবে শিমুল জামানের কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত ঠিক এমনই রূপ পায়। শুনতে শুনতে তন্দ্রা আসে না, বরং তটিনী বেয়ে মন ছুটি যায় মাঝ গাঙে। আমার কাছে তাঁর গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের মধ্যে সেরা মনে হয়েছে “আকাশ আমার ভরলো আলোয় আকাশ আমি ভরবো গানে“।

মা তাহমিনা বেগম ছিলেন স্কুল শিক্ষক, বাবা সুলতানা আলী ব্যাংকার, বগুড়ার মেয়ে শিমুল জামান এখন আমেরিকা প্রবাসী। বসবাস করছেন নর্থ ক্যারোলিনায়।

শিশু বয়স থেকেই শিমুল জামান গান শিখেছেন। শুরুতে তিনি পশ্চিমা ধাচের ধ্রুপদী সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন, এরপর নজরুল গীতি, সর্বশেষ তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীতে থিতু হয়েছে। এখন অবশ্য নিজের গান লিখছেন, এবং আধুনিক গানে মনোযোগী হতে চাইছেন। দেশে বিদেশে সঙ্গীতের উপর তিনি বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনায় ‘একুশের পাঠশালা’ নামে তিনি একটি বাংলা স্কুল পরিচালনা করেন।

রবীন্দ্র সঙ্গীতের কিংবদন্তী শিল্পী বনানী ঘোষের কাছে তালিম নিয়েছেন। আমেরিকায় তিনি পেয়েছেন ওস্তাদ ইমরান খানকে, তাঁর কাছে সেতার শিখেছেন।

২০১০ সালে বাজারে আসে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম “আমি রুপে তোমায় ভোলাব না”। এর আগে ‘শ্রুতি গীতবিতান’ নামে তাঁর আরেকটি অ্যালবাম বের হয়। সম্প্রতি ‘ট্রায়ো-টু ট্যাগর উইথ লাভ’ নামে একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। এরকম নামকরণের কারণ অ্যালবামে তিনি ছাড়াও গেয়েছেন নির্ঝর চৌধুরী ও রোকন ইমন।

‘ট্রায়ো-টু ট্যাগর উইথ লাভ’ অ্যালবামে গান রয়েছে মোট ৯টি। সংগীতায়োজন করেছেন রোকন ইমন। গানগুলো- ‘শাওনে গগনে’, ‘আকাশ আমার ভরলো আলোয়’, ‘এ কি সত্য’, ‘সজনী সজনী’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘খাঁচার পাখি ছিল’, ‘কতবার ভেবেছিনু’, ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই’।

ট্রায়ো-টু ট্যাগোর উইথ লাভ

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯

নির্ঝরের_স্বপ্ন বলেছেন: নজরুল সংগীত শেখে সবাই, কিন্তু কেউ গায়না বা এ্যালবাম বের করেনা। রবীন্দ্র সংগীতের এ্যালবামের অভাব নেই - তারপরেও আরও আরও এ্যালবাম বের করতেই হবে? কারণ কি? রবীন্দ্র সংগীত গাওয়া খুব সহজ তাই, নাকি রবীন্দ্র শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে দুই বাংলায় বেশ ভাল কদর পাওয়া যাবে - তাই..

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৮

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: আপনার বোঝায় কিছুটা ভুল আছে। নজরূল সঙ্গীত সুর প্রধান, কথা নয়। আপনি নিজে কতটা শোনেন নজরুল সঙ্গীত? তবে গান শিখতে হলে নজরুল সঙ্গীত শিখতে হয়, তাহলে সুক্ষ্ম কাজগুলো শেখা হয়।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৯

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: অবশ্য আপনার এ প্রশ্ন আপনি নিজের কাছে করেছেন বলে মনে হল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২২

দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়া সহজ -এটা আপনার কেন মনে হল? অাপনি কি গান করেন? তাহলে নজরুল সঙ্গীতের অ্যালবামটা আপনার কাছ থেকে পাব আশা করি। আর গান যদি না করেন, তাহলে কাউকে একটা নজরুল সঙ্গীতের অ্যালবাম বের করতে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। করবেন? নিজের টাকা না থাক বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা উঠাবেন, তাহলে দরদটা বুঝব। আর একটা বিষয়, নজরুল দর্শনের সাথে, নজরুলের ভাবনার সাথে একাত্ম বোধ করেন?
“পুঁথির বিধান যাক পুড়ে তোর
বিধির বিধান সত্য হোক।”
নজরুলের এই বক্তব্যের সাথে সহমত আপনি?
“ আমি ভাই খ্যাপা বাউল
আমার দেউল আমার এই আপন দেহ। “
-বোঝেন নজরুলের এই লাইনের মানে?
তোমাতে রয়েছে সকল কিতাব সকল কালের জ্ঞান,

সকল শাস্ত্র খুঁজে পাবে সখা খুলে দেখ নিজ প্রাণ।

তোমাতে রয়েছে সকল ধর্ম, সকল যুগাবতার,

তোমার হৃদয় বিশ্ব-দেউল সকলের দেবতার,

কেন খুঁজে ফের দেবতা-ঠাকুর পুঁথি-কঙ্কালে?

হাসিছেন তিনি অমৃত-হিয়ার নিভৃত অন্তরালে

বন্ধু বলিনি ঝুট,

এই খানে এসে লুটাইয়া পড়ে সকল রাজমুকুট।

এই হৃদয় সেই নীলাচল, কাশী, মথুরা, বৃন্দাবন,

বুদ্ধগয়া এ, জেরুজালেম এ, মদিনা, কাবা-ভবন

মসজিদ এই, মন্দির এই, গির্জা এই হৃদয়

এইখানে বসে মুসা ইসা পেল সত্যের পরিচয়।

. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .

মিথ্যা শুনিনি ভাই

এই হৃদয়ের চেয়ে বড় কোন মন্দির কাবা নাই।
-আরো শুনবেন?
“গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই
নহে কিছু মহীয়ান।”
-আরো লাগবে ডোজ?
“ মানুষেরে ঘৃণা করি
ও কারা কোরাণ, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি, মরি,
ও মুখ হইতে কেতাব গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ কেতাব সেই মানুষেরে মেরে
পূঁজিছে গ্রন্থ ভণ্ডের দল! মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনে নি মানুষ কোন।”
- আরো দেখেন
“ ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
খোদার আসন আরশ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির বিস্ময় আমি বিশ্ব-বিধাত্রীর!”
.....................................................................।
“আমি রুষে উঠি যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া,
ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে যায় কাঁপিয়া!”
---------------------------------------------------------------

এই কালের হইলে নজরুল তোমার ধাওয়া খাইত রে ভাইডি!




আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.