নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন ও সত্যের সন্ধানে সবসময়

মোঃ ইমন হোসেন

মোঃ ইমন হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরিচিত ফোন কল

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৩২

অপরিচিত ফোন কল

দুপুরবেলা খাওয়ার দাওয়ার পর্ব সেরে বসে বসে বন্ধুর সাথে একটু কথা বলবো বলে ফোন টা হাতে নিয়েছি এমন সময় হঠাত করে মোবাইল টা বেজে উঠলো
কিরিং কিরিং কিরিং…
মোবাইলের দিকে চেয়ে দেখলাম নাম্বার টা অচেনা , কল টা রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এলো একটা সুমিষ্ঠ কন্ঠসুর ।

অপরিচিতঃ হ্যালো- ইলা আপু তুমি কোথায়? তোমার জন্য অনেক্ষন ধরে অয়েট করছি আর কত দেরি করবে তুমি? আমার তো খুব চিন্তা হচ্ছিলো আজকাল কার রাস্তা ঘাটের যা অবস্থা আর দিনকাল ও ভালো নয়, প্রতিদিন সকাল হলেই খবরের কাগজে নানা রকম দুশ্চিন্তামূলক খবর দেখতে পাচ্ছি, একটু আগেও তোমাকে অনেকবার কল দিয়েছিলাম কিন্তু ফোনে তোমাকে পাইনি, তাই তো চিন্তার মাত্রা টা আরও গভীর হচ্ছিলো , যাক ফোনটা যখন রিসিভ করেছো দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে, যাক সেসব কথা এখন তোমার আসতে কতক্ষণ লাগবে বলো?

আমিঃ মেয়েটির এক নিঃশ্বাসে অনেক গুলো কথা শুনে আমি তো থ মেরে গেছি তারপর আমি তার প্রশ্নের জবাব দিলামঃ-
প্রথমতো আমি ইলা আপু নই আর দ্বিতীয়তো আমি ভালো আছি, আর আপনি মনে হয় ভূল নম্বরে কল দিয়েছেন , শুধু এই কথা টুকু বলে আমি মোবাইলে কান পেতে থাকলাম কিন্তু ওপার প্রান্ত থেকে কোনো আওয়াজ পাচ্ছিলাম না , এতোক্ষন মনে হয় সুমিষ্ঠ কন্ঠের মেয়েটি তার মোবাইলে নাম্বার টি দেখছিলো । একটু নীরবতা পালনের পর

অপরিচিতঃ আ…আসলে আমি আমার আপুকে কল দিতে গিয়ে ভূল করে আপনাকে দিয়ে ফেলেছি প্লিজ কিছু মনে করবেন না ।

আমিঃ না না ঠিক আছে এই রকম ভুল মানুষ মাত্রই হয়ে থাকে আমি কিছু মনে করিনি , অচেনা মেয়েটির কন্ঠ শুনে আসলে আমার আরও কিছুক্ষন কথা বলতে মন চাচ্ছিলো , মনে মনে একটু সংশয় নিয়ে একটা প্রশ্ন করেই ফেললাম, তা আপনার নাম টা কি জানতে পারি?

অপরিচিতঃ আমার নাম মেঘলা আক্তার বৃষ্টি আর আপনার?

আমিঃ আমি ভেবেছিলাম একজন অচেনা মানুষ কে তার নাম জিজ্ঞাসা করে ফেলেছি তাও আবার সে একজন মেয়ে, না জানি কতগুলো কটু কথা শুনিয়ে দেয়, মনে মনে ভাবলাম যাক রাগ তো করে নি আর রাগ করলে নাম টা বলতো না , ভাবতে ভাবতে আমি কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম এবং হঠাতই বাস্তবতা ফিরে পেতেই বললাম আমার নাম ইমন আর আপনার নাম টা কিন্তু খুব মিষ্টি , প্রসংসা শুনতে কার না ভালো লাগে অপর প্রান্ত থেকে সুমিষ্ঠ মৃদু হাঁসির আওয়াজ ।

অপরিচিতঃ আপনারও , বলে আবারও মিষ্টি হাঁসি ।

আমিঃ আপনার হাঁসি টা কিন্তু খুব সুন্দর ।

অপরিচিতঃ আপনি কি করে বুঝলেন আপনি তো আমাকে দেখেনই নি ।

আমিঃ এইরে বলেই দাঁত দিয়ে জিভ কাটলাম , একটু পর … না মানে এ এই তো অনুমান করে বলেছি,

অপরিচিতঃ অনুমান ? হা হা … অনুমান করে কি সব কিছু বলা যায়?

আমিঃ যার সুমিষ্ঠ কন্ঠ আছে তার হাঁসি টা নিশ্চয়ই সুন্দর এই অনুমান থেকে বলেছি আর কি ।

অপরিচিতঃ হুম,

আমিঃ তার পরই কল টা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো সম্ভবত কল ড্রপ হয়েছে, নেটওয়ার্কের প্রতি চরম রাগন্বিত হলাম, কল ড্রপ হওয়ার আর সময় পেলনা , এরই মদ্ধে খেয়াল হলো আমি তো ভূলেই গিয়েছিলাম আমার বন্ধুর সাথে কথা বলার জন্য ফোন টা হাতে নিয়েছিলাম তার সাথে তো কথা ই বলা হয়নি , বন্ধুর সাথে কথা বলে বাইরে ঘুরতে গেলাম , বাইরে ঘুরছিলাম আর ভাবছিলাম মেয়েটির কথা বিশেষ করে তার কন্ঠ , কি সুমধূর তার কন্ঠের সুর । পরের দিন এবার আমিই প্রথম কল দিলাম এভাবে একদিন দুই দিন করতে করতে একবছর ধরে মেয়েটির সাথে কথা বলছি, প্রথমে মেয়েটি কথা বলতে চাইতো না কিন্তু পরবর্তীতে আসতে আসতে মনের টান ধৃড় হতে থাকে, প্রতিদিন শুধু তার কথাই ভেবে দিন কাটে আমার, একদিন তার কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গেছি খেয়াল ই ছিলনা, অবশেষে ছোট পিকাপের সাথে ধাক্কা… চোখ খুলে দেখি আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি আমার পাশে পরিবারের সকলেই বসে আছে ।
কেঁদে কেঁদে মায়ের চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে, ডাক্তার বলেছে দুইদিন পরেই রিলিজ করে দেবেন, দুই দিন পর হাঁসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাসায় আসা হলো, একসপ্তাহ হলো তার সাথে কথা বলা হয়নি, (বাড়িতে থাকা অবস্থায় কথা বলতাম না কারন তাহলে সবাই জেনে যাবে) এখনও শরীরে খুব ব্যাথা আছে ভাগ্যিস জীবন টা বেরিয়ে যায়নি । বিছানায় শুয়ে শুয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা ই মাথায় আসছিলো কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বুঝতেই পারিনি, ঘুম ভেঙ্গে একটু ধাতস্থ হতেই ।

হঠাত বাবার গলা,

বাবাঃ এইযে বাউন্ডুলে ভন্ড ছেলে কোথাকার, কাজ কাম তো কিছুই করনা তা রাস্তায় কিভাবে হাঁটা চলা করতে হয় সেটাও কি তোমার এই বয়সে শিখিয়ে দিতে হবে?

আমিঃ এমনিই সারা শরিরে খুব ব্যাথায় জর্জরিত, ঠিক মতো হাটাচলাও করতে পারছি না, তারপর আবার বাবার কড়া কথায় একেবারে চুপসে গেলাম, এরই মদ্ধে বাবার কথায় বাধ সাধলো মা ।

মাঃ এই তুমি একটু চুপ করো তো, দেখছো তো ছেলেটা এখনই ঘুম থেকে উঠেছে, হাত পা আর মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে হাঁসপাতালের বেডে পড়ে ছিলো আর বাসায় আসতে না আসতেই তুমি তার এই অবস্থায় বকাবকি শুরু করে দিয়েছো?

বাবাঃ তোমার আশকারা পেয়েই ছেলেটা মাথায় উঠেছে এখনও সময় আছে ছেলেকে সামলাও । বলেই বাবা বাজারে চলে গেলেন ।

মাঃ তুই আর কত জ্বালাবি আমাকে বলতো? তোর জন্য আমাকে কি কম বকা খেতে হয় বল?

আমিঃ মা কি বলছিলো আমার কানে কিছুই ঢোকে নি , কারন তখন আমার কানে বাজছিলো সেই মিষ্টি কন্ঠের মেয়ের কথা গুলো, আহা কি মিষ্টি ই না তার কন্ঠের সুর মনে হয় এরকম কন্ঠ খুব কম মেয়েরই আছে । হঠাত গালে মৃদু প্রহারে সম্ভিত ফিরে পেলাম ।

মাঃ এই কি ভাবছিস রে ?

আমিঃ না মা কিছু না ।

মাঃ কিছু না বললেই হলো?

আমিঃ একটু রাগন্বিত হয়ে… বললাম তো কিছু না ।

মাঃ রাগ করছিস কেনো এবার তো দেখছি তোর বিয়ে দিতেই হবে, কিন্তু তোর মতো বাউন্ডুলে ছেলেকে কে বিয়ে করতে কে রাজি হবে বলতো?

আমিঃ আমি বিয়ে করবো না মা, কিন্তু (মনে মনে ভাবছিলাম বিয়ে যদি করতেই হয় সেই মিষ্টি কন্ঠের মেয়েটিকেই করবো )

মাঃ তা বললেই তো হবেনা, আজ আসুক তোর বাবা বিয়ে তোকে করতেই হবে , ভয় নেই যার তার সাথে তো আর তোর বিয়ে দিয়ে দিবো না আমরা নিশ্চয়ই তোর জন্য ভালো সুন্দর মিষ্টি একটা বউ খুজবো ।

আমিঃ রাতে বাবা বাসায় আসতেই বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফেললেন, আমি পুরোপুরি সুস্থ হলেই তারা আমায় বিয়ে করাবেন , কিন্তু আমি বিয়েতে কিছুতেই রাজি নয় দেখে তারা ভাবলেন আমি হয়তো কাউকে পছন্দ করি তাই বিয়েতে রাজি হচ্ছিনা । আর এটাই সত্যি যে আমি সেই মেয়েটি কে না দেখেই তার কন্ঠের শব্দসুর শুনেই তাকে পছন্দ করে ফেলেছিলাম, বাব মা প্রতিদিন একটা করে মেয়ের ছবি আমাকে দেখাতে লাগলো আর আমি সবগুলোই প্রত্তাখান করতে লাগলাম । এদিকে আমার প্রায় পাগল পাগল অবস্থা বৃষ্টি কে ফোনেও পাচ্ছি না ।
আমি যখন অ্যাক্সিডেন্ট করে হাঁসপাতালে ছিলাম তখন আমার মোবাইল টি আমার ছোট বোনের কাছে ছিলো আর মোবাইলে কল রেকর্ডিং অন থাকার সুবাদে আমার বোনের আর জানতে কিছু বাকি ছিলো না , কারন সেই নাম্বার টা আমার ছিলো ফুফার যারা সপরিবারে ঢাকায় থাকেন , অনেক দূরের পথ হবার কারনে সেভাবে যাওয়া আসা হতোনা কিন্তু বাবা মা মাঝে মাঝে ফোন করে কথা বলতেন এবং সেটা তাদের ফোন থেকেই, (আমার ফোনে তাদের নাম্বার সেভ করা ছিলো না, আমি বাউন্ডুলে স্বভাবের ছেলে তাই ঘুরে বেড়াতেই পছন্দ করতাম) ছোট বোনের কাছে তার নিজের কোনো মোবাইল না থাকায় সে মায়ের মোবাইল টি নিয়েই টিপাটপি করতো সেকারনেই তার নাম্বার টি চেনা ছিলো , আর সেই মিষ্টি কন্ঠের মেয়েটিকে আমিও অনেক বার পরে ফোনে পাইনি আর আমার পিচ্চি বোনটা ডায়াল কলে অনেকবার একি নাম্বারে ডায়াল দেখে ফোন করে সব আদ্যপান্ত জেনে নিয়েছে, আমার ফুফার একটাই মাত্র মেয়ে তাও দেখেছি কমপক্ষে ১১ বছর আগে এখন সে হয়তো অনেক টা ই বড় হয়ে গিয়েছে ।
কোনো এক সময়ে বোন বাবা মার কানে সকল হিস্টরি পৌছে দিয়েছে ।
হঠাত বাবা মার মুখ গুলো কেমন জানি খুশী খুশী লাগছে, কারন বোনের অ্যাটম বোমা ফাটানোর কারনে বাবা মা রাগ করেন নি কেননা তারা পাত্রীর সন্ধান পেয়ে গেছেন ।

বাবাঃ আগামি মাসের ১০ তারিখে তোর বিয়ে আর এই নে মেয়ের ছবি বলে টেবিলে ছবি রেখে দিলো ,

আমিঃ বিয়েই যখন করবো না ছবি দেখে কি হবে? নিয়ে যাও ছবি ।

বাবাঃ একবার অন্তত ছবিটা দেখ তারপর তুই না করতে পারবি না ।

আমিঃ দেখার দরকার নেই আমার দেখবোও না বিয়েও করবো না ।

বাবাঃ বিয়ে তোমাকে করতেই হবে এবং এই মেয়েকেই করতে হবে না হলে তোমার জন্য এই বাড়ির দরজা বন্ধ ।

আমিঃ বাবা যাবার সময় তার মুখে হাঁসি মাখা ছিলো, আমি ভাবলাম বাবা আমাকে ত্যাজ্য করার হুমকি দিলো আবার যাবার সময় হাঁসি মুখে গেলো, আমার এই মেয়েকে বিয়ে ছাড়া পথ নেই বলে , কেননা আমি এই বাড়ি ছেড়ে যেতে পারবো না , বাবা মায়ের ভালোবাসা থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না । আর আমি ভবঘুরে খাবো কি আর থাকবো কোথায়?
আমি নিরুপায় বিয়ে আমাকে করতেই হবে মনে মনে ভাবলাম আমার আর সুমিষ্ট কন্ঠের মেয়েটিকে পাওয়া হলো না, নিজেকে খুব অপরাধি মনে হচ্ছিলো, মনে মনে এইও ভাবলাম বিয়ে করে আসার পর আমরা একসাথে থাকবো না দুইজন আলাদা থাকবো যাকে ভালোই বাসতে পারবো না তাকে নিয়ে কি সংসার করা যায়? আলাদা থাকলে এমনিই সে আমাকে ভূল বুঝে পালিয়ে (চলে) যাবে ।
নির্ধারিত তারিখে যথারিতি বিয়ে সম্পন্ন হলো, আমি তার দিকে একবারও তাকাই নি পর্যন্ত শুনেছি মেয়ে দেখতে অসম্ভব সুন্দরি তবুও আমার মন মানছেনা কিছুতেই, সবসময় কানে বাজছে সে মিষ্টি কন্ঠ হ্যালো… আরো কত কথা ।
আমিঃ রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে বাসর ঘর, আর ফুলে সাজানো খাটের মাঝ খানে ঘোমটা মাথায় চুপটি করে বসে আছে আমার বিয়ে করা বউ, আমি এদিক ওদিক শুধু পাইচারি করছি পাইচারি করতে করতে আমি ক্লান্ত এমন সময় বউয়ের প্রথম কথা…।

বউঃ আপনার কি হয়েছে? (আমাকে ধরা না দেয়ার জন্য একটু গলা বিকৃত করে) ওভাবে পাইচারি করছেন কেনো? কোনো সমস্যা?
আমিঃ আপনাকে আমার কিছু কথা বলার আছে বলে বলেই ফেললাম না…মানে… আমি আপনাকে কিছুতেই ভালোবাসতে পারব না আমি আপনাকে মেনে নিতে পারছি না আপনি আমাকে বাচান । আমি অন্য একজন কে ভালোবাসি ।

বউঃ রাগন্বিত হয়ে… মানে? কে সে তার নাম কি? বিয়ে করার সময় আপনার মনে ছিলো না?

আমিঃ না মানে আমি বাধ্য হয়ে এই বিয়েতে রাজি হয়েছি , প্লিজ আমাকে ক্ষমা করুন ।

বউঃ ঠিক আছে এই নিন বালিশ আর চাদর আর আপনি আমার দিকে ভূল করেও ফিরে তাকাবেন না চুপচাপ নিচে শুয়ে পড়ুন ।
আমিঃ মনে মনে খুব খুশি হলাম কিন্তু আবার ভাবলাম এতো সহজেই রাজি হয়ে গেলো? যাগ গে সেসব কথা ভেবে লাভ নেই রাজি তো হয়েছে… । চাদর টা মেঝেতে বিছিয়ে বালিশে মাথা দিয়ে উল্টো দিকে মুখ করে একপাশ হয়ে শুয়েছি, এমন সময় কানে বেজে উঠলো সেই মিষ্টি সুর…

বউঃ ছোট হাই তুলে আহ… খুব ঘুম পাচ্ছে এবার শুয়ে পড়ি ।

আমিঃ আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম এই ঘরে সেই আওয়াজ এলো কোথা থেকে, এমন সময় আবার শুনতে পেলাম দরজার বাইরে মিটিমিটি হাসির আওয়াজ, পেছন ফিরে তাকাতেই দেখি বউ মিটিমিটি হাসছে , আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না, মিষ্টি হাসির সুর আর লাজুক চোখের চাহনি দেখে কোথায় যেনো হারিয়ে গেলাম, সম্ভিত ফিরে পেতেই দরজায় টোকা এই ইমন দরজা খোল , দরজা খুলতেই সবাই সারপ্রাইজ সারপ্রাইজ সারপ্রাইজ বলে ঢুকে পড়লো আরও বেশি লজ্জিত হলাম তখন যখন দেখলাম মেঝেতে চাদর পাতা আছে আর বঊ বিছানায় বসা, সবাই অট্ট হাসিতে ফেটে পড়লো কারন আমি ছাড়া সবাই জানতো এই সেই অপরিচিত মেয়ে যে এখন আমার বিয়ে করা বউ, সবাই ঘর থেকে বিদায় নিতেই দরজা লাগিয়ে যেই বিছানার কাছে গিয়েছি অমনি…

বউঃ খবরদার কাছে আসবেন না মেয়ে না দেখেই বিয়ে করেছেন আবার বলেছেন একসাথে থাকতে পারবেন না আপনাকে শাস্তি পেতে হবে ।

আমিঃ কি শাস্তি? আমার মিষ্টি সুরের সুকন্ঠি বউ ।

বউঃ আপনার শাস্তি… আপনাকে নিচেই আজকের রাত পার করতে হবে, যান শুয়ে পড়ুন ।

আমিঃ কি আর করা অগত্যা নিচে গিয়ে শুয়ে পড়েছি আর ভাবছি যাক সপ্ন তো সত্যি হয়েছে , সারাদিন অনেক ধকল গেছে চোখটা একটু নেমে আসতেই দেখি কে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে আর বলছে উঠুন আর শাস্তি পেতে হবেনা, আমি কখনোই ভাবনি এভাবে এত সহজে (যদিও এটা মোটেও সহজ ছিলো না) আমার স্বপ্ন পূরন হয়ে যাবে, স্বপ্নের পুর্নতা পেয়ে মন আজ খুশিতে পরিপুর্ন ।

সমাপ্ত

লেখকের কথাঃ এটা আমার লেখা প্রথম গল্প , তাই ভূল ত্রুটি হলে মানিয়ে নিয়ে পড়বেন, আর এটা কিন্তু নিছক গল্প ভেবেই লিখেছি এটা কিন্ত আমার জীবনের অংশ নয় , তাই কেউ এই গল্প কে আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কোনো অধ্যায় ভাববেন না – মোঃ ইমন হোসেন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.