নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা, কথা তো ছিলো তুই আসলে আমার জন্মদিন আর তোর জন্মদিন এর পার্টি একসাথে হবে! অথচ দেখ তুই বেমালুম সে কথা ভুলে গেলি...! যেতে যেতে কেউ হয়ত কিছু বলল , যে বলে সে ভুলে যায় কি বলেছিলো, যাকে বলেছিলো, সে সেই কথাটাকেই আজীবন আগলে রাখলো ...! যেভাবে আমি রেখেছি! আমি জানি তুই আমার জন্মদিনের কথা মনে রেখে আমাকে উইশ করবি এমন সৌভাগ্য আমার কখনো হবে না, এটা জেনেও কি এক অজানা আকর্ষণে আমি প্রতীক্ষায় থাকি... ভাবি, একটা মিরাকল কি ঘটতে পারে না? এমন কি হতে পারে না, রাত ১২টায় তুই আমাকে ফোন করে বলছিস- হারামী তোর বাড়ির ঠিকানা বল? আমি বাস স্ট্যান্ডে !
আমি ঘুমের ঘোরে চমকে উঠি... থমকে গিয়ে বলতে থাকি-
আর কত কষ্ট দিবি আমায়?
তুই চিল্লাইতে থাকিস- শালা শয়তান্নী, তোর জন্য এত কষ্ট করে,
এতদূরে আসলাম, আর তুই কস কষ্ট দিতাছি? তোরে তিন তালাক শালা!
আমি লাফিয়ে বিছানায় উঠে বসি তোতলাতে থাকি- তুই এখানে?
এত রাতে কোথায় ঘুমাবি? কোথায় থাকবি রে?
আমি কি জানি হারামী? তোর বাড়ীর ঠিকানা বল?
আমি ভয় পেয়ে যাই, বলতে থাকি, এত রাতে তুই বাসায় আসবি?
কি বলছিস এসব? মাথা ঠান্ডা কর প্লিয!
শোন, বাস স্ট্যান্ড থেকে সোজা কোন হোটেলে চলে যা, ফ্রেশ হয়ে,
খেয়ে ঘুমিয়ে পড়, সকালে চলে আসিস! আমি বাসায় ম্যানেজ করবো কেমন?
তুই বুঝে যাস! ওকে বেবি! তোকে একটু ভয় দেখালাম,
আমি হোটেলেই আছি রে গাধি! তোর এখন আর ঘুমানো হবে না,
সারা রাত জেগে কথা বলবি আমার সাথে! তোর এতদিনের শখ, গতবার কত কমপ্লিন করলি- চুপি চুপি জন্মদিনের প্রথম প্রহর কাটিয়েছি তোর সাথে, তুই টের পাস নাই, এই সেই কত্ত কথা রে! দেখ, তোকে কেমন চমকে দিলাম, দেখলি?
চোখ দিয়ে টপাটপ পানি পড়তেই আছে, ও যাতে বুঝতে না পারে, সেই জন্য নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করছি কিন্তু বদটা ঠিক-ই ধরে ফেলে,
বলে- কি রে নাক কাঁদুনে, কাঁদছিস তুই? দাঁড়া দেখা হোক, আগে তোকে জুতা দিয়ে পিটিয়ে নেবো তারপর অন্য কথা! আসলাম আমি তারপর ও কাঁদে! ইয়া ঢিশুম...চুপ করবি না কি এখনি তোদের বাসায় গিয়ে কলিম্বেল টিপবো হু?
কোনমতে বলে উঠি- তুই বুঝিস না- এটা কিসের কান্না?
হারামীটা হাসতে থাকে... বলতে থাকে পাগলী কোথাকার ! তোর চুল টেনেটুনে ছিঁড়ে ফেলবো দেখিস!
আমি বুঝি তোকে আস্তো রাখবো- বললাম? তোর ঠ্যাং কেটে হাতে ধরিয়ে দেবো!
অই অই ঠ্যাং কাটলে তো সারাজীবন আমাকে তোকে টানতে হবে? হাহা সব কাজ করতে হবে, আমি শুধু বইসা বইসা খাবো--হাআ?
এভাবেই রাত পার হয়ে যায়...নানা খুনসুটিতে ...... টপ টপ শব্দে চমকে উঠি...বুঝতে পারি পাশের বাসার টিনের চালে কুয়াশা বৃষ্টি পড়ার শব্দ ... নিজের মনেই বলে উঠি- কুয়াশা বৃষ্টি হচ্ছে রে পাজীটা টের পাচ্ছিস? ওহ্ তুই তো হোটেলের রুমে এই বলতে বলতে চমক ভাঙ্গে... কার সাথে কথা বলছি? ফোনটা কই আমার? দেখি পাশে রাখা মোবাইলটা অফ করা আছে...বুঝতে পারি... এতক্ষণ স্বপ্নে কথা বলছিলাম গাধাটার সাথে...
কথা ছিল, আমাকে শাড়ি পড়তেই হবে, কোন অজুহাত শুনবে না গাধাটা... বলেছিলাম, দুই ডজন চুড়ি চাই, হাত ভর্তি করে চুড়ি পড়বো... এক জোড়া পায়েলও কিন্তু চাই... , ঠিক আছে টাকাটা না হয় আমার পার্স থেকেই নিয়ে নিস, তবুও চাই... আমি কোন অজুহাত শুনবো না... ! আমার হাতের চুড়ি নিয়ে তোর খেলা করার কথা...ভাঙতেও চেয়েছিলি কিছু চুড়ি...কারন চুড়ি ভাঙার পর আমি কিভাবে কাঁদি ...মন খারাপ করি তোর সেটাই দেখার ইচ্ছে...।
হাহহা... ইচ্ছেগুলো / স্বপ্নগুলো কেমন স্বপ্নই থেকে গেলো... তাই না রে? আমাদের একসাথে জন্মদিনের পার্টি দেয়া হলো না... এভাবে এসে তুই আমাকে চমকে দিলি না... চুড়িগুলি ভাঙতে পারলি না... !
জন্মদিনের পার্টি না হয় নাই বা দিলি, কেক না হয় নাই বা পাঠালি, আমাকে কি উইশ করা যেত না? ২টাকা ৫০ পয়সা খরচ করে একটা মেসেজ পাঠিয়ে উইশ করতে এত্ত বড় মনের প্রয়োজন হয় না রে ফকিরটা! - মেসেজটা পাঠাতে গিয়েও পাঠালাম না কারন জানি তখন তুই লিখবি- আজ তোর জন্মদিন না কি? কিংবা অই যে কাটাকাটি করিস হাজারবার, আবার করেছিস, সেটা মনে রেখে রিপ্লাই দিবি না কিংবা কয়েকদিন আগের মেসেজের ভুল ব্যাখ্যা ধরে বসে আছিস আর নয়তো অই যে ইচ্ছে করে আমাকে কষ্ট দিয়ে সুখ অনুভব করবি ...। তাই থাক, বরাবরের মত চুপ করেই যাই......!
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হহাহহা চুপ-ই থাকেন ! না হয় বলবেন, পার্টি খাবো!
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৭
বলেছেন:
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাহহা!
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: +++++++++++++
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ধইন্না পাতা ধইন্না পাতা!
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২
তুষার কাব্য বলেছেন: চুপ থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০৫
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: কেন কেন?
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: উহহ.. পড়তে পড়তে হাঁপাইয়া গেছি আপনার এই তুই তাকারী... এইবার এক গ্লাস পানি দেন পানি টা খেয়ে বাকি কমেন্ট করতেছি । আপাতত এখন চুপ থাকি ।... :-<
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হহাহা তাই না কি ? আপনি তুই/ তোকারী না দেইখা বালিকার জন্মদিন এইটা দেখতেন!!!!
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: হ্যাপি বার্থ ডে....উইশ ইউ অল দ্যা বেষ্ট !...
বাই দ্যা ওয়ে, আসলেই কি আপনার জন্মদিন ছিল নাকি !!..
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা ধন্যবাদ ! হু আসলেই ছিল!
৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: চুম থাকলাম
তবে
ভাল থাকুক ব্লগ সন্ত্রাসীটা
শুভ জন্মদিন।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা ধন্যবাদ !
৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরে পাগল যেদিন মন নিয়েছিস
সেদিনইতো চিরতরে উইস করেছিরে
দিনে দিনে আর আলাদা করে বলার কি হল!
লোক দেখানো আদিখ্যাতায় মানুষ
কেন যে সূখ পায় বুঝিনা বাপু!
অন্তর থেকে যার জন্যি চির শুভকামনা
সেও যদি আটপৌড়ে লোকের লাইনে দাড়ায়!!!
তবে মনে হয় বুঝি ভালবাসাটাই বোঝাতে পারিনি!
কোথাও বুঝি কমতি রয়ে গেছে অনুভবের
নইলে কেন স্বপ্ন দেখবে এখনো
চোখের নোনা জলে গাল ভিজিয়ে!
আর পাগলী বোঝেনা কেন? ঝর্ণা চঞ্চল থাকলেও
নদী হয়ে যতই সে মিলন মোহনায় এগিয়ে যায়
ততই সে শান্ত গভীর হতে থাকে
চপলতা হরিয়ে যায় অনুভবের বোধের গভীরতায়
অবশেষ মিলন- সেতো চুপি চুপি হারিয়ে যাওয়া একে অন্যে।
মোহনায় নদীকেই মনে হয় সাগর
সাগরকে মনে হয় নদী-একে অন্যে বিলীন
চপলতাহীন গভীর অনুভবে অনুরাগে।।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: এই যে আইসা পড়ছে... আমার মাথা আউলিয়ে দিতে!!!!!!!!!!! এত সুন্দর করে মিলিয়ে বলেন কিভাবে? “একটুখানি আদিখ্যেতা না দেখালে আহ্লাদ করবে কি করে বালিকা? মাঝে মাঝে অনুভবের ভালোবাসাকে সামনে মেলে ধরতে হয়... আলতো করে ছুঁয়ে বলে দিতে হয়- ভালোবাসি ভালোবাসি ! আর নোনা জল সেটা তো কষ্ট কষ্ট সুখের জল...” ! ধন্যবাদ দিবো না... আপনার এই লেখাগুলি একদিন একজনকে দেখাবো...।। ভাল থাকুন সব সময়!
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
মাহবু১৫৪ বলেছেন:
আচ্ছা, আমরা সবাই তবে চুপ হয়ে গেলাম