নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাকী এলোমেলো পথ চলে... নিজেকে সব কিছু থেকে গুটিয়ে রাখা মেয়েটা একদিন সুস্থির হওয়ার কথা ভাবতেই হুট করে পরিচিত হওয়া ছেলেটা তাকে এক স্বপ্নের জগতে নিয়ে গেল...
যেখানে মেয়েটার মুঠোফোনের ইনবক্স ছিল একলা একলা শূন্যের কোঠায় ...আস্তে আস্তে সেই ইনবক্সের পুরোটা দখল করে নিল ছেলেটার সময়ে-অসময়ে আসা ভাল-লাগা আর খারাপ-লাগার বার্তায় ... এক একটা বার্তা যেন এক একটা ছবি...
কত খুনসুটি আর হুড়োহুড়ি...চ্যাটে সবুজ বাতি না দেখলেই চলত মিসডবার্তার সাথে অভিমান আর মারামারি...!
আউলা -ঝাউলা ছেলেটা সিল্কি চুলের বড়াই করে বেড়াতো ঠিক-ই কিন্তু কখনো সেই চুলের যত্ন নিত না...
বরং গরম আসলেই চুল কেটে টাকলা সাজতো... আর খোঁচা খোঁচা দাড়িগুলোও কাটতো না দিনের পর দিন...
একদম যাকে বলে আলসে বুড়া... সিল্কি কিন্তু এলোচুল আর খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে ছেলেটা পাগলার মত বেড়াত।
নিজেকে বাউন্ডুলে ভাবতে খুব পছন্দ করত...
একদিন তার সেই এলো চুলগুলি আরো এলোমেলো করে দিয়ে খুব যত্নে আবার ঠিক করে দিল হুট করে পরিচয় হয়ে যাওয়া মেয়েটা...একদিন অধিকার নিয়ে ছেলেটার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে তার খোঁচা খোঁচা দাড়ি গুলি কাটিয়ে ছাড়ল...
এরপর ফুঁ দিয়ে তার গালে আলতো করে শেভিং লোশন দিয়ে দিল তার মোলায়েম হাত দুটি দিয়ে...
সারাক্ষণ হাসি- ঠাট্টায় মেতে ওঠা মেয়েটা ছেলেটার খোঁজ নিতেই থাকত সদা তৎপর ...বাউন্ডুলে ছেলেটা একদিন আবিস্কার করে ফেলে মেয়েটার হাসি- খুশি চোখের আড়ালে আছে
তাকে ভেবে নির্ঘুম রাত কাটানোর ইতিহাস... চোখের নীচে কালি জমে তা কাজলের রূপে ঢেকে গেছে...
ছেলেটা অদ্ভুদ এক মায়ায় সেই চোখের দিকে তাকিয়েডুবতে থাকে...খেতে পছন্দ করা ছেলেটার মাঝে মাঝে খাওয়ার কথাই মনে থাকে না...
মেয়েটা কথার শুরুতেই আগে জিজ্ঞেস করে নেয়- খেয়েছিস কিছু? কি খেয়েছিস আজ? নাকি না খেয়ে বসে আছিস?
... ছেলেটার খাওয়ার কথা মনে পড়ে যায় সাথে সাথে অনুভব করে নেয়-কেউ একজন তার সব কিছুতে খেয়াল রাখা শুরু করেছে...
ধীরে ধীরে মেয়েটার প্রতি ছেলেটার-- ছেলেটার প্রতি মেয়েটার একটা আলাদা টান আর মায়া কাজ করা শুরু করে...
যে মায়া আর টান শুধু একজনের জন্যই হয়... ছেলেটা- মেয়েটা
মায়া আর টানের জালে জড়িয়ে ভালোবাসা নামক একটা আলাদা জগতে ভাসতে থাকে... !
কি জানি কি হয়... ছেলেটার মায়া আর টানে ভাটা পড়ে না
কিন্তু মায়া- আর টানের জালটা জায়গায় জায়গায় ছিড়ে যায়...
এরপর ছেলেটা ইচ্ছে করেই সেই ছেড়া জালের সুতো গুলি টেনে টেনে ছিড়তে থাকে...মেয়েটা ছেলেটাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায় কিন্তু কি এক অদ্ভুদ শীতলতায়
সে আর হাত বাড়িয়ে বাঁচার আকুলতা দেখায় না...মেয়েটা ডুবতে থাকে...কষ্ট কষ্ট নামক বুলেটে ছেলেটা মেয়েটাকে ঝাঁঝরা করতে থাকে তবু তাকে মেরে ফেলতে পারে না...
মায়া-আর টানের জালটার একটা কোনা কিভাবে যেন তাদের মাঝে জড়িয়ে থাকে...
কেউ কেউ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে ভালোবাসাকে মেরে ফেলে...
কেউ কেউ ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে দিয়ে নিজেকে মেরে ফেলে.........
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ! ভাল থাকবেন!
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৯
নিলু বলেছেন: ২ টাই ভালো নয় , লিখে যান
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হু এক অর্থে দু’জনেই খারাপ! অনেক ধন্যবাদ !
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১১
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আবেগি হাওয়ায় খানিক ভাসলাম যেন,
আপনার লেখার ধরনটাই যেন আবেগি !
পৃথিবীর সকল ভালোবাসারা বেঁচে থাকুক।
বেঁচে থাকুক সবাই, মানে কিংবা অভিমানে!
ভালোলাগা রইল ++
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আবেগী হাওয়া ... বেশ বলেছেন...! হু ঘটনাগুলি আবেগী বটে...এবং ভালোবাসার গভীরতা থেকে উঠে আসা ! হু পৃথিবীর সব ভালোবাসারা ভালোলাগায় আর ভালোবাসায় বেঁচে থাকুক মানে কিংবা অভিমানে ! অনেক ধন্যবাদ ! ভাল থাকবেন!
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: আমার ধৈর্যে আর কুলাচ্ছে না, একটু বাস্তবতার কাছে ধরা দিন ।
ভাল থাকুক ঈপ্সিতা চৌধুরী
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: হহাহা ভাইয়া--- আপনি সব লেখাকে আপনার বোনের কথা ধরে নেন কেন... তবে এটা ঠিক আমি বাস্তবতার সাথে কিছু মিল রেখে কল্পিত কথাই জুড়ে দেই... যেগুলো কারো না কারো গল্পের সাথে মিলে যায়...
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৩
ইটিশ পিটিশ বলেছেন: দারুন লিখেছেন। ধন্যবাদ