![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকেও একটা ছেলেকে মোরগী বানাইছি রে প্রত্যু কথাটা বলে উঠল সুজানা।
এইভাবে ছেলেদের মোরগী বানানোর অভ্যাসটা অনেক আগে থেকেই তার।
কি রে সুজু তুই আজকেও একটা ছেলেকে বোকা বানালি? প্রত্যু অনেক টা রেগে গিয়েই সুজুকে কথাটা বলে উঠল।
প্রত্যু আর সুজানা একেবারে ক্লোজ ফ্রেন্ড।
প্রত্যু আদর করে সুজানাকে সুজু বলে ডাকে,আর প্রত্যুর ডাক নাম প্রত্যুশা। সুজানা আদর করে প্রত্যু বলেই ডাকে।
_সুজু এই টা কিন্তু ঠিক না! এইভাবে ছেলেদের মন নিয়ে খেলা একেবারেই ঠিক না। তোর কাছে হয়তো এইটা খুব আনন্দ লাগে কিন্তু একবার ছেলেগুলার কথা ভাব?ওরা প্রতিবার একেক জন একেক ভাবে তোর প্রেমে পড়ে আর তুই সেই সুযোগ টা নিয়ে কত ছেলে ক্ষতি করিস এই টা ঠিক নারে সুজু।
_আরে থাম তো তুই।ছেলেদের মোরগী বানাইতে কত যে মজা সেটা আমিই ভাল বুঝি।তুই এসব বুঝবি না।তা ছাড়া মোরগী বানিয়ে ছেলেদের কাছ থেকে মিনিটেই মোবাইল খরচ শপিং করার খরচ টাও আমার বেচে যায়।সেদিন এক ছেলেকে মোরগী বানিয়ে একটা স্মাট ফোন নিসি।
ছেলের টাকার অভাব নাই রে প্রত্যু।ছেলে আবাল টাইপের মোটাসোটা টাইপের মাথায় গোবরে ভরা। বলছি আমার একটা নরমাল মোবাইল সেটা দিয়ে ফেবুক চালাতে পারিনা ভাল ভাবে অন্যের মোবাইল দিয়ে সেল্ফি তুলে তারপর ফেবুকে পিক আপ্লুড দিতে হয়।এই কথা শোনার পর আমাকে শোরুমে নিয়ে গিয়ে স্মাট ফোন কিনে দিছে।
_ওয়াও!তাহলে সুজু এই ছেলেটার সাথে অত্যন্ত রিয়েল লাভ কর।
_ধুরররর তুই না কি যে বলিস এসব নুশুমশুদের সাথে আমি রিলেশন করি না।মোরগী বানাইয়া ছেড়ে দেই।
_যা ইচ্ছা কর আমি কিছু জানি না।আমি গেলাম বাসায় আজ তাড়াতাড়ি যেতে হবে এমনিতেই আজ লেট হয়ে গেছে টা টা।
_টা টা।
সুজানা একটু সামনে যেতে না যেতেই দিপুর সাথে দেখা।
_দিপু তুমি এইখানে?
_আমি এখানে প্রায় সময়ই আসি।তুমি এখানে?
_কি যে করি? গাড়ি নস্ট হয়ে গেছে।বাসায় যাব কোনো সিন এন জি খুজে পাচ্ছি না।
_আচ্ছা আমি বাসায় পৌছে দিলে কি যাবে আমার সাথে?
_হুম যাব,বাইক টা কি তুমার?
_হ্যা।
_জাস্ট ওয়াও! বাসায় যাব না সোজা হাতিরঝিল নিয়ে চল।
_আচ্ছা ঠিক আছে ম্যাম।এই তুমার হাতের ফোন চেঞ্জ কেন?তুমি না বলেছ তুমার স্মাট ফোন নাই? এইটা কার স্মাট ফোন?আমি যেটা দিছি সেটা কই?
_আর বইল না দিপু জানু,তুমি যে ফোন টা দিয়েছ আমাকে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড প্রত্যুর নাকি বেশ পছন্দ হয়েছে তাই ও কয়েক দিনের জন্য আজ ফোনটা নিয়ে গেছে আবার দিয়ে দিবে।
_ও আচ্ছা তাহলে এইটা কার ফোন? যেটা তোমার হাতে?
_আরে গাধা এটা প্রত্যুর ফোন।
_বুঝছি।চল মুধুরমা ব্রিজের সামনে এক মামা চরম চটপটি বানায় চল খেয়ে আসি।
_কি! মুধুর মা ব্রিজের সামনে এক মামা ভাল চটপটি বানায় তুমি জান কিভাবে?তারমানে তুমি অন্য মেয়ে নিয়ে আগেও আসছিলা এইখানে?রাইট?
_কবি ঠিকিই বলেছেন মেয়েরা কথায় কথায় দুই লাইন বেশি বুঝে।আমার বাসা হাতিরঝিল মুধুর মার ব্রিজের ব্যাক সাইটে।
আমার ফ্যামিলি এই মামার চটপটি ভাল তাই এখান থেকেই প্রতিদিন চটপটি নেই।
_হুম।
_শুধু হুম বলেই এড়িয়ে গেলে? এখন জানছ তো আমার বাসা কোথায়?
_হুম।
চটপটি খাব না,ভাজাপুড়া খাইতে ইচ্ছা করছে চিকেন চিজে চল।
_চলেন।
চিকেন চিজে যাওয়ার পরঃ
_মামা দুইটা গ্রিল, চিকেন চপ,চিকেন বল ফুল,চিকেন ফ্রাই,চিকেন বার্গার,এই তুমি শর্মা খাবা? আমার না শর্মা ভাল্লাগে এই মামা দুইটা শর্মা আর দুইটা ড্রিংক।
_দিপু মনে মনে বলছে এই টা মেয়ের পেটে যাবে? এই টা পেট নাকি কুয়া?
এরপরের দিনঃ
------------------
প্রত্যুর সাথে সুজুর দেখা।
_শোন শোন গতকাল হাদারামটারে পাইছিলাম।রেস্তোরায় নিয়ে ইচ্ছা মত খাবার অডার করে ওর পকেটের ১২টা বাজিয়েছি।শুধু চিকেন বল গুলা আর ড্রিংক খাইছি বাকি সব নস্ট করছি।
_খাবার নস্ট করা ঠিক না,এই খাবারই তুই মরার পর তোকে সাপ বিচ্ছু হয়ে কামড় দিবে।
_তুই যে কি আমি বুঝি না।এখন লাইফটাকে ইনজয় করার সময়।এখনো লাইফটাকে ভালভাবে ইনজয় করতে পারলাম না তুই মরার কথা ভাবছিস?যাহ তর সাথে কথা নাই।
_আমার সাথে কথা বলবি কেন?আমি ত ভালর জন্য ভাল কথা বলি তাই কানে নাও না বুঝবা একদিন সব ছেলে এক না তুমি যেমন প্লে গার্ল ছেলেদের মধ্যেও প্লে বয় আছে যেদিন প্লে বয়কে মোরগী বানাতে যাবে সেদিন নিজেই মোরগী হয়ে যাবা।
_সেদিন এরটা সেদিন দেখা যাবে।আশি রে টা টা মানিক স্যারের কোচিং শুরু হয়ে গেছে।যেতে হবে বাই।
_টা টা বাই।
কোচিং ক্লাশেঃ
-------------------
মেধাবী ছাত্র শিমুল সামনের বেঞ্চে বসা।বাবা একজন সরকারী কর্মকর্তা।মা একজন স্কুল শিক্ষিকা। বেশ টানাটানির সংসার।দুই ভাই এর মধ্যে শিমুল বড়।ছোট ভাইয়ের পড়ালেখার খরচ শিমুলের কলেজের খরচ বাসা ভাড়া সংসারের খরচ টানাটানির সংসার।
শিমুল সুজানাকে প্রথম দেখাতেই তার প্রেমে পড়ে যায়।
মেধাবী ছেলে বলে কথা,মেধাবী ছেলেদের আত্নবিস্বাস অনেক থাকে।দেরি না করেই শিমুল কোচিং ক্লাশ শেষেই সুজানাকে প্রপোজ করে।
তার প্রপোজ সুজানা এক্সেপ্ট করে।এই বুঝি আরেকটা মোরগী হাতে এল।
প্রেম টা কোচিং ক্লাশ থেকেই শুরু।
এইভাবে কয়েক দিন চলতে থাকল।
_এই তুমি আমাকে কত টুকু লাভ কর শিমুল?
_তুমি যতটুকু কর তার দিগুন।
_প্রুভ দেখাইতে পারবা?
_হুম পারব।
_কাল আমার জন্য একটা ব্যাসলেট আর এক টা নুপুর কিনে দিতে পারবা?
_হুম পারব।
_তাহলে কাল তুমাকে নিয়ে বসুন্ধরাতে যাব।
।
।
।
অথচ শিমুল এর ফ্যামিলি বসুন্ধরা থেকে কোনো দিন শপিং করেনি।
ভালবাসাকে খুশি করতে একটু না ভেবেই হুম বলে দিল।
টাকা পাবে কোথায়?
বসুন্ধরায় ত সব কিছুই অনেক দাম।
সেদিন রাতে শিমুল এর মাথায় আর কিছুই আসল না।
সকাল বেলা মনে পড়ল ছোট ভাইয়ের একটা গীটার আছে।অনেক চেঁচিয়ে বাবা পিছনে লেগে এই গীটার টা কিনে ছিল।
মা বাবা কে না বলেই ছোট ভাইয়ের গীটার টা বিক্রয় ডট কমে ১০হাজার টাকার গীটার ৪হাজার টাকায় বিক্রি করে সেদিক সুজানাকে ব্যাসলেট আর নুপুর কিনে দেয়।
এইভাবেই শুরু হতে থাকে সুজানার মোরগী পালা।
মোরগী কে ধরে রাখতে প্রতিদিন মিস্টি মিস্টি কথা বলে আর কথার সাথে বায়না ধরে।এখনি দিতে হবে আমাকে না দিলে আমার সাথে কথা বলবা না।
শিমুর তার ভালবাসাকে খুশি রাখতে চায়।মেয়েটাও সুন্দর। কিন্তু বায়না গুলা এত অসুন্দর বড় অংকের টাকার মত হয় কেন?
_শিমু
_বল
_আজ তুমাকে নিয়ে শপিং এ বের হব।
_আমার সময় নেই।
_কি বললা? আমাকে দেওয়ার মত তুমার সময় নেই?
যাও তুমার সাথে ব্রেকআপ।
_ এই না না,এই রকম করেনা।আমি জাস্ট বলতে চাচ্ছিলাম আমি এখন একটু বিজি আছি।
_এইসব বিজিটিজি আমি বুঝিনা।এখনি বি ব্লক ৫নাম্বার রোডে আস টাকা নিয়ে আমি তুমার জন্য ওয়েট করছি।
_আরে টাকা পাব কই?
_আমি কি জানি?টাকা না আনলে ব্রেকআপ।
_ :-(
বাবা অফিসে।আর বাবার টাকা গুলা মার কাছে দেয় আর মা টাকা গুলা তার ব্যাগের ভিতর রাখে।
সেখান থেকে টাকা নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় পাচ্ছি না।
এইখান থেকেই ৫হাজার গুম করলে মা টের পাবে না।
_এত লেইট করলা যে?
_টাকা মেনেজ করতে টাইম লাগছে।
_টাকা আনছ তো?
_হুম
এই খালি আড়ং যাবা?
উঠেন আপা।
_এই হাদা তুমি দাড়িয়ে রইছ কেন?উঠ।
_উঠছি তো।
শপিং এ যাওয়ার পরঃ
--------------------------
_ওয়ান্ডারফুল এই থ্রী কুয়াটার টা পড়লে আমাকে কেমন লাগবে?
_ এই না না একদম বাজে দেখাবে।এত ছোট কাপড় কেন? অন্য কাপড় দেখ।এইগুলা না প্লিজ।
_আমি এটাই নিব।চুপচাপ থাক তুমি।
_ :-(
অনেক্ষন ঘুরে তুমি কি ছোট কাপড় ছাড়া তুমার চোখে অন্য কাপড় কি পড়ে না?
_তুমাকে না চুপচাপ থাকতে বলছি?
_ :-(
এই মামা এই গুলা পেক করেন।
কত টাকা হল?
_৪৬০০টাকা।
_বলেন কি? এই ছোট কাপড়ের এত দাম হয় কিভাবে?
।
।
অই শিমুল মেজাজ খারাপ করবা না টাকা দিতে বলছি দাও।
_এই নিন।
আমাদেরকে ঠকিয়েছে এত ছোট কাপড় দিয়ে টাকা বেশি নিয়েছে।
_তুমাকে না বললাম চুপ থাকতে?
_ :-(
এই খালি যাবা বি ব্লক ৫ নাম্বারে।
উঠেন।
_উঠ না কেন?
উঠতেছি ত এত রাগ দেখাও কেন?
_দেখাবই।
_ :-(
বাসায় এসে পড়েছি।তুমি তুমার বাসায় যাও।
_ :-(
_মুখ এই রকম করছ কেন?
_না কিছু না।
এর পরের দিনঃ
----------------
প্রত্যু তুই ইদানীং থাকস কই রে তরে দেখি না।
_তুই আমার খবর রাখলে ত পাবি?
সারাদিন ত থাকস মুরগী নিয়া।
_দোস্ত জানিস না শিমুল রে ভাইজ্জা পুইড়া খাইতেছি।
_ছেলেটার এই রকম করিস না প্লিজ।ও ভাল ছেলে আর ওর ফ্যামিলির আর্তিক অবস্তাও ভাল না।তুই এই রকম করিস না।
_শিমুল এর প্রতি দরদ উতলে উঠছে।যা ভাগ।যে কাজ করতে চাচ্ছিলি সেটা করতে যা।
ফোন কলেঃ
---------------
_শিমু
_বল
_কাল যমুনা ফিউচারে যাব রেডি থাকবা মুভি দেখতে যাব।
_টিকিট?
_মেনেজ কর।
_কি ভাবে করবা মানে?
সেটা তুমি জান।কাল সব রেডি রাখবা।আমি ফোন রাখলাম।
।
।
।
কিভাবে টাকা বের করি মাথায় আসছে না।
অনেকক্ষন চিন্তাভাবনা করার পর মাথায় আসল কলেজ বেতন এক্সাম ফি,কোচিং এর টাকা বাকি পড়ে রইছে।
_মা,মা কই আপনি?
_কি হল রে তোর এইভাবে চেঁচামেচি কেন?
_মা আপনি কলেজ এক্সাম ফি বেতন মানিক স্যারের বেতন দেন নাই কেন?
কত গুলা কথা শুনতে হল গতকাল আমাকে।
_ তোর বাবা বেতন পেলেই দিয়ে দিব স্যারকে বলিস আমার কথা।
_না আপনি আজই টাকা দেন।
_দিচ্ছি আমার এখান থেকে।
_দেন।
।
।
।
এই ভাবে মিথ্যা বলে মায়ের কাছ থেকে টাকাটা নেওয়া ঠিক হয়নি।মা যদি স্যারকে জিজ্ঞাসা করে তখন ধরা খেয়ে যাব।তখন এর টা তখন বুঝা যাবে।
কাল সুজানাকে যমুনা ফিউচারে মুভি দেখাতে নিয়ে যায়।
।
।
।
যমুনাতে মুভি দেখার পর আবার বায়নাঃ
এই একটা এম পি ফোর কিনব সনি ব্রেন্ডের।
_এত টাকা নিয়ে আসেনি আমি।
_কত নিয়া আসছ?
_১০০০০টাকা।
_এই টা কম নাকি?
_আসলে টাকা গুলা মাকে মিথ্যা কথা বলে নিয়ে আসছি স্যারের বেতন এক্সাম ফি কলেজ বেতন।
_আমার জন্য প্রতিদিন দুই এক টা মিথ্যা বললে কিছু হবে না।
_ :-(
অতঃ পর এম পি ফোর কিনেই বাড়ি ফিরল।
১২দিন যেতেই আবার কলঃ
_এই জান? ৭জুন আমার জন্মদিন।তুমি আমাকে একটা পিংক কালারের শাড়ী গিফট করবা কিন্তু মনে থাকে যেন।না দিলে ব্রেক আপ।
।
।
শিমুল এর মাথা কাজ করছে না কিছুদিন আগেই মায়ের কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে ১০হাজার টাকা নিলাম এখন মাকে কি বলে টাকা নিব?
শিমুলের মাথায় কিছু আসছে না।
বই কিনার কথা বলা ছাড়া মা টাকা দিবে না।
এই কথা বলে মায়ের কাছ থেকে টাকা চাইলে মা টাকা দিবে।
_মা মা এদিকে আস।
_কি হল আমার আব্বাজানের? আজ এত ক্লান্ত দেখাচ্ছে কেন আমার আব্বাকে?আব্বা এক ক্লাস দুধ নিয়ে আসি?
_মা দুধ খাব না।সামনে এক্সাম চলে আসছে টেনশনে মাথা কাজ করছে না। ইংলিশ ৫টা Important বই কিনিনি। কিনতে হবে টাকা দাও।
_আব্বাজান আপনি দুধটুকু খান আমি টাকা দিচ্ছি।
।
।
।
আবার মায়ের কাছ থেকে মিথ্যা বলে টাকা নিলাম।এইভাবে আর কয় দিন আল্লাহ আমার সুজানাকে হেদায়েত দান কর।
।
।
।
দিপু এই দিপু?
_সুজানা তুমি?
এত দিন ছিলা কই? কতবার ট্রাই করছি তুমার নাম্বারে মুবাইল অফ বলে।
_অসুস্থ ছিলাম দিপু তাই খুজখবর নিতে পারেন আই এম রেইলি সরি দিপু।
_ইটস অকে।
_আমার ৭ই জুন জন্মাদিন তুমি আসবা কিন্তু এই নাও আমার বাসার কাড।
_আচ্ছা জানু আসব।
_গিফট নিয়া আসতে ভুলে যেও না কিন্তু।
_আচ্ছা নিয়েই আসব।
।
।
।
৭ই জুন সুজানার জন্মদিনঃ
_সুজানা এই না তুমার পিংক কালারের শাড়ী।
_ওয়াও! এত কিউট লাগতেছে।
_থেংক্স।
_আরে কিউট তুমাকে লাগছে না, পিংক কালারের শাড়ী টাকে লাগছে।
_ :-(
ভিতরে গিয়ে বস।
এক টু পর কেক কাটব।
শিমুলের কাছে সুজানার জন্মদিন টায় ঠিক ভাল লাগেনি তাই সে সুজানাকে না বলেই চলে গেছে।
সুজানা শিমুলে খুজ নেয়নি তুবুও।
৮ই জুনঃ
---------
_এই সুজু তুমার গিফট গতকাল আসতে পারেনি একটা কাজ ছিল তাই।
_ঠিক আছে দিপু এখন গিফট টা দেয়ার জন্য থেংক্স।
_দাড়িয়ে থাকবা? চল একটু সামনে এগিয়ে যাই কথা টা বলে দিপু সুজুর হাতটা ধরল আর সুজু দিপুর হাত ধরে হেলে দুলে এগিয়ে যাচ্ছে।দিপু সুজুর হাত ছেড়ে কাধে হাত দিয়ে হাটতে লাগল।
দৃশ্যটা শিমুল পিছন থেকে দাড়িয়ে দেখার পর নিজের কাছে নিজেকে খুব অসহায় ভাবতে শুরু করল।
আজ এক টা মেয়ের জন্য নিজ মায়ের কাছে এত মিথ্যা কথা বললাম?
কিছুই ভাল লাগছে না।
বাসায় যাই এক টু বিশ্রাম নেই মন টা ফ্রেশ হয় কি না দেখি?
বাসায় যাওয়ার পরঃ
_আব্বাজান আপনি বই কিনছেন?
_হুম মা কিনেছি।
_টেবিলে ত বই পেলাম না?
_মা ভুল করে অনিকের বাসায় রেখে এসেছি।
_কাল নিয়ে এসে মা কে দেখাবেন।
_মা আমি খুব ক্লান্ত।ঘুম আসছে ঘুমাব।
_ঠিক আছে আব্বা আমি বিছানা করে রাখছি। আপনি ঘুমাতে যান।
।
বিছানায় শুয়ে শিমুল ভাবছে কাল মাকে বই কি করে দেখাব?
বই ই ত কিনিনি।স্যারের কথা বলে কত টাকা নিলাম মায়ের কাছ থেকে।
মায়ের জমানো টাকা গুলাও উড়িয়ে দিলাম।
বেচে থেকে লাভ কি আর?
সেদিন বিকেলে ছাদ থেকে লাফ দেয় শিমুল।
৩দিন আইসিইউতে ছিল মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে লড়তে বেচে গেছে সে।কিন্তু আজ সে পংগু।
আমি তখন ল্যান্সিং নিয়ে বিজি ঢাকাতে।
মা ফোন দিয়ে বলল শিমুল নাকি হসপিটালে।
শিমুল দিশারীর ছোট বেলার লাটিম খেলার ফ্রেন্ড। হসপিটালে যাওয়ার পর দেখালাম,
আন্টি এক পাশে,আংকেল এক পাশে ছোট ভাইটা মাঝাখানে,
ভাই ও ভাই তুমি কি আমার সাথে ক্রিকেট খেলবা না?
আমার সাথে গোলকি ফুটবল খেলবা না?
_নারে আজ থেকে তোকে আর খেলায় আর বিরক্ত করব না।একা একা খেলতে পারবি না?
_তুমি ছাড়া খেলব কিভাবে?
।
।
।
।
দিশারী আসছিস?
_তোর এই অবস্থা হল কিভাবে?
।
।
।
ওর মুখ থেকে সব কিছু জানলাম।
এর পরের দিনঃ
------------------
শিমুল এর মানিক স্যারের কাছে ভর্তি হলাম।
সুজানা মানিক স্যারের বাসায় আসল।
আমাকে নতুন দেখে সুজানা আমার পাশেই বসলি।
আমিও শিমুল এর মত প্রথম দেখায় সুজুকে প্রপোজ করলাম।
প্রপোজ এক্সেপ্ট করল।
শুরু করে দিলাম পাগলামি।
_এই আজ আমাকে ঘুরতে নিয়া যাবা কিন্তু।
_আচ্ছা নিয়া যামু সোনা :-*
_কোথায় নিয়া যাবা?
_চিপায়
_চিপায় কেন?
_চিপাচিপি করতে। :-D
_মানে?
_আরে চিপাচিপি বুঝ না? চিপাচিপি মানে হাটাহাটি। আর ঘুরাঘুরি মানেই হাটাহাটি।লেটস গ।
_হাটতে পারব না,
_কুলে কইরা নিয়া যামু।কুলে না উঠলে কান্ধে তুইলা নিয়া যামু।
খালি কও কই যাইবা সোনা?
_আজকে অনেক ক্লান্তি লাগতেছে আজকে যাব না কাল যাব।
_কাল যাবা কেন আজই চল দুইজন শপিং করে রাতের খাবার খেয়ে বাসায় ফিরব।
_আচ্ছা ঠিক আছে।
।
।
।
_আমার এই ল্যাহেংগা টা পছন্দ হইছে কিনে দাও।
_আমাকে বলার কি আছে নিয়া নাও :-*
_তুমি কত্ত ভাল।
_আমি কেমন দুইদিন পর বুঝবা? (মনে মনে বললাম) কথা টা।
১১হাজার টাকার শপিং করাইছি অই মেয়েকে।
এর পরের দিনঃ
_জানু :-*
_জান কি কর?
_গীটার বাজাই।
_তুমার গীটার আছে?
_হুম আছে।
_ওয়াও! জানু।
_গীটারের সাথে দুই টা বল ফ্রি দিছে।
_বল ফ্রি দিল কেন?
_ক্রিকেট খেলার জন্য দিছে।
_ও আচ্ছা।
_জানু তুমার ফেবুকের ইমেইল পাস দাও ত?
_কেন?
_দাও না?তুমি আমার জানু বিয়ে ত তুমাকেই করমু।বউয়ের আইডি থেকে ঘুরে আসি এক টু।
।
।
।
ইমেইল পাস নেওয়ার পর মেসেজে গিয়া দেখি জাস্ট আমার সাথে চ্যাটিং মেসেজ গুলা আছে।বাকি সব ছেলেদের সাথে যে চ্যাটিং হইছে সব ডিলিট করে দিছে।
আমি মনে মনে বলি তুমি ট্যালেন্টেড হারামি হইলে আমি ট্যালেন্টেড ক্রিমিনাল :-*
_এই জানু ;-) :-*
_ কি?
_তুমার এক টা হটি পিক দাও ত?
_নাহ দিব না।
_আরে একেমন কথা আমি তুমাকে খুশি রাখতে পারলে তুমি আমাকে খুশি রাখতে পারবে না কেন?
দাও এক টা হটি পিক।
_এই নাও।
_এই টা কুনু হটি পিক হইল?
আমার ইয়ে খাড়ানি ত দুরের কথা আমার গায়ের লুম পযন্ত দাড়াইল না।
_তাহলে আমি কি করব?
_টি শাট খুলে দাও।
_তুমি খুলে এসে দেখ পিক দিতে পারব না।
_পারবা না মানে? পিক না দিলে আমার শপিং করানোর টাকা ফেরত দিবা এখনি।
_দিচ্ছি দিচ্ছি।
_দাও।
_এক টু পরে দেই জানু :-(
_এখন দিতে বলছি।
পিক নিলাম ৫টা খালি গায়ের।
এর পরের দিনঃ
আমি কল দিলামঃ
_জানু :-*
_কি?
_১০০০০টাকা নিয়ে সি ব্লক ৩নাম্বার রোডে আস।
_আমি পারব না টাকা আনতে।আর আসতেও পারব না।
_না আসলে তুমার নেংটু পিক গুলা আমি কিন্তু পাব্লিক করব :-D
_প্লিজ জান না এই কাজ টা তুমি কইর না।আমি আসছি।এখনি আসছি।
_তাড়াতাড়ি টাকা নিয়া আয়।
_এই যে টাকা।
_এখন বাসায় যা।কাল তরে নিয়া লিটনের ফ্লাটে যামু।
_আমি যামু না।
_না গেলে পিক পাব্লিক করমু :-*
_রাগ কর কেন? যাব বলছি :-(
_গুড গার্ল।
এর পরের দিনঃ
_ কইরে তুই?
_আমার সাথে এই রকম ব্যাবহার করছে কেন?
_২০০০০টাকা নিয়া ডি ব্লক ১নাম্বারে আয়।
সেদিন আর আসেনি সুজানা।
এর পরের দিনঃ
সুজানা আমারে কল দিছে,
_এ ব্লক ৪নাম্বারে রোডে আস।
_গেলাম।
_এই নাও টাকা।
সেদিন টাকা নিয়া চলে আসলাম।
আর গোপন সূএে জানতে পারলাম দিপুর সাথে ২০০০০টাকায় সেক্স কর সে টাকা আমাকে দিছে
।
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
©somewhere in net ltd.