![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে কেউ আসলে অশিক্ষিত থাকে না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না পেলেও বহুধরনের শিক্ষা সে কোনো না কোনোভাবে পেয়ে যায়। অর্থাৎ, মানুষের চোখকান ভীষণ রকমভাবে খুলে গেছে। মানুষ জেনে গেছে পৃথিবী বিচিত্র এবং উপভোগ্য, ফলে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বেড়েছে একইসাথে অপ্রাপ্তির হতাশাও বেড়েছে।
মানুষ চায় এখন যথাসম্ভব অদেখা যা কিছু দেখতে, অচেনা যা কিছু চিনতে, যা ভোগ করা হয়নি তা ভোগ করতে। একইসাথে মানুষ জানে তার সীমাবদ্ধতা, জানে জীবন কত সংক্ষিপ্ত, এ অবস্থায় কারো পাশে দাঁড়ানোর কথা বেশিরভাগ মানুষ কিছুতেই আর ভাবতে পারে না, তারা একা অথবা প্রয়োজনে দলবেধে ভোগ বা উপভোগ করতে চায় শুধু, কিন্তু একসাথে বাঁচতে চায় না।
তাই নীপিড়িত মানুষের কথা বললে, সমষ্টির কথা বললে বেশিরভাগ মানুষ এটা আর ভালোভাবে নেয় না, এটা বরং তাদের আতঙ্কিত করে, তারা ভাবে এই বুঝি ছোট্ট জীবনের ভোগের আয়োজনে ভাটা পড়ল, এজন্য সমাজ দরদী বা জন দরদী মানুষের কাছ থেকে মনে মনে তারা (বেশিরভাগ) দূরে সরে যায়। শুধু দূরে সরে থাকে তাই নয়, এটাও তারা প্রমাণ করতে চায় যে হিতৈষী ঐ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টা ভুল, তারা সঠিক।
তারাও কিন্তু সংখ্যালঘু কারণ, বেশিরভাগ মানুষের শুধু বেঁচে থাকতে নাভিঃশ্বাস হয়ে যায়, তাই চাইলেও খুব বেশি মানুষ তাইরেনাইরে দলে ভিড়তে পারে না। না পারলেও ইচ্ছেটা বেশিরভাগ মানুষের একই, ফলে ঘ্রাণে সুখ তাদের হয়, ঈর্ষাতেও তাদের কিছু সুখ মেলে। তারা পথ চেয়ে থাকে সরল পথে সুখলাভকারী ঐ মানুষগুলোর দিকে, তাদের জন্য যারা কেঁদে মরে, খেটে মরে তাদের দিকে নয়।
হিতৈষী মানুষেরাও যে পৃথিবীর সকল রূপরসগন্ধ ভোগ করতে চায় না, তা নয়, বরং অনেকক্ষেত্রে বেশি চায়, কিন্তু তারা হৃদয়হীন হতে পারে না, একই সমাজে থেকে ভয়ঙ্করভাবে তলিয়ে থাকা মানুষগুলোকে অগ্রাহ্য করতে পারে না। আসলে কোমল হৃদয়ই তাদেরকে আটকে দেয়। পাথর্ক্য এখানে ‘হৃদয়বৃত্তি’।
যার জন্য করি চুরি, তার কাছ থেকে চোর শোনার ভয়ঙ্কর এই বৈপরিত্য সমাজে আছে। এটা মাথায় রেখে হিতৈষী মানুষদের উচিৎ তাদের দরদ গোপন করা, এবং একটা ছদ্মবেশী হ্যাপি-গো-লাকি ভাব বজায় রাখা।
এক্ষেত্রে নিজের কোনো পরিচয়ের থেকে কাজটাকে বড় করে দেখতে হবে। ভিতরে যাই থাকুক লোকে জানবে তুমিও গপাগপ খাইতে পারে অন্যকে দেখিয়ে দেখিয়ে, তুমিও গন্ত্যব্যে ছুটতে পারে পথের কোনো পাশে না তাকিয়ে, তুমিও পকেট ভরতে জানো, তুমিও গাড়ি-বাড়ি করতে জানো, এটা কাজে দিবে। এতে চারপাশে মানুষের আনাগোনা বাড়বে, কৌশলে কাজ করা সহজ হবে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৬
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: ভাই, নিচের কমেন্টটা দেখার জন্য অনুরোধ করছি। দেখেন, উনি কী লিখেছেন!
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:১৯
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: তাই নীপিড়িত মানুষের কথা বললে, সমষ্টির কথা বললে বেশিরভাগ মানুষ এটা আর ভালোভাবে নেয় না, এটা বরং তাদের আতঙ্কিত করে, তারা ভাবে এই বুঝি ছোট্ট জীবনের ভোগের আয়োজনে ভাটা পড়ল, এজন্য সমাজ দরদী বা জন দরদী মানুষের কাছ থেকে মনে মনে তারা (বেশিরভাগ) দূরে সরে যায়। শুধু দূরে সরে থাকে তাই নয়, এটাও তারা প্রমাণ করতে চায় যে হিতৈষী ঐ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টা ভুল, তারা সঠিক।
- নিজেকে সংখ্যালঘু না ভেবে বাংলাদেশি হিসেবে ভাবতে হবে, তা না হলে এর থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে না!
সংবিধান অনুযায়ী সকল মানুষ সমান অধিকারী। সংখ্যালঘু হিসেবে চিল্লাপাল্লা করিস কোন দুখে!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৪
দিব্যেন্দু দ্বীপ বলেছেন: এটা আপনি কী কমেন্ট করলেন!! সংখ্যালঘু বলতে এখানে আমি কী বুঝিয়েছি কিছু বুঝেছেন। এটা মোটা মাথা নিয়ে লেখালেখি করতে আইসেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৬
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।