![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মান্ধ নই কিন্ত নিজ ধর্মে প্রতি বিশ্বাস ও অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করি
ছোটবেলা গ্রামে নতুন বছরের যে আমেজ উপভোগ করেছি এখন তা নস্টালজিক ছাড়া কিছুই নয় । ২০/১৮ বছর আগের কথা মাত্র। নতুন বছর মানে পাশের গ্রামে বড় একটি মেলা বসবে, আম্মা ঘর-বাড়ী নতুন করে সাজাবে! সাজানো বলতে মাটির ঘর-বাড়ির মেঝেটাকে নতুন করে মাটি দিয়ে প্রলেপ দেওয়া। গ্রামে যাকে ঘর লেপা বলে । মেলার আগের দিন বা মেলার দিন আব্বা বাজার থেকে বড় মাছ কিনে আনবে । বাড়ির বড়রা মেলা এবং নতুন বছর উপলক্ষে কিছু নতুন নোট বা মেলা করার জন্য কিছু টাকা দিবে এসব ।
নতুন বছর নিয়ে আমাদের গ্রামে অনেক কথা প্রচলিত ছিল। যার কিছু এখনো আছ,,,,,,! যেমন বছরের প্রথম দিল ভাল খাবার খাইলে সারা বছরই ভাল খাওয়া যাবে ! নতুন বছরের প্রথম দিন ভাল করলে সারা বছর ভাল আর মন্দ করলে সারা বছর মন্দ করতে হবে । আরো কত কি যে ছিল ! মনে আছে,,,দাদী নতুন বছরের আগের দিন তিতা জাতীয় শাক তুলে আনত বছরের প্রথম দিন খাওয়ার জন্য। এগুলা খেলে নাকি রোগ বালাই চলে যেত ! নতুন বছর উপলক্ষে বাজারের দোকানিরা হালখাতা অনুষ্ঠান করত।। কাকা বা আব্বার সাথে হালখাতার অনুষ্ঠানে গিয়ে মিষ্টি বা দইচিড়া খাওয়া হয়েছে অনেকবার ।
নতুন বছরের প্রথম দিন বা তার আগের দিন আমার মাটির ব্যাংকটা ভাংতাম, মেলা করার জন্য । মেলা জমত পাশের গ্রামে । সকাল থেকে মেলা জমতে থাকত আর শেষ হত সন্ধ্যা নামলেই । সারাদিনই মেলায় আর বাড়িতে চক্কর দিতাম। কেনাকাটা হইত কাকা বা আব্বার সাথে । আমি চরকি,ডেডঢেরি,বাঁশি, মাটির নতুন ব্যাংক, মাটির বানানো বিভিন্ন প্রাণীর পুতুল কিনতাম। খাবারের মধ্যে কেনা হইত মুড়ালি,কদমা ,বাতাসা,নানা জাতীয় মিষ্টি খাবার।
গ্রামের মুরব্বিরা বলত,,,,, মেলা বা ১লা বৈশাখ ত হিন্দুদের উৎসব। মেলার জিনিসপাতি খাওয়াও ঠিক না । মেলা উপলক্ষে মেলার আশে পাশে বসত জুয়ার আসর। ঐসব আসর থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ এসে অনেককেই ধরে নিতে দেখেছি । যদিও নিজজে কখনো জুয়ার দানে পয়সা ফেলি নাই । মেলার দিনটা কিভাবে যে চলে যেত। ভাবতেই পারতাম না । নতুন মাটির ব্যাংকে আবার পয়সা জমাতে থাকতাম নতুন বছরের অপেক্ষা করে ।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৯
আনামুল হক ইনাম বলেছেন: ধন্যযোগ সুমন ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:২৭
সুমন কর বলেছেন: স্মৃতিকথা ভালো লাগল।